নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভির জুমার

সব সময় সব জায়গায় সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে।

তানভির জুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফগান, তালি বান এবং পশ্চিমাদের নারী অস্ত্র।

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:০২

ইসলামের বিরুদ্ধে পশ্চিমা প্রপাগ্যান্ডার অবিচ্ছেদ্য অংশ হল ‘নারী’। পশ্চিম যখন নিজের ‘রক্ষণশীলতা’ নিয়ে গর্ব করতো মুসলিম নারী তখন ছিল ‘হারেমজীবি’, ‘কামুক’, ‘যৌনতার বস্তু’। যখন পশ্চিম নিজেকে প্রগতিশীল ভাবতে শিখলো তখন মুসলিম নারী হয়ে গেল ‘বন্দী’, ‘অবরোধবাসিনী’, ‘যৌনতার বস্তু’। দু ক্ষেত্রেই মুসলিম নারীকে ‘মুক্ত’ করতে ‘পশ্চিমা রক্ষক’ দৃঢ়সংকল্প।
.
২০ বছর আগে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের বৈধতা দেয়ার জন্য নারীমুক্তির কথা বলা হয়েছিল। গত দুই দশক ধরে অ্যামেরিকান হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধাপরাধের অজুহাত হিসেবেও বারবার বলা হয়েছে নারীমুক্তির কথা।
.
অ্যামেরিকার লজ্জাজনক পিছু হটার পর আজ আবারও এই রদ্দি মাল বিক্রির চেষ্টা করছে অনেকে। এদের মধ্যে পশ্চিমারা যেমন আছে তেমনি আছে তাদের কাছে মন ও মস্তিস্ক বন্ধক দেয়া বাদামী চামড়ার আদর্শিক জারজেরাও। আফগান নারীদের মুক্তি আর স্বাধীনতা নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন!
.
কিন্তু পশ্চিমের নারীমুক্তির বয়ানের পেছনে মূল বাস্তবতা মুসলিম সমাজ এবং নারীদের 'ধর্মান্তর' করা। পশ্চিমের একটা নিজস্ব দ্বীন আছে। সেই লিবারেল-সেক্যুলার দ্বীনে নারীত্বের একটা নির্দিষ্ট ধারণা এবং সংজ্ঞা আছে। পশ্চিমারা মনে করে তাদের এই ধারণা সর্বজনীন। তাদের ঠিক করে দেয়া নারীত্বের এই ধারণাকেই গ্রহণ করতে হবে পুরো বিশ্বকে।
.
নারীত্বের যে ধারণা পশ্চিমা ছাঁচের সাথে মিলবে না সেটা বন্দীত্ব। সেটা পরাধীনতা। যারা নারীত্বের পশ্চিমা সংজ্ঞা গ্রহণ করবে না। তারা পশ্চাৎপদ। এই পশ্চাৎপদ সমাজের নারীদের ‘মুক্ত’ করতে চায় পশ্চিমা ‘রক্ষক’। আনতে চায় সভ্যতার আলোতে।
.
আজ থেকে দেড়-দুশো বছর আগে পশ্চিমারা বলতো ‘অসভ্য’ জাতিদের ‘সভ্য’ করার জন্য কলোনিয়ালিসম দরকার। আজকে ওরা বলে ‘পরাধীন’ নারীকে ‘মুক্ত’ করার জন্য সামরিক কিংবা কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ দরকার।
.
মূল বক্তব্য সেই একই। পশ্চিম তার লিবারেল-সেক্যুলার দর্শন কাঠামোকে ‘মুক্তি’, ‘অধিকার’ ‘স্বাধীনতা’র নাম দিয়ে বাকি বিশ্বের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। যে এতে বাঁধা দেবে সেই সন্ত্রাসী, উগ্রবাদী, বর্বর। নতুন গল্প, সেই পুরনো গল্পের মতোই।
.
গালভরা বুলির আড়ালে আসলে ওরা আমাদের নিয়ন্ত্রন করতে চায়। আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায় ওদের দ্বীন। c/p

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১৮

সাসুম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভাই। তালেবানের পক্ষে কিছু বললেই মানুষ জংগি টেরোরিস্ট বলে ছুটে আসে। তালেবান, তাদের নারীর প্রতি মহানুভবতা এবং নারীর প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছে তাতেই প্রমান হয়- ইসলাম কোনভাবেই নারীকে দমিয়ে রাখে নাই বা নারীর প্রতি কোন সহিংসতা ইসলামে নাই।

তালেবান আর আফগানিস্তানের শরিয়া আইনের বিরোধীতা যারা করে তারা কাফের, ইনফিদেল। এরা মানবতার ও ইসলামের শত্রু

আপনার মত ২/১ জন আছে বলেই আজো দেশে ইসলামের পতাকা বহন করতে অসুবিধা হয় না।

মিজানুর রহমান আযহার হুজুর ও তালেবান দের পক্ষে। আমাদের সবাইকে তালেবান তথা শরিয়া আইন তথা ইসলামের পক্ষে থাকাটাই কাম্য।

যাজাকাল্লাহ খায়রান।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩৭

বিটপি বলেছেন: আপনার শেষ লাইনটা ভুল। ওরা কখনোই ওদের দ্বীন আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চায়না। বরং ওরা চায় আমরা যাতে আমাদের দ্বীন থেকে দূরে সরে থাকি। জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও প্রযুক্তির উতকর্ষের ফলে বিশ্বজুড়ে মানুষের চালচলনে পরিবর্তন এসেছে। ধর্মের মত অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আস্তে আস্তে বিদায় নিচ্ছে। বৌদ্ধ খ্রীস্টানরা খুব দ্রুতগতিতে নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে। নাচ গান এবং ইয়োগা চর্চার মত ফূর্তির ব্যাপারগুলো নিয়ে হিন্দু ধর্ম এখনো টিকে আছে। কিন্তু ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টোঃ
১। নাস্তিকতা চর্চা মুসলিমদের আকর্ষণ করতে পারছেনা।
২। ইসলামের প্রসার আগের মতই (কিংবা আরো দ্রুত) বেড়ে চলেছে।
৩। পর্দা করেও কাজ করা যায় - এই ধারণা বিস্তার লাভ করায় নারীদের মধ্যে ইসলাম খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। তাছাড়া ইসলাম নারীর স্বাতন্ত্র ও মর্যাদাকে খুব প্রমোট করে।

তাই ইসলাম ধর্মাবলবম্বীদের ক্ষেত্রে তাদের কৌশল খুব একটা কাজে আসছেনা বলে মুসলিমদের উপর তারা প্রায়ই খড়্গগস্ত হয়ে থাকে। তবে গণতন্ত্র ও নারী স্বাধীনতা পণ্য হিসেবে খুব সস্তা হয়ে গেছে। মানুষকে এগুলো আর আগের মত আকর্ষণ করেনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

তানভির জুমার বলেছেন: বরং ওরা চায় আমরা যাতে আমাদের দ্বীন থেকে দূরে সরে থাকি. আমরা আমাদের দ্বীন থেকে দূরে সরে থাকার মানেই হচ্ছে ওদের মতবাদ গ্রহণ করা. দ্বীন বলতে আমি ওদের মতবাদ বা চিন্তা-চেতনা কথাই বলছি.

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৯

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



বিটপির কথার প্রেক্ষিতে বলতে চাই, মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়েছে এটা ঠিক আছে, এটা ইতিবাচক, কিন্তু সেটা নাস্তিকতার কারণে নয়। যদি তাই হতো তবে বিজ্ঞানি মানেই নাস্তিক হতো, কতজন বিজ্ঞানি নাস্তিক? ইসলামকি জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় বাঁধা দেয়? বরং মধ্যযুগে তাকালে দেখা যাবে ঐ সময় বিজ্ঞাননি মানেই মুসলিম বিজ্ঞানি। এটা ঠিক যে বর্তমান সময়ে মুসলিমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা হতে দূরে সরে এসেছে, সেটা নিয়ে সমলালোচনা হতে পারে, সেটা মানুষের সমস্যা ইসলামের নয়।
ধর্মহীন পৃথীবি কেমন হবে তা জানার জন্য ইসলামপূর্ব পৃথিবী, অর্থাৎ খৃষ্টাব্দ তৃতীয় শতক হতে ইসলাম আবির্ভাবে পূর্ব পযন্ত ইতিহাস অধ্যায়ন করুন। ইভেন পৃথিবী আবারো সেই দিকেই যাচ্ছে। লোভ লালসা ঘিরে ধরেছে সমাজকে, কেউ অন্যের কথা ভাবছে না, সবাই নিজ স্বার্খে দ্বিধাহীন ভাবে অন্যের বুকে ছুড়ি বসাচ্ছে। মুসলিম বলা হলেও বাংলাদেশেরই ৯৫% মুসলিম ইসলামের আদর্শ মানে না। কেবল নামাজ রোজা নিয়ে আছে। কিন্তু বাস্কব জীবনে ইসলাম নেই। সুদ ঘুষ এগুলোর ছড়াছড়ি।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের ইসলাম থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাওয়া।
এবং এইসব পাশ্চাত্যের প্রোপাগান্ডায় বিশ্বাস করা।
ইংরেজরা এই ভারতবর্ষে যেই কারনে এসেছিল, ঠিক সেই একই কারনেই ইরাক লিবিয়া আফগানিস্থানে এ্যামিরিকানরা গিয়েছে। পুরোটাই ব্যবসায়িক স্বার্থ। পাশ্চাত্য সমাজের রঙ্গিন দুনিয়া দেখিয়ে পিছনে লুটপাট করা এদের আজন্ম মার্কেটিং পলিসি।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

রবিন.হুড বলেছেন: আমাদের মূল ইসলামের অনুসারী হতে হবে ভুল ইসলামের নয়। মুসলমানদের সাহায্য করতে হবে তালেবানদের নয়। আফগানিস্তানে ইসলামী শাসন কায়েম হলে সমর্থন করা যাবে কিন্তু ইসলামের নামে যদি তালেবান নিজেদের ভোগবিলাস নিয়ে ব্যস্ত থাকে তবে তা কখনও সমর্থন করা যাবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তালেবানী হাওয়া না লাগিয়ে বাংলাদেশী মুসলমানদের প্রকৃত ইসলামের অনুসারী করার চেষ্টা করুন তবে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আসুন সবাই কুরআন পড়ি এবং আল্লাহর নির্দেশিত জীবন গড়ি। হাজারী/বাজারীর মিথ্যা বয়ান থেকে নিজেদের মুক্ত করে মুহম্মদ সঃ এর জীবনাদর্শ অনুসরন করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.