নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অহন থিক্কাসব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুলা আমদানি করতে বছরে খরচ ২২ হাজার কোটি টাকা। অথচ এ তুলার উৎপাদন দেশেই সম্ভব। দরকার সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

সব প্রশংসা মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

দেশের প্রধান রফতানি খাত পোশাক শিল্পের মূল কাঁচামাল তুলা। দিন দিন পোশাক শিল্পের বিকাশ ঘটলেও মূল কাঁচামাল প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। ফলে প্রতিবছর সুতার দামের কারণে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা তৈরি হয়। পোশাক শিল্প মালিকরা দাম বাড়ার জন্য স্পিনিং মিল মালিকদের দায়ী করে। আর স্পিনিং মালিকরা তুলার দামকে দায়ী করে। বছরের পর বছর পরস্পরকে দোষারোপের খেলা চললেও মৌলিক কাঁচামাল তুলা উৎপাদনের দিকে কারো নজর নেই।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৩৮৩টি সুতা তৈরির মিল রয়েছে। যাদের বার্ষিক আঁশ তুলার চাহিদা প্রায় ৪১ লাখ বেল। গত মৌসুমে সারা দেশে প্রায় ১ দশমিক শূন্য তিন লাখ বেল তুলা উৎপাদিত হয়েছে। চাহিদার অবশিষ্ট তুলা ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, আমেরিকা, আফ্রিকাসহ অন্যান্য সিআইএসভুক্ত দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এ পরিমাণ তুলা আমদানিতে প্রতিবছর খরচ হয় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।

বর্তমানে দেশে তুলা চাষের উপযোগী প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমি থাকলেও চাষ হয় প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টরে। উপযোগী সব জমিতে তুলা চাষ করলে প্রায় ২০ লাখ বেল আঁশ তুলা উৎপাদন করা সম্ভব, যা দিয়ে দেশের মোট চাহিদার অর্ধেকই পূরণ করা যাবে। ফলে প্রতিবছর সাশ্রয় হবে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।

তুলা পরিবেশবান্ধব একটি ফসল। তুলা চাষের ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া তুলা চাষ করে চাষির জ্বালানির সংস্থান হতে পারে। তুলার দুই সারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে স্বল্পকালীন বিভিন্ন ফসল (সাথী ফসল) যেমন- লালশাক, কলমি শাক, মুলা শাক ও মুগডাল চাষ করে চাষিরা লাভবান হতে পারে।

তুলার বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। উৎপাদিত বীজতুলা জিনিং করার পর বীজ ও আঁশ পাওয়া যায়। আঁশ স্পিনিং মিলে সুতা তৈরির কাজে ব্যবহার হয় এবং বীজ থেকে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ তেল পাওয়া যায়, যা শোধন করে ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া এর খৈল গবাদিপশু ও মাছের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। ভারতসহ তুলা উৎপাদনকারী অনেক দেশেই তুলা গাছ পার্টিকেল বোর্ড ও কাগজ তৈরির কাজে ব্যবহার হচ্ছে। মূলত তুলার কোনো অংশই অব্যবহৃত থাকে না।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড তিন বছর ধরে বেসরকারি বীজ কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ এবং ফসল ব্যবস্থাপনায় নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন করেছে। ফলে তুলার একর প্রতি ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে চাষিরা হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ করে বিঘাপ্রতি প্রায় ১২ থেকে ১৫ মণ উৎপাদন করছে। গত মৌসুমে চাষীরা তাদের উৎপাদিত বীজ তুলা বাজারে আড়াই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছে। সে হিসেবে এক বিঘা জমিতে তুলা চাষ করে একজন চাষির ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা বাদ দিলে একজন চাষির নিট মুনাফা হয়েছে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।

দেশে তুলার চাহিদার চেয়ে বেশি তুলা উৎপাদন করা সম্ভব। তবে এ জন্য তুলার প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি থাকতে হবে। কৃষকদের বিনা সুদে ব্যাংকঋণসহ সহজ শর্তে কৃষি উপকরণ বিতরণ করতে হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষ কমিয়ে উপযোগী জমিগুলোর পাশাপাশি পাহাড় ও লবণাক্ত অঞ্চলের পতিত জমিতে হাইব্রিড বীজে বছরে দুবার পরিবেশবান্ধব তুলা চাষ করা হলে নিশ্চিতভাবেই দেশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

স্বাধীনতাযুদ্ধের পর থেকে আশির দশক পর্যন্ত কাঁচা তুলার অভাবে দেশের অনেক সুতার মিল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বস্ত্রশিল্প মারাত্মক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়। পরে বিদেশ থেকে তুলা আমদানি করে সুতা উৎপাদন করে বস্ত্রশিল্পকে টিকিয়ে রাখা হয়। সেই থেকে আন্তর্জাতিক তুলা ব্যবসায়ীরা এদেশের তুলার বাজার শক্ত করে ধরে বসেছে। চীনের এক ডজন ব্যবসায়ী বাংলাদেশে রফতানি করার উদ্দেশ্যে সে দেশে তুলা উৎপাদন করে আসছে। একইসঙ্গে ভারত ও পকিস্তানের তুলার মান ভালো হওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে রফতানি করা হয় বলেও জানা গেছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আদা, হলুদ, আম, কাঁঠাল, কলা, মরিচ, গম, মেহগনির বাগান, উছতার ক্ষেত ও আউশ ধানের সঙ্গে তুলা চাষ করতে পারেন কৃষকরা। এসব ফসলে ক্ষেতের মধ্যে সাথী ফসল হিসেবে তুলা উৎপাদন করা যাবে। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে মরিচের সঙ্গেও তুলা চাষ করা যায়। এ সময় বৃষ্টি হলে বারি মরিচ-১ জাত (বাংলা লঙ্কা) ১২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে মরিচের চারা লাগাতে হয়। জুলাই ও আগস্ট মাসে ওই মরিচ ক্ষেতের এক সারি অন্তর এক সারিতে তুলা বপন করা যায়। এতে তুলা ও মরিচের পৃথক পরিচর্যা করলে কোনো ফসলের ক্ষতি হয় না।

অপরদিকে বিপুল সম্ভাবনা সত্ত্বেও উত্তরাঞ্চলে এক লাখ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্যকর উদ্যোগ ও তদারকির অভাব রয়েছে বলে আমরা মনে করি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, এই অঞ্চলের অন্তত সোয়া এক লাখ হেক্টর জমি তুলা চাষের উপযোগী। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় তুলা চাষে কৃষকের লাভ বেশি। উৎপাদন বাড়লে বিদেশ থেকে তুলা আমদানি হ্রাস পাবে। কিন্তু নানাবিধ সমস্যার কারণে এই সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছেনা। তুলা চাষের জন্য গবেষণাগার থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় উপকরণ, নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। সম্প্রসারণের উদ্যোগেও কোনো গতি নেই। তুলা চাষে যথেষ্ট লাভের কথা কৃষকদের কানে পৌঁছানো হয়না। উৎপাদিত তুলা বাজারজাত করতেও যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।

উল্লেখ্য, দেশে তুলা উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করা গেলে তখন তুলার জন্য হাপিত্যেস করতে হবে না। তখন বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। যেহেতু বান্দরবানে তুলা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখানে তুলা চাষে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সরকারের কৃষি বিভাগকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রসঙ্গত বান্দরবান ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের বাকি দুই জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে উদ্ভাবিত রঙিন পাহাড়ি তুলা নতুন সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলছে। পার্বত্য এ তিনটি জেলা এ দেশের ‘কার্পাস মহল’ নামে খ্যাত। জাপান, কোরিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাহাড়ি তুলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলে তুলা চাষের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বেসরকারিভাবে জাপান ও কোরিয়ায় ইতিমধ্যে পাহাড়ি তুলা রফতানিও হয়েছে। নতুন উদ্ভাবিত পাহাড়ি তুলার উৎপাদন আরো বাড়িয়ে সরকারিভাবে রফতানির উদ্যোগ নিলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।

প্রসঙ্গত মহান মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার একটি ক্বওল শরীফ উল্লেখ্য। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আগেও গরিব ছিলো না। এখনও গরিব নয়। সদিচ্ছা, সততা আর সক্রিয়তা থাকলে সোনার বাংলার ঐতিহ্য বাংলাদেশ অচিরেই ফিরে পেতে পারে।’

মূলত যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ- খোদায়ী নূরযুক্ত, রহমত, বরকত পরিপূর্ণ কথা মুবারক। তাতেই রয়েছে সমসাময়িক সমস্যার সমাধান ও সমৃদ্ধি। তাই উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ফযীলত পাওয়া সম্ভব। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে তা নছীব করুন। (আমীন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.