নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অহন থিক্কাসব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক বিবেচনায় ৫ ব্যাংক লাইসেন্স পেয়েছে আওয়ামী কব্জায় ব্যাংকিং খাত দুর্নীতির দুয়ার হবে অবারিত

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত ২৫ বছরে দেশে বেসরকারি ব্যাংক ছিল ১৭টি। অপর দিকে জেনারেল ও লাইফ মিলে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ছিল ৩২টি। গত ১৯৯৬-২০০০ সালের মধ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৩টি নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়। আর ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স দেয়া হয় ২৮টির। ইন্স্যুরেন্সগুলোর মধ্যে জেনারেল ১৯টি ও লাইফ ৯টি। গত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় জোট সরকারের পাঁচ বছর এবং পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরসহ মোট আট বছরে কোনো নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হয়নি। অথচ বর্তমান সরকার তার এই মেয়াদের চার বছরের মাথায় এসে গত বুধবার পাঁচটি ব্যাংকের লাইসেন্স দিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে দাতাসংস্থা আইএমএফ, সাবেক ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ এবং খোদ বাংলাদেশ ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে বলা হয়েছে বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক পেক্ষাপটের বিবেচনায় ৪৮টি ব্যাংক, ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ৬২টি বীমা কোম্পানিই অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০০১ সালে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হবে না। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নেয়।

নতুন ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে শুরুতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে মতপার্থক্য হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে ঘোষণা দেয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হবে। সে সাংবাদিকদের জানায়, নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে অপরাগতা প্রকাশ করে। দেশে নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা নেই, উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠায়। তবে সরকার তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। সরকারের চাপে পড়ে নমনীয় হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ ১৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডসভায় নতুন ব্যাংক দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

পর্যবেক্ষক মহলের মতে, অর্থনীতিবিদদের নানা ধরনের আশঙ্কা সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাত দখলের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অনুমোদিত ব্যাংকগুলোর মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সরকারের ঘনিষ্ঠজন। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছে, দলীয় লোকদের নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিয়ে সরকার এ খাতে আওয়ামী লীগের দখলদারিত্ব নিশ্চিত করেছে। এদিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় এত ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার নজিরবিহীন ঘটনায় এ খাতে চলমান তারল্য ও আমানতের সঙ্কট তীব্র হয়ে গোটা ব্যাংকিং খাতকেই চাপের মুখে ফেলে দিতে পারে বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদরা।

অভিজ্ঞ মহল বলছে, দলীয় লোকদের ব্যাংক দেয়ার কারণে ব্যাংকিং সেক্টরে নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি রাজনীতির বিশেষ সময়ে দলীয় লোকদের ঋণ দেয়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। তাছাড়া এ ধরনের ব্যাংকে চাকরি বাণিজ্য ও ঋণ বাণিজ্য শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে এ ধরনের দুর্নীতি শুরু হলে এ খাতটি বড় ধরনের সঙ্কটের মুখে পড়বে। অভিজ্ঞ মহল বলছে, দলীয় লোকদের ঋণখেলাপি থেকে বাঁচাতে অন্য ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কিনে তা ছাড় দিয়ে আদায়ের ঘটনাও ঘটতে পারে এসব ব্যাংকে। এ ধরনের দুর্নীতি আমানতকারীদের সঞ্চয়কে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।

মূলত আমাদের জিডিপির যে আকার এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী জনগণের যে সংখ্যা এ অবস্থায় ৪৮টি ব্যাংকের বাইরে আরও ৫টি ব্যাংকের অনুমোদনের কোনো দরকার ছিল না। মালয়েশিয়ার জিডিপির আকার আমাদের চেয়ে বড় হলেও তাদের ব্যাংকের সংখ্যা আমাদের অর্ধেক। এরপরও সম্প্রতি তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে একীভূত করার মাধ্যমে ব্যাংকের সংখ্যা ৬-৭ এ নামিয়ে আনা হবে। বর্তমানে আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ও ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। এ অবস্থায় নতুন ব্যাংক এ পরিস্থিতিকে আরও প্রকট করে তুলবে। নতুন ব্যাংক এলে এ খাতে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। ফলে ব্যাংকের মুনাফা কমে যাবে। মুনাফা ঠিক রাখতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে কার্টেল সৃষ্টি হতে পারে, যা সুদের হার বাড়িয়ে বিনিয়োগকে ব্যয়বহুল করে তুলবে। তাছাড়া নতুন ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তির অভাব এ খাতের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকিতে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যাংক শেয়ারবাজারে সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ করে। নতুন ব্যাংক আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকির চাপ আরও শিথিল হয়ে পড়তে পারে। ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে অনিয়ম বেড়ে যেতে পারে।

বলাবাহুল্য, দেশের অর্থনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও কেবলমাত্র দলীয় বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতিভাত হয়েছে- ‘দলের চেয়ে দেশ বড়’ এ নীতিতে বিশ্বাসী নয় ক্ষমতাসীন দল। তারা জনগণের সম্পদ লুটেপুটে খেতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে জনগণের জনসচেতন ও প্রতিবাদী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা মুবারক থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.