নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অহন থিক্কাসব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

সত্য সন্ধানী ১৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংঘাতমুখী রাজনীতিতে জ্বলছে দেশ ভুগছে জনগণ। ভেঙে পড়ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শেষ কোথায়?

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০০

সব ছানা-ছিফত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। এমন ছানা-ছিফত যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন। অপরিসীম, অকৃত্রিম, অগণিত দুরূদ ও সালাম মুবারক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। এমন দুরূদ ও সালাম মুবারক যা তিনি পছন্দ করেন।

সবখানে অস্থিরতা। সর্বসাধারণ মানুষের মধ্যে অস্থিরতা; প্রশাসনে অস্থিরতা। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্রে কর্মরতদের মধ্যে অস্থিরতার পাশাপাশি আতঙ্ক বাড়ছে। অনিশ্চয়তা আর নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছে মানুষ। করুণ দশায় অর্থনীতি। দ্রব্যমূল্য অগ্নিমূল্য ধারণ করেছে। স্বাভাবিক পরিবেশ কতদিন পর ফিরে আসবে কেউ জানে না। অথচ দুই দলের যুদ্ধংদেহী প্রস্তুতি চলছে।

ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে সঙ্কট শুরু হলেও এখন তা বহুমাত্রিকতা পেয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো মৌলিক ইস্যু সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখা গেলে ভালো হতো। কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ সব পক্ষই এ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়। এজন্য কেউ কেউ জাতিকে জিম্মি করতেও ছাড়ছে না। ফলে এটাকে এখন আর কেবল রাজনৈতিক সঙ্কট বলা যাবে না। নিরাপত্তা, পেশাগত দায়িত্ব, রাষ্ট্রীয় অধিকার সবকিছু এখন চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। কোনো পক্ষেরই এখন নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না। ফলে সঙ্কট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলন অন্যদিকে মোড় নিতে পারে- এ ভাবনা থেকে বেগম খালেদা জিয়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি ফর পাবলিক সেফটি গঠনের ঘোষণা দেয়। বিএনপি’র একাধিক নেতা জানায়, বিএনপিকে বিপদে ফেলতে আওয়ামী লীগ নিজেই সংখ্যালঘুদের উপর যুলুম-নির্যাতন করে ‘দায়’ বিএনপির উপর চাপাতে না পারে সে জন্যই তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি ফর পাবলিক সেফটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ কমিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে। বিএনপির এ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে ‘প্রতিরোধ’ করার কথা বলেছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনায় তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হবে, আর বসে বসে এটা দেখার মতো দুর্বল এখনও আমরা নই। সে সহিংসতা বন্ধে জেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ে ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের আহ্বান জানান। কিন্তু তার পরেও কয়েকদিনের সহিংসতা ও শতাধিক মৃত্যুর কারণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে চরম অবনতি চলছে।

ভেঙে পড়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারি, পোশাকে-সাদা পোশাকে মোতায়েন শত শত পুলিশ-র্যা বের বেষ্টনীর মধ্যেও বিস্ফোরিত হচ্ছে ককটেল। পুলিশের চোখের সামনেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নির্বিঘেœ চলে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা! পুলিশের সামনে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে চলছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। কিন্তু পুলিশ-র্যা ব তাদের ধরছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ সব কিছুরই দায় বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছে। শত শত পুলিশ, র্যা ব ও গোয়েন্দা বেষ্টনীর মধ্যেও গত পরশু রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে পুলিশ ব্যারিকেডের ভেতরে হোটেল রূপসী বাংলার সামনে পরপর তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশের চোখের সামনে কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নির্বিঘেœ চলে যায়।

কয়েক দিন আগে রূপসী বাংলা হোটেলের সামনের সড়ক দ্বীপ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি গ্রেনেড। পরে ওই গ্রেনেডটি উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। পুলিশ-র্যা বের কড়া বেষ্টনীর মধ্যে কিভাবে ওই গ্রেনেডটি সড়কদ্বীপে গেল সে রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি।

গত সোমবার সোনারগাঁও হোটেলের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ঠিক ওই সময় হোটেল সোনারগাঁওয়ে অবস্থান করছিলো ভারতীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ককটেল বিস্ফোরণের সময় ওই হোটেলের আশপাশে বিপুল পুলিশ-র্যা ব ও সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন ছিলো। ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো কঠোর করা হয়।

গত ৪ মার্চ কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকে কে বা কারা ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে কিভাবে আগুন লাগাল এবং কিভাবে সেখান থেকে দুর্বৃত্তরা চলে গেল তা নিয়েও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার হরতাল চলাকালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টন এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়। বিএনপি’র কয়েকজন নেতাকর্মী বলেছেন, পুলিশের চোখের সামনেই ঘটেছে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা। পুলিশ চাইলেই ওই সন্ত্রাসীদের ধরতে পারত। কিন্তু শত শত পুলিশ শুধু তাকিয়ে দেখেছে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘুরতে দেখা গেছে কিছু দুর্বৃত্তকে। পুলিশের সামনেই তাদের ঘুরতে দেখা যায় অস্ত্র হাতে। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায়ও প্রচার হয়েছে। পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যেই অস্ত্র হাতে এভাবে দুর্বৃত্তদের অবাধ বিচরণ হতবাক করেছে সচেতন মানুষকে।

অপরদিকে উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহে সারাদেশে পুলিশ-বিজিবি ও র্যা বের নির্বিচার গুলিবর্ষণে হত্যার শিকার ৯৭ জনের মধ্যে নাগরিকের সংখ্যাই ৩৩ জন। বলাবাহুল্য, এভাবে হামলায় সরকারের যেমন দায়িত্বহীনতা প্রমাণিত হচ্ছে তেমনি প্রকৃত অপরাধী তথা সহিংসতাবাদী জামাতে মওদুদীদের সবগুলোকে ধরে আচ্ছা মতো শিক্ষা দেয়াতেও সরকারের সদিচ্ছা ও সক্রিয়তার অভাব প্রতিভাত হচ্ছে। সরকারের উচিত- তালিকা ধরে ধরে অথবা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে তালিকা তৈরি করে সহিংসতাবাদী জামাতে মওদুদীদের চিরদিনের জন্য শিক্ষা দেয়া।

মূলত, সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা পাওয়া সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সালামুন ক্বাওলাম্মির রাব্বির রাহিম----।


এই কওমের উপর রবের পক্ষ থেকে শান্তি বর্ষিত হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.