![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।
‘অবস্থা আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু মানুষের জীবন যে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাতে কারোরই খেয়াল নেই। যেভাবে চলছে, সেটা চলতে থাকলে মানুষকে আর ঘরে আটকে রাখা যাবে না। কয়দিন বসে থাকবে মানুষ?’ হরতাল-অবরোধে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে এভাবেই নিজের ভাবনার কথা বলছিলেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মহসিনুর রহমান।
গতকাল ইয়াওমুল আরবিয়ায়ি (বুধবার) সকালে রাজধানীর আসাদগেটে মতিঝিলগামী বেসরকারি অফিসের কর্মচারি হারিস চৌধুরি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতারা হরতাল-অবরোধ ডেকে বাসায় ঘুমাচ্ছেন। আর আমাদেরকে অফিসে যাওয়ার জন্য যুদ্ধ করতে হচ্ছে। আর রাস্তায় বেরোলে কখন শরীরে ককটেল বা পেট্রোলবোমা পড়ে, সেই আতঙ্কে থাকি। আতঙ্কিত জীবন কাটানো ছাড়া তো আমাদের কোনো উপায় নেই।’
১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবিরাম অবরোধ কর্মসূচির অষ্টম দিন এবং হরতালের পঞ্চম দিনে জনজীবনের অবস্থা দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশ ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে হরতাল-অবরোধ। আতঙ্ক থাকলেও জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও অফিস-আদালত খোলা থাকায় কর্মজীবী মানুষ বেরিয়েছেন কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশে। রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকাল থেকেই প্রচুর যানবাহন চলছে রাস্তায়। তবে এটা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ব্যক্তিগত যানবাহনও ছিল অনেক। তবে ভিআইপি রোডসহ রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তা ছিল রিকশার দখলে। সকাল থেকেই অফিসগামী যাত্রীরা রাস্তায় বেরিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষও রাস্তায় বেরিয়েছেন প্রয়োজনীয় কাজ সারতে। রাজধানীর বিপণিবিতানগুলো খোলা থাকলেও ক্রেতা কম। গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার যানবাহন।
মতিঝিলে সোনালী ব্যাংক ভবনের সামনে কথা হলো ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের সঙ্গে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি নিজের ক্ষোভের কথা জানালেন তিনি। বললেন, ‘নির্বাচন হয়েছে। সরকার গঠন হবে। বিরোধী দল গতানুগতিক হরতাল-অবরোধের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে। সরকার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে কঠোর হবে। বিএনপি নেতাদের ধরছে, ছাড়ছে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে বড় নাশকতার অভিযোগ উঠছে, সেই জামাতের কাউকে গ্রেপ্তার করতে দেখছি না।’
একই জায়গায় আরেক ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন। বললেন, ‘নতুন বছরের এক সপ্তাহ চলে গেল। কিন্তু এখনো স্কুলে ক্লাস শুরু করা যায়নি। কবে শুরু হবে, সেটাও জানি না। এভাবে কত দিন চলবে?’
link
©somewhere in net ltd.