![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একা, চলি সোজা পথ বাকা ,কিছু খোজা আমাকে দুঃখ দিও না আমি একা, কখনো পথ হারাবো না ।
দুই বোন নিপা ও ফারিন। দুইজনই একটি হাইয়ার মিডেল ক্লাস ফ্যামিলি তে থাকে। ছোটকাল থেকেই সবার মতো তারাও স্কুল ,কলেজে যেত এবং যায়। নিপা ও ফারিনের বয়সের পার্থক্য ৫ বছর , নিপা বড়। সে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে আর ফারিন সদ্দমাত্র কলেজ লাইফে প্রবেশ করল।
গল্পটার প্রথম অংশ পড়ে হয়তো মনে হবে যে , সবই তো ঠিক আছে , কিন্তু না ,সব ঠিক নেই।
সবকিছু কখনই থিক হয় না , ভেজাল রয়েই যায়।
নিপা, ফারিন কক্ষনোই তাদের বাবার আদর পাই নি। কারন, এইটা না যে, তাদের বাবা-মা ডিভোর্সড অথবা বাবা তাদের সাথে তাদের বাসায় থাকে না , ইত্যাদি।
আসলে, তাদের বাবা "ফিমেল চাইল্ড" পছন্দ করেন না, তার কিনা সুধু ছেলের দরকার!!! মেয়ের কোন মূল্যই তার কাছে নেই। তাদের বাবা তাদের সাথেই থাকে কিন্তু অন্য রুমে ও পুরোই আলাদা ।
তারা যখন জন্ম নেয় এবং জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত , এই দুই বোন কখনোই বাবার আদর পায় নাই।
তাদের মার জীবন তো অর্ধেক শেষ ,আর বেশী কিছুই চাওয়ার নেই তার এই জীবন থেকে। তিনি সুধু তার দুই মেয়ের সুখের সংসার দেখতে চান, যেই সুখ ও যেই সংসার তিনি কক্ষনোই পাননি। সুধু পেয়েছেন দুঃখ আর শুনেছেন একটা ছেলে না হওয়ার বন্দনা । তাদের বাবা এখন আরও একটা বিয়ে করেছে এবং সে সংসারে দুটো ছেলেও হয়েছে। তবে, তা শুনে ও দেখে নিপা ও ফারিনের মা তার স্বামীর এই জঘন্য ও বর্বর কাজে কোনরকম বাধা দিলেন না ।কেননা, তিনিই তার পরিবারের একমাত্র "আরনিং সোর্স " এবং এখনও মেয়েগুলোর পুরো জীবন পরে আছে আর এখনই যদি উনি নিজের স্বার্থের কোন প্রকার কাজ করেন, তা হবে আরও দুঃখজনক।উনি না পারছেন কিছু করতে ,যদিও তিনি এম.বি.এ কমপ্লিট করা। যেহেতু, তার পড়াশুনা শেষ করার পর পরই তিনি কোন চাকরিতে ঢুকেনই ,তাই এখন তিনি ওই ভুল এর লক্ষন দেখতে পারছেন ও কষ্টতেও ভুগতে হচ্ছে।
নিপা তার জীবনসঙ্গী ঠিক করে রেখেছে, যে কিনা তাকে এই পিতৃহীন যন্ত্রণাকে ভুলিয়ে দিয়ে, তাকে নিয়ে যাবে এক স্বর্গে , যে স্বর্গ কিনা প্রত্যেক নারীর প্রাপ্য। যে স্বর্গ কক্ষনোই তার মা পায় নি।
কিন্তু ফারিন !!! তার কি হবে? সে কি পাবে কাউকে, যে তার সব সিচুয়েসন বুঝে তাকে গ্রহন করবে!!! যে যাই বলুক, সে তো আর ,তার বোন এর ভাগ্য নিয়ে বসে নেই!!!
ফারিন সব সময় মনে মনে, তার বাবাকে মারার প্ল্যান করে, করবেও বা না কেন?? যেই যন্ত্রণা তার বাবা তার মাকে দিয়েছে, তা বলার মতো না। নিপা , ফারিন যখন ছোট ছিল তখন তার মা এর উপর আঘাত (ফিসিকাল ভায়োলেন্স) করা হয়েছিলো, মানুষটি ছিল তার বাবা।
তাদের মা এখনও উনার স্বামীকে অসম্ভভ ভালবাসেন , হয়তো সেই আশায় যে তার পুরানো স্বামী আবার সব কিছু ভুলে গিয়ে ,তার সব ভুল মেনে নিয়ে ,ফিরে আসবে। ফারিন ও তার মা প্রতিদিন রাতে প্রচণ্ড কাঁদে। হয়তো কখনও মনের ভিতর আবার কখনও উজার করে কাঁদে। দুইজন দুইজনের রুমে একা একা চুপ হয়ে কাঁদতে থাকে। কিন্তু কেউ কাউকে সেই কাঁদার কারন জিজ্ঞেসও করে না আবার এই ব্যাপারে কথাও বলে না এবং এইভাবেই দিনগুলো চলে যাচ্ছে।
আর, আমাদের দেশে এইরকম মানুষ আরও ভয়ানক হচ্ছে , হয়তো এইরকম জঘন্য কাজকর্ম কমে যাচ্ছে কিন্তু এদের আড়ালে অনেকেই ফায়দা লুটছে।
আমি জানি, সময়ের পরিবর্তনে হারিয়ে যাবে এইসকল নারীরা। আর আমাদের খুদ্র অবদানও কাজে আসবে না ।
আমাদের আসে পাঁশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এসকল শশ্বত বাঙালি নারি।
©somewhere in net ltd.