নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝুলন্ত সিলিং ফ্যান

যদি তোমার মস্তিষ্ক ফ্রেশ না থাকে তবে তাহাকে রিফ্রেশ করো

মোঃ শফিউদ্দিন জিহাদ

আমি একা, চলি সোজা পথ বাকা ,কিছু খোজা আমাকে দুঃখ দিও না আমি একা, কখনো পথ হারাবো না ।

মোঃ শফিউদ্দিন জিহাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন এমন হয় ??

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২২

আমার বয়স খুবই কম , অত বড়দের কথা বলার ট্যালেন্ট আমার নাই। কিন্তু, তবুও আমার দেখা ও শুনা ,আমার আশেপাশে ঘটে যাওয়া একটা গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি । যা অনেকদিন নিজের ভিতর দমে রেখেছিলাম কিন্তু আজ না বলে আর পারলাম না,তবে মানুষগুলোর নাম বলতে পারবো না কনফিডেন্সিয়াল।

গল্পটি একটি মেয়ে কে নিয়ে লিখা, কিন্তু মেয়েটি কে সেইটা আমার পক্ষে বলা সম্ভভ না।

বাবা-মার অনেক আদরের একমাত্র মেয়ে। জন্মো থেকেই মেয়েটির একটা ডিফ্যাক্ট আছে।ছোটবেলা থেকে বড় হতে হতে মেয়েটির তার শারীরিক ডিফ্যাক্টের কারনে,ছোটকাল থেকেই মানুষের কাছে সে ডিফ্যাক্টের জন্য অনেক কথা শুনে আসছে। মানুষ অনেক কথাই বলেছে, বলেছে দেখ মেয়েটি এমন!!! সে কীভাবে কাজ করে?চলবে কীভাবে? আবার অনেকে বলেছে মেয়েটার অপারেশন করলেই তো ঠিক হয়ে যাবে। যাই হোক বিষয়টা অত গভীর না যে্‌ মেয়েটি তার দেহের ওই অঙ্গ ছাড়া বাঁচবে না। একচুয়ালি এটা কোন ম্যাটারই না, অনেকের কাছে সেটা দেখতে অসুন্দর হতে পারে ,কিন্তু যদি ওভারঅল দেখা যায় , ওইটা কোন বিষয়ই না।কারন ,সে সব কিছুই করতে পারে , আমাদের মতই প্রচণ্ডরকম নরমাল ।

Its just that she can't show off.

মেয়েটি দেখতে খুব সুন্দর , অনেক ভদ্র তবে রেগে গেলে মাঝে মাঝে বদমেজাজিও বটে এবং প্রতিভাবান একটি মেয়ে ।সে খুব সুন্দর গানও গায়।

কাহিনীটাকে অনেকটা এগিয়ে দিয়ে বলি......

পরবর্তীতে , তার ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ের কথা বলি ,যেহেতু সে দেখতে খুব সুন্দর ও অনেক প্রতিভাবান, তাকে অনেক ছেলেই পছন্দ করতো। তার সেইম ইউনিভার্সিটির একটা ছেলে তাকে খুব পছন্দ করতো। তাদের মধ্যে একটা সম্পর্কের শুরু হয় । ছেলেটি অনেক কমিটমেন্ট করেছিলো, বলেছিল যে ""আমি আমরা ফ্যামিলিকে কনভিন্স করতে পারবো""।মেয়েটিও ছেলেটিকে অনেক বিশ্বাস করলো।

মেয়েটির ভার্সিটি শেষ হবার পর, মেয়েটির বাবা তার বিয়ের জন্য বলল অ্যান্ড জিজ্ঞেস করল তোমার কোন পছন্দ থাকলে সে ছেলের ফ্যামিলিকে প্রপোসাল পাঠাতে বল।

they both have decided that ছেলের ফ্যামিলি মেয়ের ফ্যামিলিকে প্রস্তাব দিবে কিন্তু যখনই ছেলেটি তার মা অ্যান্ড তার হোল ফ্যামিলিকে এই কথা বলল,তার মা "ডিরেক্টলি নো" বলে দিলো এবং ফ্যামিলিও না করে দিলো। তারা এই নিয়ে কোন কথাই বলতে চাইলো না।

কারন !! একটাই!! সেই ছোট্ট একটা ডিফ্যাক্ট !!!

যেইটা আসলে কোন ম্যাটারই ছিল না। মেয়ের পরিবার যখন এই কথাগুলো জানলো যে সুধু মাত্র একটা ছোট্ট ডিফ্যাক্টের জন্য তারা তাদের মেয়েকে এইভাবে অপমান করেছে ।

ভাবুন তো?? একবার ভাবুন !! মেয়ের পরিবার এর জন্য সেইটা ছিল কতো বেদনাদায়ক? আপনারা অনেকেই হয়তো সেটা বুঝবেন না।

সেই ছেলের আবার কতো বড় কথা ,সে মেয়েটিকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে বলল, আর বলল পালালে নাকি তার পরিবারের সবাই মেনে যাবে। কিন্তু মেয়েটির জন্য এটা কখনোই পসিবল ছিল না। আর ছেলেটি জানতো যে মেয়েটি কখনোই পালাবে না, আর মেয়েটির প্যারেন্টস তো রাজিই ছিল।

আমাদের সমাজে এখনও এইরকম মানুষ আছে যারা কিনা চিন্তা করে , এইসকল ছোটখাটো ডিফ্যাক্ট থাকলে তাদের ভবিষ্যৎ জেনারেশনের প্রবলেম হবে। সব ক্রমসমের খেলা ।

যাই হোক, আমাদের উচিত এইসব মানুষদের ইন্সপায়ার করা, আচ্ছা যদি ইন্সপায়ারও না করতে পারি তাহলে নেগেটিভ ইনফ্লুএন্স দেয়া অন্তত কখনোই কাম্য নয় ।যার ফলে ,অনেক প্রান ঝরে পরে যাচ্ছে , অনেক ভাই-বোনকে আমরা হারাচ্ছি এবং তাদের সুন্দর জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছি।

আল্লাহ্‌ই তো মেয়েটাকে এভাবেই সৃষ্টি করেছেন, আর যারা আল্লাহর দেয়া সৃষ্টিকে অবজ্ঞা করে। আল্লাহ্‌ কি তাদের ক্ষমা করেবেন?? জানিনা!! তারা কি আল্লাহ্‌কে একটুও ভয় করে না??

কেন এমন হয়??

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.