তন্দুরি মুরগী, কোমল সুবাসিত চামড়া আর আমানতদের ইন্ডিয়া

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

ছোটবেলা থেকেই আরিয়ানের তন্দুরি মুরগী খুবই পছন্দের খাবার। সপ্তাহে একদিন তার তন্দুরি মুরগী লাগবেই লাগবে। আরিয়ানের মা ও একমাত্র ছেলের আবদার ফেলতে পারেন না। সে সময় আরিয়ানের বয়স ১২ কি ১৩ হবে, হঠাৎ একদিন টিভিতে দেখল গানের তালে তালে নায়িকা নাচছে আর গানের কথা অনুযায়ী মেয়েটা নিজেকে তন্দুরি মুরগীর সাথে তুলনা করে সব ছেলেদের তাকে আয়েশ করে খেতে বলছে। ছোট্ট আরিয়ানের মাথায় কথাটা এমনভাবে ঢুকে গেল, সে ভাবল তাহলে তরুণী মেয়ের আরেক নাম হচ্ছে তন্দুরি মুরগী। তার মানে বাসায় যে প্রায়ই শিলা আর চামেলি আন্টি আসে তারা এক একজন তন্দুরি মুরগী। তাহলে তো ওর তন্দুরি মুরগী খাওয়ার ইচ্ছা হলে ওনাদের খেয়ে দেখা যায়।এরপরে একদিন শিলা আন্টি আসলেই আরিয়ান তার কাছে গিয়ে তাকে খাওয়ার বায়না জুড়ে বসল।শিলা আন্টি ভাবলেন, বাচ্চা ছেলে মাথায় কি না কি ঢুকেছে।তখন তিনি বললেন, আচ্ছা, তাহলে আমার আঙুল চুষো। কিছুক্ষণ আঙুল চুষে আরিয়ান বলল, আন্টি আমি আপনার হাত কামড়াব? তখন শিলা আন্টি বললেন, কি হয়েছে বাবা, তুমি আজ এরকম করছ কেন? তখন আরিয়ান টিভিতে শোনা কথাগুলো বলতেই শিলা আন্টি একটু লজ্জা পেয়ে বললেন, তুমি তো এখন অনেক ছোট তাই ঠিক বুঝতে পারনি, একটু বড় হও, তখন বুঝবে। আরিয়ান তখন থেকে বড় হওয়ার অপেক্ষা করছে।



শায়নার প্রিয় অভিনেত্রী ক্যাটরিনা। তাই সবকিছুতেই তার ক্যাটরিনাকেই অনুকরণ করতে হবে। হঠাৎ একদিন টিভিতে দেখল তার প্রিয় অভিনেত্রী কি একটা ক্রিম মাখার পরে একটানে সব জামাকাপড় খুলে ফেলছে কারণ সে তার মসৃণ ত্বক সবাইকে দেখাতে চায়। এরপর একদিন দেখল, সেই একই অভিনেত্রী কি একটা সাবান মাখার পরে আশেপাশের সব ছেলেরা তার গায়ের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। তখন শায়নাও ওই ক্রিম আর সাবান কিনে ব্যবহার করা শুরু করল যদিও তার দুটির কোনটিই প্রয়োজন ছিল না। যদিও শায়নার বয়স এখন ১৬-১৭ তারপরও শায়না এখন শর্ট স্কার্ট আর ছোট ছোট ফ্রক পরতেই বেশি আগ্রহী কারণ এগুলো না পরলে তো তার প্রিয় নায়িকার মত হওয়া যাবে না। আর ছেলেরা যতই তার কাছে ঘেঁষুক, তার শরীরে একটু হাত বুলিয়ে যাক,সে কিছুই বলে না কারণ সে তার প্রিয় নায়িকাকে সবসময় এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে দেখেছে। ছেলেরা ছুঁয়ে দিলে বরং শায়নার শরীরে একটা অন্যরকম শিহরণই দিয়ে যায়।



ঘটনাক্রমে শায়না আর আরিয়ান একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একইসাথে পড়াশোনা করছে। একদিন শায়নার বাসায় দুজনে মিলে পড়ালেখা করতে করতে হঠাৎই আরিয়ানের তন্দুরি মুরগী খেতে ইচ্ছা হল আর শায়নাও তখন শর্ট স্কার্টই পরা ছিল। সে প্রথমে শায়নার শরীরকে শুঁকতে শুরু করল।শায়নাও নির্দ্বিধায় কাজটি করতে দিল। এরপর আরিয়ান আস্তে আস্তে তাকে কামড়াতে শুরু করল। প্রথমে সেইটা ধীরে ধীরে হলেও আরিয়ানের ভিতরের মোটরবাইক জাগ্রত হতে শুরু করলে সে শায়নাকে একদম কুরে কুরে খেতে চাইল। শায়না যখন ব্যাপারটি বুঝতে পারল, ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। এখন আর তার রক্ষা করার কিছু নাই। প্রতিবাদ করার থেকে জিনিসটাকে উপভোগ করাকেই সে শ্রেয়তর মনে করল।



এভাবেই আধুনিক ইন্ডিয়ায় প্রতিদিন শত শত আরিয়ান আর শায়না তৈরি হচ্ছে। এরা যখন এভাবে মিলিত হয়, তখন সেটিকে ধর্ষণ বলা হয়না, ধর্ষণ বলা হচ্ছে তাকে যখন সাধারণ ভারতের একটি সাদাসিধে মেয়ে আরিয়ানের মত ছেলেদের হাতে পড়ে তন্দুরি মুরগী হয়ে যায়।

৫ টি +০/-০