![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন রায় ঘোষণার পরে সারা দেশে একই সাথে হতাশা আর ক্ষোভের যে জন্ম হয়েছিল তা আমাকেও ছুয়ে গিয়েছিল। কাছের কিছু মানুষ যখন ভেবেছিল এই রায়ের পক্ষে আমি কথা বলব, তখন তাদের ভুল প্রমাণিত করে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম ধোঁকা খাওয়ার প্রতিবাদ জানাতে। যদিও মানুষের ভিড় থাকলে সেখানে না থাকার অভ্যাস আমার ছোটবেলা থেকেই, কিন্তু তারপরও দাঁড়িয়েছিলাম এক প্রকার আবেগের তাড়নাতেই।কিন্তু এরপর যখন সবাই লাগাতার অবস্থান নেওয়া শুরু করল, আমি সেখানে ভুলেও একবার যাইনি; ব্যাখ্যাটা খুবই সহজ, ২২৮টা সিট এমনিতেই দিয়ে দেওয়া হয়নি। রাজাকারদের ফাঁসিতে ঝোলানো হবে এই মর্মেই লীগ ভোটের জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল। আর ৪টা বছর পরে এসে যখন সেইসব নির্বাচিতদের কাছ থেকেই শুনতে হয় আপনারা আগে থেকে রাস্তায় নামলেই তো রায়টা ফাঁসিই হত, অন্য কিছু হত না। তখন ওই ব্যাটাদের এসি রুম থেকে বের করে এনে জিহ্বা টেনে ধরে বলতে ইচ্ছা করে, যাদের কারণে আজ তোদের গাড়ি, বাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ তাদের তোরা রাস্তায় নামতে বলিস কোন সাহসে?আমরা রাস্তায় নেমে দিনের পর দিন গলা ফাটাব, রোদে পুড়ব, না খেয়ে মরব আর তোরা সংসদের শীতল কক্ষে বসে বিরিয়ানি খাবি আর সহমর্মিতা দেখাবি? অস্বীকার করব না যে শাহবাগের প্রথম সপ্তাহটা আমি তীব্রভাবে তারুণ্যের জাগরণকে সমর্থন দিয়ে গেছি,ফেসবুকে আমার স্ট্যাটাসগুলো দেখলেও তার সত্যতা মিলবে। কিন্তু জাগরণটা এক ধারায় চলতে পারেনি। প্রথম দিকে যেই দলীয় নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল, সপ্তাহ ঘুরতে শাহবাগে গিয়ে তাদের সংহতি প্রকাশের ছবিই বড় বড় করে মিডিয়া দেখাল। আর তখনই বুঝলাম, শাহবাগ কভু আমজনতার হবার নয়। নির্দিষ্ট করে বললে ১২ই ফেব্রুয়ারি দিনটির কথাই বলতে হয়, ওইদিন অনেক আশা নিয়ে টিভির সামনে মহাসমাবেশ দেখতে বস্লাম। কিন্তু একি? মঞ্চে উপনিবিষ্ট সবাই দেখি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা যারা তাদের সাংগঠনিক পদাধিকারেই সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছেন।এরপর কি হল? শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অনেকটাই উস্কানিমূলক হয়ে উঠল। নিত্য সেখানে স্লোগান দেওয়া হল জামায়াত শিবিরকে জবাই করার জন্য। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাইলেও ধীরে ধীরে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবটাই তীব্র হয়ে উঠল শাহরিয়ার কবির কিংবা নাসিরউদ্দিন ইউসুফের কথার মাধ্যমে। রাজাকারদের বিচার মনে প্রাণে চাই কিন্তু প্রগতিশীলতার নামে নিজের ধর্মের অবমাননা করে কখনো নয়।খালেদা জিয়া অনেক কিছুই বলে থাকেন কিন্তু একটি কথা যে আজ ইসলাম ও স্বাধীনতা একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে এই কথাটি তিনি ভুল বলেননি; অনেকটা বাণী চিরন্তনীও বলা চলে। মাহমুদুর রহমানের দোষ হোক কিংবা নাসিরউদ্দিন ইউসুফের;মূল কথাটা হচ্ছে শাহবাগ থেকে দাঁড়ি-টুপির প্রতি যে বিদ্বেষটা ছড়িয়ে গিয়েছিল তা নিয়ন্ত্রণের জন্য জনাব ইমরান যেমন উদাসীন ছিলেন, ক্ষমতাসীন দলও ব্যাপারটা নিরসনে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু এই জিনিসটাকেই বিরাট ইস্যু বানিয়ে একপক্ষ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের এক বিশাল অংশকে নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছে।তাই শুধুমাত্র জামায়াত কিংবা হেফাজতের দোষ দিয়ে নিজে সাধু সাজার কোন মানেই হয়না।রাজপথের লকলকে অগ্নিশিখায় তেল যখন সবপক্ষই ঢেলেছে, আগুনের আঁচটাও ১৬ কোটি মানুষকেই কমবেশি অনুভব করতে হবে।
২| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১২
আহসান২২ বলেছেন: কালেক্টেড ফ্রম দস্তার রাজদরবার।
০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
শাফকাত আয়াজ বলেছেন: হুম পড়েছি লেখাটা। অনেক ভালই মিলিয়েছেন লেখক...
৩| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৬
আহসান২২ বলেছেন: Hefazat burst onto the scene in February following the killing of young blogger Rajib Haider.
Click This Link
৪| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
হিংস্র ঈগল বলেছেন: চোরম হৈসে@ াহসান ২২
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১০
আহসান২২ বলেছেন: শাহবাগীদের সেই আড্টাটা আর নেই,
আজ আর নেই,
কোথায় হারিয়ে গেল গাজাটি বিকেল গুলো সেই,
আজ আর নেই।
ইমরান আওয়ামীলীগে,
অমি পিয়াল খোয়াড়ে,
নেই তারা আজ কোন খবরে,
গ্রান্ডের গাজাটিস্ট নাস্তিক থাবা বাবা,
শুয়ে আছে যে আজ কবরে।
কার সাথে নেচে নেচে,
আঘাত পেয়ে যে শেষে,
পাগলা হয়েছে জাফ্রিকবাল।
তানভীর ভুগছে দুরন্ত ক্যানসারে,
জীবন করেনি তাকে ক্ষমা আর।
টম জেরী চেহারা, কাধেতে ঝোলানো ব্যাগ,
মুছে যাবে শান্ত'র নামটা,
সব গুলো ছবি তার হল যে আলুতে ছাপা,
পেল শুধু উপহাস ধিক্কার।
মেডিকেল কলেজের ছেলে,
ইমরান সরকার,
ছাত্রলীগ যে করত,
চোখ ভরা লালসা, শয়তানী চিন্তা নিয়ে লাকির
দিকে চেয়ে থাকত।
লাকি আজ সব চেয়ে সুখে আছে,
শত শত ভক্ত প্রেমিক তার,
মিডিয়া কাভারেজে আগা গোড়া মোড়া সে,
জমির চাচার নেই কোন দাম আর।
শাহবাগের রাস্তায়,
নেশাখোর মেয়েরা,
অশ্লীল অভিনয় করত,
চ্যানেলের রিপোর্টার মুন্নী সাহা রোজ রোজ,
মনগড়া খবর যে পড়ত।