নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাফকাত আয়াজ

I'm fun-loving guy who gets concerned about the condition of country but can't take any step to change it.

শাফকাত আয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূর্ণিমার ধর্ষণ আর আমাদের উল্টো পথে হাঁটা

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৯

হঠাৎ করেই ভার্চুয়াল জগত ছেয়ে গেল এক এগার বছরের হিন্দু মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে ৫৫ দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে। ব্যাপারটার সত্যতা যাচাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। কিন্তু আমাদের অনলাইনের রথী-মহারথীরা ‘ধর্ষণ’ জিনিসটার উপর গুরুত্ব না দিয়ে ‘ধর্মান্তরকরণ’ এর উপর বেশি জোর দিলেন। ফলে যা হওয়ার তাই হল, জিনিসটা শাহবাগের মত আবার সেই বাংলাদেশীদের দু ভাগ করে দিল এবং তিন দিনের মাথায় নতুন কোন উত্তাপ না ছড়িয়েই লেখালেখির পাতা থেকে মুছে গেল।



আসলে আমাদের প্রগতিশীলদের মানসিকতা এতটা বেশি পরিবর্তিত হয়েছে যে ‘মুসলিম’ কিংবা ‘ইসলাম’ শব্দটা শুনলেই তাদের অতি মাত্রায় চুলকানি শুরু হয়ে যায়। মেয়েটার ধর্ষণের কারণ হিসেবে তার হিন্দু হওয়াটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে জান সুশীল। আর এই কারণেই বারবার ধরাটা খান তারা। ধর্ষিত হওয়ার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্কই নেই। সম্পর্কটা হচ্ছে মূলত আমাদের সামাজিক ব্যবস্থার।



আমাদের সমাজ মেয়েদের বলা হয় তুমি বুক খুলে চলো, হাঁটুর উপরে কাপড় তুলে চলো। তবেই না তুমি আধুনিক, তবেই তুমি সফল নারী ব্যক্তিত্ব। বুক কিংবা পিঠ খুললে সেখানকার চামড়া রোদে কালো হয়ে যাচ্ছে? তাহলে এই লোশনটা মাখো পিঠে আর এই ক্রিমটা বুকে। কিন্তু বুক –পিঠ আটকিয়ে বাইরে যেওনা;এতে তোমার নারী স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে।আমরা এমন এক আজব সমাজে বাস করি যেখানে নারীরা রোদ থেকে বাঁচার জন্য স্কার্ফ আর সানগ্লাস পরলে তাদের ফ্যাশন সচেতন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় কিন্তু হিজাব আর বোরখা পরলে মধ্যযুগীয় বর্বরতার নিদর্শন হিসেবে গৃহীত হয়।

সেদিন চ্যানেল আইতে দেখলাম একটা ডাবকৃত ইংলিশ মুভি দেখাচ্ছে যেখানে একজন মহিলা বিকিনি পরে বেশ অনেকক্ষণ ডায়লগ বলে গেল। এই হচ্ছে আমাদের প্রগতিশীলতার উদাহরণ। নিজেদের মানসিকতাকে উদার করতে করতে পরনের জামাকাপড়ের বেলায়ও যে বড্ড বেশি উদার হয়ে যাচ্ছি, সে খবরটাও বোধহয় আমরা আর রাখি না। কোটি কোটি মানুষ যখন ভাত পায়না তখন এদেশে সমকামীদের অধিকার রক্ষায় কনসার্ট,সেমিনার, মিটিং, মিছিল আরও কত কিছু হয়।যাই হোক,সে কথা নাহয় আরেক পোস্টে লিখব।পূর্ণিমার ধর্ষণের সাথে হেফাজত, জামায়াত কিংবা যুদ্ধাপরাধীর ইস্যু খুঁজতে গেলে পুরোটাই ডিরেইলড হওয়ার মত অবস্থা হয়ে যাবে। যতদিন এদেশে লাক্স, ভিট কিংবা র‍্যাম্প মডেল নামক নারীদের পণ্য বানানোর উপকরণ আছে, ততদিন পূর্ণিমার মত মেয়েরা ধর্ষিত হবেই। স্লিভলেস জামাকাপড় বাদ দিয়ে আপনার পরিচিত নারীদের একটু জামাকাপড় পরতে বলুন। শরীর দেখিয়ে তো অনেক আয় করলেন; এবার না হয় একটু বুদ্ধির সওদা করে রোজগার করুন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আপনাদের একটা নাম আছে জানেন ? ভার্চুয়াল রেপিস্ট - যারা তাদের সীমাবদ্ধ ও সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে পোশাকের দোহাই দিয়ে ধর্ষণকে এক প্রকার সমর্থন দান করে । আপনি যে যুক্তি দিয়েছেন এবং আরও সম্ভাব্য আরও যা যা বলতে পারেন তার সবগুলোর উত্তর এই লিঙ্কের পোস্টে দেওয়া আছে । আশাকরি এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন ''ভার্চুয়াল রেপিস্টদের জন্য এক মহা সংকলন পোস্ট , আসো , দেখো , জানো এবং বুঝার চেষ্টা করো ( যদি গ্রে সেলগুলা একটিভ থাকে এখনও ) '' Click This Link

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

শাফকাত আয়াজ বলেছেন: মানসিকতা সঙ্কীর্ণ থাকাই ভাল ভাইয়া। নাহলে কদিন পরে সবাই বিকিনি পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে আর আপনি তখন আপনার উদার মানসিকতা দিয়ে বলবেন, ধুর ওইটুকু পরার কি দরকার? সব মানুষেরই তো একই দেহ।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আমাদের অনলাইনের রথী-মহারথীরা ‘ধর্ষণ’ জিনিসটার উপর গুরুত্ব না দিয়ে ‘ধর্মান্তরকরণ’ এর উপর বেশি জোর দিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.