![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবাই বলে ধর্ষণ বাড়ার মূল কারণ নাকি ছেলেদের মধ্যে আগ্রাসী মনোভাব বেড়ে যাওয়া। আপনি যে আপনার মেয়েকে আশিকি-২, টাপুর-টুপুর কিনে দিয়ে গলায় ত্যানা ঝুলিয়ে উন্নত বক্ষ করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে নিজেকে আধুনিক অভিভাবক ভাবছেন তখন কি একবার মনে হয় না, আপনার মেয়েটাকে একটা বিফ কাটলেট বানিয়ে সবার সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে বেরাচ্ছেন। আপনার মেয়েটাকে কোন পণ্য কিংবা খাবারের সাথে তুলনা করতে আমার রুচিতে বাধে, কিন্তু উপায় নেই। ক্যাটরিনা আর মাহজাবিন যখন জামাকাপড় খুলে কোটি কোটি মানুষের সামনে ঝলমল করতে থাকে, তখন আপনার সদ্য শৈশব পেরোনো মেয়েটার মনেও কৌতূহল জাগে, যে ওরকম খোলামেলা না হতে পারলে দুনিয়ায় কেউ আসলে পুঁছবে না।
আমি একজন ছেলে বলে দোষটা পুরোটাই মেয়েদের উপর দিতে চাচ্ছি? ব্যাপারটা মোটেও তা না। আসুন আমরা একটু তিরিশ বছর পেছনে তাকাই, যখন আপুরা বিশাল বিশাল ঢিলেঢালা সালোয়ার কামিজ পরত আর পা ছাড়িয়ে মাতিতে লুটোপুটি খাওয়া ফ্রক। ব্যস এতাই ছিল তাদের ফ্যাশন। শাড়ি পরলেও তাতে থাকত অনেকটাই মার্জিত ভাব।
আর এখন?মাশাআল্লাহ। হাত উঁচু করলে কোণ পাশ থেকে কি যে বের হয়ে যায়, তা বোঝাই দায়। কথাগুলো কি খুব গা জ্বলানো মনে হচ্ছে? এখন মিসেস প্রাচী, মিসেস কামাল আমার নামে মানহানির মামলা ঠুকে দিবে? আমি সম্ভবত কোনদিনই বুঝব না, টাইট জামাকাপড় পরে শরীরের প্রতিটা ভাঁজ জনসমক্ষে দেখানোর মধ্যে কোন ধরণের স্বাধীনতা কিংবা সফলতা নিহিত আছে।
মায়েদের বছি, হিন্দি সিরিয়াল দেখে মেয়েকে ত্যানাটা গলায় না ঝুলিয়ে আরও বড় এক খণ্ড কাপড় দিয়ে বুকটা ঢাকতে বলুন। নাহয় কয়েকদিন পরে বাইরের লোকজন হয়তো মেয়ের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিবে। মেয়েকে বকুন, হিজাব করেও ক্ষমতার শীর্ষপদে কিংবা স্বপ্নের সবকিছুকেই রঙিন বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়। নাচ-গান করে কিংবা ছবি আকে বলেই মেয়েকে টাইট জিন্স পরিয়ে স্লিভলেস টপস পরিয়ে আধুনিকমনা মায়ের স্বীকৃতি নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, ব্যাপারটা কিন্তু এতটাই সহজ না। সব দোষ বেচারা পরিমলকে দিচ্ছেন, ওই মেয়েটার জামাকাপড়ের নমুনা দেখেছেন। পা টা সামান্য ফাঁক করলেই যদি আপনার মেয়ের লজ্জাস্থান সবার নজরবন্দী হয়ে যায়,তবে ওইটুকুই বা আর পরানোর দরকার কি? ছেড়ে দিন না কাপড় ছাড়া সবার মাঝে। কাপড়ের খরচ তো বাঁচবেই; উপরন্তু দিনের শেষে টুপাইস ঘরে চলেও আসতে পারে।
ইজ্জত চলে গেলে তো শুধু ওটাই চলে গেল। আর মেয়েটা যদি অতি আবেগে দড়িতে ঝুলেই পড়ে, তাহলে তো সবই গেল।
মেয়েকে ছোটবেলা থেকেই একটু বেশি জামাকাপড় পরানোর অভ্যাস করান। আর যদি মেয়েটার সবকিছু ঢেকে রাখার সামর্থ্য না থাকে তবে জন্মানোর পরেই তার মুখে লবণ ঢেলে দিয়ে কেল্লাফতে করে দিয়েন।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: আশিকি ২ জিনিসটা কি ? লোল .. টাপুর টুপুর কি ? প্রথম শুনলাম এগুলি কি বাংলাদেশের কাপড়ের নাম !
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
মাজহার অপু বলেছেন: গা ঘিনঘিন করা লেখা। মানসিক ভারসাম্যহীন অসুস্থ মস্তিস্কপ্রসূত লেখা এবং লেখক।