![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পলায়ন করিব না, কেননা পলায়নে পরাজয়, আমি বরং ধ্বংস হইব ,তবু পরাজয় বরন করিব না ......
ব্লাক স্কিন হোয়াইট মাস্ক বইটি ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয়, বইটি আমার পড়া সবচেয়ে চমকপ্রদ বই,এই কারনে যে বর্ন বৈষম্যর মতো জটিল বিষয় বইটিতে খুবই পরিস্কার এবং সহজ ভাবে ব্যাখা করা হয়েছে । আমি সাহিত্যর ছাত্র নই , বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সের এসাইনমেন্ট অপশন হিসেবে স্যার কখনও সাহিত্য সংশ্লিষ্ট বই এর নাম উল্লেখ করেন নি। তাই এ ধরনের বই কিভাবে রিভিউ করতে হয় তা জানি না, তবে ব্লগে অনেক অভিজ্ঞজন আছেন ,তাই বইটি সর্ম্পকে আরও ভাল করে জানার ইচ্ছে থেকেই এই রিভিউ পোষ্ট ।
বইটিতে লেখক মূলত ব্যাখা করেছেন, কালো মানুষেরা কিভাবে ধীরে ধীরে সাদা মানুষদের বা সাম্রাজ্যবাদ আধিপত্য ভাবধারাকে নিজেদের মধ্যে ধারন করেছে বা করতে বাধ্য হয়েছে। বইটিতে ফ্রান্জ ফনো দেখিয়েছেন, যে কিভাবে কালো মানুষদের মধ্যে সাদা মানুষেরা সুকৌশলে সাম্রাজ্যবাদ ভাবধারা প্রতিষ্ঠিত করে এবং দেখিয়েছেন যখন মানুষ একটি ভূল বিশ্বাসকে খুবই শক্ত করে আকড়ে ধরে তখন সেই বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে কেউ যদি কিছু বলে, যদি কোন প্রমান হাজির করে তখন তারা সেটি গ্রহন করে না, কারন সাদা মানুষেরা প্রভূ হিসেবে তাদের প্রমান করার জন্য কালোদের ভাষার উচ্চারন এবং সংস্কৃতির মধ্যে সুকৌশলে একটি ‘দাস প্রথা’ বিশ্বাস স্হাপন করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে লেখক ব্যাখা করেছেন এক প্রকার মানুষিক ব্যধির আর্ভিভাব হিসেবে, একজন সুস্থ স্বভাবিক মানুষকে কিভাবে ধীরে ধীরে অসুস্থ করা যায় বা এক প্রকার মানুষিক ব্যধিতে আক্রান্ত করা যায়।
লেখক নিজে যেহেতু একজন চিকিৎসক তাই তিনি এই ব্যধির নামকরন করেন ”প্রতিক্রিয়াজাত মনোবিপর্যয়“ অর্থাৎ দুটি সাংঘর্সিক বিশ্বাস মানুষ যদি একই সময় ধারন করলে তার মধ্যে যে অস্বাভাবিক আচারন পরিলক্ষিত হয়। নিজের মত করে যদি বলি যে মার খেতে খেতে যখন মানুষ প্রতিরোধের ব্রত হারিয়ে ফেলে তখন মানুষ মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়। বইটিতে ফ্রান্জ ফানোঁ আলজেরিয়ার মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে লিখেছেন, আমি এর সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে কেন বাংলার মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি তার মিল খুজে পাই। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের অভিজ্ঞতা বাংলার মানুষের মধ্যে এক ধরনের মানসিক পঙ্গুত্ব সৃষ্টি করেছিল, তাই নিজেদের সামরিক বাহিনীর দ্বারা নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ প্রতিরোধের ব্রত হারিয়ে ফেলে। ফ্রান্জ ফানোঁ বইটিতে লিখেছেন আলজেরিয়ার যুদ্ধ একদিন শেষ হবে কিন্তু ফরাসিরা যে আলজেরিয়া পেছনে রেখে যাবে সেই আলজেরিয়ার মানসিক পঙ্গু মানুষেরা ঠিক কবে ঘুরে দাড়াতে পারবে তা কেবল অনিশ্চিত ভবিষ্যৎই বলতে পারে।
বইটির এক এক অধ্যায়ে এক এক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তাই সবগুলো অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে পোষ্টটি একটি ঢাউস সাইজের লেখা হয়ে যাবে। তাই যে অধ্যায়টি আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে সেই ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ নিয়ে শুধু আলোচনা করছি। কেননা এখানে কিছুটা প্রেমের কথা আছে। দুইটি উপন্যাস নিয়ে একানে আলোচনা করা হয়েছে, দেখানো হয়েছে তখনকার কালো সাহিত্যিকরা কিভাবে সাদা প্রভূদের দালাল হয়ে গিয়েছিলেন। এটির সাথে আমাদের বর্তমান সাহিত্যিকদেরও তুলনা করা যায়। কেননা আমাদের দেশের অধিকাংশ সাহিত্যিক সাম্রাজ্যবাদ ভাবধারার কাছে নতি স্বীকার করেছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে ফ্রান্জ ফনো সমালোচনা করেছেন সেই সব সাহিত্যিকদের যারা প্রভূর পুরুষ অর্থাৎ সাদা পুরুষের সাথে কালো মেয়ের প্রেম দেখিয়েছেন,এসব উপন্যাসের কালো নায়িকারা বলে যে তারা আর কোনদিন কোন কালো ছেলেকে বিয়ে করবে না, বা প্রভূর দেশের ছেলে ছাড়া আর বিয়ে করবে না। তখনকার এইসব তথাকথিত সাম্রাজ্যবাদের দালাল সাহিত্যিকদের ফ্রান্জ ফনো তুলোধুনো সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশেও এধরনের প্রচুর সাহিত্যিক রয়েছেন ,কিন্তু কেউ তাদের সমালোচনা করার সাহস পাচ্ছেন না।
সাম্রাজ্যবাদের দালাল সাহিত্যিকদের উদ্দেশ্যে ফ্রান্জ ফনো বলেছেন যে একটি কালো মেয়ের সাদা ছেলের প্রেমে পড়া অসম্ভব নয়, কিন্তু তারা এই প্রেমের একটা প্রতীকি তাৎপর্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন,যেন সাদা মানুষেরা কোন প্রভূশক্তি নয়, কালোদের তারা দাস মনে করে না। এবং এই প্রেমের অলংকারের মাধ্যমে মূল সত্যটিকে অস্বীকার করা হচ্ছে। ” ব্লাক স্কিন হোয়াইট মাস্ক “ উপন্যাসটির সাথে আমি আমাদের সমাজের বর্তমান পেক্ষাপটের মিল খুজে পাই, তৃতীয় বিশ্ব বলে আমাদেরকে পরাধীন বুঝানো হচ্ছে, বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক হচ্ছে প্রভূ ও ভৃত্যের সম্পর্ক এই কঠিন সত্যটি আমাদের তথাকথিত গ্রন্থকারেরা তাদের গ্রন্থে নানা কথার অলংকারে ঢাকবার চেষ্টা করেছেন।
১৯৫২ সনে লেখা হলেও আজকের পেক্ষাপটে বইটিকে অন্তত আমার কাছে খুবই প্রসঙ্গিক মনে হয়েছে। তাই বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদের দোসর জগৎ শেঠদের প্রতাপ দেখে ফ্রান্জ ফেনোর কথাগুলো আমার কাছ বিমূর্ত হয়ে উঠেছে “ আমি কালো মানুষ, আমি এই পৃথিবীর এটমিক বিক্রিয়ার ফসল, আমি করুনা, আমি পৃথিবীর বুকে আমার পরিচয় হরিয়েছি, আমি কোন অভিশাপের কারনে কালো নই, আমি কালো কারন আমার চামড়া প্রভূদের সকল অপকর্ম ধারন করেছে, আমি পৃথিবীর বুকে সত্যিকারের সূর্যের রশ্নি ধারন করেছি বলেই আমি কালো মানুষ “।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৬
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
বন্দিশালায় যেটুকু ভাল থাকা যায়, তবে নিশ্বাস চলছে বড়ভাই।
বইমেলা থেকেই প্রকাশিত কোন একটি বইয়ের রিভিউ করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু বইমেলায় সেলফি হিড়িক দেখে বইটির রিভিউ লিখলাম। তবে ব্যস্ত থাকলেও সপ্তাহে আপনার অন্তত একটি কবিতা চাই
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
লজ্জা দিলেন ভাই ..... । আমার কবিতা পড়ে সবাই দয়া ধর্ম করে মন্তব্য রেখে যায়, এই আমার কপাল ভালো । এখন কেন জানি মনে হয়, কেন সাহিত্য নিয়ে পড়ালেখা করলাম না।কারণ, সাহিত্য হল জীবনের দর্শন।কিছু হলেও তো জীবনের দর্শন পেতাম ..... আর শব্দ ভান্ডার কম থাকায় আমার কবিতাগুলো একদম অকবিতায় পরিনিত হয় ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৩
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
কি যে বলেন বড়ভাই, আপনার কবিতা তো আমার কাছে জীবনান্দ দাশের মত মনে হয়।
আমি তো ব্লগে লগইন করেই আগে দেখি আপনি নতুন কোন কবিতা দিয়েছেন কিনা। আর আমার রিভিউ করা বইটির লেখক কিন্তু পেশায় চিকিৎসক ছিলেন ,কিন্তু তার বইটি তো কাল জয়ী হয়ে গেল....
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনার কবিতা তো আমার কাছে জীবনান্দ দাশের মত মনে হয়। কি যে বলেনা না ভাই ,,,,, বিনুদুন পেলাম.... এ বছরের সেরা এ কথা হিসাবে মিঃ আক্কাস আলী (অস্কার) আপনাকে পুরুস্কার দেওয়া হোক।
আমায় দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ হতে পারে কিন্তু লেখক হওয়া সম্ভব নয় ,কারণ লেখক হলে জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, অনেক বই পড়তে হয় ...তা বিন্দুমাত্র লেস আমার মধ্যে নেই । আর শব্দ করলেই ভাষা হয় না ।
যাইহোক ,
আমার ভাই-ব্রদার মিলে মিশি ব্লগিং করি .....
ভালো বাংলা শেখার জন্য ব্লগি করি , আর আপনার কাছ থেকে কিছু শিখি ।
আশা করি, সবসময় পাশে থাকবেন ।
ভালো থাকুন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
বিনয় কাহাকে বলে বোধকরি আপনার কাছ থেকেই শিখিতে হইবে। বাক্যে, আচারে এবং বসনায় যে কবি সেই তো প্রকৃত কবি।আপনার বিনয় দেখে এই কথাটিই আমার মনে হইতেছে।
অখাদ্য ,কুখাদ্য ছাড়া কিছু লিখিতে পেরেছি বলে মনে হয় না, তবে উন্নয়ন,সভ্যতা ও গনতন্ত্র এর সহিত অপরাধের ঢেউ যে দিনকেদিন আকূলে আছড়াইয়া পড়িতেছে তাহা দেখিয়া কিছু লিখিতে ইচ্ছে করে,তাই লিখি। পাশে আছি,পাশে থাকব।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে বইটা পাঠের একটা আগ্রহ জন্মালো!
সময় করে পড়ে নেব!
ভালোথাকুন!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ বিলিয়ার ভাই।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বইটি আমার কাছে খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদের দোসর জগৎ শেঠরা ,অতীতে যেমন স্বাধীনতার জন্য হুমকি ছিল, আজও স্বাধীন বাংলাদেশকে উপনিবেশ বনানোর ষড়যন্ত্রে বিভোর, তাই এদের মনসত্বতিক বিশ্লেষন বোঝার জন্য বইটি পড়া উচিত।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর রিভিউ দিয়েছ ভাই। সময় করে পড়তে হবে।
আসলে পশ্চিমা সংস্কৃতি ব্রিটিশ শাসনামলে তারা আমাদের রক্তে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই স্বাধীনতার এত বছর পরও সে মনোভাব, আনুগত্য থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারছিনা। আদৌ কখনো পারবব কিনা তা আল্লাহ্ জানেন!
০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৫
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ বুবু , আপনার অনুপ্রেরনাতেই রিভিউটা লিখলাম।
তবে আজ কিছুটা দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয়েই লিখছি, আজ গিয়েছিলাম মানুষের কথা বলিতে, তবে বুঝিনি সেখানে অনেকেই বনে গিয়েছিল পুলিশের চর, তাই কিছুটা আঘাত সইতে হইল।
তবে খারাপ লাগছে এই ভেবে যে আজকে পুরো দেশেই পরিবহন শ্রমিক নামধারী মাস্তানরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল,কিন্তু পুলিশ ছিল দর্শকের ভূমিকায়, আর আমরা না হয় কিছুটা নৈরাজ্য করেছি ছোট্ট একটি যায়গায়, তাই যারা পুরো দেশ জুরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করল তাদের আঘাত না করে পুলিশ শুধু আমাদেরকেই আঘাত করল, কেননা আমরা মানুষের কথা বলতে গিয়েছিলাম।
তাই ভাবছি, আর ফিরিয়া যাইব না মানুষের কথা বলিতে, জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া ফল কি, পৃথিবীতে কে কার......
৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১১
শিখণ্ডী বলেছেন: সুন্দর রিভিউ। পড়তে ইচ্ছে জাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমার কাছে বইটি খুবই প্রসঙ্গিক মনে হয়েছে। বইটি পড়িবার ইচ্ছা জানাইবার জন্য ধন্যবাদ। বইটি মূলত মানুষের মনোজগতের বিশ্লেষন, বইটি পড়িলে অন্তত সময় নষ্ট করা হইবে না,এইটুকু বলিতে পারি।
৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪১
উম্মে সায়মা বলেছেন: কি হয়েছে ভাই? মানুষের কথা বল আর যা ই কর পারিপার্শ্বিকতা খেয়াল করে করতে হয়। আর সীমার মধ্যে থেকে করতে হয়।
নিজের প্রতি খেয়াল রেখো।
০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ বুবু, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাইতে যাইয়া কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত, কিন্তু অনেকেই সেখানে বনে গিয়েছিল পুলিশের চর তাহা দেখিয়া ,তাই যতটা না শারিরিক, তার অধিক মানসিক আঘাত পাইয়াছি।
পারিপার্শ্বিকতা খেয়াল করে করতে হয়। আর সীমার মধ্যে থেকে করতে হয়।
অবশ্যই মনে রাখিব,তার সাথে এও মনে রাখিব কোনটি সত্য আর কোনটি নয় সে বিচার অবান্তর। সবসময় মনে রাখিবার চেষ্টা করি, কিন্তু ঐ যে বুদ্ধিহীন হৃদয়, যুক্তিশাস্ত্রের বিধান কিছুতেই মানিতে চায় না ।
৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বইটি কোন সময়কার, কোন এলাকার কালোদের নিয়ে লেখা হয়েছে, তখনকার সামাজিক অবস্হা, ইত্যাদি না জেনে বইয়ের লেখা সম্পর্কে কিছু বলা মুশকিল।
০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ । বইটি ১৯৫২ সালে প্রকাশিত, মূলত আলজেরিয়ার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা, তবে লেখক মূলত মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের মানুষের মনসত্বাতিক বিশ্লেষন করেছেন।
যেমন লেখক বলেছেন,” ফরাসিরা যে আলজেরিয়া পেছনে রেখে যাবে সেই আলজেরিয়ার মানসিক পঙ্গু মানুষেরা ঠিক কবে ঘুরে দাড়াতে পারবে তা কেবল অনিশ্চিত ভবিষ্যৎই বলতে পারে” এর সাথে আমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের মিল খুঝে পাই।
উপরের ছবিটি পেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা কেলিয়ান কনওয়ের, এ ধরনের অবজ্ঞার বিশ্লেষনেই বইটিতে করা হয়েছে।
৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যা ঘটেছে, সেটা হলো অন্য নামে ২য় পাকিস্তানের জন্ম
০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ স্যার, উপরে আপনার প্রতি উত্তরে একটি ছবি দিয়েছি, এতেব আধুনিক বিশ্বের প্রভূ - ভৃত্যের সম্পর্ক ফুটে উঠেছে।
বইটি পড়ে আমি বাংলাদেশের এই ২য় পাকিস্থান হবার ব্যাখা পেয়েছি। এর কারন বাঙালীদের “প্রক্রিয়াজাত মনোবিপর্যয়” । আপনি মুক্তিযোদ্ধা তাই এই নয় মাসের অভিজ্ঞতা আপনার মনোজগতে কি প্রভাব ফেলেছে, তা আপনি ভাল বরতে পারবেন।
১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৭
কালীদাস বলেছেন: আছে, এই জিনিষ এখনও আছে। বাংলাদেশেও প্রকটভাবেই আছে। আমরা পার্টিকুলার কিছু দেশকে অতিমাত্রায় ভক্তি করি। সাহিত্যের ক্ষেত্রেও সেইম জিনিষ আছে। দুয়েকজন বিখ্যাত লেখক আছেন, যারা নিকট অতীতে সুদূর অতীতের ছায়ার মত কিছুও লেখতে পারেননি। পাবলিক কিন্তু ঠিকই খাচ্ছে পুরান নাম বাংলা ভাষায় নতুন পন্ডিত হিসাবে আবির্ভুত হয়েছে প্রথমা আলো। নতুন নতুন শব্দ উদ্ভাবন করে চলেছে তার সাথে বাংলাদেশের কেউ ভারতে কোন সিনামায় ছোটখাট কোন ক্যারেক্টার পেলেও যে পরিমাণে সোবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ জিকির করে নিউজ লেখে, সিরিয়াসলি মাঝে মাঝে হাসি পায়।
আপনার রিভিউ ভাল হয়েছে
ক্যারি অন
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৩
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনি বইটির প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে পেরেছেন, বাঙ্গালীদের এই ব্যধির নামকরন হচ্ছে ”প্রতিক্রিয়াজাত মনোবিপর্যয়“ অর্থাৎ দুটি সাংঘর্সিক বিশ্বাস মানুষ যদি একই সময় ধারন করলে তার মধ্যে যে অস্বাভাবিক আচারন পরিলক্ষিত হয়।
বইমেলায় সেলফি তোলার হিরিক, আমরা মনে করি সাম্রাজ্যবাদ ভাবধারার প্রতিফলন আমাদের আচরনে যত করিব, ততই আমাদের চামড়া সাদা হয়ে যাবে। ফ্রান্জ ফানোঁ তৃতীয় বিশ্বের মানুষের যে এই অবস্থা হবে তা অনেক আগেই ব্যাখা করে গেছেন।
১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বইটির কি পিডিএফ ভার্সন আছে? পড়ার দরকার মনে হচ্ছে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। পিডিএফ ভার্সন আছে, আবার পাবলিক লাইব্রেরিতেও পাবেন ।
১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
মানবী বলেছেন:
প্রতিক্রিয়াজাত মনোবিপর্যয়- কোন ইংরেজী শব্দের অনুবাদ বুঝতে পারছিনা!!
আপনি এখানে এমন চমৎকার একটি বুক রিভিউ লিখেছেন আর তা না জেনে আমার পোস্টে মন্তব্যের জবাবে আপনাকে বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছি- নিজের ধৃষ্টতায় নিজেই হতভম্ব!!!
দুঃখিত!
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মুশি-১৯৯৪
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ, বিনয় প্রকাশ করা কাকে বলে বোধকরি আপনার কাছ থেকেই শিখতে হবে।
তবে, “ প্রতিক্রিয়াজাত মনোবিপর্যয়” শব্দটি ব্যবহার করে মনে হয় কিছুটা বিপদেই পড়ে গেলাম। " the condition of being lower " এ ধরনের ইংরেজীর বাংলা অনুবাদ কি হবে আমি ঠিক জানিনা।লেখক আজেরিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের মানসিক পরিবর্তনের ব্যাখা করেছেন। এই মুক্তিযুদ্ধের প্রতিক্রিয়া সরূপ তাদের মানসিক বিপর্যয় ঘটে।
মার খেতে খেতে এক সময় আলজেরিয়ানরা প্রতিরোধ করার ব্রত হারিয়ে ফেলে, তাই কোন ইংরেজী শব্দের অনুবাদ নয়, আমি নিজের মত করে নাম দিয়েছি “ প্রতিক্রিয়াজাত মনোবিপর্যয়” আশা করি আমার এই ধৃষ্টতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৭
মানবী বলেছেন: "তাই কোন ইংরেজী শব্দের অনুবাদ নয়, আমি নিজের মত করে নাম দিয়েছি “ প্রতিক্রিয়াজাত মনোবিপর্যয়” আশা করি আমার এই ধৃষ্টতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন"
- আপনার এই বিনয়ের পাশে আমার সহজ কনফেশনটাও হাস্যকর মনে হচ্ছে!
ভালো থাকুন :-)
১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
ধন্যবাদ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে মনোবির্পযয় ঘটেছিল, এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারন মানুষ সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে নি। এই মনোবির্পযয় এখনো চলছে, তাই তো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশর স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।
আমিও মেরেছি চুপ এই লুকোচুরির তলায়,
আমার তো মনে হয় এই নিশ্চুপ থাকার চেয়ে-
বড় মিথ্যাচার বড় কেলেঙ্কারি আর কিছু নাই ।
১৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
প্রথম পড়া পোস্ট...মুশির ব্লগে।
আগ্রহ জেগেছে।
রিভিউটা ভালো লেগেছে।
শুভকামনা রইল, মুশি।
প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম পোস্টটা...কাজে আসবে।
২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
এই আষাঢ়ে আমার ব্লগে আপনার প্রথম পদচারনা যেন এনে দিন নতুন প্রানের স্পন্দন।
রবিন্দ্রনাথের ভাষায় তাই বলছি-----
আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে,
আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে,
এই পুরাতন হৃদয় আমার,
আজি পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার,
নতুন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে ......।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বইটা পড়া হয়নি, আর নিজের কাজে কম-বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়, এ কারণে বই তেমন একটা পড়া হয় না ।
ভাইজান, আপনি কেমন আছেন ?