![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে মাওয়া ঘাটে পদ্মা নদীতে আজ সোমবার শতাধিক যাত্রী নিয়ে পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ ডুবে গেছে।
মিডিয়ার কল্যাণে এটা এখন পুরনো খবর। কিন্তু আমার কাছে যেটা চিন্তার বিষয় সেটা হল --
১। ঘটনাটি ঠিক কয়টার সময় ঘটেছে এ নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল ভিন্ন ভিন্ন সময় উল্লেখ করছে।
২। ঢাকা থেকে মাওয়ার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার এর চেয়েও কম এবং যাতায়াত ব্যাবস্থাও বেশ ভালো। তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটার তিন ঘণ্টার মধ্যেও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা সম্ভব হয় নাই।
৩। উদ্ধারকারীদের চেয়ে মিডিয়ার কর্মীরা আরও বেশি তৎপর এটা ভালো তবে তারা বিভিন্ন স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য বা পরিসংখ্যান প্রচার করছে।
৪। উদ্ধারকারী লোকজনদের সাথে মিডিয়ার কর্মীরাও মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা নিয়ে ব্যাস্ত। আমার মনে হয় সম্ভব হলে তারাও ক্যামেরা নিয়ে পানির নিচে ডুব দিতো। কে কত দ্রুত বা ভালোভাবে লাইভ দেখাতে পারবে তাদের চ্যানেল তত বেশি হিট। এটা ভালো এতে করে আমাদের ঘরের মা বোনেরা স্টার জলসা বা জী বাংলা ছেড়ে বাংলা চ্যানেল এর দিকে কিছুটা নজর দিবে।
৫। প্রথমে যে ট্রলারটি নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার জন্য যাওয়া হয়েছে ওইটার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়াতে ঐ ট্রলারের ভবিষ্যৎ নিয়েও শুরু হয়েছিল আতঙ্ক। এরকম আবহাওয়াতে পদ্মা পার হওয়ার অভিজ্ঞতা আমার আছে। ইঞ্জিন নষ্ট হওয়া মানে, আল্লাহ আল্লাহ করো।
৬। কোন কোন সাংবাদিক আশা করছে এখন যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। শালার আবাল কুনহানকার। একটা মানুষ অক্সিজেন ছাড়া কয় ঘণ্টা বাঁচতে পারে।
৭। জোরদার করা হয়েছে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল। তাতে কি লাভ হেইডা আমার মাথায় ঢুকেনা।
৮। আসল উদ্ধারকারীদের চেয়ে মোবাইল হাতে সাধারণ মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। কেউ কেউ হয়ত এতক্ষণে পিছনে পদ্মা নদীকে রেখে দুই একটা সেলফি ফেসবুকে দিয়া দিছে।
ঢাকার এত কাছে একটা লঞ্চডুবিতে এত প্যারা। তাহলে আরও দূরে বা মাঝ নদিতে কোন লঞ্চ ডুবলে কি অবস্থা হয় সেটা কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। যাই হোক উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। কালকে দেশের সকল পত্রিকায় প্রধান শিরোনাম হবে আজকের এই দুর্ঘটনার খবর। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। মৃতদের পরিবারকে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। দায়ী করা হবে লঞ্চকে। বলা হবে অতিরিক্ত যাত্রীর কারনে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। দেখব নতুন নতুন টক শো।
এবং আবার অপেক্ষা করতে থাকবো নতুন কোন দুর্ঘটনার খবরের জন্য।
©somewhere in net ltd.