নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মিশেছি মেঘদলে, তেপান্তরের আভায় শুদ্ধতম সাবলীল বই হয়ে প্রজাপতির পাখায়।

শাহ্জাদা আল- হাবীব

মনে হয় এইসব নির্জনতা ছেড়ে মিশে যাই নিরব মৃত্যুর ঘাতক কোলাহলে। চলে যাই এমন কোনো এক দেশে যেখানে নান্দনিক নিঃসঙ্গতা নিন্দনীয় নয় মানবের হৃদয়ে।

শাহ্জাদা আল- হাবীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণ

১৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

বাতাস এখনো আমার কানে তার ডাক পৌঁছে দেয়। আমি সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে চলে গিয়েছি দরজার সামনে। গিয়ে দেখি কেউ নেই সেখানে! ভেতর থেকে কপাট বন্ধ। দরজায় করাঘাত করতে উদ্যত হয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছি। হায়! এমন কেন হয়? মানুষকে কেন চলে যেতে হয়? কেন আমাকে মেনে নিতে হবে ভেতর থেকে কখনোই এ দরজা খুলবে না? হাসিমাখা বদনখানি আর দেখা হবে না দরজার ওপাশে। কিছুতেই এসব মেনে নিতে পারছি না।

মাসখানেক আগে তার সাথে পরিচয় হয়েছিলো একই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকার সুবাদে। খুব স্নেহ করতো আমাকে। নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসতো। সঙ্গতকারণে বাড়িওয়ালী আন্টির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমার জন্য চকোলেট, আইসক্রিমসহ এটা সেটা নিয়ে আসতো। এই ক'দিনে একটা বড় বোন না থাকার শোক যেন ভুলে গিয়েছিলাম। মনে হতো সে-ই যেন ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া বোন!

তার সাথে গল্পগুজব আর খুনসুটিতে কিভাবে যে সময় চলে যেত টের পেতাম না। সে প্রায়ই উপদেশ দিতো, ভালো করে পড়াশুনা করতে হবে। অনেক বড় হতে হবে। অল্প কয়দিনেই আমাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখে ফেলেছে! তাকে অনিবার্য কারণে এ স্থান ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। বিদায়বেলায় ছল ছল চোখ দেখে সজোরে বলে ফেলতে ইচ্ছে করছিলো, "আপা যেও না। তুমি চলে আমাকে কে দেখে রাখবে? আবারো যদি সেহরি না খেয়ে রোজা রাখি, অথবা রোজা রেখেই স্টেডিয়ামে খেলতে চলে যাই, পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে ফোন নিয়ে পড়ে থাকি -- কে শাসন করবে তখন?"

অথচ এসবের কিছুই বলা হলো না। মায়া বড় অদ্ভুত জিনিস। আজও কেমন যেন ঘোরের মধ্যে আছি। চোখের সামনে ঝলঝল করে ভাসছে কত স্মৃতি। অবচেতন মনে বাতাসে কান পেতে আছি মিষ্টি ডাক শুনবো বলে। শুনে ছুটে যাব। সেখানে কেউ না থাকুক, কেউ দরজা না খুলুক। তবুও যাব। দীর্ঘশ্বাস চেপে চোখের দু'পাতা বন্ধ করে বলবো, এইতো এখুনি বৃষ্টি আপা দরজা খুলে বেরিয়ে আসবে।

১১.০৬.২০১৭

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লেগেছে।এটি কি সত্যিই ঘটনা???একটু অসম্পূর্ণ।শেষ পর্যন্ত আপু কি ফিরে এসেছিলো,তার কি হয়েছিলো বললে আরো ভালো হতো।
অফটপিক:আপনি প্রথম পাতায় এক্সেস পেয়েছেন কি???

১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

শাহ্জাদা আল- হাবীব বলেছেন: ধন্যবাদ।হ্যাঁ,সত্যি ঘটনা। ব্যাক্তিগত কারনে তাকে চলে যেতে হয়েছে।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

শাহ্জাদা আল- হাবীব বলেছেন: প্রথম পাতায় এক্সেস পাইনি এখনো!

১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১০

শাহ্জাদা আল- হাবীব বলেছেন: কবে প্রথম পাতাই লেখার সুয়োগ পাব?

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: প্রথম পাতায় এক্সেস কবে পাবেন,তা কেউ জানে না।তিনদিনের অপেক্ষা দেখা যায় অনেকের তিনমাসেও শেষ হয় নাহ।
তবে,নিয়মিত ব্লগিং করুন।মডারেটরের চোখে পড়লে হয়ত পেয়ে যাবেন। :)

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০২

শাহ্জাদা আল- হাবীব বলেছেন: সেই আশায় রইলাম।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: স্মৃতিচারন মোটামুটি লেগেছে। লিখতে থাকুন সামনে আরও ভাল হবে।
নিয়মিত ভাল ভাল লেখা পোষ্ট করুন। আশা করি খুব দ্রুত প্রথম পাতায় স্থান পাবেন।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

শাহ্জাদা আল- হাবীব বলেছেন: ধন্যবাদ।
প্রথম পাতায় লেখার জন্য মুখিয়ে আছি।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.