নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ

আমার ব্যক্তিগত ব্লগ

শাহানা

ইচ্ছে করে সব সময় খুব সুখে-আনন্দে থাকি

শাহানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদ বিড়াল

১২ ই নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৩২

বনের ভিতরে পানির পাশে কাদার মধ্যে কয়েক জায়গায় দেখলাম ছোট ছোট কিসের যেন পায়ের ছাপে ভর্তি। গাইড বলল উদ বিড়াল। মনে হলো 60/70 ফুট লম্বা এলা কা জুড়ে কাদার মধ্যে ভর্তি এদের ছাপ। সেই সাথে রয়েছে হরিণের পায়ের ছাপ, গুই শাপের পায়ের ছাপ। বাকি গুলো মাড ইটার আর কাকড়ার।

শুধু পায়ের ছাপ দেখেই মোটামুটি আন্দাজ করা যায়, কোন এলাকায় কে কখন ঘোরাঘুরি করে। হরিণরা উদবিড়ালের মতোন সাড়া এলাকায় ছড়িয়ে ছাপ ফেলেনি। একসাথে জড়ো হয়ে পানি খেয়ে চলে গেছে। গুইশাপ সোজা এসে পানিতে গেছে বা উঠে গেছে। আর আছে শুয়োরের পায়ের ছাপ।

এখানকার জেলেরা উদবিড়াল পোষে। ওরা গলায় দড়ি দিয়ে বেধে রাখে। পোষা উদবিড়াল মুখে জাল নিয়ে পানিতে ডুব দিয়ে মাছ ধরায় সাহায্য করে। মাছ ধরতে পারলে, জেলেরা পুরস্কার স্বরুপ একটা মাছ খেতে দেয়। এদের দাঁত খুব ধারানো হয়।

উদ বিড়ালরা সংগিদের প্রতি খুবই যত্নশীল। এক জোড়ার একটাকে বেধে আরেকটা ছেড়ে রাখলেও খুব বেশি দূর যায়না। একটু ঘোরাফিরা করে আবার ফিরে আসে। তবে এদের গা থেকে প্রচন্ড গন্ধ বের হয়। জেলেরা তাই এদের নৌকার একপাশে খাঁচায় রাখে, নিজেরা থাকে অন্য পাশে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-১

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

অতিথি বলেছেন: লাল কাঁকড়া, উদবিড়াল....দারুণ অভিজ্ঞতা, মজার পোস্ট।
ধন্যবাদ।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:১৭

অতিথি বলেছেন: লাল কাঁকড়া একটা চট্টগ্রাম থেকে ধরে নিয়ে এসেছিলাম । কিন্তু বেশিদিন বাঁচে নি । তবে উদ বিড়াল ছোটবেলা থেকে চিনি । কারণ সিলেটে আমাদের পুকুরের মাছ উদ বিড়াল খেয়ে ফেলতো ।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:০৩

অতিথি বলেছেন: উদ বেড়াল কি ভোঁদর নামে পরিচিত না?
একটা কাটুর্ন দেখেতাম কোন চ্যানেলে যেন.. সেখানে একটা ভোঁদর ছিল.. এত্ত কিউট!!!!

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৩৮

অতিথি বলেছেন: ব্যস্ততার কারনে ব্লগে আসা হয়নি ... আপনার সুন্দরবন অভিযানের 1ম পোষ্ট আর এই টা পড়লাম ... বাকি গুলো সময় পেলে পড়বো।
আমার কপালে সুন্দরবন অভিযান আছে কি না কে যানে ??

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:০৪

অতিথি বলেছেন: আপনার পায়ের ছাপ রেখে এসেছেন তো???

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:২৪

শাহানা বলেছেন: সাবি্বর: নাহ, কাদাতে নামিনি, যারা মাড প্যাক লাগিয়েছিল ওরা নেমেছে। বালুতে যা দাগ পড়েছিল, সেটা এতো দিনে নেই। আপসোস বাঘ মামাকে পায়ের ছাপ দেখাতে পারলাম না...

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১:১৭

অতিথি বলেছেন: শাহানা, ছোট্ট বেলার সেই রাতটি কথা একনো মনে পড়ে, আপনিও পোষ্ট দ্্বারা মনে করিয়ে দিলেন- পুকুর সেঁচা শেষ হতে হতে রাত হয়ে গেল। পানি প্রায় শেষ, যা আছে তার বেশীর ভাগই মাছ। কি করা, সবাই বলাবলি করছে উদ বিড়ালের কথা। ওরা নাকি মাছ পেলে না ঘুমিয়েও খাওয়া অব্যাহত রাখে। তো বাড়ীর মুরুব্বীরা ছিলেন মাছের টেনশনে, আর আমরা ছোটরা ছিলাম উদ বিড়ালের ভয়ে। বড়রা ছিল পুকুরের পাহারায় আর আমরা ছিলাম কাঁথার ভেতর নিজেদের সাহসের পাহারায়। এভাবেই উদ বিড়ালের সাথে আমার প্রথম পরিচয়; যদিও তখন দেখিনি।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শাহানা বলেছেন: ফজলে এলাহি: আমি সামনা সামনি এখনও দেখিনি, শুধু পায়ের ছাপ দেখেছি। আর বোটে বসেই, একট ডকুমেন্টারি ফিল্মে দেখলাম সুন্দর বনের জেলেরা কিভাবে ওদের দিয়ে মাছ ধরে। মুখ যখন পানির মধ্য থেকে তুলে, তখন শীল মাছের মতোন লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.