নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যকৃৎ, পাকস্থলী ও পিত্তথলির চিকিৎসককে ইউরোলজি বা মূত্রতন্ত্রের অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক বিষয়ের চিকিৎসককে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়ের অধ্যাপক করায় পেশাজীবী চিকিৎসকেরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এখন ওই চিকিৎসকের যোগদানপত্র গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্রে দেখা যায়, গাজী মোহাম্মদ জাকির হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের গ্যাস্ট্রোহেপাটো বিলিয়ারি সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সুপারিশে ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে একই কলেজের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক পদে পদায়ন করা হয়।
একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, চিকিৎসা শিক্ষার শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, গ্যাস্ট্রোহেপাটো বিলিয়ারি ও ইউরোলজি সম্পূর্ণ পৃথক দুটি বিষয়। যকৃৎ, পাকস্থলী, পিত্তথলির চিকিৎসার বিষয় হচ্ছে গ্যাস্ট্রোহেপাটো বিলিয়ারি। কিডনি ও মূত্রতন্ত্রের রোগ চিকিৎসার বিষয় ইউরোলজি। দুটোর জন্যই বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন।
৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যোগদানপত্র জমা দেন জাকির হোসেন। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। একে দুঃখজনক উল্লেখ করে গাজী মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা আছে। ইউরোলজির ওপর প্রকাশনা আছে।’ তাঁর দাবি, মন্ত্রণালয় জেনে-বুঝে এই পদোন্নতি দিয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউরোলজির অধ্যাপক পদে অন্য ডিসিপ্লিনের (বিষয়) চিকিৎসকের যোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। কোথাও একটা ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
ইউরোলজির চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোলজিক্যাল সার্জনস এই পদোন্নতি ও পদায়নে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও এসএসবির সভাপতিকে লেখা আবেদনপত্রে সংগঠনের সভাপতি ও মহাসিচব এই ‘অবৈধ ও অনৈতিক’ পদোন্নতি বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় ভুল অথবা অনিয়ম করে এটা করেছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বাসুদেব গাঙ্গুলী বলেন, ‘আমরা নন-টেকনিক্যাল (কারিগরি বিষয় না বোঝা) মানুষ। বিষয়গুলোর তারতম্য বোঝা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এসিআর, প্রকাশনা, মামলা আছে কি না—এসব দেখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাই।’ তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৈরি করা কাগজপত্রের ভিত্তিতে তাঁরা ওই চিকিৎকের জন্য সুপারিশ করেন।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘গ্যাস্ট্রোহেপাটো বিলিয়ারি ও ইউরোলজির পার্থক্য আমরা বুঝি। অধিদপ্তর থেকে এক বিষয়ের চিকিৎসককে অন্য বিষয়ের অধ্যাপক তৈরি করার কোনো সুপারিশ আমরা পাঠাইনি।’
প্রঃ আলো
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: ওয়ার্ড বয় যদি ছুরি কাঁচি নিয়ে অপারেশন করে, তার চেয়ে এটা মন্দের ভালো। বিস্ময় এর কিছু নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
এম এ কাশেম বলেছেন: কোন হাগলে এসব করে ?