নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাবল টেলিস্কোপের মহাকাশে স্থাপনের আগে আমরা বা আমাদের পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা যা ভাবতেন ও বলতেন তার একটা বিপরীত চিত্র পৃথিবীর মানুষকে স্তম্ভিত করে দিল । অনেক ভুল তথ্যের সংস্কার হল , পৃথিবী জানতে পেল ইউনিভার্সের নব নব আবিস্কার আর অপূর্ব চিত্রমালা পুরো আকাশ দর্শনকে পালটে দিল । হাব ল টেলিস্কোপ ২৪ ঘণ্টা ও ৩৬৫ দিন একটানা বিরতিহীনভাবে কাজ করে । একদল সুদক্ষ কর্মী সারাক্ষন পৃথিবীর নিয়ন্ত্রন কক্ষে বসে ক্লান্তিহীন এসবের ছবি ও অন্যান্য ডাটা সংরক্ষন করেন। নাসার গডডারড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার ও স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইন্সটিটিউটের NASA's Goddard Space Flight Center and the Space Telescope Science Institute (STScI) যৌথ প্রয়াসে হাবল এর পরিচালনা, কর্মক্ষমতা , কার্যকারিতার পুরোটাই মনিটর করা হয়। কারিগরি দিক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক পরিচালনার দুটি বিষয় এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে । হাবল মহাকাশ যান ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা কারিগরি প্রকৌশলীরা তদারকি করেন । বৈজ্ঞানিক পরিচালনা দলটি তাদের পূর্ব নির্ধারিত কাজ পরিচালন ও পর্যবেক্ষণ করেন । তথ্য উপাত্তু সংগ্রহ , প্রাপ্ত ডাটা কে অনুবাদ , আর্কাইভে তা সংরক্ষন ইত্যাদি বিজ্ঞানীদের এই দলটি করে থাকেন । খুব কঠিন কাজ ।এর মধ্যে কিছুকাল আগে একটি দূরবর্তী মহাজাগতিক বিস্ফোরণের ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল মহাকাশ প্রেমিক বিজ্ঞানী ও সাধারন মানুষকে । অবশ্য ওটার পরবর্তী পরিস্থিতি জানতে কয়েক লাখ মায়কি কয়েক কোটি বছর অপেক্ষা করতে হবে । গেলবার বৃহস্পতি গ্রহে ধুমকেতুর পতন ও সংঘর্ষের দুর্লভ চিত্র হাবল ধারন করেছিল । হাবলের ভিতরটা অত্যাধুনিক কম্পুটার ও লক্ষ লক্ষ মাইল দুরের চিত্র ধারনসক্ষম ক্যামেরায় সজ্জিত । এটি সোলার প্যানেল এর বিদ্যুত চালিত এবং কোটি মাইল ভ্রমনে সক্ষম তবে এর গতি বেশ ধীর ।এডউইন হাবল (১৮৮৯-১৯৫৩) লুইসভিল , কেনটাকিতে জন্ম গ্রহন করেন । হাবল শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করেছেন । হাই স্কুলে তিনি তারকা চিহ্নিত বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন । ভাল হাই জাম্প দিতেন এবং সবার নজর কাড়া কিশোর ও যুবক হিসাবে বেড়ে উঠেছিলেন । অক্সফোর্ড শেষে নিজ শহরে হাই স্কুলে শিক্ষকতা , কোর্টের আইনি বিষয় নিয়ে মাথাঘামানো এবং শেষে পি এইচ ডি করতে আবারো শিকাগো এবং তার মুল লক্ষ্য ইয়েরক্স অবজারভেটোরিতে নিয়মিত যাতায়াত করতে লাগলেন ।খুব শিঘ্রি তিনি মাউনট উইলসন অবজারভেটরিতে যোগ দেন,১৯১৭ সালে । প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে বাধ্যতামূলক যোগদান এবং যুদ্ধ শেষের আগে মেজর পদে উন্নীত । হাবলের যুদ্ধ এলাকা ছিল ফ্রান্স ।আবারো মাউনট উইলসনে ফিরে আসা এবং অতি দ্রুত তার অপরিসীম কঠিন পরিশ্রম ও দক্ষতা তাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের কাতারে নিয়ে এলো । তিনিই প্রথম যে নেবুলাকে নতুন করে বর্ণনা করেছিলেন । এক ইউনিভার্স থেকে অন্যের দূরত্ব, আমাদের ইউনিভার্স থেকে অন্যান্য ইউনিভার্সের দূরত্ব , গোটা ইউনিভার্স যে বর্ধনশীল তা প্রমান করতে পেরেছিলেন ।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আবারো টার কাজে বাধার সৃষ্টি করল, তবে এবার ময়দানে নয় বরং যুদ্ধকালিন অফিসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যালাসটিক বিষয়ের প্রধান হিসাবে কাজ করেছিলেন। এ সময়ে তিনি কসমোলজি নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছিলেন । যুদ্ধ শেষে ২০০ইঞ্চি ব্যাসের বৃহৎ টেলিস্কোপ নির্মাণে পূর্ণ সমর্থন ও সময় দুটোই দেন ,১৯৪৮ সালে। পৃথিবীর জায়ান্ট একটি টেলিস্কোপ নির্মাণ শেষ হয় ১৯৫৩তে । কিন্তু হাব লের আশা পরিপূর্ণ হবার আগেই হটাত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি । অনেক অজানা রহস্য ঘেরা ইউনিভার্সের একটি সম্ভাব্য উত্তর দেবার আগেই গত হন হাবল । পরবর্তীতে আকাশে প্রথম যে টেলিস্কোপ যুক্ত মহাকাশযান/স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয় তা এই মহাবিজ্ঞানীর নামকরনে ‘হাবল স্পেস টেলিস্কোপ’ রাখা হয় । ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল এটিকে মহাকাশে স্থাপন করা হয় যা এখন পূর্ণ কার্যক্ষম অবস্থায় পৃথিবীকে জানান দিচ্ছে নিত্য নতুন সব তথ্য ।
লেখনী সুত্রঃ hubblesite, Wikipedia
অনুবাদঃ শাহ আজিজ
ছবিঃ NASA র সৌজন্যে
২| ০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ১:০২
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: এগুলো কি ফটোশপড, নাকি রিয়েল?
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: এসব মুল ছবি থেকে ৩ডি করা হয় এজন্য যে মহাকাশীয় ধুলিকনার কারনে অনেক ছবি পরিস্কার আসেনা। ওটার কয়েকদিনের তোলা ছবি নিয়ে ৩ডিতে সম্ভাব্য ইমেজ তুলে ধরা হয়। মঙ্গল আর বৃহস্পতির ছবি জেনুইন যেহেতু তা কাছ থেকে তোলা হয়।
৩| ০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ১:২১
মুদ্দাকির বলেছেন: নাইস পোষ্ট +++++
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: হাবল টেলিস্কোপের প্রতি বিস্ময় জেগেছিল এর স্থাপনের সময়, আমাদের তরুন কালে । সুন্দর তথ্যপূর্ণ পোস্ট ।