নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই গরমে হিট স্ট্রোক ও স্ট্রোক হতে সাবধান !!!!!

১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

আজ বেলা ১১টায় মোহাম্মাদপুর বি আর টি সি বাস স্ট্যান্ডের গেটে এক মহিলাকে দুজন লোক টেনে তোলার চেষ্টা করছে । দাড়িয়ে পড়লাম, যেটা আমার সবসময়ের অভ্যাস। মহিলাকে ওরা দাড়িয়ে রাখার চেষ্টায় ব্যর্থ হচ্ছিলেন । প্রথম দর্শনেই মনে হল তিনি কলাপ্স করেছেন যাতে তার কোমরের নিচে আর কোন শক্তি বা অনুভুতি নেই । আবার পতনের আগে আমিও হাত বাড়িয়ে ধরে ফেললাম ও পাশে দাড়িয়ে থাকা আরেকজনকে বললাম হাত লাগান । আপনারা এই মহিলার কেউ হন কিনা । ৫০ ঊর্ধ্ব বয়সী লোকটি জবাব দিল আমি, ওনার স্বামী । প্রেশার আছে? হ্যা আছে । একটি রিকশায় ওঠানোর দারুন কসরত করছি আমরা তিনজন । তার পুরো শরীরটা ছেড়ে দিয়েছে ফলে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি ওঠাতে । তার জ্ঞ্যান আছে এবং মাথা সোজা, চোখ খোলা । রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে তার পা রিকশার ওপরে ওঠাতে সক্ষম হল । আমি জিজ্ঞাসা করলাম ডায়াবেটিস আছে কিনা ? না নেই। ওনাকে হাসপাতালে নিন কারন তার রক্তচাপ বেশি মনে হচ্ছে, আমি প্রথমেই তার পালস দেখে নিয়েছি । ওনার স্বামী বললেন না আগে বাসায় নেই । কিন্তু আমি তাকে কানে কানে বললাম ওনার স্ট্রোক সিম্পটম মনে হচ্ছে । যাহোক দায়িত্ব পালন শেষ এবং আমি বাসের উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করলাম ।
চারিদিকে প্রচণ্ড রোদ্দুর, বাতাসে হিউমিডিটি ঘাম ঝরাচ্ছে কলের পানির মত । যাদের উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশন আছে তারা এই গরমের প্রথম শিকার হন প্রথমত পানির অভাবে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই ধরাশায়ী হন এবং উপযুক্ত জ্ঞ্যানের অভাবে রোগীর মৃত্যু হয়। ১১ থেকে ৪টা পর্যন্ত না বেরুনোই ভালো ওইসব লোকেদের । পানি সাথে রাখুন এবং ছাতার নিচে থাকুন । আমি জানিনা মহিলাটির কি হয়েছে শেষমেশ কিন্তু প্রচণ্ড গরমে স্ট্রোক প্রক্রিয়ার প্রথম পর্বে তার যে শরীরের নিন্মাংশ শক্তি হারিয়ে ফেলেছে তা পরিস্কার । তখনও যদি কাছের হাসপাতালে নেয় তবে মহিলা প্যারালাইজড হতে রক্ষা পেতেন কিন্তু তার স্বামী যথেষ্ট মনোযোগী ছিলেন না। এসময়ে প্রচুর পানি খাবেন তবে কোমল পানীয় নয় কারন চিনি আপনার গলা শুকিয়ে দেবে । হার্টের রোগীরা সাথে জরুরি ওষুধ বা স্প্রে রাখুন প্রয়োজনে ব্যাবহারের জন্য । খুব খারাপ লাগলে কাছে পিঠের এ সি মার্কেটে ঢুকে পড়ুন, দেখবেন মুহূর্তেই সুস্থ বোধ করছেন । সব্জি ডাল দিয়ে আহার সারুন । কিছু লোককে দেখেছি ভুনা মাংস দিয়ে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন । পারলে পরিহার করুন । আমার এ উপদেশ মাঠের কৃষকের বা শহরের রিকশাওয়ালা ও ঠেলাগাড়ি চালকদের জন্য কাজে দেবেনা , কারন কাজ না করলে ওদের দিনের খাবার মিলবে না।আমরা বেশ সুখেই থাকি এই নগরের অলিতে গলিতে । আমরা ভীষণ স্বার্থপর নইকি ?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:




সচেতন হওয়া উচিত সকলের। আমি আজকে প্রায় ৩ ঘন্টা দুপুরের রৌদ্রে হাঠাহাঠি করতে হয়েছে একটা কাজে। কি ভয়ানক অবস্থা আজকে টের পেয়েছি। অবশ্য বেচে গেছি কিছুক্ষন পর পর এসির মধ্যে ঢুকে ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩০

শাহ আজিজ বলেছেন: মতিঝিল থেকে বাসে ওঠার আগে দুগ্লাস ফ্রিজের পানি কিনে খেয়ে নিলাম। এরপরেও বাসের ভিতর বাতাস নেই , অসহ্য অবস্থা । পরে মানিয়ে নিয়েছি।অন্যদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল । এসি বাস চাই । আপনি সৌভাগ্য বান এসি পেয়ে গেছেন। আমিও সকাল থেকে এসিতে ছিলাম তাই রক্ষা ।

২| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
অনেক সাবধান হওয়া দরকার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.