নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার এক আত্মীয়ার স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে ৪/৫ বছর আগে । কিন্তু দেরি হয়ে গেছে । তার তখন তৃতীয় ধাপ চলছে । তিনি মাঝে মধ্যে ব্যাথা ছাড়া অন্য কিছু অনুভব করতেন না । কার্যত তিনি তখন দেখতে সুস্থ এবং চলাফেরায় কোন অসুবিধা বোধ করতেন না । তার ডায়াবেটিস ছিল এবং ডাক্তার নির্দেশিত ওষুধ খেতেন , হাঁটতেন নিয়মিত । তাকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করলেন ডাক্তাররা । তার অপারেশন হল এবং লম্বা সময় নিয়ে কেমো চলতে লাগল । খুব ব্যায়বহুল এবং যন্ত্রনাময় ব্যাপার ।তার ওপর আছে রেডিওথেরাপি । মাথার চুল পড়ে গেল , মানসিক দিক দিয়ে ভেঙ্গে পড়লেন । আস্তে ধীরে ঘাতক ক্যান্সার তার শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল । আবারো কেমো , আবারো নির্জীব পড়ে থাকা । কলকাতা গেলেন । ওখানে বলল, যে চিকিৎসা চলছে তা ঠিক আছে এবং চলুক । এভাবেই চলে গত ছ মাস আগে বিছানায় পড়ে গেলেন ।তার কেমো দিতে গিয়ে শারীরিক সক্ষমতার অভাব এই বিপত্তি ঘটাল । ক্যান্সার তার লিভার ধরে ফেলেছে এবং গত মাস থেকে তার রক্ত ও মস্তিষ্কের কোষে জীবাণু ছড়িয়ে পড়লে তিনি চলা ফেরার উপযোগী থাকলেন না । হাসপাতাল আর বাসা । ডাক্তাররা তার আশা ছেড়ে দিলেন । তার রক্তের প্লাটিলেট দ্রুত কমছে , রক্ত দিলে ভালো বোধ করছেন।বিলরুবিন বেড়ে বিপদজনক অবস্থায় চলে গিয়েছিলো , এখন তার বিলরুবিন আবারো কমে অস্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে । লিভারের অ্যালবুমিন তৈরির জায়গাটি নষ্ট হয়ে গেছে । শরীরে পানি জমেছে এবং তা কমানো হয়েছে । তার গতকালকের অবস্থার উপর আলাপ করে ডাক্তাররা সিদ্ধান্তে এলেন লিভারে প্রস্তাবিত অপারেশন হবেনা এবং শরীরের অস্বাভাবিক পানি কমানো একটি জটিল পর্যায়ে চলে গেছে । অপারেশন কাজ দেবে না বরং তিনি কোমাতে চলে যাবেন এবং ক্যান্সারের জীবাণু পুরো শরীর দখল করবে । ডাক্তাররা চাইছেন তিনি বাড়ী ফিরে যাক । তিনি একটি হাসপাতালে মৃত্যুর অপেক্ষায় ।সাধারনত হাসপাতালে রোগী মারা গেলে কিছু বিপত্তির সৃষ্টি হয় । আমার আত্মীয়র এটা ঘাটতে গিয়ে দেখলাম অসংখ্য মহিলা এই দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত ।মাসটেকটমি বা স্তন ফেলে দেওয়া হচ্ছে । ওষুধ চলছে গাদা গাদা । যাদের এই রোগটি দ্বিতীয় স্তরে ধরা পড়ে তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি থাকে । তবুও অনেককে কেমো নিতে হয় আবার অনেকের নেওয়া লাগে না । অতি দ্রুততার সাথে ডাক্তার আক্রান্ত স্তন ফেলে দেন , কখনো এক সঙ্গে দুটো ।হলিউডি চিত্র নায়িকা এঞ্জেলিনা জোলি প্রথমেই রোগ ধরতে পেরে সাথে সাথেই দুটো মাসটেকটমি একসাথেই করেন । কারন তার মা একই সমস্যায় মারা গেছেন । ইতিমধ্যে তিনি তার ওভারি ও ফেলে দিয়েছেন কারন ক্যান্সারের প্রথম আঘাতগুলো এই অরগানের অপর প্রভাব ফেলে। আমার আত্মীয়াকে ডাক্তার বলেছেন এটি আপনার বংশগত । ওই রক্তের বাকি মেয়েরা চেক করে দেখতে পেল কথা সঠিক। তাদের কারো কারো সিসট পাওয়া গেছে । তারা নিয়মিত অনকোলজিসটদের দেওয়া ওষুধ সেবন করছেন । এদের সবাইকে চেকাপের অপর থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রথম ধাপেই মাসটেকটমি করে জীবন বাচাতে হবে । কিন্তু হটাত এই রোগটি মাথাচাড়া দিল কেন ?এ পর্যন্ত এর কোন পারফেক্ট জবাব দেয়া সম্ভব হয়নি তবে গবেষণার কিছু তথ্য উপাত্তু হুবহু নিচে সেঁটে দিলাম । আমাদের দেশের এক নামি তরুন অনকোলজিসট এর একটি তথ্য আমার ভালো লেগেছে তা হল জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ির অবাধ ব্যাবহার আর কেমিক্যাল যুক্ত খাবারের বিস্তার । এ দুটি খুবই গ্রহণযোগ্য পরামর্শ কিন্তু এই অপরাধে দায়ী পশ্চিমারা মুখে কুলুপ এটে থাকেন।
আমি শুধুই জনস্বার্থে এ বিষয়টির উপর সামান্য আলোকপাত করলাম এর ভয়াবহতা অনুভব করে । কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমা করে দেবেন । রোগীর অনেক বিষয় আলাপ করলাম না ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য । তবু মুক্তমনা পাঠক যারা ১৬ থেকে ৪০বছর পর্যন্ত বয়স হয়েছে তারা যদি স্তনের ভিতরে ছোট শক্ত টিউমার বা বড় শক্ত দানা অনুভব করেন ব্যাথা/ব্যাথাহীন সাথে সাথে একজন ব্রেসট সার্জন কে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন।কিছু প্রাথমিক পরীক্ষা আছে যা জানান দেবে আপনার ভেতরটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ বা ঝুকিমুক্ত । ভালো থাকাটাই জীবনের বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত ।
Do we know what causes breast cancer?
Many risk factors can increase your chance of developing breast cancer, but it is not yet known exactly how some of these risk factors cause cells to become cancerous. Hormones seem to play a role in many cases of breast cancer, but just how this happens is not fully understood.
DNA is the chemical in each of our cells that makes up our genes—the instructions for how our cells function. We usually look like our parents because they are the source of our DNA. But DNA affects more than how we look.
Click This Link
Can breast cancer be prevented?
There is no sure way to prevent breast cancer. But there are things all women can do that might reduce their risk and help increase the odds that if cancer does occur, it will be found at an early, more treatable stage.
http://www.cancer.org/cancer/breastcancer/detailedguide/breast-cancer-prevention
১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: জীবনে কিছুই করা হয়না ,এতটুকু দিয়েও যদি কারো উপকার হয়।
২| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: স্বাস্থ্য বিষয়ে আপনার সচেতনতা ও অন্যকে সচেতন করে তোলার আপনার প্রয়াস টের পেয়েছিলাম আপনি যখন আমার একটি পোষ্টে মন্তব্য করেছিলেন।আজকে আপনি যে বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তা এক ভয়ঙ্কর দানবে পরিণত হয়েছে।পোষ্টটা স্টিকি করার জন্য সামুকে অনুরোধ করছি।অাপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটি দেওয়ার জন্য।
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি নিজেই যে সব রোগে ভুগি তা নিয়ে আমার নিজের একটা উপলব্ধি আছে , ওটার ওপর আলাপ হলে চেষ্টা করি কন্ট্রিবিউট করার ।
৩| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মদন বলেছেন: +++++++++++++++++++++++
৪| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫২
আরজু পনি বলেছেন:
মেয়েরা স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার এসব ব্যাপারে মোটেই সচেতন না ।
অথচ একটু সচেতন হলেই কতো সুন্দর হতে পারে তাদের জীবন ।
শেয়ারে অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল ।
নিজের কাছে নিয়ে গেলাম পোস্টটা ।
শুভকামনা রইল ।।
১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩২
শাহ আজিজ বলেছেন: সবাইকে খাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে । ফাস্ট ফুড বাদ, সবুজ সবজি এবং ফল হবে প্রধান খাদ্য। আনারসের এনজাইম ক্যান্সার ধংসে কাজ করে।
৫| ০২ রা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: এইমাত্র সকাল ৯ টায় আলোচিত রোগী ইহধাম ছেড়ে গেলেন তবে খুব কষ্ট পেয়ে , ধুঁকে ধুঁকে লাইফ সাপোর্টটিং কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে । আমরা সবাই জানতাম তার সম্ভাব্য পরিনতির কথা , ডাক্তারও খোলামেলা বলেছিলেন , সবাই মানসিক দিক দিয়ে প্রস্তুত ছিলেন তার খাটলা কাধে তুলে নিতে---------!!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:২২
আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ.......