নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
করজোড়ে ক্ষ্যামা চাইছি আবারো । লেখাটি আমার বয়সীদের জন্য ।
বজ্রাঘাতে মেদিনী কাপিয়ে আকাশের তাবৎ ধারামুখ খুলে দিয়ে বর্ষা শুরু হয়ে গেল ।
গত কদিন ধরেই ধারা মুখে জমে থাকা শেওলা পরিস্কারের কাজ চলছিল ।ক’দফা রেকিও হল, পূর্ণিমার চাঁদও ঢাকল কিন্তু তপ্ত বায়ুতে হিমেল হাওয়ার মিলন না ঘটিয়ে নিরাশ করে দিল । আজকের পতন ধারা প্রলম্বিত , শীতল মাদকতায় পরিপূর্ণ সেই উচ্ছল কিশোরী যেন । আমি হারিয়ে গেলাম চারযুগ আগের হাসনাহেনা ছাওয়া টিনের ঘরে কাথা মুড়ি দিয়ে কোলবালিশটিকে কল্পিত হৈমন্তী বানিয়ে খাপ খোলা তরবারি নিয়ে যন্ত্রনা দগ্ধ বীর্য নিবারনের অসৎ প্রয়াস । টিনের চালের ছন্দময় নৃত্যে রস আছে , আছে কাথার সোঁদা গন্ধে আর বালিশের শীতল পরশে । নতুন পানিতে কোলা ব্যাঙের পুনরুজ্জীবন । কিন্তু হাসনাহেনা গন্ধহীন , কি নির্মম বিচার । হৈমন্তীর দেওয়া বেলীর বাসি সুবাস ঠোটে ছুইয়ে যেন হৈমন্তীর তাজা ঠোটে ঠোট ছোঁয়ানো ।কৈশোরের চাওয়া এসে মেলে যৌবনের তপ্ত উঠোনে আর যৌবনের অনেক না পাওয়া সিঁদুর এসে হুট করে ভিড় জমায় বার্ধক্যের প্রথম লগনে, উত্থানহীনতার ভীতি আঁকড়ে ধরে সাষ্টাঙ্গে , বলে, সুস্বাগতম নিরামিষাশীদের দোচালার নিচে ।কৈশোরের হৈমন্তীর শুভ্র ,নিস্পাপ নির্যাস মেলেনা আর কোন কালে কোন রমণীতে ।
ইমাম সাহেব রাতে খেতে খেতে ধীরলয়ে করেন নসিহত , সংযত হও ছোট সাহেব, প্রভু নিশ্চয় রেখেছেন
ঠিক করে, সময়ে দেবেন তুলে , আর পানিতো এখনো হয়নি পরিপূর্ণ, হোক কেশগুচ্ছ আরও ঘন কালো , ধারালো । ইলিশ আর কাচকলার সুগন্ধিতে ইমামও হয়ে ওঠেন রসের ধারা । রাতটাতো ওরও কাটবে গম্বুজের নিচে একা তক্তপোষে , কাথার নিচে হাতের মুঠোয় তার অঙ্গটি জাপটে ধরে । ওর বিবি মজুদ থাকলে আজরাতে দাপাদাপিতে নিশ্চিত হেলে পড়ত মসজিদের মিনার ।
রাত গভীর । বর্ষার ধারা প্রতিজ্ঞা করেছে থামবেইনা আজ , কামুক বাঙ্গালীর প্রথম বর্ষার শিহরিত অঙ্গে আজ যেন সাজ সাজ রব । পৃথিবীর কোথাও আছেকি এমন ঘন বরিষণে, তারে বলা যায় ! নেই, আমি নিশ্চিত আমার টিনের চালার টাপুর টুপুর ঈর্ষা কাতর ধ্বনি কোন ইংরেজ বা চীনির মনে জাগাবেনা কাব্যসুষমা , সেতারের মেঘমল্লার , ওদের নকশি কাঁথাই নেই – ওম কি জিনিস বুঝবে কোত্থেকে আর হৈমন্তীও শুধু দক্ষিন বাংলাতেই কাদা মাখা পল্লীতে কাতর কিশোর কবির তরে জন্ম নেয় তারপর ঘর বদলে বদলে হৈমন্তী শুধুই স্মৃতি জাগানিয়া বেদনা বিধুর শ্লোকগাথা হয়ে থাকে ।
বর্ষা আসে বর্ষা যায় ।চার যুগ আগের টিনের চালার ঝুমুর নৃত্যের বরিষন ধারা ঝরেনা ঝরো ঝরো , হৈমন্তীও আসেনা নকশি কাথার উষ্ণতাকে উষ্ণতম স্থানে নিয়ে শীতল করতে ।
পৃথিবীর তাবৎ সুখ কৈশোরের গাও গেরামের বর্ষা রাতে ।
শরীর শীতল হয়েছে বয়েসের ভারে
মনের উত্তাপ দ্বিগুণ ভাঁটার আগুনে ।।
২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৪২
শাহ আজিজ বলেছেন: লাগতেই হবে হা হা হা !
শুভেচ্ছা
২| ২২ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫
মরণের আগে বলেছেন: হা হা হা !
২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: অট্টহাসির জন্য ধন্যবাদ
৩| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
এস এস মারজান বলেছেন: বাস্তবতার ছোয়া আছে ।
২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
শাহ আজিজ বলেছেন: বাংলার বর্ষার রূপই আলাদা ।
৪| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমিও ক্ষমা করে দিলাম ।
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভাই আপনার বাড়ীতে আসা না হলেও বিভিন্ন ব্লগে আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যগুলি বেশ ভাল লাগে।
আর এই লেখাটায় শুধু বলবো,"হৈমন্তীও শুধু দক্ষিন বাংলাতেই কাদা মাখা পল্লীতে কাতর কিশোর কবির তরে জন্ম নেয় তারপর ঘর বদলে বদলে হৈমন্তী শুধুই স্মৃতি জাগানিয়া বেদনা বিধুর শ্লোকগাথা হয়ে থাকে ।"
এই মরুর দেশে বৃষ্টি যে কি তাতো প্রায় ভুলতেই বসেছি। আমেজ আর কোথা পাবো??
২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যাঁ, দূরে গেলে ঘরের জন্য মন পোড়ে । আমি গ্রামে দুবছর নির্বাসনে ছিলাম। আনন্দেই ছিলাম । যার জন্য বৃষ্টি এলেই এই কাঠ পাথরের শহরে মনটা আনচান করে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩২
আরজু মুন জারিন বলেছেন: করজোড়ে ক্ষ্যামা চাইছি আবারো । লেখাটি আমার বয়সীদের জন্য।
ক্ষমা করে দেওয়া হল। যেহেতু লেখাটা ভাল লাগল। ধন্যবাদ লেখককে। শুভেচ্ছা রইল।