নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাকিব সাজার পেছনের কাহিনী বেরুতে শুরু করেছে ।। স্টপ প্রেস

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৪

বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের জন্যে নিষিদ্ধ করেছে বিসিবি। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব আগামী আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং অক্টোবরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজও খেলতে পারবেন না। সাকিব কেনো নিষিদ্ধ হলো, কী হয়েছিল, কী হতে পারতো- এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত নিয়ে অনেকে বাস্তব জীবনসহ সামাজিক গণমাধ্যমে মত প্রকাশ করছেন।

সবাই আমরা ক্রিকেটকে ভালবাসি, সাকিবকে ভালবাসি। সেইসাথে পছন্দ করি না কোনো বিধিবর্হিভূত আচরণ, তা সে্ যেই করুক (সাকিব বা ক্রিকেট বোর্ড)। আসুন একটু মিলিয়ে দেখে কিছু বিষয়-

সাকিব কেনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়েছিল

সাকিব একজন পেশাদার ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট খেলতে সে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল। কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন করতে নয়। বিসিবি সাকিবকে ক্রিকেটের সব ধরণের খেলা থেকে ৬ মাস নিষিদ্ধের পাশাপাশি ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি কোনো লীগে খেলার জন্যও অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেবে না। এখন থেকে বিজ্ঞাপনের শুটিংসহ যে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অংশ নিতে হলে সাকিবকে বিসিবির অনুমতি নিতে হবে। বিষয়টি একটু অতিমাত্রায় হয়ে গেছে বলে মনে হতেই পারে, ক্রিকেট দলের নিয়মিত কার্যক্রম এবং খেলার সময় ছাড়া চুক্তির বাইরে একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত কর্ম-জীবন থাকতেই পারে। তবে এটাও ঠিক যে, 'আইকন' খেলোয়াড়দের একটু সর্তক থেকে সবকিছু করতে হয়।

দেশের সংবিধান এবং সরকারি বিভিন্ন বিধান মোতাবেক প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের তাদের কর্মের বাইরে ব্যবসা বা অন্য কোনো কাজে তারা যুক্ত হতে পারবেন না। কিন্তু আমরা হয়তো এমন কোনো মন্ত্রী-এমপি-সরকারি কর্মকর্তা খুঁজে পাব না, যারা ওই আইন মানছেন। বিসিবির অনেক পরিচালকের বিরুদ্ধেও ক্ষমতা ব্যবহার করে অনেক ধরণের কর্ম করার খবর বাজারে আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রায় ১৬০ পাতার একটি তদন্ত প্রতিবেদন নাকি তৈরি হয়ে, যার মধ্যে হসপিটালিটি বক্স নিয়ে কিছু পরিচালকের নানা র্কীতির তথ্য আছে। যদিও সে প্রতিবেদন জনসন্মুখে প্রকাশিত হয়নি।

ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তির বাধ্যবাধকতা

বিসিবি যে চুক্তির মাধ্যমে ক্রিকেটারদের নিয়ন্ত্রণ করে তা অনেকটা দেশের সংবিধান পরিপন্থী। যে কোনো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে খেলোয়াড় আচরণবিধির কোন ধারা লঙ্ঘনের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যাক বা না যাক, খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চুক্তির বাধ্যবাধকতা/জোরে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে যা খুশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। যা সরাসরি বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও ‘ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী’ হয়ে কারো প্রতি আচরণ ও অন্যায় সিদ্ধান্ত করতে সংবিধানে স্পষ্ট বাধা রয়েছে। কিন্তু বিসিবির চুক্তির জোরে ক্রিকেট বোর্ডের ভাতা নেওয়া পরিচালকরা যদি ক্রিকেটের স্বার্থের বদলে কোনো খেলোয়াড়ের প্রতি নিজেদের ব্যক্তি ও শ্রেণীগত ক্রোধ চরিতার্থ করতে চান, তাতেও কোন আইনগত বাধা নেই।

বিসিবির একটি ডিসিপ্লিনারি কমিটি আছে, সাকিবসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ওই কমিটির থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া বিসিবির একজন বেতনভূক্ত সাইকোলজিষ্ট আছে যিনি খেলোয়াড়দের মনোবল বৃদ্ধিসহ নানা অসঙ্গতি নিয়ে কাজ করার জন্য মাসে মাসে বেতন নেন। ক্রিকেট বোর্ডের সকল কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বেতনভূক্ত সবার উচিত ছিল খেলোয়াড়দের সাথে আরও নিবিড় সর্ম্পক গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন বিষয় আগে থেকেই তাদের সাথে আলোচনা-কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে সমাধান-নির্দেশনা দেওয়া। বিষয়টা এমন না যে খেলোয়াড়রা সব চোর এবং চুরি করার পরেই পুলিশের মতো তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। খেলোয়াড়রা যেনো ভুল পদক্ষেপ না নেয় তা আগে থেকেই তাদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে সাবধান করাটা বেশি প্রাসঙ্গিক।

আকরাম খান চুপ কেনো?

সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিপিএল খেলার অনাপত্তি পত্র (এনওসি) যোগাড় করতে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান আকরাম খানের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি সাকিবকে বলেছিলেন বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে। নিজামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাকিবকে ফের আকরাম খানের সাথেই যোগাযোগ করতে বলেন। এ দফার যোগাযোগে আকরাম তাকে সিপিএলে খেলতে সমস্যা নেই জানিয়ে মৌখিক অনুমতি দিলেন এবং বললেন দেশে ফিরলে এনওসি সাইন করে দেবেন।

কিন্তু আকরাম খানের আশ্বাসে অনাপত্তি ছাড়াই সিপিএল খেলতে যাওয়াই যে ফাঁদে পা দেয়া তা টেরও পাননি সাকিব। সাকিবের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আকরাম খান চুপ কেনো? তিনি বিসিবি সভাপতিসহ অন্যান্যদের সাথে কথা/ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিনা, তা জানা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে ফর্ম হারানো তামিমকে দলে রাখায় আকরামের বিভিন্ন হস্তক্ষেপ নিয়ে নানা অসর্মথিত তথ্য নিয়ে প্রশ্নের মুখে থাকা আকরাম খানের উচিত ছিল মুখ খোলা।

বিসিবি সভাপতির 'ভাষা'

সাকিবের বিরুদ্ধে যখন শাস্তির ঘোষণা দিচ্ছিলেন বিসিবি সভাপতি ও সরকারদলীয় সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন, তখন তার ভাষা এবং সাকিবের প্রতি তার ক্ষোভ সবাই দেখেছে। পাপন সাহেব যতই পদমর্যাদা বা বয়সে বড় হন না কেন, তিনি যখন অফিসিয়ালি কোনো বক্তব্য দেবেন তখন তিনি নিশ্চয় নূন্যতম সন্মান প্রকাশ করবেন এটা আশা করা যেতেই পারে। কিন্তু বিসিবি সভাপতি পাপন তার বক্তব্যে সাকিবকে অসৌজন্যমূলক তুইতোকারির সম্বোধন করেবারবার ‘ও’ ‘ও’ বলছিলেন। তার কণ্ঠ থেকে যেন ক্রোধ ঝরে পড়ছিল।

সাকিবকে নিষিদ্ধ করার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘ওর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো শুনেছি...কতগুলো…এত অমানবিক মনে হয়েছে যে আমরা অনেকে ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। কীভাবে একটা মানুষ এমন করতে পারে!’
এটা অনেকটা দেশের রাজনীতির মতো, প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রী-রাজনীতিবিদ অনেক সময় বলে থাকেন যে আমরা জানি কারা ভিওআইপি ব্যবসা করছে বা সুইস ব্যাংকে টাকা কারা রেখেছে বা কারা বোমা মেরেছে। এসব বলার পরে তারা কোনো পদক্ষেপ নেন না। বিসিবি সভাপতি পাপন সাহেব কি সাকিবের সাথে সেরকম কোনো রাজনৈতিক 'ব্লেইম গেইম' খেলে আসছেন অনেকদিন আগে হতেই? কারণ সাকিব অমানবিক কিছু করলে এবং সেটা জানলে আগে কেনো পদক্ষেপ বা সাবধান করা হয়নি সাকিবকে? এসব প্রশ্ন কিন্তু এখন উঠছে এবং হয়তো পাপন সাহেব এসবের জবাব দিতে বাধ্য না বলে মনে হচ্ছে।

সাকিবের আচরণ

এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই যে, সাকিবের কিছু আচরণ চরম দৃষ্টিকটূ এবং একজন 'আইকন' খেলোয়াড় হিসেবে সেগুলো অন্যায়। চরম অসঙ্গতি এবং দেশজ চরিত্রের নেগেটিভ 'ভাইরাল' বিষয়গুলো দিয়ে কিছুটা হলেও আক্রান্ত সাকিব। দেশে তথাকথিত অভিজাত-ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা পেলে বেশিরভাগ সময়ই সুপিরিয়র কমপ্লেক্স এ ভোগেন। সাকিব তার আচরণ-কর্মকান্ডের জন্য ইতোপূর্বে শাস্তি এবং সর্তকতামূলক নির্দেশনা পেয়েছে, যা তার পাপ্য বলে অনেকেই একমত।

সাকিবের স্ত্রী এবং পাপনের ইভটিজার বন্ধুপুত্র

বিসিবি সভাপতি পাপন তার বক্তব্যে সাকিবের স্ত্রী শিশিরের সাথে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনাও উঠে এসেছে। তিনি সাকিবের শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন, গত ১৫ জুন ভারত ও বাংলাদেশের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের খেলা দেখতে গিয়ে সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে তার খণ্ডাংশ (সাকিবের শৃঙ্খলা ভঙ্গ)।'
১৫ জুন ভিআইপি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে আসা চার জন তরুণ সাকিবের স্ত্রীকে ইভটিজিং করে। নিপীড়নের ঘটনা জেনে বউকে হেফাজত করতে ছুটে যান সাকিব। এক অপরাধীকে ঘটনাস্থলেই কিল-ঘুষি দেন তিনি। এ ঘটনায় চার অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলাও করেন অলরাউন্ডার সকিব।

বিসিবি সভাপতি পাপন এ ঘটনার ইভটিজিং এর ঘটনা আমলে না নিয়ে সাকিবের আচরণ নিয়ে কথা বলেছেন। সাকিব বিসিবির চুক্তিভূক্ত ক্রিকেটার হলেও সে কিন্তু একজন মানুষ। মানুষ মাত্রই পরিবারের প্রিয়জনের প্রয়োজন-বিপদে মনে রাখবে না তার কারো সাথে চুক্তি আছে কি নাই। এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে বিসিবি প্রধান হয়েও তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের স্ত্রীর নিপীড়িত হওয়াকে পাত্তাই দিলেন না কেন? কিছু ইভটিজারের নিপীড়ন থেকে স্ত্রীকে হেফাজত করতে ড্রেসিং রুম ছেড়ে ভিআইপি গ্যালারিতে যাওয়া নাকি পাপনের চোখে ‘ধৃষ্টতা’!

ওই ঘটনার পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক জানা যায়, সাকিবের স্ত্রীকে নিপীড়ন করার সাথে জড়িত চার তরুণই কথিত অভিজাত পরিবারের সদস্য। তাদের একজন রাহিদ রহমানকে (২৩) গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর ১০ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া তরুণ ইভটিজিংয়ের মত ফৌজদারি অপরাধে জড়িত হলেও তিনি অভিজাত পরিবারের সন্তান। তার বাবা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বজলুর রহমান। এছাড়া অন্য তিন জন ইভটিজারও অভিজাত পরিবারেরই সন্তান। তাদের একজন হলেন চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় এক সাংসদের ছেলে। ঘটনাচক্রে এই অভিজাত টিজারদের একজনের বাবা বিসিবি প্রধান পাপনের বন্ধু। পাপন যেই ক্লাবের হয়ে ক্রীড়া সংগঠক পরিচয়ে বিসিবির সভাপতি হয়েছেন, ইভটিজারের বাবা আবার সেই ক্লাবের একজন পরিচালক। এও জানা যায়, জাতীয় ক্রিকেট দলের হোটেলে গিয়ে ব্যবসায়ী বজলুর রহমান ও তার স্ত্রী মামলা তুলে নিতে সাকিবকে চাপ দিয়েছেন।

জাতীয়-রাষ্ট্রীয়-রাজনৈতিক অনেক অনুষ্ঠানে যখন সাকিবের ব্যক্তিগত ইমেজকে কাজে লাগানো হয়, তখন বোর্ড কোনো প্রশ্ন না তুললেও তার ব্যক্তিগত জীবন আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধের শিকার হওয়ার সময় কী করেছে বিসিবি এবং বিসিবি সভাপতি? তিনি কি বোর্ড ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রভাবশালী বন্ধপুত্র কাম ইভটিজারকে সহায়তা করছেন? সাকিবের ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে যাওয়া ওই পরিস্থিতিতে বিসিবিসহ বিসিবি সভাপতি পাপন কি পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

অনেকে ভাবতেই পারেন ইভটিজার ইস্যুটাই সাকিব নিষিদ্ধের আসল রহস্য।


ক্ষতি কার? সাকিবের নাকি ক্রিকেটের?

ক্রিকেট দলগত খেলা হলেও ম্যাচ জিততে কারো না কারো বিশেষ ভূমিকা নিতে হয়। সেই ভূমিকা অনেকবার দেখিয়েই সাকিব আজ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিষয়টা এমন না যে, যে কাউকে হাজির করে তাকে সাকিবের মতো চুক্তি বা সুবিধা দিলেই সে সাকিবের মতো হতে পারবে। সাকিবের ব্যক্তিগত দোষ-ক্রুটি যেমন নজরে আনা জরুরি তেমনি সাকিবের মতো খেলোয়াড় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটাও নজরে রাখা দরকার। আশরাফুল থেকে শুরু করে সাকিব মানের খেলোয়াড় তৈরি করতে যে পরিমান ইনভেস্টমেন্ট (সময়-সুবিধা-অর্থ-দক্ষতা সব দিক থেকে) হয়েছে/হচ্ছে তা কিন্তু সবসময় সবার ক্ষেত্রে কাজে নাও লাগতে পারে।

নিজেদের তথা ক্রিকেটের স্বার্থে খেলোয়াড়দের প্রতি আরো যত্নবান হয়ে কাছে থেকে শুনে-বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই হয়তো বাস্তবসম্মত হবে। না হলে বার বার ভুলের ফাঁদে পা দেবেন সাকিবসহ বিভিন্ন খেলোয়াড় আর চুক্তির শক্তিতে শাস্তি কাম স্বজনপ্রীতি করতেই থাকবে বিসিবিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
অনলাইন ও ব্লগ থেকে অনুসৃত

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৩

খালা মনি বলেছেন: আজিজ ভাই যতদিন লীগ থাকবে পাওয়ারে ততদিন মুখবুজে থাকতে হবে।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: তাইতো দেখছি । ইতিহাস তো সাক্ষী দিচ্ছে এই বাংলায় কেউই স্থায়ী হতে পারেনি । গতকাল বলেছিলাম একটা রিট করে ইনজাংশান চাই এবং পেয়েও যাব কিন্তু আমায় বাচাবে কে??

Click This Link

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

াহো বলেছেন:

BNP JAMAT always tell a lie.
=======================

'গণহত্যা'র প্রমাণ মেলেনি: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
BBC


৫ এবং ৬ই মের ঘটনাবলীতে সব মিলিয়ে ৫৮ জনের মতো নিহত হয়েছে বলে দেখা যায়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ৫ই মে রাতে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো পুলিশি অভিযানে মৃতের যে সংখ্যা হেফাজত ও প্রধান বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকে করা হয় - তাদের অনুসন্ধানে তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

Click This Link

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ???!!!! এখানে কি সাকিব, পাপন ছিল ?

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাধারণ জনগণের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই গোপন কিংবা অজ্ঞাত থেকে যায়। সুন্দর বিশ্লেষণ। আমি এখন কনভিনস্ড যে ইভটিজার ইস্যুটাই সাকিব নিষিদ্ধের আসল রহস্য।

কিন্তু আকরাম খানের আচরণও রহস্যজনক। তিনি মুখ খুলছেন না কেন? সাকিব কেন এ ব্যাপারটা জোরালোভাবে মিডিয়াতে প্রকাশ করছেন না যে, তিনি আকরাম খানের মৌখিক অনুমতি পেয়েই দেশ ছেড়েছিলেন?

আরও একটি ব্যাপার আমার কাছে রহস্যময় ঠেকছে। ক্রিকেট টিমের মধ্যে কি কোনো একতা নেই/ছিল না? সাকিবের শাস্তিতে অন্যান্য ক্রিকেটাররা পাশে নেই কেন? নাকি তাঁরাও শাস্তির ভয়ে সাকিবের পাশে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছেন? নাকি সাকিব দূরে থাকলেই তাঁদের সুবিধা হয়?

এসব প্রশ্নের কোনো জবাব পাচ্ছি না বলে মনে হচ্ছে- ভিতরে আরও কোনো ঘটনা থাকতে পারে।

আপনার ফলো আপ পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: সাকিবের সাম্প্রতিক সময়ের আর্থিক উন্নতি এবং শাহরুখের দলের অভাবনীয় জয় ,সাফল্য , হেলিকপ্টার, সুন্দরী স্ত্রী সবই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল । আকরাম এতো খ্যাতির কাছাকাছি যেতে পারেনি বলেই সাকিবকে ট্র্যাপে ফেলেছে। এম পির ছেলেদের টিজিং কিন্তু আরেকটি টোপ যা সাকিব গিলেছিল । এভাবেই ওরা সাকিবের বেয়াদবি আবিস্কার করে বলল ব্যাটারে টাইনা নামাও । আরও কিছু রহস্য আছে যা আমরা জানিনা তবে আমার ধারনা খুব শিঘ্রি পি এম উভয়কে ডেকে মিমাংসা করিয়ে আদেশ বাতিল করাবেন এবং ক্রিকেট প্রেমিদের কাছে জনপ্রিয় হবেন। পাপন ও কামাল তো একটি সিটের ভোটার বিহীন নিরবাচনের এম পি । এখানেই হবে গুরুত্বপূর্ণ খেলা।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৮

হাদী নয়ন বলেছেন: আমাদের এই পপকর্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট কে ধংস করে ছারবে।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই@ আজ বাংলাদেশে কার ঘাড়ে কয়টা মাথা যে কথা বলবে এদের বিরুদ্ধে?

১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা চাইছি সাকিব যেন কোনমতেই তার ফিটনেস না হারায় । আরও ১০ বছর তাকে খেলতে হবে ।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৪৭

শেখ আজিজুর রহমান বলেছেন: সাকিবকে ফিরাতে আন্দুলন করতে হবে এবং সরকারকে হটাতে হবে।BNP ক্ষমতায় এলে পাপনের কানে দরে সাকিবের কাছে মাফ চাওয়াব।।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

দালাল বলছি বলেছেন: ৬ মাস নিষিদ্ধ মানলাম, কিন্তু দেড় বছর বিদেশী লিগে খেলতে পারবেনা, মানে কি? তোরে হাতে ও মারমু, ভাতেও মারমু। বিসিবি’র মনে রাখা উচিত এসি রুমে বসে এত মাতবরি এসব কিন্তু খেলোয়াড় আছে বলেই। তা না হলে খো খো ফেডারেশন এর মত মাছি মারতে হতো অফিসে বসে। যেই গাই দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া ও ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.