নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাউন্ড অফ করে ভিডিও দেখুন । হৃদরোগীরা দয়া করে দেখবেননা
একজন লঞ্চের সারেং খুব কৌশলী হয়ে থাকে পানির স্রোত, ঘূর্ণিপাক, নদীর গভীরতা এবং সর্বোপরি বাতাসের দিক নির্ণয় ইত্যাদিতে।সাথের ভিডিওটি মর্মান্তিক এবং দুর্ঘটনা যে ঘূর্ণিপাকে ঘটেনি তা পরিস্কার। একদিকের মানুষ আরেকদিকে গেছে এবং তাতে লঞ্চ কাত হয়ে ডুবে গেছে এটাই সত্য । আমি একটি সময় সময় বাচানোর জন্য আরিচা- দৌলতদিয়া লঞ্চে পার হতাম। কক্ষনোই ফাল্গুন-চৈত্র-বৈশাখ মাসে লঞ্চ চড়তাম না। ঈদ ফেরত মানুষরা এতকিছু খেয়াল করেন না। লঞ্চ মালিকরা যাত্রীদের বসার আয়োজন করতে পারেন না কিন্তু ঠেসে যাত্রি ওঠান। তাদের লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া থাকেনা । তারা আজ পর্যন্ত কেউই শাস্তির মুখোমুখি হননি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ।এক নৌ মন্ত্রী একদফা বলেছিলেন না পারলে বাড়ি যাইয়েন না।বাস দুর্ঘটনা বেশী ঘটে অনভিজ্ঞ বাস চালকের জন্য । কারন জিজ্ঞাসা করেছিলাম একজন সামরিক বাহিনীর গাড়ি চালকের কাছে। তিনি আমায় জানালেন সব কুশলী ড্রাইভার বিদেশ চলে যায় আর হেল্পাররা দ্রুত স্টিয়ারিং ধরে। খুবই গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন তিনি । অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় বাসের হেল্পাররা এখন সুকানির কাজ ধরেছে আর তাই এতো কান্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে গেছে।বারংবার এই ঘটনা ঘটে আর আমার মনে হয় কেন দুতিনটি ব্রিজ যে হয়না । জনগনের ব্যর্থতা নয় রাজনিতিকের নিষ্ক্রিয়তা এই অতিপ্রয়োজনীয় ব্রিজের ক্ষতিসাধন করে। ঢেউসংকুল অত বড় নদী আর হিমালয় ধেয়ে আসা বৃষ্টির পানির স্রোতের বিপরীতে এই লঞ্চ অকার্যকর । এগুলো ছোট নদীর জন্য চলনসই। বড় নদীতে আসন যুক্ত ফেরি থাকতে হবে। আবহাওয়া বদলাচ্ছে আর তাই কখন দ্রুত বাতাস এসে হাল্কা লঞ্চকে কাত করবে বলা মুশকিল। সবাই আসনে বসলেও কিছুটা রক্ষার সম্ভাবনা থাকে। সারেং বাতাসের তোড়ে যে ঢেউ তৈরি হয় তার কৌণিক মান বজায় রেখে লঞ্চ চালিয়ে থাকেন । তিনি চিৎকার করে সবাইকে বসে পড়ার নির্দেশ দেন। এ লঞ্চে সে সুযোগ হয়ত ছিলনা। মানুষ হত্যার এই প্রক্রিয়া আমাদের বঙ্গতটে শেষ হবেনা যতদিন দুর্বৃত্ত দল মাথার উপর বসে চিয়ার্স করতে থাকবে ।
হতভাগা লঞ্চযাত্রিদের জন্য কোন সান্তনা নেই এ বুকে।
এই সেই ভিডিওঃ
https://www.youtube.com/watch?v=2Rua19_I6tc
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: কাল রাতে ঠিক একই ঘটনা আমার হয়েছিল । আমি আশাই করিনি একুশেতে এটা দেখতে পাব।রাতে বুঝতে পারলাম সুগার বেড়েছে,,চারদফা টয়লেটে গেছি । রাতে ভয় পেয়েছি ক বার। যাহোক এটি ইউ টিউব এ বেরিয়ে গেছে ,বাংলা পত্রিকা লিঙ্ক দিচ্ছে। মানুষ একটু হলেও মৃত্যুর তীব্র চিৎকার শুনুক ।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
হেডস্যার বলেছেন:
বছরের পর বছর চলছে এই হত্যাকান্ড।
সংবাদমাধ্যমে আগে থেকেই এই বিষয়ে সরকার আর সবার দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। কে শুনে কার কথা !!
যথারীতি এবার ও তাই....লঞ্চ ডুবার পর ঘটা করে উদ্ধার তৎপরতা, ভিকটিম পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে কিছু টাকা ভিক্ষা, প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা।
খালি আয়োজন নাই এইসব বন্ধ করার।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: মানুষ হত্যার রুটিন বানিয়ে ফেলেছে লঞ্চ ও বাসগুলি ।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মুহাই বলেছেন: কাল ভিডিওটা দেখার পর থেকে ভাল লাগছেনা কিছু।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি আর পাচ্ছি। এবারই প্রথম কারো মোবাইলে ধরা পড়ল লঞ্চ ডুবি ও আর্তনাদের দৃশ্য ।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০০
টেকনিসিয়ান বলেছেন: মানুষ হত্যার এই প্রক্রিয়া আমাদের বঙ্গতটে শেষ হবেনা যতদিন দুর্বৃত্ত দল মাথার উপর বসে চিয়ার্স করতে থাকবে । ---সহমত।
প্রতি বছরই লঞ্চ ডুবে কিন্তু কোন শাস্তি বা লঞ্চ মালিককে লাশের আত্নীয়কে দেওয়ার জন্য কোন ক্ষতিপূরণ করেনি।
আরেকটি তথ্য শেয়ার করতে চাই তা হলো ইদানিং অল্প সময়ের ব্যবধানে ২টি বেসরকারী বিমানের ৩টি বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে বেচে যায় কর্তৃপক্ষ কোন রূপ শাস্তির বিধান করেনি বেসরকারী বিমান কোম্পানীকে।
মেরামতের পর ঠিকই লক্কর জক্কর মার্কা বিমানগুলোই আবার উড়তে থাকে যা ভাবতে অবাক লাগে।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: আজ থেকে ৩০ বছর আগেকার ব্রিটিশ বিমান ব্যাবহার হচ্ছে । আমরা সেকেন্ডহ্যান্ড নেশনে পৌঁছে গেছি ।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমেরিকা ইওরোপে ড্রাইভার গাড়ী দিয়ে মানুষ মারলে সেটাকে এক ধরনের হত্যা (হোমিসাইড) গন্য করা হয় আর প্রমান হলে গুরুতর শাস্তি নিশ্চিত। আমাদের দেশে বারো লাখের মত ড্রাইভার আছে যাদের কোন লাইসেন্স নেই, অর্ধেকের বেশী নৌযানের ফিটনেস নেই, চালকদের সারেংদের কোন প্রশিক্ষন নেই। বছরের পর বছর ধরে এরা মানুষ খুন করছে পাইকারী হারে। এদের কিছু বলতে যাবেন তো দুতিনটা মন্ত্রী এদের পক্ষে দাড়িয়ে যাবে, মায় শহিদ মিনারে গিয়ে মন্ত্রী নিজে আন্দোলন করেছেন সেটাও ঘটেছে। সুতরাং লন্চ ডুবে মানুষ মরতে থাকুক আর আপনি আমি দেখতে থাকি! সরকার রুস্তম পাঠাবে না সোহরাব পাঠাবে সে গবেষনা করুক।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০২
শাহ আজিজ বলেছেন: মারহাবা ,আল্লাহু আকবর !!
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৭
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
এ নিয়ে কিছু বলার নাই! বলেও কাজ হবে না! সরকার এভাবে মানুষ হত্যা করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করেন।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৪৯
শাহ আজিজ বলেছেন: অবস্থাদৃষ্টে তাই মনে হয়।তবে এবার জল মন্ত্রীর তিন ভাগ্নী জনগনের কাতারে পড়ে গেছে ।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: নামকরণের যথার্থ স্বার্থক্তা আছে। মাননীয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর বাস ট্রাক ড্রাইভারদের প্রতি বিশেষ সহানুভূতি আছে। সেক্টরে মিলছে না দেখে তাদের কে তিনি সরাসরি ড্রাইভিং লাইসেন্সি দিতে না পেরে লঞ্চের স্টিয়ারিং ধরিয়ে দিয়েছেন বললে অসম্ভব বলে মনে হবে না।
একমাত্র আমাদের দেশেই এরকম একটা নৌ-পরিবহবন কোন রকম সার্টিফিকেশন ও সার্ভে ছাড়া চলাচল করে। যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে সার্টিফাইড করা হচ্ছে না লঞ্চের মাষ্টারদের। BIWTC ভবনে বসে কোটি কোটি টাকা পকেটে ভরছেন এক একজন সার্ভেয়ার। কোন নীতিমালা নেই লঞ্চ চলাচলের।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২২
শাহ আজিজ বলেছেন: দেশ এখন দুইভাগে বিভক্ত । ১, লুটেরা শ্রেণী ২, ভুক্তভোগী
আমাদের কখনোই আর সুসময় আসবেনা।
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
এহসান সাবির বলেছেন: কিছু বলার নাই।
মনটা খুবই খারাপ হয়েছে ভাই।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: এবারই প্রথম একটা মর্মান্তিক লঞ্চডুবির দৃশ্য দেখে আমরাও বিপর্যস্ত মানসিক দিক দিয়ে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভিডিও শেয়ার করে কী হবে? মুছে দেন লিংক। এটা কালকে দেখে আমার ভয়াবহ রাত কেটেছে। একজন দুইজন না, ২০০ মানুষকে ডুবে যেতে দেখা! আমার দেখা সবচেয়ে শকিং দৃশ্য। আমার মত অনেকেই আক্রান্ত হতে পারে। আর যারা একান্তই দেখবেন তাদেরকে পরামর্শ দেবো সাউন্ড অফ করে দেখার জন্যে।