নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকার শ্যামবাজারের সাথেই বুড়িগঙ্গায় বিশাল একটি লঞ্চ পাশের ছোট একটি লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে তার ওপরে উঠে গেল । ভাগ্যিস নদীর পাড়ে সি সি টি ভি ক্যামেরা বসান ছিল । মুহূর্তেই ওটার ফুটেজ মিডিয়ায় চলে এল । কি সাংঘাতিক ! লঞ্চ ভারসাস লঞ্চ ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে । কিন্তু এটি টেনে হিঁচড়ে তারপর নিচে ফেলে ডুবিয়ে দিল বিশাল লঞ্চটি । আমি স্তম্ভিত হয়ে দেখছিলাম দৃশ্যটি । বড় লঞ্চের চালক পলাতক এবং সে যে লঞ্চ চালক নয় তার প্রমান সাথে সাথেই দিল নৌ পরিবহন সংস্থা । ৩৪ টি মরদেহ পাওয়া গেল সর্বসাকুল্যে । নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী বিশাল ক্রেন টাগ বোট আসতে গিয়ে মৈত্রী সেতুতে ধাক্কা দিয়ে আরেক দুর্ঘটনা ঘটাল । এইসব টাগ বোট মাস্টারদের পরিস্কার ধারনা থাকে তাদের ক্রেনের উচ্চতা এবং সব সেতুর নিচ দিয়ে যাতায়াতের সক্ষমতা । এই ক্ষেত্রে লঞ্চ এবং ক্রেন টাগবোটের চালকেরা চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে । সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ ছিল । আমাদের ডুবুরি বাহিনী সবচে হিরোয়িক বিষয় দেখাল বিশাল বেলুন ফুলিয়ে লঞ্চটিকে ভাসিয়ে তুলতে । আমি আগে কখনো এই বিষয়টি দেখিনি । এটি একটি মোক্ষম অস্ত্র ডুবে যাওয়া বাহনকে ভাসাতে এমনকি লঞ্চকে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে । চমৎকার , ধন্যবাদ সুঠাম দেহী ডুবুরিদের । তোমরাই হিরো বটে । আজ পর্যন্ত দেখিনি কোন লঞ্চ দুর্ঘটনার বিচার হতে । এটিরও হবেনা । ৩৪ টি পরিবারে দুঃখের ছায়া নেমে এসেছে । ছোট লঞ্চ বন্ধের উপদেশ দিচ্ছেন অনেকে কিন্তু সেটা মোটেও সুচিন্তিত সমাধান নয় । বরং বলি বড় লঞ্চের জায়গা হোক ব্রিজের পরে একটি পুরাতন ঘাট আছে সেখানে । আর লঞ্চের সারেং ? এটি নিয়ে কোন কথা হবেনা ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
শাহ আজিজ বলেছেন: নারায়নগঞ্জ থেকে একটা ব্রিজ বালুর চর থেকে ১০০ মিটার আগে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ২০১৪ অবধি । জানিনা কি হয়েছে ওটার । ওখানে কার্যোপলক্ষ্যে ছিলাম কিছুকাল । মুনশিগঞ্জ থেকে লঞ্চে যারা আসেন তারা সদরঘাট , নয়া বাজার , শ্যামবাজার , পাটুঁয়াটুলি এলাকায় কাজ সারেন । বাসে এলে খরচ বাড়ে এবং রাস্তা হয় দীর্ঘ । এখানে ছোট লঞ্চ ছাড়া উপায় দেখিনা । মানুষদের বেত মেরে উপায় বের করা যাবেনা । আধুনিকীকরণ জরুরি , কি যাত্রি কি সরকারের । সবার জন্য আইন মানা এবং সহজ যাতায়াত ব্যাবস্থা অত্যাবশ্যকীয় । ডুবুরিদের লাইফটাই রিস্কি কিন্তু বীমা নেই ।
২| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশে হাল চাষ হয় ছাগল দিয়ে তাই এমন বেহাল জমিনের।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: ছাগল তাও ভাল ছিল । এখন খরগোশ ব্যাবহার হচ্ছে ।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
মুজিব রহমান বলেছেন: ক্রেণের হিসাব রাখতে না পারা অভাবনীয় অর্বাচিনতা! েএতটুকু অনুমাণ না করতে পারলে কিভাবে চালক হয়?
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: এখানেই আসে পেশাদারিত্বের প্রশ্ন ।
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: যেই লঞ্চটা ডুবেছে সেই মালিককে জিজ্ঞেস করতে হবে লঞ্চটা কেন ডুবল? সমস্যাটা কোথায়? আমাদের একটা লঞ্চ ছিলো। পদ্মা নদীতে চলতো। সে বহু বছর আগের কথা।
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
মানতাশা বলেছেন: @শাহ আজিজ সিটিজেন জার্নালিজম
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: এনিথিং রঙ ????
৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দীর্ঘ আলোচনার ব্যাপার কিন্তু সংক্ষেপে বলছি। পৃথিবীতে যদি বিভিন্ন জাতির তালিকা তৈরী করা হয়, বাঙালীরা খুব সম্ভব তার তলানিতেই থাকবে। দেশে থাকতে খুব ভালো করে বুঝতে পারিনি, রাস্তায় চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকলে মনে হতো এ আর এমন কি! কিন্তু উন্নত দেশে গিয়ে মনে হলো, ওভাবে প্যাকেট যেখানে সেখানে পড়ে থাকা স্বাভাবিক নয়। পুরো বিষয়টাই একটা সমাজ তথা সমাজে বসবাসরত মানুষের চিন্তা-চেতনার বহিঃপ্রকাশ। বাড়ির মালিক অনেকেই আছেন, তবে সবার বাড়ির (ভেতর এবং বাইরের) সৌন্দর্য্য এক রকম নয়।
অযোগ্য লোকজন দিয়ে কাজ করালে সেটার মান ভালো হবে তেমনটা আশা করা অন্যায়। বাকি রইল, জনগণের কথা। আমদেরকে ভদ্রভাবে মুখে বলে, অনুরোধ করে কখনো কিছু করানো যায় নি। কারণ আমরা জাতি হিসেবে, অভদ্র এবং অলস। কারো ভদ্রতাকে আমরা বরাবরই তার দুর্বলতা ভাবতে পছন্দ করি। অবশ্য দু'চার ঘা পড়লে সেই আমাদেরই পারফরম্যান্স আকাশচুম্বী উচ্চতার পৌঁছে যায়। এগুলো সবই এক জীবদ্দশায় আমার অবজারভেশন।
টাগবোটের চালক বলুন বা লঞ্চের চালক বা সারেং বলুন, সব জায়গাতেই এইসব অযোগ্য লোকজনের আনাগোণা। একটা ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত সংস্থা বা মন্ত্রনালয়ের সবাই কাঁথামুড়ি দিয়ে থাকেন। বেলা করে অফিসে আসেন, সবার আগে চলে যান, মাস শেষে বেতন তুলেন, বাসায় ভালো মাছ-ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন, সরকারি খরচে ট্রেনিং এর জন্য বিদেশে যান, বছর বছর মেডিওকার বাচ্চা পয়দা করেন, তাদের ভালো স্কুলে পড়ান। দিন শেষে তারাও তাদের পৈত্রিক পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। এই চক্রের শেষ কোথায়?
আইন আছে, কিন্তু কোন নিয়ম এর অনুসরণ হচ্ছে কিনা তার কোন চেকিং নেই, হলেও সেখানেও দুই নম্বরি। ভুল তথ্য দিয়ে, ঘুষ সনদ নেয়া, বা সনদ জাল করা এইসব দেখতে দেখতে ঘেন্না ধরে গেছে। এখন মনে হয়ে দুই নম্বরি লোকজন ধরা পড়ার সাথে সাথে সোজা ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে মলম না লাগালে এর আর কোন সমাধান নেই। আইন থেকেও যদি সেটার বাস্তবায়ন না হয় তবে সেই আইন করার মানে নেই। যারা বসে বসে আইন করছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই দুইনম্বরি ধরা পড়েছে, অনেকের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। তাই মনে হয় এই জাতির রিসেট বাটন দরকার, আরেকটা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রয়োজন, কিছু দেশী রাজাকারের সমূলে উৎপাটন প্রয়োজন।
দুঃখিত! মন্তব্য দীর্ঘ করার জন্য। কিন্তু এই দেশ কারো একার না, কারো বাপের না, কারো পৈত্রিক সম্পত্তি না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: একজন মানুষ চাকুরি পেয়েই মনে করে বাকি জীবনটা আমোদেই কাটাব । নষ্টের শুরু এখানেই । রিফরম চাই । অযোগ্য লোকদের বিদায় এবং ভাল বেতনে যোগ্যদের নিয়োগ । আমি এছাড়া কোন রাস্তা দেখিনা ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লঞ্চডুবিতে সঠিক মৃত্যু সংখ্যা গত ৫০ বছরেও বাংলাদেশে বলা হয়নি, ৩৪ জন এর দ্বিগুণ হতে পারে। মৃত লাশ উঠাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কতো ডুবুরি নিজে লাশ হয়ে গেছেন তার পরিবার ব্যতিত বাংলাদেশ কখনো মনে রাখেনি।
মুন্সিগঞ্জ চ্যানেলে বড় লঞ্চ থেকে ট্রলার ও ইঞ্জিনের নৌকাতে যেভাবে যাত্রী পারাপার করেন তাতে মনে হয় যাত্রীদের পাহাড়ি বেত দিয়ে সকাল বিকাল মাইর দেওয়া উচিত।