নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Blanching (ব্লাঞ্চিং)
বিষয়বস্তু সংগৃহীত
অনেকের কাছে শব্দটি নতুন মনে হলেও কাজটি নতুন কিছু নয়। আসলে এটি শাক-সব্জী ও ফলমূল সংরক্ষনের একটি সহজ প্রস্তুতিমূলক কাজ। এ পদ্ধতিতে সবজী ও ফলমূল ফুটানো পানিতে কিছুক্ষণ রেখে জীবানুমুক্তকরণ, শীতলীকরণ ও ধৌতকরণ করা হয়। এর ফলে শতকরা ৯৯℅ এরও বেশি জীবানু মারা যায় বলে জানা গেছে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে অনেকে এসব খাদ্য খেতে ভয় পাচ্ছেন। আবার অনেকে সাবান পানি বা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার বা ধৌত করছেন। কিন্তু তাতে সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়া সহ নতুন কোন স্বাস্হ্যঝুঁকি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে ব্লাঞ্চিং পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ। এ প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ-
১) ফল, কান্ড বা মূলজাতীয় সব্জী ফুটানো গরম পানিতে ডুবিয়ে ২-৫ মিনিট রেখে দিন। সব্জীর প্রকারভেদে বা এর খোসার পুরুত্ব অনুসারে সময় নির্ধারণ করুন। তারপর ঠান্ডা বা শীতল পানিতে ততক্ষন ডুবিয়ে রাখুন যতক্ষণ এর গরম ভাবটা চলে না যায়। অতঃপর ভালভাবে ধুয়ে, খোসা ফেলে প্রয়োজনমত টুকরা করে বক্সে ভরে ফ্রীজারে রেখে দিন। এভাবে সংরক্ষিত সবজী ৬ মাস বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত খাওয়া যায়।
২) #স্টীমিং- পাতাজাতীয় শাক এবং যেসব সব্জী খোসা না ফেলেই রান্না করা হয় সেগুলি সরাসরি ফুটানো পানিতে না দিয়ে জলীয় বাষ্পের মাধ্যমে স্টিমিং করা যায়। একটা মাঝারী হাড়িতে ২/৩ অংশ পানি ভরে চুলায় বসিয়ে পানি ফুটান। পানি থেকে বাষ্প উঠতে শুরু করলে একটা ছিদ্রযুক্ত ঝাঁঝরিতে শাক বা সবজী নিয়ে তা ফুটন্ত হাড়ির উপর বসিয়ে ঢেকে দিন। শাক বা সবজীর প্রকার ভেদে ২-৫ মিনিট বাষ্পায়িত করার পর, ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে শীতল হওয়ার পর ভালভাবে ধুয়ে রান্নার জন্য টুকরা করুন বা বক্সে ভরে পূর্বের ন্যায় সংরক্ষণ করুন।
#লক্ষ্যণীয়- এতে যেন কোন শাক-সবজী সিদ্ধ বা নরম হয়ে না পড়ে সেজন্য সময় নির্ধারণ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩) একইভাবে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ফলও ব্লাঞ্চিং এর মাধ্যমে অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তবে বেশি পাকা বা নরম ফলের ক্ষেত্রে বাষ্পায়ন পদ্ধতি প্রযোজ্য এবং সেক্ষেত্রে খুব অল্প সময়ে সাবধানতার সাথে কাজটি করতে হবে।
#শেল্ফ-লাইফ- উল্লেখ্য যে, ব্লাঞ্চিং বা স্টীমিং পদ্ধতির মাধ্যমে শাক-সব্জী ও ফলমূলে বিদ্যমান এনজাইম বা উৎসেচক সমূহের কাজ বন্ধ বা মন্থর হয়ে পড়ে। তাই এগুলির বিনষ্ট হওয়ার গতি হ্রাস পায় এবং সংরক্ষণ সময় বা শেল্ফ-লাইফ বৃদ্ধি পায়।
# ভাইরাসমুক্ত করার জন্য পানির তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রী ফাঃ এর কাছাকাছি হলেই চলবে এবং সময়ও ২-৩ মিনিটই যথেষ্ট। আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: টাটকা ভাব অক্ষুন্ন থাকা সম্ভব না। কিন্তু কিছু করার নাই। বাঁচতে হলে এমনই জরুরী।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: আপাতত টাটকা খেতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে । এভাবেই চালান ।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাপমাত্রা কি ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট? মনে চ্ছে, সে: হতে হবে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার চুলার পাশে কোন মিটার নাই তবে বুঝি রান্না করার তাপ ২০০র কম না ।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অনেক কঠিক কাজ এটা।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: কঠিন ? না সঠিক ?
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
জুন বলেছেন: আপনার বর্নিত পদ্ধতিতে বহু বছর ধরেই শীতকালীন সব্জি যেমন মটরশুঁটি, টমেটো,ফুলকপি গাজর টুকরো করে ফ্রিজে রাখতাম অন্য মৌসুমে খাবার জন্য । কিন্ত ইদানীং এই করোনা নাকি ফ্রিজের ঠান্ডায় হিমায়িত মাছ মাংসের সাথে অনেকদিন বেচে থাকে সুতরাং এমন করে খাওয়াটা কি নিরাপদ নাকি জানাবেন। নাহলে দুটি রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করতে হবে
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি এবং আমরাও একি পদ্ধতিতে সংরক্ষন করতাম । এখন ওগুলো আমার মেয়েই ম্যানেজ করছে , শেষে ঠাণ্ডা পানিতে রেখে , ৫/৬ ঘণ্টা ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে তারপর নরমাল ফ্রিজে ফ্রেশ পলিতে । কন্যা সব্জি তিনদিনের জন্য কেনে হিসাব করে , কাজেই খুব ঝামেলা দেখিনা । পলি প্যাক ঠিক থাকলে ভাইরাস সংক্রমনের আশঙ্কা নেই । তাছাড়া প্রথমেই গরম পানি পরে ঠাণ্ডা পানির ট্রিটমেন্ট এবং শুকিয়ে নিলে আশা করি ঝামেলা হবে না ।
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
জুন বলেছেন: তা নয় আমি ভাবছি মাছ মাংস তো কাচাই সংরক্ষণ করছি। এই মাছ মাংস থেকে আবার সব্জি সংক্রমিত হবে কি না এটাই জানার বিষয়।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ফ্রেশ শুকনা পলি প্যাক নিরাপদ । কয়েকটি প্যাচ দিয়ে বাতাসহীন করলে ভাল । যে কোন প্যাকেট খোলা থাকাই বিপদ । কোন জীবাণু পলি প্যাক ভেদ করতে পারে বলে শুনিনি ।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আমি এই পদ্ধতিতে সবজি সংরক্ষন করি ৭-১৫ দিনের জন্য। আমরা যারা প্রবাসে সকাল-সন্ধা কাজ করি এবং সবজি কেনা ও রান্নার জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে থাকে না তাদের জন্য এই বুদ্ধিটা ভালোই। সেদ্ধ করার সবজি আর ভাজি করা মাছ থাকলে রান্না করতে সময় বেশি সময় লাগে না।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
রাতুল_শাহ বলেছেন: সামনে কোরবানীর মাংস কিভাবে কি করবো বুঝছি না। প্রতিবেশী আত্নীয় স্বজনের সাথে মাংসের বিনিময় হবে। কোরবানী মাংস নিয়ে কোন পরামর্শ থাকলে, বলেন, আমরা উপকৃত হয়।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: এই ব্যাপারে কোন উপদেশ নেই । আমরা কারো দেওয়া মাংস নেবনা বলাটা অশোভন তবে গেটে রেখে দেব এবং সন্ধায় পূর্ব নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তিদের দিয়ে দেব । বিপদ আপদ বাড়িয়ে লাভ নেই । কোরবানি জীবনে অনেক এসেছে আরও আসবে । আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও বিজ্ঞ ।
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০১
পদ্মপুকুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আমার বাসায় ডিটারজেন্ট থেরাপি চলছে। মাঝে মাঝে সিরকা মেশানো পানি দিয়েও ধোয়া হচ্ছে। কিন্তু দুই পদ্ধতিতেই ফরমালিন মুক্ত হয়ে যাওয়ায় সব্জী দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এখন পানি বেশি গরম হলে তো সব্জী সেদ্ধ হয়ে যেতে পারে আবার কম গরম হলে ভাইরাস মরবে তো? ৬০ না ৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম হওয়ার একটা বিষয় আছে বোধ হয়...
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৬
শাহ আজিজ বলেছেন: পানি ফুটতে শুরু করলে তা নামিয়ে তরকারি দিয়ে নেড়ে ঝাঁজরি কিছুতে ওঠাতে হবে । পর্যায়ক্রমে বাকি সব্জি একি ভাবে জীবাণু মুক্ত করে সাথে সাথে ঠাণ্ডা পানিতে রাখলে ভাল হয়। ঝরা দিয়ে ফ্যানের নিচে শুকানোর পর ফ্রেশ পলিতে ঢুকিয়ে নরমাল ফ্রিজে রাখতে হবে । ভেজা তরকারি কিন্তু ফ্রিজে নষ্ট হয় । সময় নিক কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে ।
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিরাট ঝামেলার কাজ, তবে উপকারী ।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাইরাস যা কয় তাই শুনতে হবে ।
১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টটির জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ওয়েলকাম
১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলাদেশে গ্রামে কৃষকদের জমি হতে টাটকা সবজি পাওয়া যেতে পারে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: বিষমুক্ত করে নিতে হবে । রাসায়নিক সার , পোকা মারার ওষুধ মারাত্মক খারাপ শরীরের জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: না আজিজ দা
ভাল একটা পদ্ধতি