নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
করোনার আঘাতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি এখন ধুঁকছে৷ কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদস্তুর সচল হবে তার কোনো ঠিক নেই৷ জিডিপি প্রবৃদ্ধি দূরে থাকুক, দেশগুলো তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে৷ আর সেখানে ভেলকি দেখালো চীন৷
ডিসেম্বরের শেষ দিকে দেশটিতে প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু৷ এরপর হুবেইসহ বিভিন্ন প্রদেশে কড়া লকডাউন আরোপ করে সরকার৷ ব্যবসা-বাণিজ্য, কারখানাসহ বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড৷ এ কারণে জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে জিডিপি ছয় দশমিক আট শতাংশ কমে গিয়েছিল, যা ১৯৬০-এর দশকের পর সর্বনিম্ন৷মার্চ থেকে চীনে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে শুরু করে৷ এপ্রিলে তুলে নেয়া হয় লকডাউন, খুলে দেয়া হয় শিল্প কারখানাগুলো৷ পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে শেষ প্রান্তিক, অর্থাৎ, জুন পর্যন্ত তিন মাসে চীনের অর্থনীতি তিন দশমিক দুই শতাংশ বেড়েছে৷ জেপি মর্গান অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তা মার্সেলা চৌ এক প্রতিবেদনে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন তারা৷
অর্থনীতি যে বছরের প্রথমার্ধ থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটি উল্লেখ করেছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোও৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত দ্রুত কী করে তা সম্ভব হয়েছে?
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অন্য দেশগুলোর তুলনায় চীন ধাক্কাটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে৷ কেননা, করোনা ঠেকাতে তারা অভুতপূর্ব তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছিল৷ অন্যদের তুলনায় তাই সংক্রমণও কাটিয়ে উঠতে পেরেছে দ্রুত৷ বড় আকারের শিল্প থেকে শুরু করে অন্য খাতগুলোও এখন স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরেছে৷ তবে সমস্যার বিষয় হল চাকরি হারানোর শঙ্কায় মানুষ আর আগের মতো হাত খুলে কেনাকাটা করছেন না৷ আবার সিনেমা, পর্যটনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে এখনও কড়াকড়ি রয়েছে৷
তারপরও চীন যা দেখিয়েছে তা গোটা বিশ্বের বাঘা বাঘা সব অর্থনীতির জন্যই ইর্ষণীয়৷ পিএনসি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর বিল এডামস মনে করেন, মহামারি এখন বিজয়ী আর পরাজিত নির্ধারণ করে দিচ্ছে৷ আর চীনের জয়ী হওয়ার পেছনে অবদান রাখছে তার শিল্প উৎপাদন খাত৷
ডি ডাবলু থেকে কপি করা
১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ওটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ । দেশে কর্মজীবী মানুষ তথা ক্রয়ক্ষম লোকের সঙ্খ্যা বাড়লেই শুভ লক্ষন ।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ওদের সরকার খুব তৎপর। যেটা অনেক পশ্চিমের দেশও মনে হয় পারে না। করোনার ক্ষেত্রে এটা বেশী দেখা গেছে।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: এখানেই কতৃত্ববাদী শাসনের সুফল । গনতন্ত্র এখানেই বিফল । নেতারা পেশাজীবী এবং তাদের দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা আছে ।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হুজ্জতে বাঙ্গাল, হেকমতে চীন।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: হুজ্জত খুব যত্ন করেই বানানো হয়েছে বলেই বিশ্বাস করি । নাইলে যেদেশে হালচাষ করে ধান ছিটিয়ে দিলেই ব্যাস , সেখানে সততা এখন নির্বাসিত । এই মহামারীতে বস্ত্র উন্মোচন হয়েছে হুজ্জতের । আমাদের লজ্জা নেই ।
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চীন যে ইরানের সাথে ডলার বাতিল নিয়ে চুক্তি করছে । তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে লিখবেন
১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: পড়েছি , বিস্তারিত পড়ে লিখব । এটা রাজনৈতিক কৌশল । গাদ্দাফির রাস্তায় হাঁটলে বিপদ দুই দেশেরই ।
৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: এই নিউজটা আজকে আল জাজিরায় দেখলাম। করোনার সময়ই চীনা প্রেসিডেন্ট ইউরোপের কয়েক বিলিয়ন ডলারের শেয়ার কেনার নির্দেশ দিয়েছিলো। তারা অর্থনীতির ব্যাপার গুলো ভালো বুঝে।
আমাদের দেশে প্রচুর ভারতীয় আর চাইনিজ ইঞ্জিনিয়ার- লেবার কাজ করে। মেগা প্রজেক্টগুলোতে আমরা আমাদের শ্রম বাজারকে কাজে লাগাতে পারছি না। তার একমাত্র কারণ দক্ষতার অভাব এবং প্রযুক্তির সাথে আমাদের পরিচিতি কম।
তবে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা এবং টেকনিসিয়ান ও ইলেকট্রিসিয়ানরা অনেক প্রজেক্টে আত্ননির্ভরশীলতা আর দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। চাইনিজ ভারতীয় ছাড়াই আমরা অনেক প্রজেক্ট তুলতে সক্ষম।
এই শ্রম বাজারে অনেক আগেও দক্ষ লোক থাকতো, যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জব মার্কেটের সম্পর্ক থাকতো । বিশ্ববিদ্যালগুলোকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।
১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: এটি এখন টপ নিউজ ।
বিবিধ প্রজেক্টে লোণের সাথে শর্ত থাকে বিশেষ করে প্রকৌশল কাজে তাদের দক্ষ জনশক্তি নিতে হবে । আমাদের লোকগুলি নানা অপাংক্তেয় কর্মে দক্ষ । আমি এদেশের অনেক কাজে যুক্ত থেকে দেখেছি আমাদের জনশক্তি তৈরি করে নিতে হয় । তারাও একাধিক প্রজেক্টে কাজ না পেয়ে ফিরে যায় । টাকার বিনিময়ে কাজ দেয় বাঙালি সুপারভাইজার । আমাদের মানুষদের সম্পর্কে ওরা আগে থেকেই জানে । জনশক্তি তৈরি হয় মধ্যপ্রাচ্যে ড্রেন সাফ , রাস্তা ঝাড়ুর জন্য । কিছু সংখ্যক মানুষ ভাল পদে কাজ করে । হোপায় ইতালির কামলাগো হামলা দেখলাম । মাথা নিচু হয়ে যায় । গ্রামে থেকে বাঁদরামি শেখে ভাল কিন্তু প্রজেক্টে এসে একদম নেতিয়ে পড়ে । আমি ভাল দক্ষদের কাজে লাগিয়েছি তারপরও প্রজেক্ট ম্যানেজার ভাল না । এই যে পাটকল ওই শ্রমিকদের হাতে ছোট ছোট মালিকানায় ছেড়ে দিক , ওরা উন্নতি করতে পারবে । কিন্তু প্রেস্ক্রিপশন আসে বাইরে থেকে এবং তা শুনতে হয় । বিশ্বব্যাঙ্ক ভর্তি ভারতীয় আর চীনা দিয়ে । সুবিধা তো তারাই নেবে । এ অনেক গল্প ।
৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের নেত্রী মনে হয় কতৃত্ববাদী শাসনের রাস্তাতেই হাটতে চাইছেন।
১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২২
শাহ আজিজ বলেছেন: চীনের নেতৃত্বের কর্মভিজ্ঞতা এতই বেশী যে তারা কতৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটলে তা মানায় । আমাদের কিই বা আছে সে তুলনায় । একজন নেতা নেত্রীকে দেখান যার জীবন একটি মিল কারখানা চালানোর , একটি ছোট খাট অফিস পরিচালনা , মায় কি নিজ পরিবারকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে নেবার অভিজ্ঞতা আছে । আমরা এই মহামারী সময়ে সবার পরিচয় পাচ্ছি এক ভিন্ন আবহে যা বেদনাদায়ক ।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ভেলকি সামনের দিন গুলোতে আমাদের দেশেও দেখবেন।
১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: কি ধরনের ভেলকি তা একটু খুলে বললে ভাল হত ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
চীনাদের অর্তনীতিতে আপনীতি ও অসমতার সৃষ্টি হয়েছে; ফলে, ইহাকে ভালো বলা মুশকিল হবে।
তবে, তারা ম্যানুফেকচারিং টেকনোলোৈিতে এমন উঁচুস্তরে চলে গেছে যে, যদি বেহেশত, বা দোযখের রিনোভেশানের দরকার হয়, আল্লাহ কাজটা ওদেরকেই দেবেন।