নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০২০ সালের হজ পর্ব

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২০






বেশ আগ্রহী হয়ে উন্মুখ ছিলাম এবারের ১০০০ এক হাজার মানুষের হজ কেমন হবে । কাল রাতে হারামাইন টি ভি দেখে চমকে উঠলাম । অসাধারন দৃশ্য, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে হজ পালনকারীরা তাওয়াফ করছেন । কয়েকজন বাদেই নিরাপত্তা রক্ষীরা তাওয়াফের হাজীদের সাথেই হাঁটছেন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে । আমি হজ পর্ব দেখি বেশ আগ্রহ নিয়ে অনেক আগে থেকে । এখন হারামাইন টি ভি তে প্রতি ওয়াক্তের সালাত লাইভ দেখা যায় মক্কা এবং মদিনা উভয় জায়গায় । কাল অনেক রাত পর্যন্ত দেখেছি আর সৌদি রাজাদের অদ্ভুত রকমের স্মার্টনেস দেখে আপ্লুত আমি । আমার পুত্র গেল ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে উমরাহ করেছে তার খালার সঙ্গী হয়ে । এবছর আমি প্লান করছিলাম কন্যা আর জামাইকে নিয়ে উমরাহ করব কিন্তু আটকে গেলাম মহামারীতে । আমার প্রয়াত পিতা ১৯৫৩ আর ১৯৫৯ সালে দুবার হজ করেছেন । তার আনা কিশওয়ার টুকরো তার মৃতদেহের সাথে বেধে কবরে শোয়ানো হয়েছিল । এটি তার ইচ্ছেতেই করা হয়েছে । প্রতি বছর নতুন কিশওয়া বানানো হয় । সেই আমলে তা টুকরো করে হাজীদের মধ্যে দেওয়া হত অর্থের বিনিময়ে । ৫৯ সালে বাবা চিটাগং থেকে জাহাজে চড়ে জেদ্দা যাওয়া , হজ পালন এবং ফেরার পুরো বর্ণনা একটা ছোট ডায়রিতে লিখেছিলেন যা এখন আমার কাছে গচ্ছিত । বাবাকে হাজীদের ক্যাপ্টেন বানিয়ে দিয়েছিল বাকি হাজিরা । সার্বক্ষণিক হাজীদের দেখাশুনা , খাওয়া, ওষুধ আয়োজন ইত্যাদিতে মনোযোগী থাকতে হত তাকে । একটা সামুদ্রিক ঝড়ের বর্ণনা এবং একজন হাজি জাহাজেই মারা গেলে তার মৃতদেহ পানিতে ভাসিয়ে দাফন করার বর্ণনা আছে সেখানে ।
এবারের হজ ভিন্নমাত্রার । কেউ যাতে আক্রান্ত না হয় তার সর্বোচ্চ ব্যাবস্থা নিয়েছে সৌদি রাজা/ বাদশাহ গন ।
বনু আল শাইবা বংশের লোকেরা কাবা শরীফের চাবি সংরক্ষন করেন । শাইবা বনু হাশিম যাকে মুসলমানরা আব্দুল মুত্তালিব নামেই জানে , নবী মুহাম্মদের দাদা ছিলেন । এবার কাবা শরীফের দরজার চাবি প্রথম বারের মত দেখলাম । সাথে ছবি দিয়ে দিলাম ।








সালেহ আল শাইবি । কাবা শরীফের রক্ষনাবেক্ষনকারি ও চাবির রক্ষক ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আগাম কুরবানী ঈদের ঈদ মোবারক দাদা

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ । মহামারী সময়ে খুশি নেই মনে । ইদে কিছুই করিনি । মেয়ে ভাগে কোরবানি দিচ্ছে । আমরা অসহায় ঘরে বসে আছি । এই বিপদ কমে যাক এই প্রার্থনা আল্লাহতায়ালার কাছে ।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই হজ্বের উছিলায় পৃথিবী থেকে করোনা দূর হয়ে যাক।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: নাস্তিকদের সৃষ্টি এত সহজেই যাচ্ছে না ব্রাদার

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নামকওয়াস্তে হ্জ্জ হচ্ছে,
শুধু মক্কার কিছু লোকই হজ্জে অংশ নিচ্ছে।
এরা মুলত হারেম শরিফের ভেতরের ও পাসে থাকা পাহারাদার, মেইটেনেন্স কর্মচারি, মোয়াল্লেম, হজ এজেন্ট, পরিচ্ছন্নতা কর্মি, ইলেক্ট্রিশিয়ান।
এরা প্রশিক্ষিত তাই নিখুত শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে হজ তাওয়াফ করছেন

৩০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: এছাড়া উপায় নেই । সবাই তটস্থ করোনার ভয়ে । যারা তাওয়াফ করছেন তাদের নিশ্চয়ই হেলথ চেক হয়েছে শুরুতেই । আরবে বসবাসরত কয়েকটি দেশের কিছু মুসলিম সুযোগ পেয়েছে হজ করার জন্য । ভাল করেছে পতনশীল পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে ।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার এক খালা ১৯৮৫ সালের দিকেও জাহাজে করে হজে গেছেন। এবার হজে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী দলের খবরদারি বেশী হবে। হাজিদের স্বাধীনতা কম থাকবে। তবে হাজির সংখ্যা কম থাকায় কষ্ট কম হবে। তবে কিছু করার নাই। সবার ভালোর জন্য এছাড়া উপায় নাই।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন । আমার বাবা তার আগে ৫৩ সালে বোম্বে থেকে জাহাজে গিয়েছিলেন । বাংলাদেশের স্বাধীনতার কিছু পরে প্লেন এবং জাহাজ দুটোই চালু হয় ।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার প্রয়াত পিতার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসিব করুন।

আমার নানা সম্ভবত ১৯৭৪-৭৯ - এ সময়ের মধ্যে হজে গিয়েছিলেন জাহাজে করে। অনেক সময় লেগেছিল জাহাজে।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: স্বাধীনতার পরে ওই সময়ে জাহাজ এবং প্লেন চালু ছিল । জাহাজে বেশ সময় নিত কারন জাহাজ কলম্বো , বোম্বে , করাচি , মাস্কট হয়ে কয়লা ভরে যেত । জেদ্দা থেকে মক্কা পুরাতন জিপ গাড়ি , থাকার ব্যাবস্থা তাবু , মক্কা টুঁ মদিনা পায়ে হেটে বা জিপে যেত । পথে ডাকাত অপেক্ষা করত । ৬২ সালে সউদ রাজা সব ডাকাত মেরে ফেলল তারপর আর ডাকাতি হয়নি । সবাই ইদের পরই রওনা হত এবং আগেই পৌঁছে যেত । আবার হজ শেষে জেদ্দায় অপেক্ষা জাহাজের জন্য । তিন মাস মিনিমাম লাগত ।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০২

মা.হাসান বলেছেন: কম সম্বল সম্পন্ন মানুষ আগে পায়ে হেঁটেও হজে গিয়েছেন শুনি। সে সময় মানুষের আন্তরিকতা ছিলো, মুসাফিরদের থাকা খাওয়ার সমস্যা হতো না। তবে রাস্তায় দস্যু আর পানির কষ্ট ছিলো। খলিফা হারুন আল রশিদের স্ত্রী জোবেদা নবম শতকে জোবেদা খাল খনন করেছিলেন। পরে উনিশ বা বিশ শতকে ঐ খাল সংস্কার করা হয়, ঢাকর নবাবরা বড় অঙ্ক দান করেছিলনে। তখন সৌদি খুব গরিব দেশ ছিলো।

সত্তর দশক থেকে মনে হয় উড়ো জাহাজে যাত্রির সংখ্যা বাড়তে থাকে। পানি যাহাজে হজ যাত্রা কেমন হতে পারে সে সম্মন্ধে আমাদের প্রজন্মের (৭০ এর দশক বা এর পর জন্ম নেয়া) কারোরই মনে হয় ধারনা নেই ।

আপনার বাবার ডাইরিটা পর্ব আকারে ব্লগে দিলে অনেক অজানা জিনিস জানা হতো।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: বঙ্গ থেকে সামান্য মানুষ যেত মানে আরবিয় মোয়াল্লিম আসত পার্টি ধরতে । তখন পায়ে হেটে , ঘোড়া , গাধার গাড়িতে , উটে চড়ে ৪/৫ মাস পরে কাফেলা পৌঁছাত মক্কায় । বঙ্গ, বিহার , ইউ পি , লাহোর থেকে মানুষ এই কাফেলায় যুক্ত হত । অনেকে পথে মারা যেত । তাদের পরিবারের কাছে কাপড় চোপড় ফেরত নিয়ে আসত মোয়াল্লেম । বাস্প জাহাজ চালু হলে একটু সুবিধা হল । এরপরতো উড়োজাহাজ যুক্ত হল । নবাবের স্ত্রী ৫০ সালে জমজম কুপের জন্য রিয়াল দান করেছিলেন ।
ডায়রিটা দেখি কিভাবে উপস্থাপন করা যায় ।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ৬ নম্বর মন্তবে সহমত জানাচ্ছি, যদি সম্ভব হয় তাহলে বাবার ডায়রি-টা ব্লগে শেয়ার করবেন।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ডায়রিটা দেখি কিভাবে উপস্থাপন করা যায় ।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা পড়ে খুব ভাল লেগেছে। ছবিগুলোও চমৎকার দিয়েছেন।
আপনার বাবার ডায়েরীটার কথা জেনে সেসব তথ্য জানার কৌতুহল বেড়ে গেল।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ডায়রিটা দেখি কিভাবে উপস্থাপন করা যায় ।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোম্বাই হাজী বলে একটা কথা প্রচলিত ছিল। যারা বোম্বাই যেয়ে জাহাজ না পেয়ে হজ না করে ফিরে এসে বলত যে তারা হজ্জ করেছে সম্ভবত এদের বোম্বাই হাজী বলা হতো।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা আমাদের পাড়ার কিছু যুবক পেছন থেকে আমাদের কাছে বাবাকে বোম্বাই হাজি বলত । ওইবার জাহাজ ফেইল করার পর বছরই চিটাগং থেকে জাহাজ শুরু হয় । মনে হয় এদিক থেকে খুব কম যাত্রীই যেত হজ সমাপন করতে । আস্তে ধীরে এখন এমন হয়েছে যে সুযোগ পেলে এই বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ মানুষ হজে যাবার জন্য প্রস্তুত । সারা বছর প্রচুর মানুষ উমরাহ করতে যায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.