নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গেল পরশু বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠের সীমানায় দেওয়াল দিতে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসী , বোলপুরের রাজনৈতিক কর্মী এমনকি পুরসভার বিধায়ক পর্যন্ত দেয়াল ভাঙ্গা এবং মিছিলে অংশ নিয়েছে । খুবই মর্মান্তিক ঘটনা নিঃসন্দেহে । জেনে দেখলাম জায়গা বিশ্বভারতীর কিন্তু বাধা কেন এলো স্থানিয়দের পক্ষ থেকে ?
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের যাত্রাপথে বোলপুরের এই বিরান এলাকায় ছাতিম তলায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে তালগাছের সমাহারে তার বড্ড ভাল লাগল । জানলেন এই জমি সাওতালদের । ডেকে আনা হল সাওতাল গোত্র প্রধানকে । জমিদার দেবেন ঠাকুর শুধোলেন তোমাদের এই জায়গা বড়ই মনোরম , এখানে আশ্রম খুলতে চাই বিশ্রামের জন্য । সাওতাল প্রধান বললেন বাবু কতটুকু লাগবে বলুন , দেবেন ঠাকুর বললেন নজর যতদূর যায় ততটুকু । দাম চুকিয়ে জমি জোড়াসাঁকোর জমিদারদের হয়ে গেল। পরবর্তী ইতিহাস সবার জানা । প্রিয় পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটাকে বাবার ইচ্ছেতে ব্রহ্ম সমাজের জন্য গড়ে তুললেন । পরে তিনি এটার একটা উইল করে শিক্ষা দীক্ষা , কারু , চারু , কৃষি ইত্যাদির সম্প্রসারনের জন্য দান করে দিলেন । ধীরে গড়ে উঠল শান্তিনিকেতন , বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় । ভারতের অনেক মহা পুরুষ এখানে যৌবনে পড়তে এসেছেন , দেখতে এসেছেন গাছতলায় কিভাবে ছেলেপিলেদের শিক্ষা দেওয়া হয় , সর্বধর্মের লোকেদের উপসনার জন্য মন্দির স্থাপন ইত্যাদি ।
পত্রিকা থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছিঃ
রাতারাতি হাজার হাজার মানুষের জমায়েত। জোগাড় হয়ে গেল আস্ত পে-লোডারও! জনতা, পে-লোডার যুগলবন্দিতে পৌষমেলার মাঠের নির্মীয়মাণ পাঁচিল ধূলিসাৎ।
পাঁচিল দেওয়ার প্রতিবাদে ‘মেলার মাঠ বাঁচাও, শান্তিনিকেতন বাঁচাও’ নামে একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছে। মঞ্চের তরফে সোমবার সকালে জমায়েতের ডাক দিয়ে রবিবার বিকেলেই বোলপুর শহরে মাইকিং হয়েছে। প্রচার হয় লাগোয়া গ্রামেও।
ফলে এ দিন যে বড় কিছু একটা ঘটতে চলেছে, তা আন্দাজ করা গিয়েছিল। কিন্তু যে আকারে জমায়েত করে পে-লোডার এনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এ দিনের ভিড়ে দেখা গিয়েছে জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতাকে। মিছিলের একেবারে সামনে ছিলেন দুবরাজপুরের বিধায়ক তথা বোলপুরের বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান নরেশ বাউরি। ছিলেন বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও জেলা তৃণমূল নেতা গগন সরকার, বোলপুরের পুর-প্রশাসকদের এক জন সুকান্ত হাজরা, বিদায়ী কাউন্সিলর ওমর শেখকে।
বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘প্রতিবাদ করতে হলে আইনের পথে আইনকে সঙ্গে নিয়েই হওয়া উচিত। এ ভাবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে নয়। আমাদের ধারণা, কোথাও স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে এই হামলার পিছনে শাসক দলের ইন্ধন আছে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোর্টের নির্দেশ মেনেই কাজ করেছেন। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’
অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, বর্তমান উপাচার্য রবীন্দ্র-আদর্শকে ধূলিসাৎ করার চক্রান্ত করছেন। তার বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জানিয়েছেন সমাজের সব স্তরের মানুষ। নরেশবাবুর বক্তব্য, ‘‘দলের তরফে নয়, প্রতিবাদে শামিল হয়েছি বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী হিসেবেই। প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কে কী করেছে, বলতে পারব না। উত্তেজিত জনতার উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকে না।’’ একই সঙ্গে উপাচার্যের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘এর পরেও উপাচার্য নিজের তুঘলকি সিদ্ধান্ত নেওয়া চালিয়ে গেলে এমন মিলিত প্রতিবাদ হবে যে, উনি বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারবেন না!’’
বিশ্বভারতীতে অবিলম্বে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীতে নির্মাণ কাজ হচ্ছে, তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে মিছিল যাওয়ার পর সে সব ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, এ সব মেনে নেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা চলতে দেওয়া যায় না।’’
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘বিশ্বভারতীতে নির্লজ্জ ঘটনা! ক্ষমতা দেখাতে লেগে পড়েছে দুই পক্ষ। নির্মাণ, মারপিট, ভাঙচুর হচ্ছে। প্রশাসন চুপ। নিন্দার ভাষা নেই। আমরা চাই আলোচনাতেই সমাধান হোক। বিশ্ববিদ্যালয় খুলুক।’’
পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে । দেখা যাচ্ছে বাইরের লোকেদের ইনভল্বমেনট সবচে বেশি । রাজনিতিকরা সবচে আগে । জাতীয় স্বার্থে বিষয়টির নিস্পত্তি হোক । একজন প্রাক্তনি আমায় জানাল ভেতরের মানুষের ইন্ধন বেশি । শান্তিনিকেতন এখন বাজারঘাটের মত হয়ে গেছে । পরে আসছি আমাদের ব্যাক্তিগত গল্প নিয়ে ।
সংশোধনীঃ ঐ জমি বোলপুরের জমিদারদের ছিল । সাওতালদের কোন জমি কেনা হয়নি বা গ্রহন করা হয়নি । শান্তিনিকেতনের ভেতরে আশপাশ দিয়ে এখনও সাঁওতালরা গ্রাম্য পরিবেশেই বসবাস করে । উপরের তথ্য কারো লেখনি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে যা সঠিক নয় । শান্তিনিকেতন থেকে জেনে নিলাম ফোনে ।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: প্রশাসনিক দুর্বলতা সবচে বেশি এবং সর্বত্র । নোবেল চুরি গেছে আর তারপরে কড়া নজরদারি । আবার যাব কিছু গবেষণার কাজে ।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৫
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: শান্তি নিকেতনে শান্তি নিশ্চিত করাটা জরুরী।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৪
শাহ আজিজ বলেছেন: রবীন্দ্রপ্রেমিক সবাই তাই চাইবেন ।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুখ্যমন্ত্রী কি করছেন? সব কিছুতে রাজনীতি টানা ভালো না।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: মুখ্যমন্ত্রী মনে হয় বিপদেই আছেন ।
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের এলাকায় এসব কি হচ্ছে!!! প্রচন্ড দুঃখজনক।
আমি আর আমার স্ত্রী শান্তিনিকেতন গিয়েছিলাম। বেশ মনোরম পরিবেশ। ভালো লেগেছে।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ভেতরের ক্যান্টিন এলাকার আড্ডা আমরা খুব মিস করি ।
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জমির পরিমান ঠিক নাকরে জমির দাম কিভাবে দিলেন।এগুল গল্প।তখন সাঁওতালদের জমির মালিকানা ছিল না।
এই সমস্যা অনেক পুরনো।কয়েক বছর পর পরই দেখা দেয়।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ইতিহাস ভিত্তিক তথ্য দিলাম । এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান তার জমির মালিকানা নিয়ে সেই সময় সমস্যা থাকার কথা নয় । জানতে পারব আজই ।
৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই জায়গাটা রাজনীতি বাদ ছিল সেখানেও এখন পলিটিক্স শুরু হলো
২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
শাহ আজিজ বলেছেন: তৃনমূল এর পেছনে মদদ দিচ্ছে বলে খবর বেরুচ্ছে । বি জে পি আবার বিশ্বভারতীর পক্ষে কারন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন আচার্য । দেখা যাক কি দাড়ায় ।
৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৬
সোহানী বলেছেন: পলিটিক্স নাই কোন জায়গায়........।
২১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আলাপ করলাম প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সাথে । সে জানালো বিশ্বভারতীর উন্নয়নকল্পে কিছু ফান্ড এসেছে । যত গোলমাল ঐ ফান্ড উন্নয়ন কাজ আর টেন্ডার নিয়ে । ভি সি বি জে পির মনোনীত । তিনি নাকি কমিশন পাইয়ে দিচ্ছেন অন্যদের । প্রাক্তনি , অবসরে যাওয়া শান্তিনিকেতনের কর্মকর্তা সবাই লেগে আছে এইসব প্রকল্পের পেছনে । কিন্তু তারা যে গ্রামবাসীদের প্রলুব্ধ করেছে দেওয়াল ভেঙ্গে দিতে এটা খুবই অন্যায় । দেখা যাক কি হয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ২০০৭ সালে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলাম। সম্ভবত তার কিছুদিন আগে কবিগুরুর নোবেল পুরস্কারের পদক ওখানকার আর্কাইভ থেকে চুরি হয়ে যায়। ফলে ওখানে প্রবেশে ভীষণ কড়াকড়ি ছিল। তারপরেও আমরা বাংলাদেশ থেকে গিয়েছি বলে অনেক মুলামুলির পর ঢুকতে দিল। তবে আমাদের ওপর কড়া নজর ছিল ওদের।
যাই হোক, শান্তিনিকেতন আক্ষরিকভাবেই শান্তির জায়গা। সেখানে এরকম অশান্তি আমাদের কারোই কাম্য নয়। রাজনীতি যেখানে ঢুকেছে, সেখানেই এরকম অশান্তি হয়েছে।