নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকেই জানেন কিন্তু সবাই নয় । ব্লগারদের সাধারন জ্ঞানের জন্য এই উপদেশ কপি করে ছেপে দিলাম ।
**মূল্যবান তথ্য যা আমাদের কোভিড ১৯ সম্পর্কে আশাবাদী হতে সাহায্য করবে**
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত কিছু উৎসাহব্যাঞ্জক খবর যা টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসির একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধ্যাপক তাঁর পরিবারকে পাঠিয়েছিলেনঃ
"এই মহামারীটি থেকে ৩ মাস পরে (জুন, ২০২০) সংক্রামিত ব্যক্তিদের জন্য বেঁচে থাকার আরও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে ৩ মাস আগে যারা আক্রান্ত হয়েছিল তাদের তুলনায় (ফেব্রুয়ারী, ২০২০)। এর কারণ হ'ল চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা এখন কোভিড -১৯ সম্পর্কে আরও অনেক বেশী জানেন ৩ মাস আগের চেয়ে এবং তাই রোগীদের আরও ভাল চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম এখন তারা।
৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তালিকাবদ্ধ করছি যা আমরা এখন জানি এবং যা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমরা জানতাম না।
১. কোভিড -১৯ এর প্রথম দিকে ভাবা হতো যে এটি নিউমোনিয়া- একটি ফুসফুসের সংক্রমণ, যার কারণে মৃত্যু ঘটে - এবং তাই ভেন্টিলেটরকে শ্বাস নিতে পারেন না এমন অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার সেরা উপায় বলে মনে করা হয়েছিল। এখন আমরা বুঝতে পেরেছি যে ভাইরাসটি ফুসফুসের রক্তনালীগুলিতে এবং শরীরের অন্যত্র রক্ত জমাট বাঁধায় এবং রক্তে অক্সিজেন হ্রাস করে যার ফলে মৃত্যু ঘটে। এখন আমরা জানি যে ভেন্টিলেটর দিয়ে কেবল অক্সিজেন সরবরাহ করা কোনও উপকারে আসে না, আমাদের ফুসফুসের মাইক্রো ক্লটগুলি প্রতিরোধ এবং দ্রবীভূত করে এবং রজতে অক্সিজেনের পরিমান বৃদ্ধি করে রুগীজে বাকচাতে হবে। এই কারণেই আমরা ২০২০ সালের জুন মাসে চিকিত্সা ব্যবস্থাগুলির প্রোটোকল হিসাবে এসপিরিন এবং হেপারিন (রক্ত পাতলা হওয়া রক্ত জমাট না বাঁধার অষুধ ) ব্যবহার করি।
২. আগে রোগীরা তাদের রক্তে অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণে, রাস্তায় বা বা কোন হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যেতেন - এটিকে * হ্যাপি হাইপক্সিয়া বলে। এর কারণেই হয়েছিল - যেখানে অক্সিজেনের সম্পৃক্তি ধীরে ধীরে কমে গিয়ে ৭০% হয়ে গেলেও রুগী বুঝতে পারতো না বা লক্ষ্মণ প্রকাশ পেতোনা এবং হঠাৎ মারা যেতো। অক্সিজেনের স্যাচুরেশন যদি ৯০% এর নিচে নেমে যায় তখন আমরা সাধারণত শ্বাস কষ্টে ভোগা শুরু করি। এই শ্বাসকষ্ট কোভিড রোগীদের মধ্যে দেখা যায় না এবং তাই আমরা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থ রোগীদের ওয়ার্ড নেক সময় হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই তারা মরে যাচ্ছিলেন। এখন "হ্যাপি হাইপোক্সিয়া"র কথা জানতে পেরে আমরা সমস্ত কোভিড রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিরীক্ষণ করছি খুব সাধারণ পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করে। তাদের অক্সিজেনের স্যাচুরেশন যদি ৯০% বা তার চেয়ে কম হয়ে যায় তবে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি তাই ২০২০ সালের জুনে এসে বেঁচে থাকার আরও সুস্থ্য হবার সুযোগ অনেক বেশী পাচ্ছে রোগীরা।
৩. ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের কাছে করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ওষুধ ছিল না আমরা কেবলমাত্র এটির কারণে সৃষ্ট জটিলতাগুলির চিকিত্সা করছিলাম তাই বেশিরভাগ রোগী মারাত্মকভাবে সংক্রামিত হচ্ছিল তখন। এখন আমাদের কাছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রয়েছে: FAVIPIRAVIR ও REMDESIVIR এন্টিভাইরাসগুলি করোন ভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে। এই দুটি ওষুধ ব্যবহার করে আমরা রোগীদের মারাত্মক সংক্রামণ হতে রক্ষা করতে পারি এবং তাই তারা হাইপক্সিয়া যাওয়ার আগে তাদের নিরাময় করতে পারি। এই জ্ঞানটি আমাদের ফেব্রুয়ারি, ২০২০তে ছিল না।
৪. অনেক কোভিড -১৯ রোগী কেবল ভাইরাসের কারণে নয়, রোগীর নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিলেন। এটিকে বলে সাইটোকাইন স্টর্ম। এই ঝড়ো শক্তিশালী ইমিউন প্রতিক্রিয়া কেবল ভাইরাসকেই নয়, রোগীদেরও হত্যা করে। ২০২০ এর ফেব্রুয়ারিতে, আমরা কীভাবে এটি ঘটা রোধ করব তা জানতাম না। এখন ২০২০ সালের জুনে, আমরা জানি যে স্টেরয়েড, যা বিশ্ব জুড়ে ৮০ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো দিয়ে রোগীদের সাইটোকাইন ঝড় প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৫. এখন আমরা এও জানি যে হাইপোক্সিয়াযুক্ত (যাদের রক্তে অকসিজেন কমে গেছে) লোকেরা কেবল তাদের পেটের ওপর শুয়ে থাকার মাধ্যমে তাদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে পারেন। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে ইস্রায়েলি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, সাদা রক্তকণিকা দ্বারা উত্পাদিত আলফা ডেফেনসিন নামে পরিচিত একটি রাসায়নিক ফুসফুসের রক্তনালীতে মাইক্রো ক্লটসের কারণ হতে পারে; এবং এটি গাউটের চিকিত্সার ক্ষেত্রে বহু দশক ধরে ব্যবহৃত কোলচিসিন নামে একটি ড্রাগ দ্বারা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
সুতরাং প্রকৃতপ্রস্তাবে বর্তমানে কেউ কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হলেও তার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
অনুবাদঃ ত্রিশোনকু মল্লিক।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপনার নিজের লেখাগুলো অনেক সহজ সরল ও বোধগম্য হয়; কিন্তু এ কপি লেখা পড়ে অনেকটা আইনের ধারার মতো মনে হলো- হয়তো আমি বুঝতে অসুবিধা তাই এরকম মনে হয়েছে।
--- আশাকরি পরর্ব্তীতে কিভাবে প্রতিরোধ/রোগমুক্ত হতে পারি সে বিষয়ে বিশদ লেখা আশা করছি। ধন্যবাদ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ইংরেজি থেকে সরাসরি অনুবাদ , ত্রিশংকু মল্লিকের । আমি হাত দেইনি । প্রতিরোধের বিষয় লিখব ।
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুক্তি চাই শুধু
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১০
শাহ আজিজ বলেছেন: সবাই মুক্তি চাইছে ।
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: মন বলছে এ বছরের মধ্যে করোনা চিরবিদায় নেবে।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ব্যাপারটি নতুন এবং প্রতিনিয়ত আমরা শিখছি । বাংলাদেশ থেকে কবে কমবে বলা কঠিন । মাস্ক ব্যাবহার এবং হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে হবে ।
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
দরকারী অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশের ডাক্তারেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা কোথায়ও লিখেছেন?
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
শাহ আজিজ বলেছেন: না , দেখিনি , তবে হাসপাতালে ভর্তি হলে জানা যায় কি কি খাচ্ছেন রোগীরা ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যথার্থ।