নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘর ছাড়া বিদ্রোহী দুই ভাই বোন

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪



মাহিয়া আক্তার পিংকি ও বিপ্লব বেপারি দুই ভাইবোন। তাদের মা ১ বছর ৫ মাস ধরে বিদেশে কাজ করছে। আর মা বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই খালার বাড়িতে থাকে তারা।শিশু দুটির খালার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা গ্রামে। কিন্তু ছোট ছোট কিছু বিষয় নিয়ে তাদের করা হয় নির্যাতন। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই ভাইবোন মিলে সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকায় দাদার বাড়িতে চলে যাবে তারা।

অসীম সাহসী দুই অ্যাডভেঞ্চারার গত ৯ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা যাওয়ার কথা বলে তারা খালার বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন তাদের খালা।

গত কয়েক দিনে টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে ভাটারা থেকে শিশু দুজনকে উদ্ধার করে সিআইডি। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, দাদার বাড়ি যাওয়ার জন্য ঢাকায় এলেও বাসা হারিয়ে ফেলায় তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। গুলশান পার্কের কাছে তারা কান্নাকাটি করা অবস্থায় এক রিকশাচালকের নজরে পড়ে তারা । দুজন জানায় তাদের বাবা মা নেই । একপর্যায়ে ওই রিকশাওয়ালা তাদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানেই তারা এই ক’দিন ছিল। এরই মধ্যে একটি ফোনের দোকান হতে তারা তাদের বাবার নাম্বারে ফোন করে আব্বু আব্বু বলে ডাক দেয় । কিন্তু বাবা কোন জবাব দেয়নি । এরপর রিকশাওয়ালা তার মোবাইল থেকে ওদের বাবার নাম্বারে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করে আপনার বাড়ি কি ফরিদপুর ? বলেই রিকশাওয়ালা ফোন লাইন কেটে দিয়ে মোবাইল অফ করে। এই ছিল সম্ভাব্য খুজে বের করার একমাত্র উপায় । সি আই ডিতে অপহরন মামলা এলে তারা বাবার কাছে থাকা ২০ সেকেন্ডের ওই কল নিশানা করে ফোনের দোকান হয়ে রিকশাওয়ালার ভাটারার বস্তিতে । উদ্ধার হয় শিশু দুটি এবং তারা এখন ফরিদপুরের সেই খালার বাড়িতে ।
শিশু দুটিকে নিয়ে যাওয়ার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় সিআইডি কারন রিকশাওয়ালার আচরন সন্দেহজনক ।
সি আই ডির এই অপারেশন অভূতপূর্ব ।
আমরা সব পারি শুধু সুস্থ চেষ্টা আর দায়িত্ববোধ মুল বিষয় ।
খালাদের চরিত্র উন্মোচিত এখানে । মা বাবার সম্পর্ক নষ্ট হলে সন্তানদের উপর দিয়ে কি ঝড় বয়ে যায় এই ঘটনা তার প্রমান । ১৩ বছরের এই মেয়েটি যদি পাচার হয়ে যেত !! খুব কষ্টকর এইসব ভাবনা ।
আমার জীবনে হারিয়ে যাওয়া দুটি শিশুকে তাদের মামা আর বাবার হাতে তুলে দিয়েছি গুলিস্তানে , মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে ।

ব্লগার , হারিয়ে যাওয়া শিশুদের সহায়তা দিন ।



মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

অনল চৌধুরী বলেছেন: শিশু নির্যাতনের আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ হওয়া উচিত।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: খালাকে ধরলে ওরা আবারও অসহায় হয়ে যাবে ।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের গোয়েন্দারা অনেক দক্ষ। এই ধরণের অনেক ভালো কাজও তারা করে। প্রতি বছর এরকম বহু শিশু হারিয়ে যায়। এদের অনেকে পাচার হয়ে যায়। বাবা কেন ফোন ধরলো না বুঝলাম না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি যা জানতে পেরেছি যে খালার মামলা বাবার দিকে সন্দেহের তীর ছুড়েছিল ।

সি আই ডি কে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আলাদা করতে হবে ।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই হলো, শেখ হাসিনার রেমিটেন্স সৈনিকের পরিবার।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: X( :((

যোদ্ধা বলুন ।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই শিশুরা সমাজে দাঁড়াবার সুযোগ পাবে?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: কেন পাবে না ? তার মা সব ছেড়ে জর্ডানে কাজ করছে , এটাই বিশাল ব্যাপার ।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



দীপুমনির খাতায় এদের নাম আছে?
দীপুমনি কি জানে এরা মাদ্রাসায় পড়ে?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: কি জানি আছে কিনা ।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কত রকমের ঘটনা যে ঘটে,সবাইকে সহানুভূতিশীল হয়ে, সামনে পড়লে কিছুটা সাহায্য করতে হবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: সামনে পড়লে প্রথমেই পুলিশকে ফোন , তারপর একটা ব্যাবস্থা হবে ।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রলোভনে পড়ে দেশের নারী আরব দেশে যাওয়াই চরম ভুল

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: কয়েকটি নারী এন জিও আছে ভাল বেতনে আজীবন কাটিয়ে দেবার প্রত্যাশায় । এরা বিশাল কিছু করতে পারে কিন্তু কে অত কষ্ট করে ।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অভিমানে কষ্টে অনেক সময় বাচ্চারা ভুল করে।
আমি একবার ঢাকা আসার পথে ১৬/১৮ বছর বয়সী এক মেয়ের পাশের সিটে বসেছিলাম। আমি ঢাকা যাচ্ছি শুনে সে কোথায় গার্মেন্টস আছে জানতে চায়। বাকি গল্পে বলে অনেক গরীব তাই কাজে যাচ্ছে। আমি বললাম তুমি আমার মায়ের কাছে থাকো। হুট করে রাজি হয়ে যায়। ওকে আমার মায়েরকাছে দিয়ে আমি ঢাকা চলে আসি। পরে আমার আব্বা আম্মা কোথা বলে জানতে পারেন, সকালে ওর মায়ের সাথে অভিমান করে চলে এসছে। এরপর ওদের বাসায় খবর দেয়া হলে ওর মা ভাই এসে নিয়ে যায়। ওদের মা এখন ও আমার আব্বা আম্মা কে ধন্যবাদ জানায়।
এখন অবস্থা এত সহজ সরল নেই, তাই অবশ্যই প্রথমে পুলিশ কে খবর দিতে হবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: এখন অনেক ক্ষেত্রেই বালক বালিকা মিথ্যা তথ্য দেয় যা কিনা আশ্রয়দাতার বিব্রত হবার কারন হতে পারে।
পুলিশে ফোন দেওয়া উত্তম ।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি অসহায় বাচ্চাগুলি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: একটি টাস্ক ফোরস হওয়া দরকার যারা বাস এবং লঞ্চ ঘাটে নজরদারি করবে ।

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম ঘর ছাড়া বহু ছেলে মেয়ে রেলস্টেশন, সদরঘাট আর গাবতলীতে দেখা যায়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: হাজার হাজার কিন্তু পুনর্বাসন নেই ।

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের রাষ্ট্রপতি রাতে ঘুমায় কি করে, এদের কথা কি উনার ভাবনায় আসে না?

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: এইসব বিষয় প্রটোকল ভেঙ্গে ওনার কাছে যায় না । পারিবারিক ব্যাপার ওনারই বা কি করার আছে এখানে ।

১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ওদেরকে কেন তার দাদার বাসায়
দেওয়া হলোনা বুঝতে পারছিনা।
সেখানে যাবার জন্যই তো তার
ঘর ছেড়েছিলো। !

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: সেটাই ভাবনার । আবারও খালার অত্যাচার , আবারও পালানো ।

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যাক ভাল হলো শিশুরা নিবাস ফিরে পেল।

সেই খালার ভুল ভাঙ্গা উচিৎ তাদের কারণেই শিশুরা হারিয়ে যেত।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: একটা গ্লাসই ভেঙ্গেছিল , জর্ডান থেকে টাকা তো আসেই । আসলে কিছু কিছু মহিলা চরম খারাপ যেমন এই খালা ।

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাজার হাজার কিন্তু পুনর্বাসন নেই ।


আমার মনে আছে ২০১৫ সালে শিশু দিবসের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, একটা শিশুও পথে থাকবে না।
কিন্তু পথে পথে শিশুর সংখ্যা আরো বেড়েছে। ৫ বছর পার হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা কি তার কথা ভুলে গেছেন?

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: বাবা মা পরিত্যক্ত শিশু অনেক । পতিতা পল্লীতে বিক্রি হয় অনেকে । ভারতে পাচার হয় শিশুর দুই কিডনি খুলে মৃতদেহ ফেলে দেয় খাল বিলে । এখন শুনছি হার্ট লিভার ভাল দামে বিক্রি হয় সেখানে ।

১৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১০

সামিয়া বলেছেন: আল্লাহ্‌ সকল শিশুকে নিরাপদে রাখুক।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.