নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্গা পুজা

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬


একদম ছোট বয়েসে বাড়ির পাশে মাইক বাজত । তাতে সুরেলা গলায় গান হত । কারা গান গায় , মাইক কেমন তা চারিদেওয়াল ঘেরা বাড়ি থেকে একদম বোঝা যেত না । আমাদের সব্জি বাগান কেটে সেখানে দালান হাকালেন বাবা । কাজের লোকেদের সাথে দালান থেকে অবাক চোখে দেখতাম চোংগাওয়ালা মাইক । কাউকে গান গাইতে দেখতাম না কিন্তু গান হচ্ছে । বাবা আমাদের বইয়ের দোকানে যান ১০ টার দিকে । আমি দালানের পিছনের হাফ দেয়ালের পাশে প্রথম দিন । পেরিয়ে গেলাম দ্বিতীয় দিন । মাটির মূর্তি তৈরি হচ্ছে , দশ বাহুর , পা দুটো , শরীর একটা । বুক দুটো উন্মুক্ত , লজ্জা পেলাম । বাঁশ ঘেরা জায়গায় বড় খাটের ওপর কিসব রাখা । পুরো জায়গাটা বিশাল ত্রিপল দিয়ে ঢাকা । বাঁশ ধরে অনেকের সাথে আমিও দাড়িয়ে । একজন আমার পিছন থেকে আমায় উচিয়ে ধরে ভিতরে রাখতে রাখতে বলল এই মাওলানা সাহেবের ছেলেকে খাটে বসতি দে । সবাই সচকিত , পাশের বাড়ির ছেলে , মাওলানা সাহেবের ছেলে । একজন আমায় বলল এই তোর বাপ কি বাসায় ? আমি মাথা নাড়লাম । তাহলি তুই বাপরে না কয়ে আইছিস ! সবাই হাঁসতে লাগলো । একটা কালো চাকতি বাক্সের মেশিনে উঠিয়ে দিলেই সুরেলা কণ্ঠ বের হয় । বেশ খানিকক্ষণ খেয়াল করলাম যে বাক্সের ভিতরে কেউ আছে কিনা । আস্তে ধীরে কাত হয়ে শুয়ে বাক্সের গায়ে কান পাতলাম । নাহ এর ভেতরেও কেউ নেই । আজব বাক্স আর চাকতি । ঘুরলেই গান হয় । পাশে একটা হ্যান্ডেল আছে ওটা মাঝে মাঝে ঘোরাতে হয় । আবার বাসায় দেয়াল টপকে ফিরে এলাম । যেদিন পুজো সেদিন আমরা সবাই ছাদে বসে পুজোর নাচ দেখলাম । ধুপের বাটি কামড়ে ধরে সেকি নাচ। ঢোলের বাড়িতে একটা আলাদা রকম সকম আছে । এই কিছুদিন আগেও ঢোলের বাড়ির কারুকাজে নেচেছি অ্যালামনাই অনুষ্ঠানে । অসাধারন । পুজোর দিনে দশহাতি মূর্তি আর নেংটা নেই । দামি কাপড়ে ঢাকা , দারুন লাগছে । মূর্তিটাকে হৈ হৈ করে নিয়ে গেল ঠেলা গাড়িতে দাড় করিয়ে । নদীতে ডুবিয়ে দেবে , এটাই নিয়ম । দশ হাতি এই মূর্তি হচ্ছে দুর্গা , মা দুর্গা । তার পায়ের নিচে একটা লোক হা করে শুয়ে আছে , শুনলাম লোকটা ভালনা , দুর্গার বাহন সিংহ লোকটিকে খেয়ে ফেলবে শুনলাম । শুন্য মাঠ , আমরা ঘরে এলাম বেশ চিন্তা মাথায় নিয়ে । বাক্সের ভেতরের গান কাহিনীর রহস্য উন্মোচন হল না ।
ব্লগারদের দুর্গা পুজার শুভেচ্ছা ।
দুর্গা মাইকি জয় ।।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ছোট বয়সের কথা আপনার মনে আছে। আপনি ভাগ্যবান।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা অনেক বিষয় অমিমাংসিত ।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুর্গার পায়ের নীচে থাকে তার স্বামী ভগবান শিব। ভারতের সব অঞ্চলে দুর্গা পুজা মনে হয় হয় না। এই দুই বঙ্গে এটা প্রধান পুজা।
দুর্গা এবার কিসে চড়ে আসবে জানেন না কি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: না পশ্চিমে দুর্গা পুজা হয়না । তামিলনাড়ুতে কালী পুজা জমজমাট হয় । কেরালাতে গনেশ । জুন শিবের ব্যাপারটা পরিস্কার করে দিয়েছে ।

দুর্গা এবার মোদীর পিঠে চড়ে আসবে সামনে থাকবে মমতা । পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রপতির শাসনে যাচ্ছে । মোদীর দাত ফাত কিছুই নেই তো অমিত শাহকে বলবে তুই খাঁ , করোনা পেরিয়ে এসেছিস । অমিত বলবে এই বুড়ির গোশ খেলে আবারও ভাইরাস ধরবে বরং রামদেবকে বললে হয় । ওর তো সব হজম হয় ।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৭

জগতারন বলেছেন:
মাইক দেখেছিলাম ১৯৬৪ সালে আমার জন্মের ৪ বছর অর।
দেখে আশ্চার্য হয়য়ে অবাক হয়েছি !
এর ভিতর থেকে এত জোড়ে শব্দহয়ে গান কিভাবে বেড়িয়ে আসে ?

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও প্রায় একই সময়ে ৬৩ সালে । ৬১-৬২ সালে শুধু ঢাকের আওয়াজ শুনতাম বাইরে বেরুতাম না । মাইক এক আশ্চর্য বিষয় তখন , রেকর্ড প্লেয়ার একই ব্যাপার ।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের গ্রামের আঁশে পাশে ঢোলের আওয়াজ শুনা যায় এমন দূরত্বে পুজা হতো না।পুজা হত থানা শহরে গ্রাম থেকে ৫/৬মাইল দুরে জমিদার বাড়িতে।সেখানে অনেক হিন্দুদের বাস।কেউ কেউ আবার কলকাতায় বাস করে পুজার সময় আসে।

টুতে পড়ি, প্রথম পুজা দেখতে যাই থানা শহরে।রাস্তা দেখেতো অবাক,রাস্তায় ইট বিছানো।কিছু দুর পর পর রাস্তার পাশে হারিকেন টাঙ্গানো।পরে কলকাতায় অমন লাইট পোস্ট দেখেছি।
বিরাট বড় জমিদার বাড়ী, তার সামনে পুজা।দেবির মতোই সুন্দরী সুন্দরী মহিলা।আমি এর আগে এমন দেখিনি।ফিরে আসার সময় দেখি রাস্তার পাশের হারিকেন জ্বালানো।ঐ আমার প্রথম পুজা দেখা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৫

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , পুরনো কথা বার্তা বেশ ভালই লাগে ।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুর্গাপুজার শুভেচ্ছা নিতে চাচ্ছেন না অনেকেই।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ফেলে দিতে বলুন । আমি রেশিষ্ট নই ।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৫৪

জুন বলেছেন: আমার ছোট বেলার কিছু সময় কেটেছে এক হিন্দু প্রধান এলাকায়। সেখানে বিভিন্ন পুজা দেখার সুযোগ হয়েছিল। মনে পরে দুর্গা পুজাটাই জাকজমকের সাথেই হতো। এরপর ও আমি এক পরিচিতার সাথে মির্জাপুরের আরপি সাহার নিজ বসত ভিটায় উদযাপিত পুজা দেখেছি। নবমী পর্যন্ত বিশাল আড়ম্বর শাহ আজিজ।

@ সাড়ে চুয়াত্তর দুর্গার পায়ের কাছে বান বিদ্ধ অসুর। মহীশুরের ওই পাহাড় চামুন্ডা হিলসের চুড়ায় গিয়েছি যেখানে দুর্গা অসুরকে হত্যা করেছিল।
আর কালীর পায়ের কাছে তার স্বামী শিব শুয়ে স্ত্রীকে আটকানোর জন্য। হিন্দু ধর্ম অনুসারে কালী হিন্দু পৃথিবি ধ্বংসের জন্য রনচন্ডী মুর্তিতে বের হচ্ছিলেন কৈলাশ থেকে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের বিশাল বাগান বাড়ি ঘোষদের কাছ থেকে কেনা । অরবিন্দ ঘোষদের আত্মীয় স্বজন যারা খুলনাতে থিতু হয়েছিলেন । আমাদের পিছনের পুরো অংশই হিন্দু সমাজের মানুষেরা বাস করতেন । আমি কোন পুজায় দাবিয়ে পেটপুরে খেতে পারিনি ।

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৫৬

জুন বলেছেন: কালী পৃথিবী ধ্বংস * হিন্দু পৃথিবী মিসটেক :`>

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ???? বুঝলাম না

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ জুন - এবার মনে পরেছে। মহিষাসুরকে কোন নর বধ করতে পারবে না এই মর্মে সে বর পেয়েছিল। মহিষাসুরের অত্যাচারে দেবতারা পর্যন্ত দিশাহারা। কিন্তু সে বুঝতে পারে নাই যে নারী তাকে বধ করতে পারবে। কালি যদিও দুর্গার আরেকটা রূপ। স্বামীকে পায়ের নীচে দেখে সে মনে হয় বিব্রত হয় জিভ বের করে। দুর্গাপূজাকে অকালবোধন কেন বলে জানেন না কি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: কালী প্রতি রাতে নর হত্যায় বের হত । শিব জানত না এই বিষয় । তো শিব দরজায় আড়াআড়ি শুয়ে রইল । মধ্য রজনিতে কালী ভুল করে শিবের গায়ে পা রেখেই জিহবা বের করল লজ্জায় কারন হিন্দু সমাজে স্বামী পূজনীয় আর তার শরীরে পা , অকল্যান -------- ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: অকালবোধন হল শারদীয়া দুর্গাপূজার প্রারম্ভিক অনুষ্ঠান। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি অথবা শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে হিন্দু দেবীপার্বতীর দুর্গা রূপের পূজারম্ভের প্রাক্কালে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, শরৎকাল দেবলোকের রাত্রি দক্ষিণায়নের অন্তর্গত। তাই এই সময় দেবপূজা করতে হলে, আগে দেবতার বোধন (জাগরণ) করতে হয়। একাধিক পুরাণ ও অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে যে, রাবণ বধের পূর্বে রাম দেবী পার্বতীর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে বিল্ববৃক্ষতলে বোধনপূর্বক দুর্গাপূজা করেছিলেন। শরৎকাল দেবপূজার ‘শুদ্ধ সময়’ নয় বলে রাম কর্তৃক দেবী পার্বতীর বোধন ‘অকালবোধন’ নামে পরিচিত হয়। উল্লেখ্য, শাস্ত্রমতে বসন্তকাল দুর্গাপূজার প্রশস্ত সময় হলেও, আধুনিক যুগে শারদীয়া দুর্গাপূজাই অধিকতর প্রচলিত।রাবণ বসন্ত কালে চৈত্র মাসে দেবী পার্বতী কে পুজো করে সন্তুষ্ট করলে দেবী তাকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু যদি সে দেবীর পূজা মন্ত্রে শ্রী শ্রী চন্ডিতে কোনো রূপ ত্রুটি করে তবে দেবী তাকে ত্যাগ করবেন। এই কারণে রামের সকল অস্ত্র রাবণের উপর বিফল হয়ে যায় তখন ব্রহ্মা রাম চন্দ্র কে দেবী পার্বতীর পুজো করতে বলেন কারণ দেবী এই সময় মর্তে তার মাতা পিতা র গৃহে আসেন রাম দেবী পার্বতীর পুজো করলে দেবী কতৃক তার উদ্দেশে আনা একটি পদ্ম তিনি হরণ করেন রাম নিজ চক্ষু দেবী কে দান করতে চাইলে দেবী পার্বতী তাকে বিরত করেন ও বড়াভয় দেন তার পর হনুমান দশমী তিথিতে রাবণ কল্যাণে শ্রী চন্ডী পাঠ রত বৃহস্পতি কে অজ্ঞান করে শ্রী চন্ডী অশুদ্ধ করলে রাবণ কে ত্যাগ করেন দেবী রাবণ দেখে দেবী তাকে ত্যাগ করে কৈলাসে চলে যাচ্ছে রাবণের শত মিনতি সত্ত্বেও দেবী পার্বতী আর ফিরে তাকালো না । তারপর রাম রাবণ বধ করে।

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

জুন বলেছেন: লাস্ট লাইনে শাহ আজিজ। হিন্দু পৃথিবী বলে কিছু নেই, শুধু পৃথিবী হবে। টাইপো :(

@ সাড়ে চুয়াত্তর জী ওইসময় অসুর মহীসের রুপ ধারণ করেছিল। কিন্ত দুর্গা তাকে ঠিকই চিনেছিল নাম যে নিজে নাকি অন্য দেবতাদের হেল্প নিয়ে মনে পরছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.