নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাধার কোল জুড়ে পরিত্যক্ত নবজাতক

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৯



নীলফামারীতে রাধা রানি মোহান্তের বাড়ির পেছনেই ক্ষেতে শিশুর কান্না শুনে বিষাদু মোহন্ত রাধার স্বামী দেখে কাপড়ে মোড়ানো এক নবজাতক । রাধা পরম মমতায় বুকে তুলে নিলেন নবজাতককে , মুখে পুরে দিলেন নিজের দুধ । রাধার তিন মাসের একটি শিশু আছে ঘরে। পুলিশ এলো , তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করে দেখল শিশুটি একদম পারফেক্ট । রাধা পুলিশকে বলল শিশুটিকে তার চাই । এখন কোর্ট ঠিক করবে শিশুটিকে কে নেবে । পুলিশ এলাকায় খুজছে কে এই শিশুর জন্মদাত্রী । বাংলাদেশে পরিত্যাক্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে । না জানি কি পরিমান শিশু হত্যার শিকার হয়ে পানিতে , মাটির নিচে পচছে । যারা মোহান্তের বাড়ির পেছনে শিশুটিকে রেখে গেছে তারা হত্যার উদ্দ্যেশ্যে নয় কারো নজরে পড়ুক এমনটি ভেবে দুপুরেই রেখে গেছে । ভাগ্যিস রাধার বুকে দুধ ছিল । ভাগ্যবান শিশু । তার জন্য একজন পুলিশ ডিউটি করছে ক্লিনিকের বিছানার পাশে ।

আমাদের দেশে পরিত্যক্ত শিশুকে নিরাপদ করতে উদ্যোগ চাই মায়ের কোল , আশ্রম ।

রাধার দুটি শিশু ভাল থাকুক ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যেই রেখে যাক না কেন, তারা রাধাকে চেনে যে তার ঘরে শিশু আছে এবং সে এই শিশুকেও দুধের ভাগ দিতে পারবে। মানবিকা রাধা ও তার দুই শিশুর জন্য শুভকামনা রইল।

কত শিশু এভাবে অন্যের কোলে পালিত হচ্ছে, কত শিশু মারা যাচ্ছে, তার হিসাব নাই। কিন্তু, রাধার এই নতুন শিশুটি ভবিষ্যতে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু হিসাবেই বড়ো হবে, যেটা তার জন্য একটা সমস্যা হবে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আপাতত শিশু নিরাপদ এটাই সুখবর । শিশুটি বড় হয়ে জানবে তার পরিস্থিতি সেক্ষেত্রে বেশ বিড়ম্বনার শিকার হবে সে । মঙ্গল হোক শিশুদের ।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাখে আল্লাহ মারে কে!
পৃথিবীেতে যেমন নিষ্ঠুর মা আছে
তেমনি মমতা ময়ী মায়েরও অভাব
নাই।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: পৃথিবী আর মানুষ সৃষ্টি হয়েছিল বিভাজনের থিম নিয়ে , আমরা অসহায় ।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: রাধা একজন প্রকৃত মা'য়ের প্রতীক। হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে রাধার জন্য অনেক অনেক দোয়া, ভালোবাসা আর সম্মান। বাংলার বুকে আর কোন শিশু এভাবে পরিত্যাক্ত যেন না হয় সেই প্রার্থনাই থাকলো কায়মনোবাক্যে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

শাহ আজিজ বলেছেন: বুকের দুধ দিয়ে লালন আর পালনের তীব্র আকাঙ্ক্ষায় বোঝা যায় একজন মায়ের প্রতিকৃতি । কেউ শিশুটির লিঙ্গ বা জাতপাত নিয়ে প্রশ্ন করেনি এটাই অভিভুত করেছে আমাকে । এই বাংলায় মনুষ্যত্ব শেষ হয়নি এখনো ।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: বহু দম্পতি একটা শিশুর জন্য হাহাকার করছেন। আবার কেউ কেউ রাস্তায় ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছেন। আজিব! তবে যারা শিশুকে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন এদের শাস্তি হওয়া দরকার।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ধরা পড়লে না হয় শাস্তি দেওয়া যেত ।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চলমান বাস্তবতা :((

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , তাই বটে

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষ মানুষের জন্য।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: জীবন জীবনের জন্য

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৫

সোহানী বলেছেন: আহারে, একটির না হয় ব্যবস্থা হলো কিন্তু বাকিদের? এভাবে শিশু হত্যা কেন?

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩০

শাহ আজিজ বলেছেন: মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে শিশুকে পরিত্যাগ বা হত্যা নয় দানশালায় দান করে দিন । এই দানশালা কারা আয়োজন করবে এটাই একটা বড় প্রশ্ন ।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

এমেরিকা বলেছেন: এদেশে ব্যভিচারের কোন শাস্তি হয়না, তাই ব্যাভিচারের মাত্রা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার সাথে সমানে চলছে ধর্ষন। কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বলে যে কিছু জিনিস আছে, সেটা ঐ বয়েসে বোধ হয় কেউ বুঝেও বুঝছেনা। দশ মাস গর্ভে থাকার পর তাই যে শিশু থাকার কথা বাবা মায়ের পরম যত্নে, তার স্থান হচ্ছে ডাস্টবিনে। এই শিশুরা কি কখনও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে? তাদেরকে কি কেউ কখনোই জানাবেনা যে তাদেরকে ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া গেছে?

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: খুলনাতে এস ও এস এর শিশু পল্লী আছে । পরিত্যাক্ত বা স্বেচ্ছায় দান করা শিশুদের এখানে দত্তক নেয় এরা । আমেরিকার ধনী মানুষের দেয়া অর্থে এই শিশুরা বেড়ে ওঠে । এদের পরিচর্যা করে একদল প্রশিক্ষিত নারী । উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর দত্তক বলে তারা আমেরিকা কানাডা যায় উচ্চ শিক্ষার জন্য । সেখানের নাগরিকত্ব মেলে । এরা জানে না কে এদের জেনেটিক মা বাবা । বাংলাদেশের মা বাবা দত্তক নিয়েছেন এমন দুজন বড় হয়েছে , সম্ভবত এখন সার্ভিস করছে বা বিদেশ গেছে । বড় হওয়ার পর জানানো হয় তাদের বেড়ে ওঠার গল্প । একজন নরওয়ে থেকে মা বাবাকে খুজতে এসেছিল মংলা অঞ্চলে কিন্তু পাওয়া যায়নি । একটা মানসিক সমস্যা থাকে কিন্তু তারাতো ভাল ভাবে টিকে গেছে জীবনে । আসল মা বাবার টান সব সময় থাকবে কিন্তু উপায় নেই , মেনে নিতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.