নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজশাহীর বাঘার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের গাছগাছালিতে বিশেষ করে আমগাছে শামুকখোল পাখি বাসা বাধে ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে বড় করার জন্য । অকটোবরের শেষদিকে বাচ্চারা উড়তে শেখে । একটু সময় নেয় পুরোপুরি উড়তে শেখার জন্য । এদিকে আম বাগানের মালিকদের তখন গাছপালা ছাটার সময় । গেল বছরে স্থানীয় পাখি প্রেমিকরা দেখল ব্যাপারটি খুব অন্যায় হবে । বিরল তালিকায় নাম ওঠা শামুকখোল যদি বংশবৃদ্ধি করতে না পারে তাহলে স্বাভাবিকতায় ছেদ পড়বে । তারা বাগান মালিকদের বাধা দিল । বাগান মালিকরা বলল এটা তাদের একমাত্র আয়ের উৎস । বেশ মিটিং সিটিং করে একজন হাইকোর্ট উকিল রুল জারির আবেদন করলেন । হাইকোর্ট সরেজমিনে দেখে বনবিভাগের সাথে আলাপ করে শামুকখোল পাখিদের নিরাপদ প্রজনন আর বসবাসের জন্য পাচজন আম চাষিকে ৩ লাখ+ টাকা ক্ষতিপুরন যা পাখির জন্য বাসাভাড়া হিসবে গন্য প্রদান করতে আদেশ দিয়েছে ।
বাসাভাড়া মিলল কিন্তু জানতে চাইবেন না কেমন পাখি শামুকখোল ?
এশীয় শামুকখোল আকারে বেশ বড়সড় জলচর পাখি। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ৮১ সেন্টিমিটার ,ডানা ৪০ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ১৫.৫ সেন্টিমিটার, লেজ ২০ সেন্টিমিটার ও পা ১৪.৫ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে প্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ একদম সাদা দেখায়। কাঁধ-ঢাকনি, ডানার প্রান্ত-পালক, মধ্য পালক ও লেজ সবুজাভ কালো। লম্বা ভারি ঠোঁট কালচে-লাল থেকে সবজে-শিঙ রঙের। দু'ঠোঁটের মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা জায়গা থাকে। নিচের ঠোঁট মাঝখানে বেশি বাঁকা হয়ে উপরের ঠোঁটের ডগার সাথে মিলে এ ফাঁকের সৃষ্টি হয়েছে। শামুক-ঝিনুক ধরার সুবিধার্থে এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। চোখ সাদা, ধূসর বা হলদে-বাদামি। চোখের চারদিকের চামড়া পালকহীন। পা লম্বা ও পায়ের পাতা অনুজ্জ্বল মেটে রঙের। প্রজনন মৌসুম ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ ধূসরাভ সাদা এবং পা অনুজ্জ্বল পাটকিলে বর্ণ ধারণ করে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখির চেহারা একই রকম, কোন যৌন দ্বিরূপতা নেই। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ ধোঁয়াটে-বাদামি। কাঁধ ঢাকনি কালচে বাদামি। পা অনুজ্জ্বল এবং দু'ঠোঁটের মাঝখানের ফাঁক কম বা অনুপস্থিত। একেবারে ছোট ছানার ঠোঁটে কোন ফাঁক থাকে না।
এশীয় শামুকখোল হাওর, বিল, মিঠাপানির জলা, হ্রদ, ধানক্ষেত, উপকূলীয় প্যারাবন ও নদীর পাড়ে বিচরণ করে। সচরাচর ছোট ঝাঁকে থাকে। বড় কলোনিতে রাত্রিবাস ও প্রজনন করে। খাবারের অভাব না হলে এরা সাধারণত এক জায়গা থেকে নড়ে না। কমবয়েসী শামুকখোলেরা উড়তে শেখার পর বিশাল অঞ্চল পরিভ্রমণ করে। ভারতের ভরতপুরে রিং পরানো একটি কমবয়েসী শামুকখোলকে ৮০০ কিমি পূর্বে পাওয়া গেছে। আবার থাইল্যান্ডে রিং পরানো আরেকটি পাখিকে ১৫০০ কিমি পশ্চিমে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। ভোরে আবাস ছেড়ে খাদ্যের সন্ধানে বের হয়, ডানা ঝাপটিয়ে আর গ্লাইড করে দল বেঁধে জলাভূমির দিকে উড়ে যায়। দিনের উষ্ণতম সময়ে ডানা না নাড়িয়ে বিশেষ কৌশলে ধীরে ধীরে চক্রাকারে আকাশের উঁচুতে উঠে যায় আর দল বেঁধে ঘুরতে থাকে। আবার জলাশয়ের একদিক থেকে আরেকদিকে ক্রমান্বয়ে উড়ে উড়ে খাদ্য খুঁজে বেড়ায়। পানির ধারে বা অগভীর পানিতে হেঁটে হেঁটে কাদায় ঠোঁট ঢুকিয়ে খাবার খুঁজে বেড়ায়। এদের খাদ্যতালিকার বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে শামুক, ঝিনুক আর গুগলি। এছাড়া ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, ব্যাঙ ও কাঁকড়াও খায়। সচরাচর পানির নিচে শামুকের খোলক ভেঙে এরা পানির উপর মাথা তুলে শামুকের মাংস গিলে খায়। স্যার জুলিয়ান হাক্সলি প্রাপ্ত নমুনা ও তথ্যের ভিত্তিতে মন্তব্য করেছেন, শামুকখোলের ঠোঁটের বিশেষ গঠন এক ধরনের জাঁতিকলের মত কাজ করে। এ প্রকৃতিপ্রদত্ত জাঁতিকলের মাধ্যমে শামুকখোল শামুক ভেঙে খায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শামুক ভাঙার জন্য নয়, বরং পিচ্ছিল শামুক ভালভাবে ঠোঁটে আটকানোর জন্য ঠোঁটের গঠন এমন অদ্ভুত হয় । উইকি থেকে ।।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: শামুক , গুগলি , মাছ এদের খাবার । বিলেই ঘোরে সারাদিন ।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের এলাকায় (চট্টগ্রামে ) এই পাখী আমি দেখেছি বলে মনে হয় না।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: জলাশয়ের আশপাশ দিয়ে থাকে । পাহাড়ি এলাকায় থাকতে পারে ।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ওমেরা বলেছেন: ভালো তো পাখির জন্য বাসা ভাড়া পেল কিন্ত প্রতি বছর এটা হলে তো আমরা আম পাব কোথায় ?
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: পুরো রাজশাহী , কুষ্টিয়ার আম কে খাবে ? এটা অল্প কিছু গাছের ব্যাপার । গাছগুলো পাখিদের পছন্দ বটে । এক জায়গায় এরা বেশিদিন থাকে না ।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
মিরোরডডল বলেছেন:
শামুকখোল নামটা আগে শুনিনি । গুড টু নো । সুন্দর পাখিটা ।
অনেকটা পেলিকেনের মতো । ওটাও পানিতেই থাকে । কোষ্টাল এলাকায় দেখা যায় ।
পানি থেকেই মাছ, পোকা এসব খায় ।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি দেখেছি কিন্তু নাম জানতাম না । আমার কাছে বকের সমগোত্রীয় কিছু মনে হত ।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই পাখি আমাদের এলাকায় নাই। ফেনীতে দেখি নাই
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০
শাহ আজিজ বলেছেন: উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে এরা বাসা বাধে না ।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এর বিশাল একটা ঝাক দেখেছিলাম গাজীপুরের গ্রামে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১
শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও দেখেছি বিশাল গাছ দখল করে আছে ।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই পাখি ছবিতে দেখেছি, বাস্তবে দেখিনি।
শামুক খোলের জন্য বাসা ভাড়া বিষয়টা বেশ চমকপ্রদ।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: মানুষের জন্যও সবাই এগিয়ে এলে ওরা কম্বল পাবে এই শীতে ।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন:
আজ সকালে আমাদের বাসার সামনে এ পাখিগুলো এসেছিল। তবে এ পাখির নাম যে শামুকখোল তা জানা ছিলনা। আপনার পোস্ট থেকে জানলাম। ধন্যবাদ স্যার, ভালো থাকবেন।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও নাম জানতাম না । ধন্যবাদ লাইভের জন্য ।
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খুবই ভালো একটা উদ্যোগ।পাখিও নিরাপদ বাগানিও সমস্যা মুক্ত।
আমাদের এলাকায় বলে শামুকভাঙ্গা।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা বিভিন্ন নাম থাকা স্বাভাবিক ।
১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শামুখ খোলার জন্য বাসা ভাড়া.
কুকুরের জন্য নিরাপদ আশ্রয়
বিড়াল পায় মানুষের সেবা
অথচ
এই শীতে বহু শিশুর থাকবেনা
শীত নিবারনের বস্ত্র, এবং আশ্রয়!
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি প্রতি বছর কম্বল দেই , এবার পারছি না ।
১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের পাশের বাসায়। ছাদে তারা গ্রিল দিয়ে পুরো ছাদ জুড়ে পাখির খাঁচা বানিয়েছে। সেখানে নানান পদের পাখি। পাখি গুলোকে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। পাখি গুলো সারাদিন ছটফট করে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: ছেড়ে দেওয়া উচিত । পশুপ্রেমিকদের খবর দিলে হয় ।
১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩০
সোহানী বলেছেন: আর দারুন পাখী। যাক, শুনে ভালোলাগলো যে দেশে অন্তত পাখীদের জন্য একটু হলেও ভালোবাসা আছে।
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা কিছু মানুষের উচিত পশু পাখির খোজ নেওয়া , ব্রয়লার মুরগি বাদে ।
১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: প্রথম ছবিটা চমৎকার।
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
শাহ আজিজ বলেছেন: ছবি নেট থেকে সংগ্রহ
১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছেড়ে দেওয়া উচিত । পশুপ্রেমিকদের খবর দিলে হয় ।
আমারও মনে হয় এভাবে পাখীদের বন্ধী করে রাখা অন্যায়। পাকী প্রেমিদের ঠিকানা পেলে তাদের আমি বিস্তারিত জানাতাম।
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: তুমি গুগল কর ।
১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: নতুন বিষয়ে জানা হলো।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আমরাও জানলাম ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাখিরা তো আমগাছে বসবাসের জায়গা পেলেন, তাদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার না?
সুন্দর পোস্ট।