নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মপাল গুলাটি মাত্র ১০ বছর বয়েসেই স্কুল ছেড়ে দেন সেই শিয়ালকোটে যেখানে ১৯২৩ সালে তার জন্ম । বাবা চুন্নিলাল গুলাটির ছোট একটা মশলার দোকান ছিল শিয়ালকোটে । কিছুদিন ঘুরেফিরে সেই বাপের দোকানেই কাজ শুরু করেন ধর্মপাল । ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কবলে পড়ে তারা প্রথমে অমৃতসর পরে দিল্লীতে চলে আসেন । বাবা চুন্নিলাল একটা দোকান করলেন মশলার ১৯৫৩ সালে দিল্লির কারোলবাগে । এর আগে ধর্মপাল তার সঙ্গে আনা ১৫০০ রুপি শেষ করে সংসার চালাতে কিছুদিন টাঙ্গা গাড়ি চালালেন । আবারো ফিরলেন বাবার মশলার ব্যাবসায়ে । এরপর ধর্মপালকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । দিল্লিতেই একটি কারখানা গড়ে তুললেন । ডিসেম্বরের ৩ তারিখ ধর্মপাল তার গড়া ১৮টি কারখানা , গোটা ভারতের বাজার , দুবাইয়ের কারখানা , দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ রেখে স্থায়ী বিশ্রামে চলে গেলেন । এম ডি এইচ বা মহাশিয়ান ডি হাট্টি যার সুচনা বাপের হাতে শিয়ালকোটে সেই নামেই চলল ৬৩ রকমের মশলা নিয়ে বিশাল ব্যাবসা । ভারতে এরকম রত্ন আরও আছে যারা ভুজিয়া , পানের মশলা , গুল , আচার , জর্দা ইত্যাদির একচেটিয়া ব্যাবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন । এরা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির স্বপ্ন দেখেননি বা ব্যাবসা ছেড়ে অন্য ব্যাবসা ধরেননি । আমি মশলার বিজ্ঞাপন দেখে এই ভদ্রলোককে মডেল হিসাবে কেন নেওয়া হয়েছে বুঝিনি । পরে কলকাতায় ব্যাবসায়িদের জিজ্ঞাসা করে জানলাম তিনিই বৃহৎ মশলা কোম্পানির মালিক । এই অনুসরন ও অনুকরনযোগ্য মানুষদের আমার ভাল লাগে । একটা কিছুর পেছনে লেগে থাকলে একটা ফল বেরুবে । আমাদের তো শেষ , অন্যের বিষয়ে বেগার খেটে খারাপ চলেনি জীবন । একটা বড় অভিজ্ঞতা এই দেশে যে ব্যাবসাকে রাজনিতিকরন এবং ধর্মীয় তকমা দিতে এদেশের মানুষের জুড়ি নেই চাইলে সে আপনাকে খুন করে ফেলবে তবু আপনার পিছু ছাড়বে না । ক্রিয়েটিভিটি না থাকলে লুটপাটের মানসিকতা গড়ে ওঠে । আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ । ভারতে বহু নকল করার কারখানা আছে এবং তারাও দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ওই একটা লিমিটের মধ্যে কারন চোরদের একটা নির্দিষ্ট এরিয়া থাকে ।
ধর্মপাল গুলাটি নিজের কোম্পানি থেকে শেষটক ২১ কোটি রুপি বেতন নিতেন যার ১৯ কোটি রুপি জনসেবায় দিতেন । ২০ টি স্কুল গড়েছেন , ২০০ বেডের হাসপাতাল গড়েছেন , চুন্নিলাল চ্যারিটি ফাউনডেশন এবং আরও কিছু প্রতিষ্ঠান যা মানব কল্যানে নিবেদিত । ৭৫০০ পিস কোভিড বিশেষ ড্রেস সরকারের হাতে তুলে দিয়েছেন । একজন মানুষের জীবনে যে বিশেষ স্বপ্ন থাকে তার কোনটি অপূর্ণ থাকেনি ধর্মপালের । বাস্তুচ্যুতদের একধরনের জিদ থাকে ।
ভারত সরকার ধর্মপালকে পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন ।
ভাল থাকুন , সুস্থ থাকুন ।
পাকিস্তানের শিয়ালকোটের সেই দোকান ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: এই কাহিনী আমার লেখা । ৩ ডিসেম্বর তিনি মারা গেছেন । সব মিডিয়ায় এসেছে ।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমরা চাই সটকাট বড়হতে।তাই আমাদের আর কিছুই হওয়া হয় না।সুন্দর লিখেছেন।এখান থেকে শিক্ষা নেবার আর সময় নাই।
তবে জীবনে এই শিক্ষা হয়েছে যারা অন্যের কথা চিন্তা করে তারা নিজের কথা চিন্তা করতে পারে না।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের রাজনিতিক , সেনা সবাই বলে এম এল এম কর , তরক্কি হবে । সেই তরক্কি এমন জায়গায় পউছাইছে যে ব্যাঙ্কও খালি হইয়া যাইতাছে । আমি খুবই নিরাশ হতভাগাদের দেখে যে সবাই অপরের মাল বিক্রি করবে কিন্তু নিজে কিছু করবে না । আমাদের এনটারপ্রেনার দরকার । ছোট কারখানায় ভর্তি হবে দেশ কিন্তু তাতে রাজনিতিকদের লাভ নাই । দাসের শ্রম দেওয়া টাকা অনেক মধুর , ইনস্ট্যান্ট মিল্কের মত ।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই কাহিনী আমার লেখা । সব মিডিয়ায় এসেছে ।
অভিনন্দন স্যার।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১
শাহ আজিজ বলেছেন: ওয়েলকাম
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: উনাকে আজই প্রথম জানলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: স্যালুট এমন উদার দানশীল মানুষকে।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: স্যালিউট
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৬
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আজিজ ভাই,
আপনি কোন কোন দেশে ভ্রমন করেছেন। দিন দিন আপনার ভক্ত হয়েযাচ্ছি।
এই রকম আরো গুনি জন নিয়ে পোস্ট দিবেন আশা করি।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: চীন সহ দক্ষিন পূর্ব এশিয়া আর ভারতবর্ষ পুরোটা প্রায় । এরকম গুণীজনের দরকার বড্ড বেশি এই সমাজে , আমাদের দেশে ।
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১০
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ভাই আপনার ইমেল টা দেয়া যায়?
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: সামুর ফেসবুক পেজে আসুন ।
৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৫
সোহানী বলেছেন: আগে আসতে হবে সরকারকে। ব্যবসা বা এ ধরনের কাজে সহায়তা করতে হবে। তারপর সবাই হাল ধরবে। কিন্তু বড় মাঝারি ছোট পাতি মাস্তানরাইতো সব চুষে খেঢে নিচ্ছে। দেশে কেউ কিছু শুরু করবে কিভাবে??????????
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: সমস্যা তো ওখানেই । এই রাষ্ট্র পাবলিক গড়েছে বেচে থাকার তাগিদে , রাজনিতিক নয় , সেনাবাহিনী নয় । আমদানি নির্ভর করে গড়ে তোলা হয়েছে এদেশকে । নতুন উদ্যোক্তাদের লোণ দেয় না ব্যাঙ্ক ।
৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০১
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমি ফেসবুক নাই (Active না )
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: উনার এই কাহিনী সম্ভবতো ইউটিউবে দেখেছিলাম