নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি জানতাম না , আপনি জানতেন ??

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩


বেগম রোকেয়াকে কম বেশী সবাই চেনেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে তিনি তাঁর শেষ ঘুমটা ঘুমিয়ে আছেন সোদপুর পানিহাটিতে। তৎকালীন ধর্মীয় সমাজ বেগম রোকেয়াকে কোন কবরস্থানে কবরের অনুমতি দেয় নি। আজ ( ৯/১২/২০২০) তাঁর জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন।

কলকাতার কোনো কবরখানায় সমাহিত করা সম্ভব হয়নি তাকে, কেননা তিনি নারী হয়ে মুসলিম মেয়েদের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন, নারীর অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, এবং রচনা করেছিলেন সাহিত্য। ভদ্রমহিলার নাম বেগম রোকেয়া।

তাহলে তার কবরটা কোথায়? ঐতিহাসিক অমলেন্দু দে'র আবিষ্কার, সেটি রয়েছে কলকাতার উপকন্ঠে, সোদপুর পানিহাটিতে।একটা শ্বেতপাথরে বেদী। তার ওপর লেখা- স্ত্রী শিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ' বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন'কে এখানে সমাহিত করা হয়েছিল।

যেভাবে মাইকেল মধুসূদনের মরদেহের ওপর খৃষ্টান বা হিন্দু কারো দায় ছিলনা। তার দেহ কে কোথায় কবরস্থ করবে সে নিয়ে বিতর্ক তো ইতিহাস।সেভাবেই লোকচক্ষুর আড়ালে কোনো এক আবদুর রহমানের দেওয়া জমিতে, পানিহাটিতে গঙ্গার ধারে সমাহিত হলেন রোকেয়া।

আবদুর রহমান কে ছিলেন নিশ্চিত করে জানা যায়না। কেউ বলেন বেগম রোকেয়ার ছোটবোনের বর। কিন্তু তার বোন, হোমায়রা খাতুনের স্বামী তোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধুরীর বাড়ি পূর্ববঙ্গে। (তাঁদের পুত্র আমীর হোসেন চৌধুরী নজরুল গবেষক ছিলেন। ইনি রোকেয়ার কাছে মানুষ। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা প্রতিরোধকালে শহীদ হন)৷

আবদুর রহমান বলে একজন জ্যোতির্ময়ী রোকেয়া নামে জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন, তাঁর সাথে রোকেয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ছিল। ইনিও হতে পারেন। আবার এও হতে পারে রোকেয়ার কোনো কাজিনের স্বামী ছিলেন উক্ত আবদুর রহমান। মোট কথা তার একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য হয়, যিনি ঐ মহীয়সী নারীর জন্য বরাদ্দ করেছিলেন সাড়ে তিন হাত জমি।

মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি তাঁর কোন ছাত্রীকে বলেছিলেন "কবরে শুইয়া শুইয়াও যেন আমি মেয়েদের কলকোলাহল শুনতে পাই।" সেই ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছিল প্রায় এক দশক বাদে। ঠিক ঐ স্থানেই গড়ে উঠেছে একটি বালিকা বিদ্যালয়!! পানিহাটি বালিকা বিদ্যালয়।
কি অসাধারণ সমাপতন।

একজন প্রিয়া সেনের পেজ থেকে নেওয়া।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: এই ঘটনা আমিও জানতাম না। ধন্যবাদ আজিজ ভাই

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: কেন জানতাম না এটাই প্রশ্ন করছি নিজেকে । কারন কলকাতায় কবর বলে নয় , কারন নারী শিক্ষায় অগ্রজন বলেই তাকে কলকাতা মুসলিম সমাজ সেখানে কবর দেওয়ার অনুমতি দেয়নি । আমাদের নারীরাও এনিয়ে টু শব্দ করে না ।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই ধর্ম নিয়া অনেক অধর্ম হয়েছে মুসলিম সমাজে।সামান্য মানবিকতাও তাদের কাছে আসা করা বৃথা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: কি অনাচার , কি অমানবিকতা । কলকাতা গেলে এবার সোদপুর যাব ।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এক জন মহান মানুষ। মহান নারী।
এই যুগে এমন মানুষ আর হবে বলে আমার মনে হয় না।
বাংলাদেশে তো নয়ই।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , প্রতি মন্তব্য করা কঠিন ।



জার্মানির চ্যান্সেলর , নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অতুলনীয় নারী সম্পদ এই পৃথিবীর জন্য ।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি জানতাম না। আসলে প্রকৃত ধর্ম বহু আগেই পথ হারিয়েছে। যে ধর্মের শুরুতে শান্তির কথা বলা আছে, এখনকার অনুসারীরা সেটাকে এখন অশান্তির ধর্ম বানাচ্ছে। তবে অবস্থা আগেও যা ছিলো, এখনও তাই আছে। পরিবর্তন কেউই মেনে নিতে পারে না।

আল্লাহ এই মহান নারীকে বেহেশত নসীব করুক, আমীন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হু , সহমত ।



তার আত্মার শান্তি হোক ।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: মহান ধার্মিকদের কি মহান মানবিক হওয়ার নিদর্শন ! আহা !

ব্যাপারটা আমারও জানার জানা ছিল না !

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশে নারীবাদিরা কেন এই বিষয় চেপে গেলেন জানিনা ।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার তথ্য যা আগে কখনো জানতাম না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: জানলাম এবং আকাশ হতে পড়লাম । একটা তাগিদ অনুভব করলাম ছেপে দেওয়ার । তাকে যে পানিহাটি তে কবরের জায়গা দিয়েছে তাই যথেষ্ট ।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩

সেজুতি_শিপু বলেছেন: আহা! জানা ছিল না এই তথ্য । কত যুদ্ধ ও যন্ত্রনা যে তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে!
আমি অনুভব করি, একদল সংগ্রামী, স্বপ্নবান, আলোকিত মানুষ সমাজ, সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সংগ্রাম করে যাচ্ছনে যুগে যুগে, আরেকদল সিন্দাবাদের ভুতের মত ঘাড়ে চেপে বসে অগ্রযাত্রার সুফল ভোগ করে আর অগ্রযাত্রার পথকে কঠিন করে ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: সারা পৃথিবীতে আমাদের বাঙ্গালিদের মুল্যায়ন হয়না সম্ভবত এইসব অনেক কারনের জন্য । এখন তো সিন্দাবাদ মাথায় চেপে বসেছে ।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কি ভয়াবহ। যিনি সমাজ ও নারীর বিনির্মানে কাজ করে গেছেন তাকে মৃত্যুর পর সমাহিত হতে সমস্যা পোহাতে হয়েছে।

রোকেয়া রোকেয়া বলে আমরা তাকে স্মরণ করি আর তার এই পরিণতি?

ভাল থাকুন অনন্তে , স্বগৌরবে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: কিন্তু ভয়ানক হচ্ছে আমাদের নারীবাদীরা চেপে গেলেন কেন এই ব্যাপারটা ?

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগে জানতাম না এখন জানলাম। এখন হলে মৌলবাদীরা এই মহান মানুষকে হেনস্থা করতো

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: মৌলবাদীরা এই নাম মুখেই নেয় না আর কলকাতায় যে তার কবরের অনুমতি দেয়নি তাও কেউ বলে না ।

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: তসলিমা নাসরিন আর রোকেয়া দুইজনই নারী জাগরনে বিশ্বাসী। অথচ....।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বিষয়টা আসলেই জানা ছিলো না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিতো দেখছি কেউই জানত না , বিস্ময়কর ।

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

মেহবুবা বলেছেন: জানা থাকা উচিৎ ছিল কিন্তু জানতাম না।
কোন এক আবদুর রহমানের জন্য শ্রদ্ধা, যিনি এই মহীয়সী নারীর মৃত্যুকে অবহেলিত হতে দেননি।
আজ আমরা সাবলীলভাবে মেয়েরা কত জায়গায় পা রাখতে পারছি, বেগম রোকেয়া দরজা খুলে দিয়ে গেছেন বলে।
আল্লাহ্ ওনাকে চিরশান্তিতে রাখুক।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ । আব্দুর রহমান খুবই সাহসী ছিলেন ।

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম যদি সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসতো, সেটা হতো সবচেয়ে বুদ্ধিমান রীতিনীতি, ধর্ম আদি মানুষদের ভাবনা চিন্তা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

জুন বলেছেন: এই মহিয়সী নারী যিনি নারী শিক্ষার মশাল জ্বালিয়েছিলেন তার অন্তিম যাত্রাও যে এত অন্ধকার আর বাধা বিঘ্নে ভরা ছিল তা জানা ছিল না । আপনাকে ধন্যবাদ ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: একজন প্রিয়া সেন আমাদের যারা বেগম রোকেয়াকে নিয়ে গানাবাজানা করি তাদের কান ধরে দেখাল শুধু ভাস্কর্য ভাঙ্গা নয় রোকেয়ার মত নাছারাদের কবর পর্যন্ত দেয়া যাবে না ।




আমি খুব ভগ্ন হৃদয় যুগপৎ পুলকিত এমন সংবাদ ছাপতে পেরে ।

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

নাসরীন খান বলেছেন: ন্ধকারে ছিলাম এতদিন।একি জানলাম!মনটা খারাপ হয়ে গেল।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: এজন্য পাকিস্তানী আর বাংলাদেশে তাদের দোসর রা চেপে যায় এই নিদারুন ব্যার্থতার কথা । রংপুরের মানুষ বা রোকেয়ার পরিবারের কেউই কি জানত না এই খবর ।

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

এইচ তালুকদার বলেছেন: এই তথ্য জানা ছিলো না,এমনকি ২০১১ সালে বেগম রোকেয়ার জন্মভিটা পরিদর্শনের সময়ও এই প্রশ্ন আমার মাথায় আসে নি। বেগম রোকেয়ার বাপের দিক থেকে এক আত্নীয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে যার ওই ভিটার পাশেই থাকেন(বেগম রোকেয়ার জন্মভীটার মাত্র দুটি পিলার এখনো অক্ষত আছে)।বেগম রোকেয়ার অই আত্নীয় প্রতিবছর বেগম রোকেয়ার জন্মদিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া মেলা নিয়ে বেজায় ক্ষেপা ছিলেন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আজ প্রথম আলোতে একজন আইনের অধ্যাপক তাকে নিয়ে লিখেছেন । সাখাওয়াত হোসেন রোকেয়ার দ্বিতীয় স্বামী বলেই জানি কিন্তু তা উল্লেখ করা হয়নি । তার কবর নিয়ে কোন কথা হয়না ।

১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

ফটিকলাল বলেছেন: যেখানে ইসলামে কাফেরদেরও কবর দেয়ার আলাদা নিয়ম করে দিয়েছে সেখানে এ কেমন মুসলমান যারা এমন অসাধারন মানুষকে কবর দিতে বাঁধা প্রদান করে? এরকম অবিচারের বিচার চাইবো রোজ হাশরের ময়দানে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: কলকাতার মুসলিমরা খুব দুঃখ পেয়েছিল আমরা পাকিস্তান ভেঙ্গে দেবার জন্য । আমি মহা বিরক্ত ওদের উপর । ওরা আমাদের মানুষ মনে করেনা । আর সেই সময়তো খুব কনজারভেটিভ সময় , মুসলিম মেয়েরা স্কুল কলেজে যেত না বা নিয়ম ছিল না ।

১৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

ফটিকলাল বলেছেন: এজন্যই উলামায়ে শূদের ঘৃনা করি। এখন তো উলামায়ে শূ বিবর্তিত হতে উলামায়ে গুগলে পরিনত হয়েছে। এদের জন্যই দিকে দিকে ইসলাম নিয়ে এত ঘৃনার চর্চা হচ্ছে।

দুঃখজনক

১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ফটিকলাল বলেছেন: কলকাতার মুসলিমরা খুব দুঃখ পেয়েছিল আমরা পাকিস্তান ভেঙ্গে দেবার জন্য । আমি মহা বিরক্ত ওদের উপর । ওরা আমাদের মানুষ মনে করেনা । আর সেই সময়তো খুব কনজারভেটিভ সময় , মুসলিম মেয়েরা স্কুল কলেজে যেত না বা নিয়ম ছিল না ।



তার মানে ব্লগের অনেকেই যে বলেন এসব ফতোয়া রীতি সময়ে সাথে পরিবর্তিত হয় এটাও সত্য। এখন যারা ভাস্কর্য মূর্তি বলে চারিদিকে ফেতনা ছড়াচ্ছেন এরাও একদিন লাইনে এসে যাবে। সফি হুজুরের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ক্লাস ফাইল পর্যন্ত পড়ানো আর তেতুল?

মেলানো পারেন এই গোষ্ঠিটিকে?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: কোর্ট ওদের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিয়েছে , শুনেছেন তো ?

এবার কুড়াল নিয়ে নামবে ওরা মূর্তি ভাংতে । ডিজিটাল আইন ফেইল । কেন ডিজিটাল আইনে মামলা করল বুঝলাম না ।

এটা পাতানো ইস্যু মনে হচ্ছে ।

২০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭

ফটিকলাল বলেছেন: শুনিনি তো। একটু ডিটেইলে বলবেন কাহিনীটা কি?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাস্কর্যবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মোহাম্মদ মামুনুল হক এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতা সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন। গতকাল জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী দণ্ডবিধির ৫০০/৫০৬/৪২৭/১০৯ ধারায় অভিযোগ এনে মামলাটি করেছিলেন। ডেইলি স্টার ।।

২১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

ইলি বলেছেন: আগে জানতাম না এখন জানলাম।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: সবাই একই কথা বলছে । কারণটা আমায় খুজতে হবে ।

২২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বেগম রোকেয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিন

২৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: বেগম রোকেয়া এমন একটি নাম যে নামটা লবনের মত কাজ করে মোল্লাদের উপর, জোগের গায়ে লবন লাগলে যেমন গূটিয়ে যায় তেমনি মোল্লারা বেগম রোকেয়ার নাম শুনলে গুটিয়ে যায়। মজার ব্যাপার আজো এই লবন কার্যকর। ইনফিনিটি তার এক্সপায়ারেটি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: X(( :-P X(( :-P X(( :-P

২৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বেগম রোকেয়ার সমাধি নিয়ে মুল্যবান তথ্য ও ছবি সমেত পোষ্টটি যথাসময়ে উস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ ।
পোষ্টটি সরাসরি প্রিয়তে গেল । বেশ কিছু অজানা তথ্য জানা গেল ।

অমিতাভের ব্লগ থেকে কিছু উদ্ধৃতি (সুত্র Click This Link )
“আপনি জানতেন অবরোধ হয়
মেয়েদের জন্য অবরোধ নয়,
অবরোধ খোলা, প্রতিরোধ তোলা
লেখাপড়া শেখা , খোলা মনে দেখা
যেভাবে আপনি দেখেছেন
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
শালীনতা থাক, অবরোধ যাক
গ্রামের মেয়েটা, সাহস পাক
বই তুলে নেয়া, স্কুলে নাম দেয়া
বিজ্ঞানে যাওয়া , এগোতেই চাওয়া
যেভাবে আপনি এগিয়েছেন
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। ”

নারী স্থান এক আজব দেশের গল্প । সেখানে মশা নেই, পুলিশ নেই, অশান্তি নেই। আর এই শান্ত আনন্দময় পরিবেশের উৎসে একটাই কারণ। পুরুষ এখানে শৃংখলাবদ্ধ। গল্পের এক চরিত্র বলছেন – স্বয়ং শয়তান যেখানে শৃংখলাবদ্ধ সেখানে শয়তানীর সুযোগ কোথায়? মেয়েরা তাই ভারী নিরাপদ। পুরুষরা রয়েছে অন্তপুরে। জননিরাপত্তার স্বার্থে হিংস্র পশু ও বদ্ধ উন্মাদের যেমন অবাধে চলাফেরার স্বাধীনতা দিতে নেই, তেমনি পুরুষদেরও ছেড়ে দেয়া যায় না রাস্তায়। তারা থাকে ঘরে। তারা করে দেহের কাজ। মেয়েরা করে মস্তিষ্কের কাজ। এর আছে দেহ, ওর আছে মন। বিভজনটা এই রকমের। সে দেশে যুদ্ধ পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। অবশই তিনি একজন মহিলা এবং তার বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ুয়ারা সকলেই ছাত্রী। এমন এক কাল্পনিক দেশের গল্প ছাপা হলো মাদ্রাজের Indian Ladies Magazine-এ। ১৯০৫ সালে। উপমহাদেশের নারীমুক্তি আন্দলোনের দিগন্তে উদয় হলো নতুন মুক্তি সূর্য্যের। বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন।

বেগম রোকেয়ার উপলব্ধি নিয়ে নাগরিক কবিয়ালের গানটির কথামালাও তুলে দেয়া হলো ।
“মেয়েদের স্কুল ডুমুরের ফুল
সে ফুলের টানে বাতাস আকুল
কাহিনী লেখিকা, প্রবন্ধটাও
যুক্তি তর্কে কলমখানাও, আপনি শানিয়েছেন
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।”

বাংলার এই মহিয়সী নারীর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: বাহ চমৎকার সংযোজন ।

যেতে হবে পানিহাটিতে ।

ধন্যবাদ ।

২৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৭

ফটিকলাল বলেছেন: ইদানিং ব্লগে কিছু মৌলবাদী মানুষ আছেন যারা ইসলামের নামে কিছউ মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তা ইসলামের বিরুদ্ধে আঘাত বলে প্রমান করতে চান।

বিডিনিউজের এই আর্টিক্যালে অনুসারে:

কেননা তাৎক্ষণিকভাবে সেসব তথ্য যাচাই করে দেখার মতো সুযোগ, সামর্থ বা উপায় আমার ছিল না। তবে একাধিক সূত্র থেকে তথ্য ঘেঁটে অনুমান করা হয় যা জিনাত রহমান ও অজিত কুমার ঘোষও উল্লেখ করেছেন, যে রোকেয়াকে তৎকালীন মৌলবাদীদের বাধার জন্য কলকাতার কোন গোরস্তানে সমাহিত করা সম্ভব হয়নি যার জন্যে তাঁর মরদেহ পানিহাটি-সোদপুরে আনা হয়েছিল। কেননা মেয়েদের জন্যে স্কুল করায় ও নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলায় ও সাহিত্য রচনা করায় ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের চোখে রোকেয়া মোটেই গ্রহনীয় ছিলেন না।
ইতোমধ্যে এই বিষয়ের ওপর নতুন করে অনুসন্ধান করতে গিয়ে অতি সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ/নিবন্ধের ওপর আমার চোখ পড়ে। বেগম রোকেয়ার কবরের স্থান যে সোদপুর-পানিহাটিতে যা অমলেন্দু দের প্রথমিক আবিষ্কার, সে ব্যাপারটায় আজ কেউ আর সন্দেহ বা দ্বিমত পোষণ করেন না।
তথ্য খুঁজতে গিয়ে আরো পেলাম পানিহাটির ঐতিহ্যময় ইতিহাসের সুদীর্ঘ বিবরণ। এ জায়গার সঙ্গে বড় বড় সব মণিষী যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চৈতন্যদেব, মহাত্মা গান্ধী, বেগম রোকেয়া, স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, রাজশেখর বসু (পরশুরাম), সুকুমার রায়সহ অনেকের অতি ঘনিষ্ট সংস্লিষ্টতার তথ্য রয়েছে সেখানে। (ধন্য পানিহাটি, অজিত কুমার ঘোষ, প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক, পানিহাটি ত্রাণনাথ হাইস্কুল, অক্টোবর ৩১, ২০০৯)।


মৌলবাদীরা কোনো অপরাদ বা বর্বরতা করলে আজও কিছু মানুষের আঁতে লাগে এবং তখন তারা ইসলামের আক্রমন বলেই উল্লেখ করে মৌলবাদীদের বাচাতে চায় এবং বর্বরতাকে জায়েজ করতে চায়। কত ঘৃন্য এদের কাজ, ইসলামকেও পন্য বানাতে এরা পিছপা হয় না

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ফটিকলাল , এই তথ্য সংযোজন করলে এই রচনার কলেবর বৃদ্ধি পাবে , উন্নত হবে । ইচ্ছা আছে একবার পানিহাটি যাবার । সরেজমিনে ঘুরে এলাম জেনে এলাম আর কলেজ ষ্ট্রীট সড়কের উপর যে বই হাট আছে সেখানে এই তথ্য সংবলিত বই পাওয়া যায় কিনা তা দেখে নেওয়া ।

২৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:০৯

সোহানী বলেছেন: বিষয়টি সবার মতো আমার ও জানা ছিল না। জেনে দু:খ পেলাম। সব যুগেই মেয়েরা নিগৃহিত।

এখন আপনার প্রশ্নের জবাব দেই। নারীবাদীরা কোথায় ছিল?

যে যুগে বেগম রোকেয়া সূর্য ছিলেন সে যুগে মেয়েরা টু শব্দটি করার সাহস অর্জন করেনি। তাই তাঁকে নিয়ে কিছু বলার মতো পরিবেশ ছিল না মেয়েদের। বেগম রোকেয়া এতো কিছু করতে পেরেছেন শুধুমাত্র স্বামীর সাহায্যে। সে সময়ে বলতে গেলে অসম্ভব একটি বিষয় ছিল। তারপরও যে আলো তিনি দেখিয়েছিলেন সে আলোতেই আজ আমি বা সব মেয়েরাই জ্বলছে।

আর আধুনিক নারীবাদীদেরকে নিয়ে লিখতে গেলে অনেক কথা বলতে হয়। কারন আমি প্রত্যক্ষভাবে দীর্ঘদিন জেন্ডার নিয়ে কাজ করেছি দেশে। শুধু এটুকুই বলি, এটা অনেকের কাছে ধান্দাবাজি মাত্র। সত্যিকারের মেয়েদেরকে নিয়ে ভাবে এমন নারীবাদী আমি খুব কমই পেয়েছি জীবনে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: সত্যকথনের জন্য ধন্যবাদ সোহানি । যাক দেখতে পাচ্ছি এই লেখা যে কার তা বের করা মুশকিল ফেসবুকে এমন ভাইরাল হয়েছে যে পত্রিকাগুলো নড়ে চড়ে বসেছে । প্রয়াত ঐতিহাসিক অমলেন্দু দে'র তথ্য অনুসারে ব্লগার অমিতাভ গিয়েছিলেন সেই স্কুলে যেখানে মেয়েদের চলাচলের পথের পাশেই রোকেয়ার কবর । আমিও যাব পরিস্থিতি অনুকুলে এলে ।

দুদিন আগে আমি একটা সাইটে যুক্ত হলাম যেখানে লক্ষ মহিলা যুক্ত তাদের তৈরি বিবিধ জিনিষ নিয়ে । আমরা বাসায় বসে কুমড়া বড়ি পেলাম ঝিনাইদহের এক গ্রাম থেকে এক সংগ্রামী মহিলার কাছ থেকে । সবাই অনলাইনে ব্যাস্ত তাদের পন্য নিয়ে । অসাধারন লাগলো আমার কাছে । এখানে সেই কথিত নারীবাদীদের কমিশনের কালো হাত নেই নেই খবরদারী আর অহেতুক রাজনীতি । আমি মেসেঞ্জারে লালবাগের এক তরুণীর কাছে আচারের অর্ডার দিলাম । আমার মনে হল ধর্মীয় কুপমনডুকতার ভিতরেও বাংলাদেশ জেগে উঠছে । এটাই আশার কথা --------------------

২৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

সোমহেপি বলেছেন: ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কেউই জড়তা মুক্ত নয়। খুব অল্পসংখ্যক মানুষ হেকমত ধারণ করতে পারে ও সে অনুযায়ী বাস্তবে প্রয়োগের পথ তৈরি করতে পারে। কেউ কেউ সামাজিক অভ্যাস কিংবা ধর্মীয় আবরণে অনেক অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে না। একটা বোধ যখন তৈরি হয় তখন সেটা বৃহৎ একটা জনগোষ্ঠীতে প্রচলন হয়ে যায়। যেমন রাষ্ট্রীয় ভাবে অনেক দেশ প্রকৃত গণতন্ত্র থেকে সরে এসেছে। তারপরও যারা নষ্ট গণতন্ত্রে অভ্যস্ত হয়ে যায় তাদেরকে বোম মেরেও আসলটাতে আনা যায় না, ও সত্যটা স্বীকার করানো যায় না। এগুলা মানুষের বোধগত সমস্যা থেকে তৈরি। কিছু নিকৃষ্ট স্বার্থ দিয়াও চলে। আর যতবোধ তত ভেদ। এটা থাকবেই। খুব স্বাভাবিক। এই ক্লেশের মধ্যেই বোধ পরিবর্তন হয়। প্রগতিশীলতা জগৎ জুইড়া চলতে থাকে। এটা এমন জিনিস যুগে যুগেই নতুন নতুন। এটা এমন বিষয় না যে খৎনা করলেন আর করতে হবে না। যেটা ক্ষতিকর সেটা হল সাম্প্রদায়িকতা। একটু আধুনিক চিন্তায় প্রবেশ করলেই অনেকে যে ভুলটা করে সকলকে পাশ কাটিয়ে সে নিজেকে উৎকৃষ্ট জ্ঞান করে সামষ্ঠিক জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা জাহির করতে থাকে আর অন্যদেরকে হেয়তর ও হীনতর জ্ঞান করতে থাকে যেনো সে কত বড় চ্যাটের বাল হয়া গেছে। যে মানুষের জন্য তার উৎকৃষ্টতর জ্ঞান সে মানুষগুলোকেই শত্রুজ্ঞান করে ফলে যে ভাল জিনিসটা তার দ্বারা হিকমতের মাধ্যমে করা সহজ হত সেটা না হয়ে সে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়। ফলে হীতে বিপরীত হয়। ভালবাসার জায়গা যেহেতু অহং আর ঘৃণা দখল করে। তো দেখা গেলো এসব ক্ষেত্রে সবারই ভুল হয়। এতে করে কমশক্তিধর লোকগুলাও ক্ষেত্র বিশেষে হেয় হয়। এটা স্বাভাবিক। খোঁচাখুচি বাদ দিয়া চিন্তাটা রেখে যেতে হবে। এটাই অন্যতে প্রবাহিত হবে। আজ না হয় কাল না হয় পরশু। বিবর্তন এমনেই হয়। বর্তমানে ধরা দেয় না। শতবর্ষ পরে ফারাক বোঝা যায়।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনার আলাপে আগা মাথা কিছুই পাইলাম না । ভুল করে অন্য কারো জন্য তৈরি কিছু আমার পোস্টে দেন নাই তো ??


আলাপে অশ্লীল শব্দ কেন এলো , মুছে দিন নিজ দায়িত্বে , নিচ থেকে ৬ লাইনে ।

২৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

সোমহেপি বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথেই রিলেটেড মনে করেছি । যাই হোক মুছতে চাচ্ছি । অপশন পাচ্ছি না । আপনে পারবেন । কমেন্টদাতার মনে হয় সেই সুযোগ নাই । সরি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.