নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবিঃ প্রতীকী
এযাবৎ কতজন মানুষ রেল ক্রসিং এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন জানিনে কিন্তু তাদের সংখ্যা নেহাত কম নয় । গেট হীন ক্রসিং প্রচুর এদেশে । আর গেটম্যান? তারা আগে একটি ঝুপড়ি তুলে গেটের পাশেই থাকত । সময় পেরুচ্ছে এবং রেলের বেতনভোগী এসব বদ কর্মচারীরা কাছের বাজারে একটা দোকানঘর তুলে চুটিয়ে ব্যাবসা করছে । বহুযুগ আগে বি টি ভির সরেজমিন তদন্তে এরকমটাই বেরিয়ে এলো । পরের ঘটনা আরও মর্মান্তিক । তারা রেলের জমি আশপাশের মানুষকে টাকার বিনিময়ে অস্থায়ী ঘরবাড়ি যার অধিকাংশ রাস্তামুখী দোকান বানাতে দিয়ে বেশ টাকা হাতিয়ে নিত । রেলের জমিতে দালান উঠেছে এরকম ঘটনা শতশত । ঢাকার খিলগাঁও , মালিবাগ , মগবাজার , তেজগাঁ এলাকায় এখন কোটি টাকা ভাড়া আদায় করে স্থানীয় মাস্তান যুবকরা । কিছু ভাগ পায় রেলের কর্মচারীরা । এ গেল রেল গেট নিরাপত্তা কর্মীর কাহিনী । এবার আসুন খুব ব্যস্ত গাড়ি বাস চালকের কাহিনীতে । তারা কারো ধার ধারে না , মানেনা আইন । গাড়ি প্রায় বন্ধ হয়ে আসা গেটের পাশ দিয়ে ঢুকিয়ে একেবারে রেললাইনের পাশেই দাঁড়ালো , কারন কি ? খুব ব্যাস্ত । ট্রেন এলো এবং যথারীতি চলে গেল হুইসেল বাজিয়ে । যে গাড়ি আগে যেতে চেয়েছিল তার মাথায় সজোরে আঘাত করে আংশিক দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে ট্রেন চলে গেল । মারা গেল কজন , আহত বাকিরা । এভাবেই চলছে রেললাইনের পাশের জীবনযাত্রা । কিছুদিন আগে একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দিব্যি চিটাগং গিয়ে থামল । রেল চালক ঘুমাচ্ছিল । কারন কি ? ঘুমন্ত প্রশাসন । আজ জয়পুরহাটে বারোজন মারা গেছে ট্রেনের ধাক্কায় । ছোট বাসটিকে ৩০০ গজ টেনে নিয়ে গেছে ট্রেন । এখানে গেট নেই এবং যথারীতি ম্যানও নেই ।
সম্ভবত ৯৮ সাল হবে । বিদেশীদের নিয়ে মাইক্রোবাসে টঙ্গি হয়ে পুবাইল একটা রাস্তা গেছে , আমরা যাচ্ছি ওই রাস্তা দিয়ে । রেল ক্রসিঙ্গে ড্রাইভার পিছনের চাকা ঠেকিয়ে দিল লাইনের মাঝ বরাবর । উদ্বিগ্ন আমি দেখি মানুষে সয়লাব একটি ট্রেন পুবাইল থেকে ধেয়ে আসছে আমাদের গাড়ির দিকে । ড্রাইভার কোশেশ করছে চূড়ান্ত স্পিড দিয়ে যাওয়ার । চট করে নেমে সামনের বিদেশিকে হাত টান দিয়ে বাকিদের বললাম বেরিয়ে এস । কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমরা নামতেই গাড়ি এক ধাক্কায় রেল লাইন পার হয়ে নিরাপদে । হুশ করে চলে ট্রেন -------------- ।
দোষ ড্রাইভারের । কোনাকুনি না উঠে সে সোজা উঠলে এসব নিচু গাড়ি পার হয়ে যায় সহজেই । সামান্য কিছু মাটির কাজ , তাও ফুসরৎ নেই রেল মন্ত্রনালয়ের ।
গাড়ির ড্রাইভারের চাকরি নট হয়ে গেল ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: উভয়পক্ষ ভাবলেশহীন ।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রত্যেক জাতির নিজস্ব আচরণ, স্বভাব, ভাবনা আছে; আমাদের জাতীয় আচরণ বেশ মৌলিক, গুহাতে বাস করার সময় যা ছিলো, সেই বনেদী আচরণ ধরে রেখেছেন ঠিক মতো।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩
শাহ আজিজ বলেছেন: বরং বলা চলে সেই দিকে কংক্রিট শেপে যাচ্ছে ।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষকে সচেতন করার জন্য একটি জাতীয় আন্দোলন লাগে সেটা করা হয় না।এমনি এমনি কোন জাতীয় সচেতন হয়ে যায়নি।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: এসব লক্ষ্য করার জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে রেল ক্রসিং অভ্যস্ততা গড়ে তুলতে হবে ।
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫
অধীতি বলেছেন: যে মারা যায় তার কোন আক্ষেপ করার সুযোগ থাকেনা আমরাও আক্ষেপ করিনা, ছোট বেলায় বিশ্বাস করা "মানুষের আত্মা ভুত হয়ে ফিরে আসে" বাক্যটি সত্য হলে আমার ভালই লাগত।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: মারা গেছে ড্রাইভারের দোষে । লাইনে ওঠার আগেও দেখে নেয় এদিক ওদিক , দুর্ভাগ্য এরা সোজা দেখে --------------
৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গেইটম্যান ঘুম গেলেই এমন হয়। ফেনী রেলক্রসিং এ অনেক দুর্ঘটনা হলেও আগের মতই আছে সব
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
শাহ আজিজ বলেছেন: ঘুমালেও ঠিক আছে কিন্তু বাজারে দোকান দিলে চাকরি থেকে লাথি দিয়ে বের করে দিতে হবে ।
৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: এই রেলক্রসিং আমি খুব ভয় পাই।
আমাদের এখানে দুটা ক্রসিং আছে। প্রায় প্রতিদিনই এই ক্রসিং আমাকে পার হতে হয়।
৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বাংলাদেশের সবকিছুতেই চরম অব্যবস্থাপনা।রেলওয়ে ও এর বাইরে নয়।পরিবহন শ্রমিকেরা সবসময়েই বেপরোয়া।এদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই ধর্মঘট আর সহিংসতার সৃষ্টি করে। আর জনগণও সচেতন নয় মোটেও। সময় বাঁচাতে ট্রেনের সামনে দিয়েই দৌড় দেয় লোকে। ২০১২ সালে দেখেছিলাম এক মেয়ে রেললাইনে দাঁড়িয়ে দূর থেকে আসা চলন্ত ট্রেনের সাথে সেলফি তুলতে গিয়ে নিজের ডান পা খুইয়েছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: কেন এই অনিয়ম জেকে বসেছে জানিনা তবে ভোটের ব্যাপার উঠিয়ে দিলে হয় আপাতত , লাঠি জারি দরকার ।
৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩০
আল ইফরান বলেছেন: আমার শ্বশুরবাড়ি গাজীপুর হওয়াতে আমি বেশ কিছুদিন টংগী-পুবাইল সড়ক ব্যবহার করে যাতায়ত করেছি। আপনি ৯৮'সালের কথা বললেন, আর আমি এই ২০২০ সালে এসেও দেখেছি এই ক্রসিংটা ঠিক কতটা বিপজ্জনক। আর উত্তরবংগের এক্সিট পয়েন্ট হওয়ার কারনে এই ক্রসিং এ সিগনাল কিছুক্ষন পর পরই আসে। সাধারণ মানুষের মধ্যে নিদারুণ অসংযম এবং ধৈর্যের অভাবে এখানে প্রায়শই কম-বেশি প্রাণহানি হয়। আমার কাছে মনে হয় রেলক্রসিং এর জায়গাগুলোতে সড়কগুলো টানেল সিস্টেম করে দিলে খুব সহজেই এই ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ঢাকা থেকে গাজিপুর পুরোটাই দ্বিতল রাস্তায় ট্রেন চলবে তেমনি পুবাইল পর্যন্ত । তাহলে এই অবাধ চলাচলে নিয়ন্ত্রন এমনিতেই এসে যাবে । পুবাইল, টঙ্গি , গাজিপুর এখন লোকে লোকারণ্য ।
৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকায় শহরের বাইরে অনেক রেলক্রসিংএ গেইট নেই,সিগনাল লাল বাতিও নেই। এরপরেও দুর্ঘটনা নেই বললেই চলে। কারন নিয়ম।
নিয়মটা হচ্ছে গেট বিহীন বা সিগনাল বিহীন রেল ক্রসিংএ ট্রেন আসুক না আসুক গাড়ি রেললাইনের কাছে ১ সেকেন্ডের জন্য থামবে, এরপর যাবে।
আর বড় গাড়ির ক্ষেত্রে গেইট খোলা ও গ্রিন সিগনাল থাকলেও বড় গাড়ি গেইটের কাছে একসেকেন্ডের জন্য থামা বাধ্যতামূলক।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের সেকেন্ডের কাটা খাইয়া ফালাইছে অপুষ্ট রাজনিতিকরা । এমন চমৎকার শিক্ষণীয় বিষয় কিন্তু কেউ শিখতে চায় না , সবাই আহবানে মৃত্যুরে ।
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি এল পথ ধরে পায়ে হেঁটে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং কমলাপুর থেকে মশাখালি পর্যন্ত (প্রর্যায়ক্রমে) গিয়েছি। ক্রসিংগুলির বেহাল দাশা দেখেছি অনেক যায়গায়। কোথাও কোথাও কোনো বেরিকেডের ব্যসস্থা নেই। কোথাও দেখেছি লোকজন পাত্তা দিচ্ছে না, কানে মোবাইল ফোন লাগিয়ে বিন্দাস হেঁটে যাচ্ছে রেল পথ ধরে, অথচো ট্রেন চলে এসেছে ঘাঢ়ের কাছে। ছবি তুলতে গিয়ে এবকার আমিও এতোটাই মশগুল হয়ে গিয়েছিলাম, পাশের লোকজনের চিল্লাচিল্লিতে হুশ ফিরে।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আগের উত্তর ছাপা হলনা কেন বুঝলাম না ।
১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছে, দেখতে, জানতে।
ভালো থাকুন।
১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
রানার ব্লগ বলেছেন: ০১। সম্পুর্ন রেল ব্যাবস্থা কে পরিবর্তন করতে হবে
০২। আমাদের দেশের গারি চালক সবাই কে বিশেষ ট্রনিং নিতে বাধ্যতামূলক করতে হবে
০৩। প্রত্যেক রেল গেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: জীবন যাপনে সিরিয়াস হলেই সব সম্ভব ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: রেল-কর্তৃপক্ষের কিছু দোষ আছে। কিন্তু দেশের মানুষজনও অসতর্ক আর ভাবলেশহীন।