নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অল দোজ হিরোজ

২৫ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৪





বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে আজ । আমি বেশ শিহরিত এই ভেবে যে স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিকী দেখতে পারব কারন আমি ৭১ দেখেছি একজন বালকের দৃষ্টি দিয়ে । কত কিছু মনে পড়ছে আজ । আমাদের যোদ্ধারা , আমাদের আত্মীয়রা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন । কেউ কেউ পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়ে রাজাকারের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন । কত রক্ত , কত মৃতদেহ আমার শরীর আর মনকে যুগপৎ আন্দোলিত করছে । আমি গর্বিত এজন্য যে যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্বাসন কাজে নিজেকে নিয়োগ করা । এটা ১৪ বছরের বালকের জন্য বিশাল অর্জন ।
৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুল ভুমিকায় যে কয়েকজনকে আমার খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে তাদের সবাই প্রয়াত । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর তার ৭ই মার্চের ভাষণ , স্বাধীনতার ঘোষণা আজো আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল । বাঙালি ঝাপিয়ে পড়েছিল তার আহবানে । বঙ্গবন্ধু ২৫ মার্চ রাতেই গ্রেফতার হন । ওই রাতেই ঢাকার বিবিধ টার্গেটেড জায়গায় পাক হানাদার বাহিনী আক্রমন করে এবং নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে । হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের ওপর পাক হানাদারদের আক্রোশ বেশি ছিল । কার্যত মানুষ দিশেহারা হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া শুরু করল । প্রায় এককোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিল । পাশের রাষ্ট্রে এহেন অবস্থায় হাত বাড়িয়ে দিলেন শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী প্রিয়দর্শিনী । তিনি তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী । পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সদলবলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ভারতের সরকারের অনুমোদন ক্রমেই নতুন বাংলাদেশ প্রবাসী সরকার গঠন করলেন । প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ । পাক-ভারত সংকট এবং অনাগত বাংলাদেশের গোটা সামরিক ব্যাবস্থাপনায় নেতৃত্ব দিলেন জেনারেল শ্যাম হোরামশিজি প্রেমজি "শ্যাম বাহাদুর" জামসেদজি মানেকশ' ।তিনি মূলত পারস্যের জরথুস্ত্রীয় ধর্মের অনুসারী ছিলেন যিনি শরণার্থী হিসেবে ভারতে এসেছিলেন। অনাগত বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীকে নেতৃত্ব দিলেন কর্নেল আতাউল গনি ওসমানী যিনি পাক সামরিক বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন । আলাপের খুব জটিল সমীকরণ হচ্ছে যুদ্ধ এবং একটি যুদ্ধের ফসল হিসাবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম । এই জটিল কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন জেনারেল মানেক’শ । আজ বেশি আলাপ করবনা শুধু আমার আকাংখিত ফিল্ড মার্শাল মানেকশ এর একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও সাথে দিলাম । ধন্যবাদ ইন্দিরা গান্ধীর প্রশাসনকে , ধন্যবাদ আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের , প্রার্থনা নিহত ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন এই রাষ্ট্রের জন্মকালে , ধন্যবাদ ধাত্রী ইন্দিরাজিকে যার সহায়তায় সম্ভব হয়েছিল বাংলাদেশ ইস্যুকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আগ্রহকে জাগাতে । ভারত আমাদের যদি জায়গা , খাদ্য , অস্ত্র না দিত কি করতাম আমরা এই ৫০ বছরে ? আমি এজন্যই মানেকশকে বেশি শ্রদ্ধা করি । প্লিজ ভিডিওটা দেখবেন ।
৫০ বছরে শ্রেষ্ঠ আরেকটি অর্জন “ হে খোদাতায়ালা হামকো ভি বাংলাদেশ বানাদো “ । সৃষ্টি কর্তার হিসাব আলাদা । পাকিস্তানিদের আর্তনাদ আমাদের ঘুমের ঔষধ হিসাবে কাজ করছে ।

ব্লগারদের সবাইকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা । জয়বাংলা ।





শ্যাম বাহাদুরএর একান্ত সাক্ষাতকার

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:




স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

২৫ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: শুভেচ্ছা হে বীর মুক্তিযোদ্ধা । আমাদের প্রজন্ম যেন এই পতাকা উচিয়ে ধরে রাখে ।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ১৪/১৫ বছরের ছেলেরা আমাদের সাথে হাতে রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করেছে।এই বয়সে একটু বেশি সাহসী হয়।সেই সময়টা ছিল একটা উত্তাল সময়।স্বাধীনতার পর পর শক্তিটাকে নিভিয়ে দেয়া হল।ঐ শক্তিটা দিয়ে অনেক কিছু করা যেত কিন্তু শেখ মুজিব শক্তিটাকে ভয় পেয়ে গেল।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: পুর্ববর্তী বিপ্লবতীর্ণ সকল প্রথাকে অসফল্ভাবে অনুসরন করেছিলেন । আর তাই তাদের পতন ইতিহাসে অনিবার্য হয়েছিল । চীনা বিপ্লবের পর সব যোদ্ধাদের কর্মসংস্থান করেছিল নতুন সরকার , তাতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা অটুট ছিল ।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৫

স্থিতধী বলেছেন: ২ নং কমেন্টটা একটা বেদনাদায়ক বাস্তবতার কথা বলে দিচ্ছি। বড় লেভেলের মানুষদের এমনকি খুব ছোট ভুলের জন্য ও পুরো জাতিকে ভুগতে হয় লম্বা সময় ধরে ।

ভারতীয়দের মধ্যে আপনি জে এফ আর জ্যাকবের নামটাও উল্লেখ করতে পারেন । পাকিস্তানিদের পাবলিক সারেন্ডার করানোর মূল ক্রেডিট টা ওনার ই । এই সাক্ষ্যাতকারে উনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ব্যাপারে অনেক ডিটেল এ কথা বলছেন এবং আমাদের মুক্তি বাহিনীর ভূয়সী প্রশ ংসা করেছেন। উনি স্বীকার করেছেন যে ভারতীয় মিডিয়া ১৯৭১ এর বিজয়ে মুক্তিবাহিনীকে তাঁদের ডীউ ত্রেডিট দেয়নাই। উনি মাত্র ৩০০০ ভারতীয় সৈন্য নিয়ে ঢাকায় থাকা ২৬০০০ সেনার পাক বাহিনীর হেড নিয়াজী কে প্রেসার দিতে পারছিলেন কারন মুক্তিবাহিনী অলরেডি একটা ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে ফেলছিলো যা নিয়াজীর নার্ভ দুর্বল করে ফেলে। ওনার গাড়িতে গুলিও চালিয়েছিলও মুক্তিবাহিনী ওনাকে পাক সেনা সদস্য ভেবে। নিয়াজী কে হত্যা করতে আসছিলো টাইগার সিদ্দীকি। মানেকশ এর সাথে ওনার অনেক ইস্যুতে দ্বিমত থাকতো যুদ্ধের বিষয়ে।

মাঝে মাঝে যখন কিছু মূর্খ ভারতীয় ১৯৭১ এর বিষয়ে শুধুই ইন্ডিয়ান আর্মির ত্রেডিটের কথা বলে তখন আমি প্রায় ই ওদের এই ভিডীও ফরোয়ার্ড করে দিই; বলে দেই তোমার আর্মির মধ্যে যারা গ্রাঊন্ডে লিড দিচ্ছিলো, তাঁদের মুখ থেকেই শুনে নাও।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি জ্যাকব , অরোরা সবার কথা জানি । এখানে আমি শুধু লিডিং ব্যাক্তিদের নিয়ে ছোট আকারে আলাপ শেষ করেছি । না হলে আলাপ বিরাট বিশাল হবে । আমরা আমাদের ক্রেডিট নেব , ভারতিয়রা নেবে তাদের ক্রেডিট ।

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৫

স্থিতধী বলেছেন: আমরা আমাদের ক্রেডিট নেব , ভারতিয়রা নেবে তাদের ক্রেডিট ।

যৌথ প্রয়াসে ক্রেডিট ভাগাভাগি হওয়া প্রয়োজন । এখনো অনেক ভারতীয় জানেইনা যে ৭১ এ পাক বাহিনীর সারেন্ডার আসলে দু দেশের জয়েন্ট ফোরসের কাছে হয়েছিলো। আবার আমাদের দেশের অনেক লোক ভাবে সারেন্ডার ইন্সট্রুমেন্টে বাংলাদেশের নাম ই ছিলোনা। দুটাই যে ভুল ধারণা দু দেশের অনেকেই জানেনা।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ব্যাপারটা পুরাতন হয়ে গেছে আর আমাদের পঙ্গু রাজনিতিকদের তেমন ইচ্ছা নেই । একারনে গেল বছরে ভারত বিজয় দিবস পালন করেছে সাড়ম্বরে । স্বাধীনতার পর থেকেই একটা ভারত বিরোধী ভাব জিইয়ে রাখার ফল এটি । এর পেছনে বহুবিধ কারন আছে । সোজা হিসাব হচ্ছে ৯০হাজার বন্দী সেনার থাকা খাওয়ার যোগান আমরা দিতে পারতাম না । আমাদের একটা পূর্ণ মাত্রার সেনাবাহিনী তখনো তৈরি হয়নি । দেখবেন উচু পদের কেউই আসেননি সারেন্ডার অনুষ্ঠানে । ওসমানীর হেলিকপ্টার আক্রান্ত কুমিল্লা -সিলেট সেক্টরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর রকেটে । বেচে গেছেন তারা । পাকিরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নয় ভারতিয়দের কাছেই সারেন্ডার করতে ইচ্ছুক কারন মুক্তিরা তাদের হত্যা করবে এবং এটাই স্বাভাবিক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.