নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ইন পারসপেকটিভঃ ডাঃ দেবী শেঠী

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৪

ডেইলি স্টার থেকে


বিশ্বখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন ডা. দেবী শেঠি সতর্ক করেছেন যে, ভারতের কোভিড রোগীদের অক্সিজেন সংকট সমাধান করার পর বড় চ্যালেঞ্জ হবে রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও নার্সের ঘাটতি।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিম্বিয়োসিস ইন্টারন্যাশনাল (ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়) আয়োজিত স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে আন্তঃবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে ভার্চুয়াল সম্মেলনে ডা. শেঠি বলেন, ‘একবার অক্সিজেন সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী সমস্যাটি হবে আইসিইউতে রোগীর মৃত্যু। কারণ, তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য কোনো নার্স ও চিকিৎসক নেই। এটি ঘটতে যাচ্ছে। এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মে মাসে প্রচণ্ড গরম হতে পারে এবং শারীরিকভাবে সক্ষম লোকেরাও কোভিড আইসিইউতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করতে অসুবিধায় পড়বে। মহামারির প্রথম ঢেউ থেকে যে চিকিৎসকরা কাজ করছেন, তারা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, বার্নআউট রোগে ভুগছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকে সংক্রমিত হচ্ছেন।’

তার মতে, ‘চলতি মে মাসে প্রচণ্ড গরম পড়তে পারে। সুঠাম দেহের অধিকারী মানুষটির পক্ষে কোভিড আইসিইউতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। যেসব চিকিৎসক করোনার প্রথম সংক্রমণ থেকে কাজ করছেন, তারা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকের বার্নআউট হচ্ছে। আবার অনেকে সংক্রমিতও হয়ে পড়ছেন।’

ডা. শেঠি আরও জানান, দেশে যাদের পজিটিভ ফলাফল আসছে, তাদের কাছ থেকে আরও ৫ থেকে ১০ জন ভাইরাসে সংক্রমিত হলেও, তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এর মানে হলো, আসলে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ লাখ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন।পাঁচ লাখ অতিরিক্ত আইসিইউ বেড তৈরি করা দরকার


ডা. শেঠি বলেন, ‘পরিসংখ্যানগতভাবে বয়স বিবেচনায় কোভিড রোগীদের পাঁচ শতাংশের জন্য আইসিইউ বেডের প্রয়োজন, যার মানে প্রতিদিন ৮০ হাজার আইসিইউ বেডের চাহিদা রয়েছে। তবে ভারতে ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজারের মতো এমন বেড রয়েছে এবং মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছালেও ইতোমধ্যে সবগুলো বেড দখল হয়ে আছে।’

এ ছাড়াও, একজন কোভিড রোগীকে সর্বনিম্ন ১০ দিন আইসিইউতে থাকতে হয়। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ লাখ অতিরিক্ত আইসিইউ বেড তৈরির প্রয়োজন রয়েছে।

সংকট মোকাবিলায় শিগগির ২ লাখ নার্স নিয়োগ করা উচিত

আইসিইউতে কোভিড রোগীরা মূলত নার্সদের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল উল্লেখ করে ডা. শেঠি বলেন, ‘শুধু করোনা মোকাবিলায় আগামী এক বছরে আমাদের দুই লাখ নার্স ও দেড় লাখ চিকিৎসক প্রয়োজন।’

তিনি আরও জানান, ভারতের নার্সিং স্কুল ও কলেজগুলোতে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার নার্স তিন বছরের জিএনএম বা চার বছরের বিএসসি কোর্সের প্রশিক্ষণ শেষ করেছে, তবে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা এখনো হয়নি।

তার মতে, এই প্রশিক্ষিত নার্সদের এক বছরের জন্য কোভিড আইসিইউতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত, এরপর তারা তাদের ডিগ্রির সনদ পেতে পারে।

কোভিড আইসিইউতে কাজ করা চিকিৎসকদের এনইইটি গ্রেস নম্বর দেওয়া যেতে পারে

ডা. শেঠি বলেছেন, বর্তমানে পিজি’র আসন পেতে এনইইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় এমসিকিউয়ের উত্তর খুঁজতে গ্রন্থাগারগুলোতে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ তরুণ চিকিৎসক বসে আছেন। জাতীয় মেডিকেল কমিশন ও ন্যাশনাল বোর্ড অব এক্সাম’র উচিত অবিলম্বে অনলাইনে যথাযথভাবে এনইইটি পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা।

তারপরও যে এক লাখ চিকিৎসক প্রয়োজনীয় নম্বর তুলতে ব্যর্থ হবে, তাদের কোভিড আইসিইউগুলোতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত। যা পরের বছর তাদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় গ্রেস নম্বর (অতিরিক্ত নম্বর) হিসেবে দেওয়া যেতে পারে।

পিজি’র প্রশিক্ষণ নেওয়া চিকিৎসকরা আইসিইউতে কাজ করতে পরীক্ষা এড়াতে পারেন

ডা. শেঠি আরও বলেন, ‘২৫ হাজার চিকিৎসক রয়েছেন, যারা স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন, তবে এখনো পরীক্ষায় অংশ নেননি। এই শিক্ষার্থীদের বলা যেতে পারে যে তারা কোভিড আইসিইউতে এক বছরের জন্য কাজ করলে পরীক্ষা ছাড়াই তাদের ডিগ্রি দেওয়া হবে।’

এ ছাড়াও, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক পাস করেছেন, কিন্তু ভারতের জাতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা এখনো দেননি, এই শিক্ষার্থীদেরও এমন সুযোগ দেওয়া উচিত। এক বছরের জন্য আইসিইউতে কাজ করলে তাদের নিবন্ধন সনদের যোগ্য বলে বিবেচনা করা যেতে পারে।

স্তর-২ ও স্তর-৩ নগরগুলোতে নজর দেওয়া উচিত

ডা. শেঠি আরও বলেন, ‘এই চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়োগের সময় স্তর-২ ও স্তর-৩ শহরগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।’

মহানগরগুলোর মতো সেসব শহরে বেসরকারি হাসপাতাল নেই এবং সরকারি হাসপাতালগুলো প্রয়োজনীয় কর্মীর অভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

যদি সেখানে আরও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে স্তর-২ ও স্তর-৩ শহরগুলোর অবস্থা শিগগির দিল্লি বা মুম্বাইয়ের মতো খারাপ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করেন ডা. শেঠি।

ভারতের নিকট প্রতিবেশী বাংলাদেশ । ইতালি বা আফ্রিকা থেকে স্ত্রেন এলে ঘরের পাশে ভারত থেকে আসবে বা এসেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ভাষায় বেহাল স্বাস্থ্য খাত চট করে ঘুরিয়ে দেওয়া যাবেনা । আরও আই সি ইউ , বেড , অক্সিজেন প্লান্ট , সিলিন্ডার এখনই আনতে হবে । এই অসুখ খুব সহজে আমাদের ছেড়ে দেবে না । এর স্থায়ী কিছু সমস্যা লেগে থাকবে । আমার ভাই ক্রমশ একটার পর একটা সমস্যায় ভুগছেন ।

প্লিজ মাস্ক ব্যাবহার করুন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারতের শক্ত ব্যুরোক্রেসীকে মোদী দুর্বল করে দিয়েছে।

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: দলবাজির খেসারত মোদীকে দিতে হবে ।

২| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: করোনা আক্রান্ত রোগিরা সেরে উঠলেও বেশ একটা সময় পর্যন্ত স্বাস্থ্যঝুকিতে থাকবে।এমনটা কি মনে হয়?

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার ভাই ৬৭ , বেচে গেছে কিন্তু পোস্ট করোনা বহু কমপ্লিকেশন , বহু ওষুধ , শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে । তার ডায়াবেটিস ছিলো বলেই এতো সমস্যা । প্যাঙ্ক্রিয়াস অপারেশন লেগেছে। বয়স্ক মানুষের অনেক অরগান সমস্যা দেখা দেবে ।

৩| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমার ৭৫+,শেঠির হাতেই বাইপাস করা২০০১,সাথে ডায়াবেটিকস তার সাংগপাংঙ্গরাও আছে সাথে।প্রথম ডোজ দিয়েছি ফাইজার দ্বিতীয় ডোজ তিন মাস পর সরবরাহ থাকা সাপেক্ষে।

০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি কি আমেরিকায় আছেন ? তিন মাস বড্ড লেট হয়ে যাচ্ছে না ?

৪| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

ইনদোজ বলেছেন: করোনার চিকিৎসা করে কোন লাভ নেই। এটা বারবার আঘাত করতেই থাকবে। এর আঘাতে ধনীরা মারা যাবে আর গরীবেরা সর্বস্বান্ত হতে থাকবে। দুনিয়ায় আমরা নরক দর্শন করতে পারব।

০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: দু ডোজ নেবার পর প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে । টিকা সম্পন্ন কেউ আক্রান্ত হলে মৃতবত হবে না । দুজন টিকা গ্রহণকারী মুক্তভাবে গপসপ পার্টি করতে পারবে । এজন্যই টিকা খুব প্রয়োজন । সরকারগুলোর উচিত যেসব ওষুধ উচ্চমুল্য হয়ে গেছে তার উৎপাদন শুরু করতে ।

৫| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৪

ইনদোজ বলেছেন: যারা টিকা নেবার এক বাসের মধ্যেই মারা গেলেন, তাদের ব্যাপারে কি বলবেন?

০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: গ্যাভির বর্ণনা অনুযায়ী প্রথম ডোজ যথেষ্ট নয় , দ্বিতীয় ডোজের ১৪ দিন পার হলে সে শঙ্কামুক্ত । সঙ্ক্রমনের মাত্রা বেশি হলে তা রিস্কি পর্যায়ে পউছাবে এজন্য মাস্ক পরে থাকার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে । আমাদের যথেষ্ট প্রমানের অপেক্ষায় থাকতে হবে। একারনে সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা সব সরকারের। বলা হচ্ছে ২য় ডোজের পর ভাইরাস মিউটেট করতে পারেনা । সুনাম গঞ্জে একজন ৫ দিন পর মারা গেছে । তার শরীরে আগেই সংক্রমণ হয়েছিল ।

৬| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১০:১০

কামাল১৮ বলেছেন: কানাডায়

০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: ফাইজার তো ভাল ব্র্যান্ড । তবুও সাবধান থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.