নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশরাফের কাছে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল । সে একজন প্রতিবন্ধী রিকশাচালকের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছে । তার তিন সঙ্গী বন্ধু এটাকে রিকশাচালকের প্রতি অন্যায় আচরন বলে সাব্যস্ত করল । প্রায় আধাঘণ্টা আগে সে ব্লট জিহবায় রেখেছিল । তার অনুভুতি পাল্টে গেছে । পৃথিবীর তাবৎ দুঃখ এসে তাকে ঘিরে ধরেছে । কার্জন হলের দীর্ঘ বৃক্ষরাও যেন বলছে- না আশরাফ , তুমি কাজটা ভাল করোনি । আশরাফ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল সেই প্রতিবন্ধী রিকশাচালক কাদছে । বিমর্ষ হয়ে গেল আশরাফ । তিন বন্ধু গোল হয়ে বসে বিচিত্র কিছু আলাপ করছে । আশরাফ নিজের প্যান্ট গেঞ্জি খুলে ফেলল , পরনে রইল শুধু হাফ প্যান্ট । তারপর হনহন করে গেটের দিকে এগুলো । বন্ধুরা পেছন থেকে ডাকছে আশরাফ কে । গেটের বাইরে তিনটি রিকশায় তিনজন রিকশাওয়ালা আধারে বসে গল্প করছে , বিড়ি ফুকছে । আশরাফ প্রথম রিকশাওয়ালার পা জাপটে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল । চমকিত রিকশাওয়ালা চকিতে নেমে পড়লো । এবার দ্বিতীয় রিকশাওয়ালার পা একিভাবে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে ক্ষমা চাইতে লাগলো । আমাকে মাফ কইরা দেন , আমি অন্যায় করছি আপনার সাথে । বন্ধুরা এসে গেছে , তারা হাত মাথার উপর ঘুরিয়ে রিকশাওয়ালাদের বোঝাতে চাইল এ পাগল, মাথা খারাপ । রিকশাওয়ালারা আশ্বস্ত হল যে তাদের কোন বিপদ হবে না এই পাগলের হাতে । বন্ধুরা এও ইশারায় বোঝাল সে কিছু টেনেছে । আশরাফকে ম্যানেজ করে তারা আবার ফিরল ঘাসের ওপর । আশরাফ অস্থির । ঘাসের নরম শরীর তার জন্য বিব্রতকর মনে হচ্ছে । ঈষৎ মৃদুমন্দ হাওয়া তার কাছে ছুরির ফলার মত লাগছে । নাহ আর বসে থাকা ঠিক হবে না , সেই বৃহৎ হৃদয়ের বোবা রিকশচালক আশরাফেরই অপেক্ষায় , সে তাকে মাফ করে দেবে , নিশ্চিত । শুয়ে থাকা আশরাফ আকাশের কোনে মরা চাঁদ দেখছিল । মরা চাঁদ তাকে বলল যা মাফ চেয়ে আয় নাহলে আমি তোর জন্য কখনই আকাশ গঙ্গায় ভাসব না হাসব না । ঝট করে উঠে বসলো আশরাফ । তারপর দৌড় শুরু করল মেডিক্যালের দিকে । বন্ধুরা পিছু হেটে আসছে হাসতে হাসতে আর বলছে ব্যাটারে তো এই মাল হেভভি ধরছে । ফুটপাতে রিকশার টিউব লিক সারে বুড়ো মানুষটা । পাশেই ডাবওয়ালা , হাতে চকচকে ধারাল দা । এক মুহূর্তেই ছিনিয়ে নিল দা , দাড়িয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে । দা খানা নিজের গলায় চেপে ধরল । সটকে পড়লো ডাবওয়ালা আর লিক সারানো বুড়ো । আশরাফ এবার চিৎকার করে বলতে লাগলো আপনারা আমাকে মাফ করে দেবেন , আমি কোন অন্যায় করলে ক্ষমা করে দেবেন । দা দিয়ে পোচ দিল নিজের গলায় । সবাই মিলে চিতকারে সরব করল এলাকা । আশরাফ একবার চেয়ে দেখল বিস্মিত ঘিরে থাকা লোকগুলিকে , তার বন্ধুরা রক্তের স্রোত দেখে ফেটে গেল দ্রুত । একটা পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়ালো , একজন হাবিলদার লাফ দিয়ে আশরাফের দা ধরে ফেলল । আশরাফ তখন শক্তিহীন এক যুবক । পুলিশ রক্ত মাখামাখি শরীরটাকে মেডিক্যালের ইমারজেন্সিতে ঢুকিয়ে দিল ।
২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
শাহ আজিজ বলেছেন:
তুই হটাত ক্ষেপলি ক্যান আমার উপ্রে ??
২| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
হেরে যাবার কাহিনী
২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২১
শাহ আজিজ বলেছেন: এই হাই কোর ড্রাগ লক্ষ লক্ষ জীবন নেয় ঠিক এভাবেই ।
৩| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
আমি সাজিদ বলেছেন: মনে হয় এমনই হয়েছিল ছেলেটার সাথে।
২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
শাহ আজিজ বলেছেন: তাই , এমনটাই ঘটেছিল ।
৪| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:২৬
জুন বলেছেন: এইসব ছেলেপুলেরা একবারও নিজের পরিনতি বা পরিবারের কথা ভাবে না। খুবই দুঃখজনক।
তো আপনার রেস্তোরাঁর অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে কি? নতুন জীবনের শুভেচ্ছা রইলো
২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬
শাহ আজিজ বলেছেন: আরেন্নাহ কই অনুষ্ঠান , চাপা পিটাইলাম পোলাপাইনের কাছে
৫| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাবির ছাত্র হাফিজুর এবং তার বন্ধুদের জন্য এক ফোটা সহানুভুতি নাই। এরা একেকটা ক্রিমিনাল। ফেসবুকে মাদক ব্যবসা করত এবং নিজেরাও মাদকসেবী । পুলিশ যাদের ধরেছে তারা উপর মহল ধরে বেরিয়ে আসবে নির্ঘাত। তাই মাদক চক্রের বিনাশ হবার কোন সম্ভাবনা দেশে নাই।
২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: মাদকে জড়িত থাকে অনেকেই , পুলিশ ধরে কম । আমাদের সময় এল এস ডির নাম আর কামের কথা শুনতাম । মাদক চক্র থাকবে সবসময়ই । ৪০০০ টাকায় স্কচ হুইস্কি তিন চার বোতল পাওয়া যাইত ।
৬| ২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অভার ডোর্জ!!!
২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২
শাহ আজিজ বলেছেন: এটা ওভার ডোজ না । প্রথমবার হয়ত হবে ।
৭| ২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা ওভার ডোজ না । প্রথমবার হয়ত হবে ।
তাও হতে পারে।
২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন:
৮| ২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কে জানে ভাই কি হয়েছে, ডাব ওয়ালার দায়েই না বন্ধুদের দা তার গলায় বসেছিল! এমন কতো সব গল্প চোখ মেললেই দেখি; কোন দিন চুরান্ত সত্য দাবরিয়ে বেড়াবে, যা কিছু দেখব সব চকচকে।
২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ওখানের প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্য দিয়েছে যেমন রিকশা মেরামতের বুড়া , ডাবওয়ালা । একটা ভিডিও ছেড়েছে সেটায়ও প্রমান হয় । আর এল এস ডির ব্যাপার আসলেই অভিজ্ঞরা ক্লিয়ার হয়ে যাচ্ছেন কি হতে পারে প্রতিক্রিয়ায় ।
৯| ২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: এলএসডি মারাত্মক ধরণের মাদক। এটা আবিষ্কারের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার । কিন্তু মস্তিষ্কে এলএসডি এর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া এর জন্য এলএসডিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এটি গ্রহণের পর মানুষের মধ্যে চরম মাত্রায় হ্যালুসিনেশনের সৃষ্টি হয় এবং গ্রহণকারী ব্যাক্তি ভয়াবহ রকমের আত্মবিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। হাফিজুরের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছিল।
২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও জানি এটা ৪০ বছর আগে কিন্তু তখন ছেলেপিলে গাজা খেত মাত্র ।
১০| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: ড্রাগ আমাদের ছাড়তেই চায় না।আমার ঔষধের দোকান ছিল ৭২ রে জহুরা ম্যানশনে।তখন থেকে দেখি কিছু লোক নিয়মিত ফেনসিডিল খেতো।
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: কিন্তু ৭২ সালে ফেন্সিডিল ছিল না । ফেন্সিডিল ৯০ সাল থেকে শুরু । তখন বাংলা মদ আর মৃতসঞ্জীবনী সুরা ছিল । তেমন ব্যাপক নেশাখোর তখন ছিল না । এখন এটা উপদ্রব হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
১১| ২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সামুতে আপনারা কি শুরু করলেন ? এলএসডি, গাজা, পপি !
আপনারা মনে হচ্ছে আফগান, কলম্বিয়ান ও পাকিস্তানিদের পেটে লাথি মারার ব্যবস্থা করছেন।
পাকিস্তানের গাজার উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা
২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: তাও যদি হয় তাওতো কিছু একটা হবে । মেডিক্যাল মারিজুয়ানা চাষ করে ক্যান্সারের ঔষধ বানালে উপকার হবে। পাকিস্তান সম্ভবত সেই পথে হাঁটছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩১
পঞ্চগড়ের বাসিন্দা বলেছেন: বুড়ো দাদো বেশ লিখেছে তবে কে না জানে ঢাবির চারুকলার শিক্ষার থিরা প্রকাশ্যেই মাদক দ্রব্যর বেচা কেনা করে, এটা তাদের কাছে ডাল ভাত খাওয়ার মতো আর চারু শিল্পিরা তো এইসব খাওয়া ছাড়া দিন গুজরান করতে পারে না