নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শামিম আনোয়ার নামে এক ফেসবুক বন্ধু আমার পেজে এই লেখাটি আর ছবিগুলো পোস্ট করেছে । শামিম একজন পুলিশ কর্মকর্তা । অত্যন্ত আবেগতাড়িত হয়েই শামিমের লেখা ছেপে দিলাম ।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাত্রী ছাউনির বেঞ্চির উপর নিঃসাড় অবস্থায় পড়েছিল অল্প বয়সী মেয়েটি। পায়ের পাতা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে আঘাতের চিহ্ন পড়েনি। আক্ষরিক অর্থেই পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত। এমন অজ্ঞাত পরিচয় মুমূর্ষু এক কিশোরীকে পুলিশের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নেওয়াটাও বিশাল ঝুঁকির কাজ। বাই চান্স যদি গাড়িতে মরে যায়, তখন লোকে বলবে পুলিশই হয়তো তাকে নির্যাতন করে...। কিন্তু পরিস্থিতির দাবি অনেক সময় পরিণতির ডর-ভয়কেও ভুলিয়ে দেয়। এমনিতেই তো পুলিশের এক পা রেলে, আর এক পা জেলে। যা হবার হবে। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি সীমান্তবর্তী চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকা থেকে ভিক্টিমকে উদ্ধার করে দ্রুত রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি আমরা।
২৭ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১ টায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর একটি কলে মেয়েটির ব্যাপারে জানতে পেরে দ্রুত তাকে উদ্ধারে গিয়েছিলাম আমরা। অজ্ঞাত কলার মেয়েটিকে 'অজ্ঞান' এবং 'ক্ষতবিক্ষত' হিসেবে আমাদের কাছে উল্লেখ করেছিলেন বটে, কিন্তু তার অবস্থা যে এতটাই সঙ্গীন, তা ছিল আমাদের কল্পনারও বাইরে। মেয়েটি কথাও বলতে পারে না। টেনেটুনে অস্পষ্টভাবে যা বলে, তা থেকে শুধু বুঝা গেল, তার নাম নিলুফা, বয়স ১৫, বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ। ভিক্টিমের অবস্থা খারাপ দেখে প্রাথমিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা শেষে সেখানকার দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
যা হোক, পরামর্শ তো পাওয়া গেল। কিন্তু কে নিবে চট্টগ্রাম মেডিকেলে। দূরবর্তী এই এলাকা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল পর্যন্ত এম্বুলেন্স ভাড়াও অনেক টাকা। সেই ভাড়াই বা বহন করবে কে! আমরা প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এখন বুঝি নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে তার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল-গামী এম্বুলেন্স ভাড়া করব! এদিকে অবনতিশীল পরিস্থিতিতে থাকা হতভাগা কিশোরীটি তখন 'প্রায়' অচেতন থেকে 'পুরোপুরি' অচেতন। হয়তো 'স্থায়ী' অচেতন হবার পথেই এগুচ্ছে ধীরেধীরে। ব্যক্তিগতভাবে কয়েকটি সংস্থার সাথে সহযোগিতা চেয়ে যোগাযোগ করে হতাশই হতে হল। যা করার করতে হবে দ্রুত। শেষমেশ উপায়ান্তর না দেখে আমরা এম্বুলেন্স ভাড়া করেই ফেললাম। রোগীর সাথে চট্টগ্রাম মেডিকেল অভিমুখী যাত্রায় আমি, ওসি রাঙ্গুনিয়া, পরিদর্শক (তদন্ত)সহ আমাদের সহকর্মী আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
প্রথমেই জরুরি বিভাগে টিকিট কাটাসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে সার্জারি ইউনিটের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। ডাক্তারেরা মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা শুরুর আগে জানতে চাইলেন, রোগীর অভিভাবক কে? এই প্রশ্নের উত্তর তো আসলে আমাদের কারো কাছেই নেই। রাস্তার পাশ থেকে মৃতপ্রায় এক কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনেছি মাত্র। অভিভাবকের নাম ঠিকানা তো কিছুই জানি না। মেয়েটির উপর এমন অবর্ণনীয় নির্যাতন কে বা কারা করেছে, তাও অজানা। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কাউকে না কাউকে দায়িত্ব তো নিতে হবে। এদিকে দেরি করার মতো পরিস্থিতিও নেই। অগত্যা আমি বলে দিলাম 'আমিই এই রোগীর অভিভাবক'। এখন চিন্তা করি, পরবর্তীতে যদি রোগীটা মারা যেতো বা খারাপ কিছু ঘটে যেতো, তাহলে এই অজানা-অচেনা কিশোরীর লাশ নিয়ে আমি করতামটা কি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কি বলতাম, আর মিডিয়াকেই বা দিতাম কোন জবাব। যা হোক, উপরওয়ালা সহায় ছিলেন, এ যাত্রায় খারাপ কিছু ঘটেনি।
চিকিৎসার শুরুতেই দায়িত্বরত ডাক্তার জানালেন, রোগী বিপজ্জনকভাবে রক্তশুণ্য। অতি জরুরিভিত্তিতে দুই ব্যাগ রক্ত লাগবে। এখন ডোনার ডেকে রক্ত নিতে গেলে তো কয়েকঘন্টা সময় লাগবে। হাতে সেই সময়ও নেই। বাধ্য হয়ে হাসপাতাল থেকেই দুইব্যাগ রক্ত কিনে রোগীকে দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম। কিনে আনা হল প্রয়োজনীয় অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও। মেয়েটিকে নিয়ে আমাদের কার কত টাকা খরচ হচ্ছে- না হচ্ছে, তখন এসব বিষয় আমাদের চিন্তাতেও নেই। সবার একটাই ভাবনা, অচেনা কিশোরীটিকে বাঁচিয়ে তুলতে হবে। ফেরত দিতে হবে তার বাবা-মায়ের কাছে। জানতে হবে, কোন মানুষ নামের পশু পুতুল খেলার বয়সী এই নিষ্পাপ মেয়েটির ওপর এমন জঘন্য অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়েছে।
চিকিৎসা ও পরিচর্যার এক পর্যায়ে নিলুফা ক্ষীণস্বরে আমাদের কথার জবাব দিতে শুরু করে। খুব যে স্বতস্ফুর্ত জবাব, যে তাও নয়। এই ধরুন দশ বার জিজ্ঞেস করলে হয়তো একবার উত্তর মেলে, এরকম একটা অবস্থা। এভাবে বহু কসরত করে যৎসামান্য যা জানা গেল- মাস দুয়েক ধরে সে গৃহকর্মী হিসেবে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকার প্রবাসী সেলিম ও সুমী দম্পতির বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছে। এ ছাড়াও সে জানায় মূলত গৃহকর্ত্রী সুমীই দিনের পর দিন নির্যাতন করে করে তার এই হাল করেছে। তুচ্ছ কারণে তাকে চামচ গরম করে ছ্যাঁকা দেওয়া হতো, কারেন্টের তার ও কাঠের চিকন গুড়ি দিয়ে পেটানো হতো। থাপ্পড়, লাথি-ঘুষি, দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকে দেওয়াও ছিল নিত্যকার রুটিন। মেয়েটি আরো জানায় যে, সেদিন সকালে বেদম মারপিটে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে গৃহকর্ত্রী সুমী বাসার দারোয়ানের সহায়তায় তাকে ওই যাত্রী ছাউনিতে ফেলে রেখে চলে যায়।
আমাদের অনুরোধে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেব থানা এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের সাহায্যে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিলুফার পরিবারের সদস্যদেরকে খুঁজে বের করে ফেলেন। পরিবারের সদস্য বলতে তার মা এবং মামা। বাবা হাবিবুর রহমান ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন আজ থেকে ১৫ বছর আগেই। নিলুফার অবস্থান তখনো মায়ের পেটেই। বিস্তারিত জেনে শোকার্ত মা- মামা, সাথে মায়ের দ্বিতীয় স্বামী হাসপাতালে নিলুফার কাছে ছুটে এসেছেন, এ পর্যন্তই। তাদের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ। তিনবেলা খাবারই ঠিকমতো জোটে না, সেখানে নিলুফার চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া তো তাদের কল্পনারও অতীত। মেয়ের উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে পারবেন না ধরে নিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন মা কোহিনূর বেগম।
এই লেখার কয়েক স্থানে নিলুফাকে আমি 'হতভাগা কিশোরী' বলে উল্লেখ করলেও এপর্যায়ে তাকে আমি ভাগ্যবতীই বলব। এবার তার পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, পিপিএম স্যার। তিনি নিলুফার মা'কে চিন্তা করতে বারণ করে জানালেন, নিলুফার চিকিৎসাসহ খাওয়াদাওয়া এবং অন্যান্য সকল খরচ তিনিই বহন করবেন। শুধু জানিয়েই ক্ষান্তি দেওয়া নয়, তাৎক্ষণিক বাহক মারফত নগদ ৫,০০০ টাকা পৌঁছে দিলেন নিলুফার মায়ের হাতে।
কী, ভাবছেন ঘুষের টাকা। ইচ্ছেমতো ছেটাতেই পারে? আপনার পরিচিত কোন পুলিশ অফিসার থাকলে তার কাছ থেকে জেনে নিবেন, এসএম রশিদুল হক সেসকল পুলিশ কর্মকর্তাদেরই দলভুক্ত, যারা পুরো চাকুরী জীবন এক পয়সাও ঘুষ বা অবৈধ উপার্জন ছাড়াই পার করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে অন্যদিন আলোচনা করা যাবে। বলতে দ্বিধা নেই, এই উদ্ধারপ্রক্রিয়ার শুরু থেকে চিকিৎসা এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ পর্যন্ত প্রতি পর্যায়ে, প্রতিমুহূর্তে স্যার আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, করনীয় স্থির করে দিয়েছেন। এক কথায় নিলুফা নামের এক ছোট প্রাণকে পুনর্জীবন উপহার দেওয়ার পেছনে মূল অনুঘটকের ভূমিকাও স্যারেরই।
প্রায় অচেতন এক কিশোরীকে বিশাল চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, ডক্টরস রুম, সার্জারি ইউনিটের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডগুলোতে টানাহেচড়াসহ রক্ত সংগ্রহ, ওষুধপত্রাদি ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক কাজে আমার সাথে দিনভর ছোটাছুটি করেছেন এসআই রবিউল, নারী কনস্টবল পুজা এবং নাইমুনসহ সিএমপির নাম না জানা অনেক পুলিশ সদস্য। ভূমিকা রেখেছেন রাঙ্গুনিয়ার ওসি মাহবুব মিল্কি, পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল। এসেছিলেন পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবিরও। তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
৫ দিন পূর্বে যে মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক ও প্রায় অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম, সবার দোয়ায় আজ সে উঠে বসার মতো, ধরাধরি করে দাড়ানোর মতো, কথা বলার মতো সুস্থ। শুধু তাই নয়, এই ৫ দিনে চিকিৎসা প্রক্রিয়া দেখভাল করতে গিয়ে নিলুর (তার এই 'নিলু' নামটা আমিই তাকে মনে মনে দিয়েছি; প্রকৃত নাম যে নিলুফা, তা তো জানেনই) সাথে আমাদের একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। আর সেই সূত্রেই আমরা তার কাছ থেকে নির্যাতনকারীদের বিস্তারিত নাম, ঠিকানা, অবস্থান, ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সবকিছু বের করে নিতে পারি। আপনারা জেনে খুশি হবেন- এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকেলে রাঙ্গুনিয়া থানা এবং পাচলাইশ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিলুর শণাক্তমতে নির্যাতনকারী দম্পতি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম, তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ওরফে সুমি এবং বাড়ির দারোয়ান আকবর আলীকে হেফাজতে গ্রহণ করে। নিলু পুলিশের সঙ্গে সশরীর উপস্থিত হয়ে নির্যাতনকারীদেরকে দেখিয়ে দেয় এবং নির্যাতনের রোমহষর্ক বর্ণনা দেয়। পরবর্তীতে রাতে নিলুর মা কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিদেরকে আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ছোট্ট নিলুর ওপর আঁতকে ওঠার মতো ভয়ঙ্কর পদ্ধতিতে দিনের পর দিন যেসব নির্যাতন চলেছে, তার উপযুক্ত বিচার ইনশাআল্লাহ এবার সে পাবে। এ কথা এখন তো বলাই যায়, কী বলেন সবাই! অতি অল্প বেতনে ঘরের সকল কাজের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেওয়া আমাদের এই অতি আপনজনদের ওপর সকল ধরনের নিষ্ঠুরতা- নির্মমতা চিরতরে বন্ধ হোক।
মো. আনোয়ার হোসেন শামীম
৩৪ তম বিসিএস (পুলিশ)
সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি)
রাউজান-রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: এসব ক্ষেত্রে পুলিশ হেলিকপ্টার অতি প্রয়োজনীয় ।
২| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মেয়েটির ভাগ্য ভাল এমন সৎ অফিসারের সামনে পরেছিলেন। আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষের হৃদয় সুন্দর হউক।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: আশা করি আরও পুলিশ অনুপ্রানিত হবেন ।
৩| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: কি ভয়ঙ্কর! যারা মেয়েটার এই হাল করেছে তাদের রিমান্ডে নিয়ে কঠিন শাস্তি দিয়ে সেটার ছবি ভাইরাল করলে বেশি ভাল হবে। এই টাইপের অমানুষগুলো কিছুটা হলেও সতর্ক হবে।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫৩
শাহ আজিজ বলেছেন: উনি তা করেননি , মেয়েটির কাহিনী তুলে ধরেছেন । একজন পুলিশ কর্মকর্তা তা করতে পারেন না , খবরের কাগজে নিশ্চয়ই আসবে ।
৪| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২৩
আমি সাজিদ বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো পড়ে। মানবিক পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৯:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: গৃহকর্মী নির্যাতনে বিশেষ কোন আইন আছে কিনা জানা নেই আমার । না থাকলে যুক্ত করতে হবে ।
৫| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: এমন কর্ম দেখে অন্যরা অনুপ্রানিত হোক।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: তাই হোক ভ্রাতা
৬| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: খারাপের ভিতর একজন মহান ও মানবিক পুলিশ উনি। উনাকে দেখে আরো পুলিশ অনুপ্রাণিত হবে ভালো কাজের করতে।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: নিশ্চিত কিছু ভাল পুলিশ আছে , আছে অজস্র খারাপ পুলিশ।
৭| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২২
নতুন বলেছেন: উনার পেজে ঘটনাটা দেখেছিলাম। উনি যেই সব কাজ করেছেন সেটা থেকে বোঝা যায় মানবতা বোধ থেকেই তিনি এই সব করেন লোক দেখানোর জন্য না।
তিনি সত্যি কারের একজন পুলিশ হতে পরেছেন। এমন ভালো পুলিশের সংখ্যা বাড়ুক দেশে।
০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল পুলিশ বাড়লে ভাল মানুষও বাড়বে ।
৮| ০১ লা জুন, ২০২১ ভোর ৪:৪০
সোহানী বলেছেন: মনটা খারাপ হলেও শেষে এসে মনটা আবার ভালো হয়ে গেল। দেশের পুলশের ভালো কোন কাজ শুনলে খুব ভালো লাগে।
গৃহকর্মী নিয়ে আমার অনেকগুলো লিখা আছে। হয়তো পড়েছেনে। আমার সবসময়ই প্রশ্ন, আমরা কেন এতটা অমানুষ?
০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ৯:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা সেই আদুরির আর কোন খবর আছে ?
৯| ০১ লা জুন, ২০২১ ভোর ৪:৪২
সোহানী বলেছেন: আমার একটি লিখা শেয়ার করলাম।
আমার বুয়া কাহানি... পর্ব-৫ (স্পেশাল পর্ব আদুরির জন্য)
০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ৯:১৩
শাহ আজিজ বলেছেন:
১০| ০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ৯:০১
জগতারন বলেছেন:
আমার আর কোনো মন্তব্য করার ভাষা নেই৷
ইতি মধ্যে অন্যান্য ব্লগাররা বলে দিয়েছেন৷
এ সমস্ত পরিবর্তন এখন মানবতার দাবী৷
০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ৯:১১
শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত
১১| ০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কষাই মহিলাটাকে জনগণের হাতে ছেড়ে দেয়া হোক। তাকে জনসম্মুখে সেই শাস্তিগুলো দেয়া হোক যা সে এই ছোট্ট মেয়েটার সাথে করেছে। মেয়ে মানুষ বলে তাকে হালকা শাস্তি দেয়ার কোন মানে নেই। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, অন্যায়ের শাস্তি হওয়া উচিত জনসম্মুখে, জেলে নয়।
০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
শাহ আজিজ বলেছেন: তখন মানবাধিকারএর অমানুষ গুলান প্রতিবাদে ফাটিয়ে ফেলবে আকাশ বাতাস ।
১২| ০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১১
রানার ব্লগ বলেছেন: শ্রধ্যা জানাচ্ছি সেই সব পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ কে !! ধিক্কার জানাই সেলিম ও সুমি গং কে এখনো মানূষ এমন আছে জেনে শঙ্কিত ও ব্যাথিত হচ্ছি।
০১ লা জুন, ২০২১ রাত ৮:০০
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি ব্যাক্তিগত জীবনে এরকম দেখেছি অনেক । সেইসব মেয়েরা আলাপের মাধ্যমে বা পালিয়ে বেচেছে ।
১৩| ০১ লা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: উপরওয়ালার সহায়তা থাকলে এমন ঘটনা ঘটে কি করে।যা কিছু ভালো সব করেন উপর ওয়ালা আর খারাপ করে নিচের ওয়ালারা।মেয়েটি সেরে উঠেছে চিকিৎসায়,উপরওয়ালা নিচের ওয়ালার কোন দায় নাই।
পুলিশের ছাপাই গাওয়া এখানে অপ্রাসঙ্গীক।পুলিশ যে কি করে না করে দেশের সবাই জানে।।
সঠিক তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
০১ লা জুন, ২০২১ রাত ৮:০২
শাহ আজিজ বলেছেন: কখনো কখনো পুলিশ ভাল কাজ করে অনেক খারাপের মধ্যে ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
পুলিশেরএই লোকটি সব কাজ করেছেন সঠিক মতো; একজন পুলিশের দায়িত্ব এই রকমই; যেহেতু বাংলাদেশের পুলিশ এগুলো না করে, অন্য কাজ করে বেড়ায়, মানুষের জন্য এসব উদাহরণ অনেকটা গল্পের মতো।
পুলিশের স্পেশাল এম্বুল্যান্স থাকতে হয়; বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীর লিলিপুটিয়ান চীফ হয়তো এতটুকু বুঝে না।