নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কচ্ছপ কেচ্ছা

২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৮






অনেকগুলো সন্ধি কচ্ছপ বস্তাবন্দী অবস্থায় মংলা বন্দরের কাছেই দিগরাজের একটি বাড়িতে পাওয়া গেছে । এরকম ছোপ দেওয়া কচ্ছপ আগে দেখিনি । এগুলো মিঠা পানির কচ্ছপ । আমি অহরহ ডুমুরিয়া কৈয়া বাজার অতিক্রম করার সময় কচ্ছপের মাংস বিক্রি হতে দেখতাম । খাওয়ার ইচ্ছা জাগলেও বাসায় কি বলবে এই ভেবে নেইনি । খুলনা এলাকায় কচ্ছপকে কাঠা বলে । এবারের বন বিভাগ যে ৭৩ পিস বাচ্চা কচ্ছপ ধরেছে তা বিরল জাত ভুক্ত । গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার এক লোক ওইসব এলাকা থেকে কচ্ছপ সংগ্রহ করে দিগরাজে এনেছিল । দিগরাজ মাছ , কাঁকড়া , চিংড়ি ইত্যাদির পাইকার হাট । আরেকটি সম্ভাবনা এখান থেকেই ঢাকা এয়ারপোর্টে কাঁকড়া , কচ্ছপ যায় রফতানি পন্য হিসাবে । চীনারা খুব পছন্দ করে কচ্ছপ এবং এ কারনে চীন কচ্ছপ শুন্য । এই ভোক্তা জাতি খেতে খেতে বাদুড় খেতে গিয়ে করোনা বিপত্তি ঘটিয়েছে যার কারনে সারা পৃথিবী এখন অবরুদ্ধ । বন বিভাগ সম্ভবত এই পাচার বিষয় আমলে আনেনি বলেই মনোজ বাবুকে ২০০০ টাকা ফাইন করে ছেড়ে দিয়েছে । মিষ্টি পানির জীব বলে তারা এটিকে সুন্দরবনের করমজলের পুকুরে ছাড়েনি । বুদ্ধি করে বাগেরহাটের খানজাহান আলী দরগার দীঘিতে কিছু আর অদুরেই ষাট গম্বুজ মসজিদের পুকুরে বাকিগুলো ছেড়ে দিয়েছে । একটি চমৎকার কাজ করেছে সরকারী লোকজন । বর্তমানে বন্যপ্রাণী আইনে কচ্ছপ বিষয়ে কি আছে জানিনা তবে সবধরনের কচ্ছপ ভক্ষন নিষিদ্ধ করা উচিত । আমি সন্ধি শব্দের অর্থ খুজে পাইনি , কেউ পেলে মন্তব্যে জানিয়ে দেবেন ।



ছবিঃসমকাল, বাংলা নিউজ ২৪, একুশে

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি যখন অনার্সে পড়ি তখন খুব ভোরে নয়াবাজার হয়ে শাখারি পট্টি দিয়ে পাটুয়াটুলি যেতাম এক স্যার বাসায় পড়তে। শাখারি পট্টিতে দেখতাম ভোরে কচ্ছিপের মাংস বিক্রি করতো। অনেকবার ভেবেছি একবার খেয়ে দেখবো। শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠে নি।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: খুব চর্বি যুক্ত এবং স্বাদের । এরা যেগুলো খায় তা সাধারন জাতভুক্ত ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

সন্ধি শব্দ কি আজকের চেনা ? সে তো সেই নার্সারী থেকেই প্রায় শুরু ...... মানে ৩/৪ ক্লাস থেকেই।

সন্ধি বিচ্ছেদ ....... সন্ধি বিচ্ছেদ করো না পারলে মরো না হয় পিঠের উপর মারো ..... মনে নাই এইসব ভাইয়া????

ভুলে গেলে কি করে???

আর তাছাড়া এই জীবনে কত মানুষের সাথে সন্ধি করতে হয়। সন্ধি বিচ্ছেদও হয় আর ততদিনে সন্ধির মানে মানুষ এমনিতেই শিখে যায়। আমি তো নতুন আরেকটাও বানাতে পারবো অসন্ধি...... :)


সন্ধি মানে অবশ্যই সমঝোতা বা বন্ধুত্ব বা মিলমিশ আর কি। এটা এতই জীবনের সাথে জড়িত যে এর মানে আর ডিকশনারীতেই দেওয়া হয়নি!!! :P

আমাকে একজন স্কুলে থাকতে চিঠি লিখছিলো-
আসো করি সন্ধি
হও মনের খাঁচায় বন্ধি

তারপর আমার মা তার সন্ধি হবার শখ মিটিয়ে সন্ধি বন্ধি বানান ঠিক মত শিখিয়ে কোন বনের খাঁচায় পাঠায় দিয়েছিলো মনে হয়। আহারে তার জন্য আমার এখন মায়া লাগছে। :(

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: নাহ --- তোমার চাপাবাজি এর লগে যাইতাছে না :#)

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

শায়মা বলেছেন: কেনো যাবেনা এই কচ্ছপও তো সন্ধি করেই তাহাদের হাতে ধরা দিলো.......

যাই বলো আর তাই বলো সন্ধি মানেই সমঝোতা ....... ইহা কোনোভাবেই চাপাবাজি হইবেক লাই।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ও ওই সন্ধি ? তা হইতে পারে ।


আসলেই জানা দরকার কচ্ছপের নাম এমনটা কেন হল ।



দেখি আরও খুজি ---------------

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ নিরিহ প্রাণীটাকে না খাওয়াই ভাল।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: উপদেশটা আমাদের হিন্দু সমাজ আর চীনাদের জন্য প্রযোজ্য ।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমাদের দেশে কচচপ এখন অনেকটাই লুপ্তপ্রায় বিশেষ করে আমাদের কুমিল্লা এলাকায় এখন আর দেখাই যায়না বললে চলে। আমার শৈশবে আমি দেখিছিলাম কিছু কিছু এবং মুলত হিন্দুরা খেত। বাড়ীর সাথেই হিন্দু বাড়ী আর তারা কোথা থেকে কিভাবে আনত কখনো ভেবে দেখিনি তবে যখন তারা কচচপ খাওয়ার জন্য আনত তখন দেখতাম ।

আর সর্বভূক চায়না জাতি এখনো কাঠির সাহায্যে এবং অপ্রচলিত খাবার (যেমন - ইদুর-বাদুর-আরশোলা-ব্যাঙ-সাপ-কাকড়া-শুকর-তিমি-হাঙর-বাঁশ-নুডুলস) ইত্যাদি খাচছে বিধায় আমরা ভেতো বাংগালীরা তথা দুনিয়াবাসী ভাত খেতে পারছি। যেদিন চায়না'রা কাঠি ছেড়ে হাত দিয়ে এবং অপ্রচলিত খাবার ছেড়ে ভাত-রুটি খাওয়া শুরু করবে সে দিন দুনিয়াবসাী করোনার (করোনার কারনে দুনিয়া এখন শুধু অবরুদ্ধ তখন দুনিয়া হয়ে যাবে খাদ্যশুন্য ) থেকেও ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখী হবে ভাইজান ,ইডা কই রাখলাম।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: পদ্মার ওপার , বরিশাল , খুলনা এলাকায় সবচে বেশি কচ্ছপ পাওয়া যায় ।


হ্যা চীনারা ক্রমশঃ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে :P

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

সাসুম বলেছেন: সন্ধি কচ্চপ নামটা সম্ভবত সিন্ধি কচ্ছপ থেকে এডাপ্টেড। পাকিস্তানের সিন্দ অঞ্চলে পাওয়া যেত অথবা সেখান থেকে উদ্ভব।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: জানতে হবে দেখি কি করা যায় । আমিও সিন্ধি নিয়ে ভাবছিলাম ।

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
?
ছোটকাল থেকে শুনে আসছি হারাম।
ইহা হারাম নাকি হালাল? কোন পুস্তকে লেখা পাইনি।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: আরবে পাওয়া যায় ? না পাওয়া গেলে হালাল ।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



চীনারা কি এখন মানুষ খাচ্ছে?

২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: শুনেছি চান্স পেলে খায় ।

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সন্ধি কচ্ছপ মিঠা পানির প্রাণী । ‘সন্ধি কাছিম’কে কেউ কেউ ‘সুন্দি কাছিম’ বা
‘চিতি কাছিম’ও বলে থাকেন। বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীটির ইংরেজি নাম
Spotted Flapshell Turtle বা Indian Flap-shell Turtal।
এক সময় এরা আমাদের প্রতিটি হাওর-বিল-জলাশয়ে
প্রচুর সংখ্যক ছিল। কিন্তু বর্তমানে এরা অনেকটাই বিপন্ন।
তবে এখনো কিছু কিছু প্রাকৃতিক হাওর-জলাশয়ে এরা টিকে আছে।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণি আইনে বিপন্ন তালিকায় থাকা এ কচ্ছপগুলো ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল তথ্য দিলেন । ধন্যবাদ ।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:১২

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহর কুদরুতি কচ্ছপ।এর গায়ে অনেক আরবী হরপের মতো হরপ আছে।এই কচ্চপের পিঠে চড়েই কোন কোন কামেল এদেশে এসে থাকবেন।এরকম কয়েকটা কচ্চপ পেলে একটা দরকা খুলে বসা যেতো।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: এদের কাছ থেকে ধারে নেন , বাচ্চা কাচ্চা হইলে ফেরত দিয়েন ।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিরল প্রজাতির কচ্ছপ সংনক্ষণ করা উচিৎ। ইসলাম হলো বেস্ট ধর্ম। পরিবেশ বান্ধব ধর্ম। গরু যদি না খাওয়া হতো কি অবস্থা হতো ভাবুনতো।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , বেশ ভাল তত্ত্ব গোছাইছেন ।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনসচেতনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। নাহলে অনেক দেশি প্রজাতির মাছের মতো অন্যান্য প্রাণীও বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

পৃথিবীতে ভক্ষণযোগ্য প্রাণীর অভাব দেখা দিলে চীনারা মানুষ খাওয়া শুরু করতে পারে। সাবধানে থাকবেন, ইন কেইস আপনাকে দিয়ে না আবার শুরু করে। :P

২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি বুড়া , ঝুইলা গেছে সব , চীনারা কচি পছন্দ করব :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.