নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তালিবান-চীন ইশক রিস্তে

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৫






জঙ্গিবাদের সমর্থক তালিবান আফগানিস্তানের সীমানা ছাড়িয়ে পাকিস্তান এবং কাশ্মীর পর্যন্ত তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে এখন নতুন পালক পেয়েছে , চীন , পৃথিবীর সবচে আগুয়ান রাষ্ট্র । তালিবান পেশোয়ারের একটি গ্রাম্য স্কুলের বেঞ্চিতে বসে সৃষ্টি এবং পরে সীমানা ছাড়িয়ে আফগানিস্তানে বিস্তার ও দখল । সবচে বড় আশ্রয় পেয়েছে কাতারের কাছে । এক সময় মাওবাদ নিষিদ্ধ ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে । মাওবাদী আর তালিবানের কাজকর্মে কোন তফাত নেই । একটিতে মাও সর্বেসর্বা আরেকটি আল্লাহ তায়ালায় বিশ্বাসী । উভয়েই রক্তপাতের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায় । চীনে মাওবাদ পাইনি এক মাওএর মওসেলিয়াম ছাড়া । এখন সেখানে তালিবান ঢুকে কার্যত শ্রীবৃদ্ধি করল , অবশ্য ব্যাপারটা থিয়ানজিন শহরে ঘটেছে বেইজিঙ্গে নয় । ওয়াং ই এবং আব্দুল গনি বারাদার এর যুগল ছবি সাড়া বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে । চীন আবদার করেছে তালিবানদের আরেক ভ্রাতা এটিম ETIM দের নিস্ক্রিয়তা কারন এরা বর্বরতায় এক কাঠি সরেস আর এরাই তাদের উইগুর ভাইদের জন্য চীনের পশ্চিম খণ্ডে আলাদা ইস্ট তুর্কমেনিস্তান রাষ্ট্রের জন্য জ্বিহাদ ঘোষণা করেছে । চীনের এখানেই আপত্তি । বারাদার মালপানি আর মেশিন গান হাতে পেলে চোখের পলকে এটিমদের এতিম করে দেবে । হটাত করেই চীন কেন এমন কাজ করতে গেল? তালেবান নেতার এই সফরের চারদিন আগে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণ করেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশীকে। চেংডু শহরে দুই মন্ত্রীর দীর্ঘ বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয় যে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চীন ও পাকিস্তান যৌথভাবে কাজ করবে। আফগানিস্তানে যেকোন অস্থিতিশীলতার প্রভাব প্রতিবেশী চীন ও পাকিস্তানে সরাসরি গিয়ে পড়বে। ফলে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আফগানিস্তানে নতুন করে কোন গৃহযুদ্ধ যাতে শুরু না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এবং আফগান বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মীমাংসা আলোচনায় সাহায্যের জন্য পাঁচ-দফা একটি কর্মপরিকল্পনা চেংডুর ওই বৈঠক থেকে ঘোষণা হয়।
আগস্টের মধ্যেই মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর আফগানিস্তান নিয়ে সমস্ত প্রতিবেশী দেশগুলো অনিশ্চয়তা-উদ্বেগে ভুগছে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে সবাই এখন সচেষ্ট।
তবে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে চীন।পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানকে তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বি আর আই) প্রকল্পে যুক্ত করার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে চীন। সেই সাথে, আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদের ওপর চীনের লোভ রয়েছে বলেই বিশ্বাস সবার । চীনের এখন প্রধান চিন্তা যে আফগানিস্তানে যেকোন অরাজকতা হয়তো পাকিস্তানে এবং ইরানে তাদের শত শত কোটি ডলারের প্রকল্প - যা ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বিকল্প একটি বাণিজ্য রুট – হুমকিতে ফেলতে পারে।সাগর তীরবর্তী গোয়াদার গভীর সমুদ্র বন্দর এবং সেখান থেকে চীন পর্যন্ত একটি জ্বালানি পাইপলাইন বসানোসহ পাকিস্তানে ডজন ডজন অবকাঠামো প্রকল্পে চীন ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬০ বিলিয়ন (৬,০০০ কোটি) ডলার ব্যয় করবে।
সেই সাথে, চীন ইরানের সাথে একটি চুক্তি করেছে যার আওতায় তারা বন্দর আব্বাসের আধুনিকায়ন এবং সম্প্রসারণসহ সেদেশের একগাদা অবকাঠামো এবং জ্বালানি প্রকল্পে আগামী ২৫ বছরে ৪০০ বিলিয়ন (৪০,০০০ কোটি) ডলার বিনিয়োগ করবে।
উইগুর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইস্ট তুর্কেস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (এটিম) অনেক বছর ধরে এই সীমান্ত এলাকায় তৎপর। সীমান্ত পেরিয়ে তারা আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়, এবং চীন বিশ্বাস করে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে চীনা নাগরিক এবং চীনা প্রকল্পে হামলার পেছনে এটিমের হাত রয়েছে।
মোল্লাহ বারাদার বৈঠকে চীনা মন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে চীনের বিরুদ্ধে কাউকে কোনও তৎপরতা তালেবান চালাতে দেবে না।

মি. বারাদার এও বলেছেন আফগানিস্তানে শান্তি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তারা চীনের কাছ থেকে আরও ভূমিকা দেখতে উদগ্রীব। তালিবানরা যে দুর্ধর্ষ অজেয় শক্তি এটা মার্কিনীরা জানে এবং তাই তারা আঘাত আসার আগেই সরে পড়ছে । ঠিক একারনেই চীনারা তালেবানের সাথে আগ বাড়িয়ে ভাব ইশক মজবুত করে নিচ্ছে ।

আমার ধারনা এই অসামঞ্জস্য ইশক একসময় ভেঙ্গে যাবে স্বাধীন তুর্কমেনিস্থানের ইস্যুতে । এটিম যোদ্ধারা । ছবি বিবিসি ।।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকার উচিত ছিলো ২০০৪ সাল বা তারপরে, তাদের অধীনে ভোট করে, জয়ী তালেবানদের সরকার গঠন করতে দিয়ে, আমেরিকানদের অধীনে কাজ করতে দেয়া।

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: তালিবানরা ব্যাসিকালি মার্কিন বিরোধী সবসময় । এটা প্রায় অসম্ভব । ব্রিটেন ২টি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করবে ইরান পাক এলাকার সমুদ্রে এবং তা সবসময় থাকবে ।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৬

স্প্যানকড বলেছেন: আফগানি যেসব পাঠান আছে তাদের উদ্দেশ্য করে একটা কথা চাউর আছে শুনছেন কি না জানি না। সেটা হলো " দিন ম্যা ভাই ভাই, রাত পে চার পাই ! " দেখেন অতি পিরিতি কি ডাকাতি করে। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: এই পিরিতির জন্য চীনকে মুল্য দিতে হবে ।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আফগানরা মাথামোটা জাতি। চীন খুব সম্ভব আফগানদের কোনো না কোনো ভাবে ব্যবহার করবে। আফগানদের নিয়ে চীনের কোনো বিশেষ প্লান আছে। আমার মন্তব্যটি আপনি নোট রাখুন। ভবিষ্যত বলে দিবে কি থেকে কি হবে।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: ব্যাবহারের সম্ভাব্য কারন উপরে বলা হয়েছে । এটিম শিঞ্জিয়াঙ্গের উইগুরদের অস্ত্র সাহায্য করত । চীন মাঠে নেমেছে এবার আমেরিকা এটিম দের অস্ত্র সাহায্য দেবে উইঘুরদের স্বাধীনতা প্রকল্পে । পাক সামরিক বাহিনীর একটা অংশ এটিম দের চীনা অস্ত্র সাহায্য করত ।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকা ইচ্ছে করলে তালেবান সম্পুর্ন নিচিহ্ন করতে পারতো।
কিন্তু তালেবান থাকে, হামাসের মতই নারী-শিশুদের চিপায়, একটা শয়তান মারতে গেলে ২৫টা নিরিহ মারা যায়।
যেমন মামুনুলরা শিশুদের মিছিলের সামনে দাংগাকারি হিটার দলের সামনে রাখতো (শিশু সহ সে সময় ২১ জন মারা গেছিল, যদিও বাংলাদেশে কেউ চোখের পানি ফেলেনি)

আমেরিকা বোমা মারলে বহু নিরিহ মারা যায়।
তাই অনেক ব্যায়বহুল ড্রন মারফত সিলেক্টিভ ছোট মিসাইল ব্যাবহার করতে বাধ্য হচ্ছিল, এতে তেমন কাজ হোতনা।
আমেরিকা অন্যান্ন বড় ধনী দেশের সহায়তা পাচ্ছিলনা, একা আর কত ব্যয় করবে? আর কতো গণহত্যার দায় একা নিবে?

তালেবানদের অস্ত্র সর্বরাহকারি হচ্ছে পাকিস্তান।
অস্ত্র কেনার টাকা?
আর তালেবানদের টাকার কোন অভাব নেই, ৩ গুন ৫ গুন বেশী দামে সর্বাধুনিক অস্ত্র কিনছে তালেবান।
অস্ত্র গোলাবারুদ বেচাকেনা করে ৩ গুন ৫ গুন লাভবান হচ্ছে পাকিস্তান।
কুয়েত সহ সব মধ্যপ্রাচ্যের দেশইগুলো অকাতরে টাকা দিচ্ছে। সরকার দিচ্ছে না, দিচ্ছে ধনী শেখরা ।

আর সবচেয়ে বেশী অর্থ আসছে আমেরিকা কানাডা ইউকে ইয়োরোপ থেকে।
ধনী মুসলিম প্রবাসিদের বিশাল এমাউন্টের জাকাত ফেত্রা।
হাজার হাজার মসজিদে রহিঙ্গাদের নামে আফ্রিকার অভুক্তদের নামে, আফিকায় মসজিদ তৈরির নামে অকাতরে টাকা উঠায়। নিউইয়র্কে এক মসজিদে এক শুক্রবারেই মিলিয়ন ডলারের উপর চাঁদা উঠতে আমি নিজের চোখে দেখেছি। বেশিরিভাগই সিরিয়া আফগান ও পশ্চিম আফ্রিকায় যায় , বাংলাদেশের রহিংগাদের নামে হেফাজতরা নব্য জেএমবিরাও পায়।
(অবাক হওয়ার কিছু নেই আমাদের মত গবিব দেশেই মামুনুল বাবুনগরীদের একাউন্টে শত কোটি টাকা, বাট্টু মাওলানারও কম নাই, হেলিকপ্টারে চড়ে)।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: তালেবানদের অর্থ আসত পপি ক্ষেত থেকে । বিপুল অর্থ হাতিয়েছে পাক জেনারেলরা ।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকা বিশ বছরে বিশটা তালেবানও মারে নাই,যেমন মারে নাই আইএস।টুইনটাওয়ার ধ্বংসের জন্য যেসব আলকায়দা জড়িত তাদেরকে বেছে বেছে মেরেছ।তাদের সাথে কিছু তালেবান ভুলে মারা পড়ে গেছে।ছেড়ে যাবার সময় সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র তালেবান ও আই এস কে দিয়ে গেছে।
মুসলমানরা যদি যুদ্ধ নিয়ে লেগেথাক পশ্চিমাদের ডবল লাভ।তারা অস্ত্র বিক্রি করতে পারবে আর দ্বিতীয় লাভ হলো তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রসর হতে পারবেনা।বিশ্বের সবাই মুসলমানদের অন্য চোখে খেয়ে।তারা যে সবাই কে খারাপ চোখে দেখে এবং বিশ্ব দখল করতে চায় কম বেশি সবাই জেনে গেছে।
চীন চায় আফগান যেন চীন বিরোধী যোটে যোগদান না করে।চীনে বসবাসকারী মুসলমানদের উঘ্রহতে সাহায্য না করে।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আফগান তালিবান হাতে থাকলেই বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ সিঞ্চিয়াং আর নতুন রুট আফগানিস্তানের উপর দিয়ে নিসচিন্তে এগিয়ে যাবে । খুব শিঘ্রিই পেশোয়ার টু কাবুল হাই ওয়ে আর তাতে নতুন করে যুক্ত হবে ইরানের বন্দর আব্বাস যেখানে চীনারা উন্নয়ন কাজ করছে ।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৫৩

সোহানী বলেছেন: চীনের এ ছাড়া কোন পথ খালি নেই। আম্রিকা সহ বাকিদের সাইজ করতে এ ছাড়া কোন গতি নাই। আর ছেনের নিজের স্বার্থ ছাড়া এ চুল নড়ার পাবলিক না সেটা ও কম বেশী সবাই জানে।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: চীনের এই সম্প্রসারন নীতি কার্যত তার অগ্রগতি রুদ্ধ করবে ।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন কিছু তথ্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই
কিন্তু আমেরিকা চীনকে সাধুবাদ দিল কেন- এপ্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে? জানি কুটনৈতিক কারন তবুও এত জলদি!!!!

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আমেরিকা বলতে চাইছে আমার ফেলে আসা রোলটা তুমি প্লে কর । আমি আসছি কিছুকাল বাদে ।

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৯

জুন বলেছেন: শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু এই হলো ডিপ্লোম্যাসির মূল কথা। এখন দেখেন আজীবন স্বাধীন আফগানিস্তানে কি নরক গুলজার করে পরাশক্তি দেশগুলো। হতভাগ্য সাধারণ আফগান জনগণ বিশেষ করে নারীরা কি নরক কুন্ডে না পরতেই যাচ্ছে অচির ভবিষ্যতে

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: সাধারন মানুষ পালাতে শুরু করেছে । তারা কট্টর তালেবান শাসন চায় না । আমেরিকা যে একদম চলে গেল তা নয় । আবারো ফিরবে তালিবান আর চীন সংকটে ইস্ট তুরক্মেনিস্থান সৃষ্টিতে আফগান এটিম যোদ্ধাদের নিয়ে ।


বন্দুকের নল প্রেম মহব্বত বোঝে না , সে বোঝে রক্তাক্ত সমাধান ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.