নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী
ভারতীয় কৃষক আর সমর্থক দলগুলো উল্লাসে ফেটে পড়েছে । তারা এটাকে মোদীর পরাজয় হিসাবে দেখছে । এর আগে কোভিড নিয়েও ক্ষমা চেয়েছেন ।
দেশবাসীর কাছে স্বচ্ছ হৃদয়ে আমি ক্ষমা চাইছি। কৃষকদের আমরা বোঝাতে পারিনি। আমাদের চেষ্টায় কোনও ত্রুটি ছিল।” এই ঘোষণার পরই বিরোধীরা সরব— কৃষকদের জয়, ঔদ্ধত্যের পরাজয়।
কী রয়েছে বিতর্কিত তিন কৃষি আইনে !! প্রথমটি ‘অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধনী) আইন’ বা ‘দ্য এসেনসিয়াল কমোডিটিজ (অ্যামেডমেন্ট ) অ্যাক্ট’। দ্বিতীয়টি ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন আইন’ বা ‘ফারমার্স প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফ্যাসিলিয়েশন) অ্যাক্ট’। তৃতীয়টি ‘কৃষক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন (মূল্য এবং কৃষি পরিষেবা সংক্রান্ত) আইন’ বা ‘ফারমার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস অ্যাক্ট’।
মোদী সরকারের দাবি ছিল, মূলত তিনটি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এই তিনটি কৃষি আইন কার্যকর করা হচ্ছে। ১. কৃষিক্ষেত্রে ফড়ে বা দালালদের আধিপত্য কমিয়ে কৃষকের আয় বাড়ানো। ২. রাজ্যগুলিতে চুক্তি-ভিত্তিক চাষের ব্যবস্থা আইনসিদ্ধ করা। ৩. কৃষিপণ্য বিপণন নিয়ে যে আইন রয়েছে তা দূর করে আন্তঃরাজ্য কৃষিপণ্যের অবাধ বাণিজ্যের রাস্তা খুলে দেওয়া।অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধনী) আইনের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সরাসরি কৃষকদের থেকে কৃষিপণ্য কিনে মজুত ও বিক্রির অধিকার দেওয়া হয়। আন্দোলনকারী কৃষক এবং বিরোধীদের অভিযোগ, এই আইন আসলে সরকারি সহায়ক মূল্য তুলে দেওয়ার গোড়াপত্তন। কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য কেনার দায় সরকার নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, বর্তমানে সরকার কৃষকদের যে পরিমাণ সহায়ক মূল্য দেয়, তা বেসরকারি সংস্থা বা কোনও ব্যবসায়ী দেবেন না। তা ছাড়া থেকে সরকার চাল, ডাল, গম, ভোজ্য তেল, তৈলবীজ ইত্যাদি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রীর মজুতের ঊর্ধ্বসীমা বলে কিছু না রাখায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ঘুরপথে চলে যাবে বড় ব্যবসায়ীদের হাতে।
কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন আইনের মাধ্যমে কৃষকদের মান্ডির বাইরেও তাঁদের ফসল বিক্রি করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। দীর্ঘ দিনের ব্যবস্থায় কৃষকের উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য মান্ডির মাধ্যমে একাধিক হাত ঘুরে এসে পৌঁছয় বড় ব্যবসায়ী বা বেসরকারি সংস্থার কাছে। নতুন কৃষি আইন কার্যকর হলে বড় ব্যবসায়ী বা বেসরকারি কোনও সংস্থা চাইলে সরাসরি চাষির কাছ থেকে কৃষিজ পণ্য কিনে নিতে পারবে। সরকারের যুক্তি, এর ফলে কৃষকরা বাজারের সর্বোচ্চ মূল্য পাবেন। কিন্তু আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে মান্ডি ব্যবস্থার অবলুপ্তি ঘটবে। বড় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি সেই সুযোগে কৃষকদের ক্রমাগত বঞ্চনা করার সুযোগ পাবে।কৃষক সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন (মূল্য এবং কৃষি পরিষেবা সংক্রান্ত) আইনটি আসলে চুক্তিভিত্তিক চাষ বিষয়ে। এই আইন অনুযায়ী কোনও বেসরকারি বাণিজ্য সংস্থা বা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা চাইলে কৃষকদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে সেই জমিতে কৃষিজ পণ্য ফলাতে পারবে। জমির চুক্তি অনুযায়ী কৃষক দাম পেয়ে যাবেন। কৃষক নিজের জমিতে কাজ করতে চাইলে, তার জন্য দৈনিক পারিশ্রমিকও মিলবে। সরকারের যুক্তি, এতে দেশীয় কৃষিজ পণ্যের চাহিদা বাড়বে। কৃষি পণ্য রফতানির পথ প্রশস্ত হবে। কিন্তু অভিযোগ, এই আইননে কৃষক নিজের জমিতে ক্রীতদাস হয়ে যাবে। ভেড়ির মালিকরা যেমন জোর করে জমি কেড়ে নেয়, একদিন তেমন কৃষককে বেসরকারি সংস্থাকে জমির লিজ দিতে বাধ্য করা হবে।
আপাতত ভারতের দীর্ঘ সময়ের অবস্থান ধর্মঘট শেষ । কৃষক সেই বিপ্লবীরা যারা ১৮ মাস জায়গা থেকে নড়েননি তাদের অভিবাদন । ঘরমে ওয়াপস যাইয়ে , বিবিকো খোশ কিজিয়ে , ফের ক্ষেতি কে কাম শুরু করে ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৪
শাহ আজিজ বলেছেন: সম্ভবত আমাদের বাঙ্গাল চরিত্রে এভাবে ক্ষমা চাওয়ার জিন নেই ।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মোদী মহাশয়, মহামানব হতে চান।
সাধু সাবধান হলে শেষ রক্ষা হবে নইলে অনেক নীরিহ লোক মারা যাবে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: সেই সুযোগ করোনার সময়ে নিভে গেছে ।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইডিয়ট মোদী, একটি সক্রিয় জাতিকে ভুল পথে নিয়ে যচ্ছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: আসন্ন ভারতীয় দুর্ভিক্ষ ঠেকাক এবার গোমূত্র দিয়ে ।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আসন্ন ভারতীয় দুর্ভিক্ষ ঠেকাক এবার গোমূত্র দিয়ে ।
-ভারতে দুর্ভোক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৮
শাহ আজিজ বলেছেন: দেখা যাক ।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতীয়দের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ গড়ে বাংগালীদের থেকে অর্ধেকের চেয়ে কম; ফলে, দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৬
শাহ আজিজ বলেছেন: রুটি দীর্ঘ সময় পেটে থাকে বলেই এরকম হয় । ভাত খুব সহজেই হজম হয় ।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: কৃষকদের এতদিন ধরে এমন কষ্ট দেবার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ের প্রয়োজন।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ক্ষেতি মানুষ এসব আইন আদালত কম বোঝে ।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৫
স্প্যানকড বলেছেন: দেশের আলবদর আলসামসের জন্মদাতা গন মাফ চাইল না আর চাইব কে ? বেশী ভালো ভালো না !
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩২
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , তাইতো !!
৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৭
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতিবিদগণ কখনো কোন 'ভুল' করেন না। তাদের সকল সিদ্ধান্তই 'সঠিক' এবং জনগণের স্বার্থে। তাই তাদের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার সংস্কৃতি নেই।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৩
শাহ আজিজ বলেছেন: তথাস্ত ।
৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টা জানাগেল।ক্ষমা করলো কিনা সেটা জানা জাবে কিভাবে।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: কিছু একটা করবে মোদী যাতে আসন্ন ভোট বাগানো যায় ।
১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সে নিজ দেশে আজ ক্ষমা চেয়েছে, তার কারণে বাংলাদেলে অনেকে মারা গিয়েছে যারা মেরেছে তারাও একদিন ক্ষমা চাইবে
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: তাই হোক ।
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: হিসাবটা কিন্তু খুব সিম্পল - আন্দোলনকারী কৃষক অধ্যুষিত এলাকাগুলোর আগামী নির্বাচনে মোদির বিজয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। ভারতে আর যাই হোক রাতের অন্ধকারে ভোট হয় না। মারামারি হোক বা দখল হোক জনগণের ভোট দিয়েই ক্ষমতায় আসতে হয়। সুতরাং কেউ তেড়িবেড়ি করলে তার অবস্থা মাইনকার চিপায় পড়তে হয় যেমন পড়েছেন গোবরা মোদী । এই নিয়ে দুইদুইবার পাবলিকের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হলো।
দুর্ভাগ্য আমাদের - বাংলাদেশে পাবলিকের ভোটের দুই পয়সারও দাম নাই। মানে পাবলিকের ভোট দেয়ারই সুযোগ নাই।
তাই কলাগাছ মুলগাছ মার্কা প্রতিনিধি মনোয়ন করে তাহাজ্জুদের নামাজের সময়েই নির্বাচন হয়ে যায় এই স্বর্গীয় দেশে। এইভাবে ঈশ্বর মনোনীত প্রতিনিধিরা কোনো ভুলত্রুটি তো করতেই পারেন না - আর করলেই বা কি ? হাতজোড় করে ক্ষমা তো তারা চাইতে পারেন না, তারা তো একেকজন দেবদূত। ক্ষমা তো চাইতে হবে হতভাগ্য বাঙ্গালদের।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: কৃষকদের আন্দোলন সাধারন মানুষকেও প্রভাবিত করেছে । পশ্চিমবঙ্গে ভরাডুবির পর পাঞ্জাব ,হরিয়ানা এখন আতংক হয়ে রাতে মোদীর বেডরুমে হানা দিচ্ছে । ইউরোপ আমেরিকায় মুসলিমরা ভারতীয় কিছু কিনতে গেলে শুঁকে নিশ্চিত হয় এতে গো মুত্র বা গোবর মেশানো আছে কিনা । মোদী যে এ সময়ের হিটলার তা প্রমানিত।
আমাদের মোদীদের পালানোর সুযোগ নেই ।
১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতীয়দের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ গড়ে বাংগালীদের থেকে অর্ধেকের চেয়ে কম; ফলে, দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সম্পুর্ন সঠিক নয় !!! দক্ষিনের মানুষের খাওয়ার পরিমান বাংলাদেশের মানুষের থেক অনেক বেশি । ভারত কে খালি পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে যদি তুলনা করেন তা হলে কিছু ভুল থেকেই যাবে। পশ্চিমবঙ্গের লোকদের পুর ভারতের ৯০ শতানশ লোক দেখতে পারে না। আমরা যেমন কোলকাতার লোকদের কিপ্টা বলি ঠিক তেমনি ওরাও বলে অসভ্য জাতি। (অভিজ্ঞতা থেকে বললাম) পুরা দিল্লি ভুড়ি ভোজের জন্য বিখ্যাত।
মদি একজন সন্ত্রাসী। এই লোক এখন ভেক ধরছে । অনেকটা শেয়ালের মতো ধুর্ত এই লোক। তার যে এখন এক সন্যাসী রুপ দেখছেন এটাও ভোটের রাজনীতি। বিজিপি ও বাংলাদেশের জামাত পয়সার এই পিঠ আর ওই পিঠ ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৩
শাহ আজিজ বলেছেন: মোদী আসলেই একটা বাজে লোক ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের কোন নেতা কি এভাবে কখনও ক্ষমা চাবেন?