নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৬৭ সাল । পাকিস্তানে নতুন তেল উঠেছে নাম সয়াবিন । প্রস্তুতকারী পাকিস্তানের জিগরি দোস্ত আমেরিকা । ওটা রেশন দোকানে পাওয়া যেত । সবাইকে উদাত্ত আহবান জানাল পাকিস্তান সরকার । বাবা প্রথম অ্যাপ্রোচে নাকচ করে দিলেন । আমরা সরিষা ভাঙ্গিয়ে বা বাজার থেকে ২০ সেরের টিন কিনে খাই । বাজার থেকে সরিষার তেল উধাও । বাবা বললেন নারকেল তেল খাবো তবুও তিনি সয়াবিন নেবেন না । মাস তিনেক পরে বাজারে সরিষার তেল হাজির হল দাম একটু বেশি । তিনি মারা যাবার আগ পর্যন্ত সয়াবিন এ বাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল । আমাদের ভাড়াটিয়ারা সবাই নিরুপায় হয়ে রেশনের সয়াবিন খাচ্ছে । আমার এক্সট্রা ডিউটি পড়লো সরিষা নিয়ে ঘানিতে ভাঙ্গিয়ে টিন ভর্তি করে বাসায় আনা । আমাকে কিছুই করা লাগত না সব কাজ রিকশাওয়ালারা আর ঘানি দোকানের লোকেরাই করত । সেই সয়াবিন বাসায় ঢুকল যুদ্ধের সময় । মন্দ নয় , চলে তবে সরিষার মত নয় ।
আমরা ২০১২/১৩ থেকে রাইস ব্রানের তেল খাই । দাম বেশি হলেও স্বাস্থ্যগত কারনে সেটাই চলছিল । এর মধ্যে সয়াবিন ড্রামা চলল কিছু দিন এখন আমাদের দোকানদার বলল রাইস ব্রানের সাপ্লাই নেই । বেশ আহত বোধ করলাম । আমি সরিষার তেল কিনে মেয়েকে বলেছি এটা দিয়ে রান্না কর আমার খাবার দাবার । রাইস ব্রানের দাম বাড়ানোর কৌশল আর কসরত চলছে । আমি দেখছি সরকারের নিয়ন্ত্রনে কিছুই আর নেই , দুঃখিত ।
বাপের ব্যাটা তবু ৫৫ বছর বাদেও সরিষা ছাড়েনি ।
২১ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যান্ড সেক তেল ৬৭ সালেই প্রথম আসে । ৭০ এ গোর্কির পরে আরও ভাল মার্কেটিং করার নিমিত্তে ফ্রি তেল দিয়েছিল মার্কিনী দোস্তরা । এতদিন পরে সরকার বলছে ওটা খারাপ এটা খাও । সরকার প্রধান নিজেই বিপননে নেমে গেছেন ।
২| ২১ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের অবস্থা তথৈবো এখন সরিষার তেল বের করে নেয়অর পরে অবশিষ্ট খৈলের মতো হয়ে যাচ্ছে!
২১ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা
দেখতে হবে বাদাম তেলটা কাদের আর কারাই বা আমদানি করছে ।
৩| ২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪১
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশ, পাকিস্তানী রেষ্টুরেন্ট গুলোতে যেভাবে তেল দিয়ে রান্না করে, ঢাকা শহরের মানুষ যেভাবে রান্নায় বেশী তেল দেয়, ইহাই হার্ট সমস্যার জন্য দায়ী।
২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:০৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমারও তাই মনে হচ্ছে এখন ।
৪| ২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:০৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সয়াবিন চাষ করা যাবে বাংলায়?
২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: সীমিত পরিমানে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে । আমার অভিজ্ঞতা নেই কি ধরনের মাটিতে সয়াবিন চাষ হয় ।
৫| ২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১৩
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: আসলে দেশে সরকারের প্রয়োজন নাই।বেতনের টাকা বাঁচতো
২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা
৬| ২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:১৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের বাড়িতে সরিষাসহ বিভিন্ন রবিশস্যের আবাদ হতো। পাশের গ্রাম বাড়ৈগাঁওয়ের কলু বাড়িতে নিয়ে সরিষা ভাঙ্গিয়ে তেল করে আনা হতো। ওই তেলেই চলতো আমাদের ব্যঞ্জন প্রক্রিয়া। সময়ের আবর্তে সেসব কখন মিলিয়ে গেছে মনেই নেই। নেই সেই হরেক রকম রবিশস্য আর সুগন্ধী ধানের চাষ।
সময়ের সাথে গা এলিয়ে তাল মিলিয়ে চলেছি। তেল ব্যবহারের পরিবর্তন, বিবর্তন আমাদের কোথায় নিয়ে যায় কে জানে।
আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, যিনি প্রতিকুলতার মাঝেও তার নিজের পছন্দের সাথে আপোষ করেননি।
২১ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: শিক্ষক মানুষ ছিলেন বাবা তাই জেদি ছিলেন প্রচণ্ড। আমরা সয়াবিন খেয়ে হার্টের ব্যামোয় ভুগছি ।
৭| ২১ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিজের দেশের সরিষা ছেড়ে ব্রাজিলের সয়াবিন খাওয়ার দরকারটা কি। এই কারণেই বাংলাদেশে ডলারের এত দাম। ধার করে ঘি খাওয়া আমাদের ছাড়তে হবে।
২১ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের রাজনীতিবিদরা প্রচণ্ড অসৎ ।
৮| ২১ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তিন ফসলি জমি ছিলো আমাদের
ইরি ধান না আসা অবধি।
আমাদের জমিতে প্রচুর তিল হতো,
সরিসাও হতো তবে পরিমাণে কম।
সরিষা তেলের সের পাঁচ টাকায় উঠলে
তিলের তেল খাওয়া শুরু করি। ১৯৭৫
সালে ঢাকায় এসে সয়াবিনের সাথে
পরিচয় ঘটে তার পর থেকে চলছেই..
২১ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদেরও প্রায় একই কাহিনী । তবে আমরা তিল বা সরিষা চাষ করতাম না । ধান চাষ মুখ্য ছিল আর ছিল তরি তরকারি চাষ ।
৯| ২১ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা, আউস ধান, আমন ধান, সরিষা, তিল, কলাই, পাট ইত্যাদির
চাষ করতাম। আউস ধানের চালে জাউ ভাত, বিভিন্ন প্রকার আমন ধানে
মুড়ি, চিড়া, পিঠা ও ভাতের চাল করা হতো। বালাম চালের ভাত খেতাম
ঢাকা আসবার পরেও। বাড়ি থেকে বস্তা ভরে আনতাম প্রতিমাসে।
২১ শে মে, ২০২২ রাত ৮:০১
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের জমিতে আতপ চাল হতো একটু লালচে নাম জামাইনাড়ু ধান । খুব ভাল খেতে । বিশাল অংশ ধান বিক্রি করা হতো । মোট ধান দেড় হাজার মন , রামপালের বাড়ির প্রায় ৩০ জনের খোরাকি আর খুলনার বাড়িতে আমাদের কয়েকজনের জন্য ধান রেখে বাকি ধান বিক্রি হতো ফড়িয়াদের কাছে । তিন থেকে চার দিন দুই তিনটি বিশাল পাল্লায় মাপজোক করে বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ হতো । এখন আমরা চাল কিনে খাই । জমি যার যার লাগিয়ে দেই । গরু মহিষ সব শেষ । বিশাল কাহিনী । তবে আমরা কখনো রবি শস্যের দিকে ঝুকিনি ।
১০| ২১ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: স্বাস্হ্যের জন্য বেস্ট তেল হল ক্যানোলা ওয়েল (রান্না) আর অলিভ ওয়েল (রান্না ছাড়া-হাল্কা ফ্রাই, সালাদ ড্রেসিং..)
২২ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ওগুলোর দাম বেশি বলে আমরা অক্ষম । অলিভ ওয়েল আমরা শরীরে মাখি
১১| ২২ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:১৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে মানুষ এখন প্রচুর পরিমানে তেল ব্যবহার করছে ইহা স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক।
২২ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: কি রকম ব্যাবহার ? মর্দনে না ভক্ষনে
১২| ২২ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মর্দনে ১ নম্বর ভক্ষনেও ১ এর কাছেই অবস্থান।
২২ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৪০
শাহ আজিজ বলেছেন: এখন যে অবস্থা মর্দন ছাড়া রাস্তা নাই , তাতে ছিটে ফোটা যা থাকে তাই খাই
১৩| ২২ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: যেই জিনিষ নিজেরা উৎপাদন করতে পারিনা, যার উপর নিজেদের কন্ট্রোল নেই, সেই জিনিষের উপরে নির্ভরশীল হয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। আপনার পিতার মতো দেশের নীতি নির্ধারকরা ব্যাপারটা বুঝলে আজকে দেশের অবস্হা এরকম হতো না।
২২ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: পিছিয়ে থাকা দেশের রাজনীতিক মানেই পশ্চিমা দেশের পদলেহন । আর এই লেহনে ভোগে আমজনতা । বাদাম তেল আসবে কোথা থেকে এটাই দেখতে চাই । আমরা ভোজ্য তেলের ৫০% সরিষা দিয়ে পূর্ণ করতে চাই । আমি মনে করি সে ক্ষমতা আমাদের চাষিদের আছে শুধু মার্কেট ভ্যালু ভাল পেলে । ফড়িয়াদের উচ্ছেদ চাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: ৭০ এর প্রলয়ংকরী বন্যার পর বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রীর সাথে আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণ সায়াবিন তেল ত্রাণ হিসেবেে এসেছিলো। তেলের টিনের উপর হ্যান্ড শেক করার ছবি ছিলো- যা এখনও মনে আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- "সায়াবিনের বদলে বাদাম তেল খান"!
বানিজ্যমন্ত্রী বলেছেন- "সায়াবিন তেল শরীরের জন্য খারাপ"!
আমাদের পরিবার ভোজ্যতেল হিসেবে আদিকাল থেকেই সরিষার তেলের উপর নির্ভরশীল।