নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সেই জাপানী শিশু দুটি

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৬






আজ হাইকোর্ট সেই জাপানী দুটি মেয়ে শিশু যাদের বাংলাদেশি বাবা তাদের জাপানী মাকে কিছু না জানিয়েই ঢাকা নিয়ে এসেছিল তাদের বাবার মামলা খারিজ করে শিশু দুটিকে তাদের মায়ের জিম্মায় দিয়েছে । তারা যে কোন মুহূর্তে মায়ের সাথে জাপান উড়াল দেবে । প্রায় দু বছর আগে আমি বেশ খেয়াল করছিলাম এই শিশু দুটির বিষয়ে । আমাদের কোর্ট সিস্টেম এতই স্লো যে বিচারকগণকে রীতিমত জাগিয়ে রাখতে হয় কোর্ট কার্যক্রম চালিয়ে নেবার জন্যে । এর যে ইমপ্যাক্ট বাইরের দেশগুলোতে পড়ে তা মর্মান্তিক । আমাদের অনেক সুসন্তান জাপানে থাকে এবং বিয়ে করে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে ভালই আছে । জাপানী শিশুর বাবা জাপানিদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে যে বাঙ্গালী গরিব বাবা আর্থিক সুবিধা নিতে বাচ্চাদের অপহরন করেছে । এখন বাকি যারা সুখে সংসার করছিল তারাও বসে নেই । কি জানি জাপান সরকার হয়ত বাঙ্গালী বাবাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে দিয়েছে জাপান ইমিগ্রান্তের কাছে যে বাচ্চাদের জাপানের বাইরে নিতে পারবে না । আর বিদেশের যে এজেন্সিগুলো ঢাকার কোর্ট সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করে তাদের কাছে আমাদের কোর্টের বিষয়ে ভয়ানক খারাপ মেসেজ গেছে । এমনিতেই অনেক নিন্দা আমাদের ঘিরে থাকে জি ডি পি বাদে । এবার একটা কালো খবর পৌঁছে গেছে এই শিশুদের ইস্যু নিয়ে । এমনিতেই আমাদের নিজস্ব মামলাগুলো বছরের পর বছর ঝুলতে থাকে গাঁজা খেয়ে আর এটা জাপানী এক হতভাগা মায়ের কথা যার শিশু কন্যার ওপর অধিকার পেতে দুই বছরের ওপর লাখ লাখ ডলার খরচ করে ঢাকায় বসে মামলা চালানোর এক নিকৃষ্ট কাহিনী রচিত হবে জাপানে ।

হতভাগা জাতি আমরা । হতভাগা কামলা যারা জাপানে কাজ করে ঘাম ঝরাচ্ছে ।


ছবি- বিডি রাইট

প্রথম আলো কোর্ট রিপোর্ট
জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করেছেন আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান আজ রোববার এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, মামলা করার কারণ আদালতের কাছে প্রমাণ করতে পারেনি বাদীপক্ষ। বরং আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা দুই শিশুর বেড়ে ওঠা জাপানে। সেখানে তারা লেখাপড়া করেছে। তাদের মা নাকানো এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনটি সন্তান জন্মের পর মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে সন্তানদের পাশে ছিলেন।রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, জাপানে বেড়ে ওঠা দুই শিশুর প্রাথমিক শুশ্রূষাকারী তাদের মা নাকানো এরিকো। অথচ তাঁকে কিছু না জানিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়া হঠাৎ অন্য একটি দেশে নিয়ে আসাটা মাতৃত্বের বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন রূপটিকে অসম্মান করার নামান্তর।

রায়ে আদালত আরও বলেছেন, পিতা হিসেবে ইমরান শরীফ নাবালিকা দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার পূর্ণ হকদার। তবে জাপানি মায়ের কাছে দুই নাবালিকার হেফাজত তাঁদের শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক, তথা সার্বিক মঙ্গলজনক বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

আদালতে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শিশু দুটির মা নাকানো এরিকো। তাঁর আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাবার করা মামলা খারিজ করে দেওয়ায় দুই শিশু মায়ের হেফাজতে থাকবে। অন্যদিকে ইমরান শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার বলেছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। এই আদালত থেকে তাঁর মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি।জাপান থেকে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন ইমরান শরীফ। মামলায় বাদীপক্ষের তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর বিবাদীপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাপানি মা এরিকো। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আজ রোববার এই রায় ঘোষণা করেন।

বাবার মামলা খারিজ যে কারণে

মামলার কাগজপত্রের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাপানি নারী নাকানো এরিকো ও ইমরান শরীফ দম্পতির বিয়ে, জাপানে তাঁদের তিন কন্যাসন্তানের জন্ম, তাঁদের কর্মজীবন, সংসারজীবনের নানা তথ্য উঠে এসেছে এই মামলায়। রায়ে আদালত বলেছেন, জাপান থেকে আসা দুই শিশুর মা-বাবা দুজনই বলেছেন, জাপানে থাকার সময় দুই নাবালিকা শিশু পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল। তাদের ফল খুব ভালো ছিল। তাদের বাবা দাবি করেন, এ দেশে আনার পর দুই শিশুকে একটা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করান। একই সঙ্গে তারা অনলাইনে আমেরিকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছিল। আদালত বলেন, জাপানে পড়াশোনা করা দুই মেধাবী শিশুকে বাবার একান্ত চিন্তাভাবনা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাপ্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত সমীচীন নয়।আদালত রায়ে আরও বলেছেন, জাপানের টোকিও পারিবারিক আদালতে একই বিষয়ে মামলা চলা অবস্থায় মায়ের সম্মতি ছাড়া বাবা দুই শিশুকে এ দেশে নিয়ে আসেন। একই বিষয়ে জাপানে বিচারাধীন মামলার তথ্য লুকিয়ে একই বিষয়ে মামলা করার সাধারণ যৌক্তিক চিন্তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর বিষয়টি নাবালিকা কন্যাদের মানসিক বিকাশের স্বার্থে নিঃসন্দেহে মারাত্মক ও অনুসরণ অযোগ্য কাজ বলে প্রতীয়মান হয়।

রায়ে এই দম্পতির দুই মেয়ের মতামত তুলে ধরেছেন আদালত। বড় মেয়ে স্পষ্ট বলেছে, তার জন্ম বেড়ে ওঠা জাপানে। বাবার বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। তবে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। তার স্কুলের সব বন্ধু জাপানে থাকে। সে জাপানে যেতে চায়। রায়ে আদালত বলেছেন, জাপান ছেড়ে আসার আগপর্যন্ত তিন বোন একসঙ্গে ছিল। তারা এখনো বিচ্ছিন্ন হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে অভ্যাসগত বসবাসের জায়গা থেকেও তিন বোনকে বিচ্ছিন্ন করা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে মঙ্গলজনক হবে না বলে প্রতীয়মান হয়।

এ প্রসঙ্গে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে আদালত বলেন, নাবালক-নাবালিকার হেফাজত ঠিক করার ক্ষেত্রে তাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল বা কল্যাণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এই দম্পতির সব ধরনের তথ্য পর্যালোচনা করে রায়ে আদালত বলেছেন, সাধারণ অন্য দশটা মায়ের মতো জাপানি মা তাঁর সন্তানদের দেখভাল করেন। বাবা বাসায় থাকা সাপেক্ষে স্ত্রীকে সহযোগিতা করতেন। তবে নাবালিকা কন্যাদের প্রাথমিক যত্নকারী হিসেবে জাপানি মায়ের তুলনায় বাবার কাছে তাদের হেফাজত অধিকতর কল্যাণকর, তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বাদী।

জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটি কন্যাসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে।ইমরানের কাছ থেকে দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট করেন নাকানো এরিকো। অন্যদিকে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে পৃথক একটি রিট আবেদন করেন ইমরান। পৃথক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দুই শিশু তাদের বাবা ইমরানের হেফাজতে থাকবে বলে ওই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এরিকো; যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।

এরিকোর করা আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে বলা হয়, ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলাটি (২০২১ সালে শিশুদের বাবার করা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাপান থেকে আসা দুই শিশু তাদের মায়ের হেফাজতে থাকবে। শিশুদের বাবা তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।

আদেশে আরও বলা হয়, মামলার পারিপার্শ্বিক বিষয় ও শিশুদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের এই আদালতের এখতিয়ারের বাইরে (দেশের বাইরে) নেওয়া যাবে না। আপিল বিভাগের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।


-----------------------------------------------------------------------

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মায়ের কাছ থেকে সন্তান ছিনিয়ে নিয়ে এসে বাংলাদেশে ফেসবুকে ইউটিউবে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। তবে তিনি একজন বর্বর পিতার কাজ করেছেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: কামলার জাত না ? ইউ টিউব - ফেবু তো এদের দখলে ।


বর্বর পিতা আর জাপান যেতে পারবে না ।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:


রায়টা সঠিক হয়েছে; আগের বটতলার সব উকিল এখন বড় বড় বিচারক, বটতলার সময়জ্ঞান আগের মতোই আছে; জাপানীরা বাংগালীদের বুঝে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: :P =p~ চমৎকার বলেছেন ।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই বাংলাদেশী বাবা এবং বাংলাদেশের জঘন্য বিচার ব্যবস্থার অপকর্মের কুফল ভোগ করবে জাপানের প্রবাসী বাংলাদেশীরা । উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্টুডেন্ট সুযোগ পায় জাপানে। এই সমস্ত ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কোন সন্দেহ নাই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও তাই ভাবছি বসে । এরা এক দুই পিস মাল বাকিদের ভদ্র জীবন যাপনে বিঘ্নতা সৃষ্টি করল ।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভীষণ বাজে একটা উদহারন হয়ে রইলো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: এরকম বাজে উদাহরন অনেক ঘটছে আড়ালে । আমি অপেক্ষা করছি কালকের আশাহি শিনবুন এর খবরের জন্য ।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই ঘটনার কিছুই জানি না।
দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকাও ও টিভিতে নিউজ দেখা বন্ধ রেখেছি।


আপনার পোষ্ট পড়ে বিস্তারিত জানলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা , সেটাই চরম ও পরম সত্য ।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


আদালতের রায়টি দারুন ভাবে সঠিক I
১৮ বছর হওয়ার আগে বাচ্চারা মায়ের হেফাজতে থাকবে সারা বিশ্বে একই নিয়ম। বাংলাদেশেও।
বাচ্চাদের বাবা ভালো করেই জানতেন জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইনে তিনি বাচ্চাদের পাবেন না করাণ তিনি বাচ্চাদের তাদের মাকে না জানিয়েই দেশত্যাগ করেছিলেন। জাপানে একটি মামলা চলাকালিন অবস্থায়।
আমাদের দেশের 'তালেবানি মাইন্ডেড' আদালত কেন এই বাচ্চা চোরের পক্ষে প্রথম দিকে রায় দিল আমি কিছু বুঝলাম না।

এই ঘটনা আমেরিকা হলে এম্ব্যার এটার্ট জারি করে লোকটিকে গ্রেফতার করে জেল হত।

লোকটি অনেকগুলি অপরাধ করেছে।
জাপানি মামলা চলমান রেখে তিনি ফেইক কাগজপত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি ব্যবহার করেছেন।
বাচ্চাদের দেশের আইনভঙ্গ করে মিথ্যে ডকুমেন্টসে জিওগ্রাফিক্যাল বর্ডার পার করেছেন!
আন্তর্জাতিক চিল্ড্রেন কনভেনশন অনুযায়ী, প্যারেন্টস যদি একাধিক দেশের নাগরিক হন বা এক দেশের হন, অন্য প্যারেন্টের অনুমতি ব্যাতিরেকে বাচ্চাকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারেন না।
এটা প্যারেন্টসদের রাইটসের প্রশ্ন নয়, বাচ্চাদের আরেক প্যারেন্ট থেকে বঞ্চিত করার কোন রাইট নেই, এই জন্য।

সাধারনত প্রথম মামলা, স্থানিয় আদালতে প্রথমত বসবাসরত দেশের (জাপান) আইন ও আদালতের রায় প্রাধান্য পাওয়ার কথা।
প্যারেন্ট এবং তার আত্মীয়রা ডিসাইড করার কেউ নয়। এমন কি বাচ্চাদের যথেষ্ট পরিমাণ বয়স (১৮) না হওয়া পর্যন্ত তাদের ডিসাইড বিবেচিত হয় না, কারন কম বয়সি বাচ্চারা দির্ঘ বিচ্ছিন্নে ম্যানিপুলেশের শিকার হয়ে না বুঝে দু প্যারেন্টের ভেতর পার্ট নিতে পারে।
বাবা-মার কনফ্লিক্টে বাচ্চাদের ইনভলভ করাটা অন্যায়। বাচ্চারা কারও সম্পত্তি নয়। রাষ্ট্রের।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: আদালতের রায়টি সঠিক হয়েছে ২ বছর পরে । আসলেই কোর্ট সিস্টেম তালেবানি হয়ে গেছে । এর ব্যাপক সংস্কার দরকার । ধন্যবাদ বিস্তারিত পয়েন্ট অ্যাড করার জন্য ।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৫

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: বাবাটি সম্ভবত সব হারালো, লালিত দুর্নীতির কারণে নীতি নৈতিকতার দেশে যেয়েও সুনীতি শিখতে পারেননি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: এইটা চশমখোর অমানুষ ।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:১১

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: বাবা কখন ও মায়ের মত হতে পারে না। মেয়েদের বিভিন্ন কারনে মায়ের সাথে থাকাটাই উত্তম। বাবা আবেগ দিয়ে যে কাজ করেছেন তা সবার জন্যই খারাপ হয়েছে।
মেয়ে গুলি তার মায়ের সাথে জাপানে ফিরতে পারলেই তাদের জন্য মঙ্গল জন ক হবে বলে আমি মনে করি।
বাবা রায়টা মেনে নিলেই ভাল হবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: এই হাড়ে হারামজাদা আবার আপিল করবে বলেছে ।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খন তো ভালো মাও বিরল হয়ে যাচ্ছে। আমার এক বন্ধু শিশুদের নিয়ে কাজ করে । একটি এনজিও এর বাংলাদেশের প্রধান। ও বলছে "কান মা-বাবা খারাপ হয়না" এর চেয়ে বড় কোন মিথ্যা নাই।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

শাহ আজিজ বলেছেন: গোফরান , টাইপিং এ সমস্যা হচ্ছে কি ? আমি বুঝতে পারিনি ।

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খুব সম্ভবত দুনিয়ায় আমি একাই অবাক হয়েছি এমন রায় দেখে।

পিতৃপ্রধান সমাজে আসলে সন্তানের আসল দাবীদার পিতাই হওয়া উচিৎ। তাছাড়া কয়েকদিন আগে নিউজ দেখলাম যে এই মহিলা তার বাচ্চাদের না বলে এবং কোর্টের আদেশ অমান্য করে মেয়েদের জাপানে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এটাতো চরম অপরাধ। তার বিচার হয়েছে কি? অন্তত এই কাজের জন্য হলেও বাচ্চাদের তার কাছে রাখা নিরাপদ নয়।

উনার একটা বাচ্চা জাপানে ফেলে রেখে এসেছেন। দুঃর্ভাগ্যজনকভাবে সে বাচ্চাটা ছোট। কেমন ভাবে পারে একজন মা এমন কাজ করতে?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

শাহ আজিজ বলেছেন: লালন পালন বিষয়টি মাতাই করে , জন্ম মাতাই দেয় , পেটে ধরে ঐ মা ই ।

বাচ্চারা তো পিতার বা কোর্টের কেনা দাস নয় যে মায়ের সাথে জাপান যেতে পারবে না , এটা মোটেও অপরাধ নয় । বরং কোর্ট আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হয়েছে ।

ছোটটি কে কেন জাপান রেখে এসেছে জানিনা তবে একসঙ্গে তিনটিকে হারাতে চাননি ।

ব্রাদার কি তালেবানে যোগ দিয়েছেন ??!! তাইলে আপ্নারে তরবারি কিন্যা দেই একখান ।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মায়ের কাছে সন্তান নিরাপদ থাকে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম, সহমত ।

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন:
লালন পালন বিষয়টি মাতাই করে , জন্ম মাতাই দেয় , পেটে ধরে ঐ মা ই । - আপনি নিজের সন্তানদের জন্য কিছু করতে পারেন নাই, এটা অনুধাবণ করে খুব কষ্ট হচ্ছে। পিতা হিসাবে নিজেকে ক্ষমা করেন কি করে?

বাচ্চারা তো পিতার বা কোর্টের কেনা দাস নয় - আচ্ছা, তাহলে মানুষের কোর্টের নির্দেশ মানার কোন প্রয়োজন নেই! তাই তো?

ছোটটি কে কেন জাপান রেখে এসেছে জানিনা তবে একসঙ্গে তিনটিকে হারাতে চাননি । - সে আসলে জিততে চেয়েছে, বাচ্চা কয়টা পেলো সেটা বিষয় না।

তাইলে আপ্নারে তরবারি কিন্যা দেই একখান । - মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে খুলনার সর্বহারা সন্ত্রাসীদের দলে ছোটখাট কোন পজিশনে ছিলেন!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: :D কষ্ট করে মাঝ রাতে উত্তর লিখতে গিয়ে কি ঝামেলা বলুন তো ।

অপ্রয়োজনীয় তর্কে ওস্তাদ । যান আপনি জিতে গেলেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.