নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিনা দোষে কয়েদ খেটে চলেছে জনগণ। সেই কবে থেকে। একাত্তরে রক্ত অশ্রুর বিনিময়ে দেশটা স্বাধীন হলো। দেশবাসী খুশিতে কেঁদে ফেলে- পেয়েছি প্রাণের দেশ। দিন যায়- খুশির কাঁন্দন আপনাআপনিই শুকিয়ে যায় আপন আপন গালে।
নিজের দেশ হয়েছে ভেবেছিলো যারা, তারা পদে পদে হোঁচট খেয়ে বুঝতে পারে, দেশটা নিজের বলে ভেবেছিলো কিন্তু নিজের হয়নি। অনেক বছর ধরে জনগণ বা দেশবাসী দেখেছে, বুঝেছে। দেশবাসী চাইলেই দেশ নিজের হয়ে যায়না।
দেশবাসী বারবার দেখেছে, দেশ তাঁদের- এটা শুধু মুখের কথা, কেবলই মুখে মুখে মালিকানা। স্বান্তনা পুরস্কারের মতো। দেশকে পুরস্কার হিসাবে অন্যেরা নিয়ে নেয়। অন্যরা মানে দলের নামে বিভিন্ন গোষ্ঠী। দেশ দলের হয়ে যায়, হয়ে যায় যে যখন সিংহাসনের দখল পায়-তাদের আর দলীয় কর্মীদের।
কেউই কখনও দেশকে দেশের প্রকৃত মালিক জনগণের হতে দেয়নি। একদল চোখ কান বুঁজে জীবনেও নামবেনা ভেবে সিংহাসনে গ্যাট হয়ে বসে থেকেছে- অন্যেরা ক্রমাগত ঠ্যালা গুঁতো মেরেই চলেছে- নামরে তোরা, আর কতদিন!
একেকটা দল বা গোষ্ঠী দেশটাকে নিজের করে পেতে জনগণ, দেশবাসীর দোহাই দিয়ে গেছে চিরকাল। জনগণের দেশ জনগণের হাতে আমরাই ফিরিয়ে দেবো বলেছে- তা কথার কথা হয়েই থেকেছে শেষ পর্যন্ত।
দেশবাসী বা জনগণ একবার নয় বহুবার দেখেছে- যখন সময় বদলে গেছে, একদল নেমেছে, আর একদল জনগণের জয় হয়েছে বলে চড়ে বসেছে সিংহাসনে। নতুন মালিক এসে শাসন শুরু করেছে পুরাতনদের জেলে পাঠিয়ে। দেশবাসী ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দ্যাখে একদল চোখ মুছতে মুছতে জেলে গেলো। তারপর ফিরলো একদিন। ফেরে হাসতে হাসতে বীরের বেশে। ততদিনে ক্ষমতায় থাকাদের নাট বল্টু ঢিলা হয়ে গেছে। জেলে যাওয়ারা ফিরে এসে হালুম হুলুম করে- সর তোর, জনগণের দেশ জনগণের হাতে ফেরৎ দিতে এসেছি। সিংহাসন উল্টে গেলে হাজারটা কারণে পুরাতনদের যেতে হয় জেলে, জেলখানায়।
এই সিংহাসন টু জেলখানা, জেলখানা টু সিংহাসন চলছে পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। দেশের এই মহাজনদের জেলখাটা বোধহয় খুব কষ্টের হয়না, কারণ জেলযাপন শেষ হলে কপালে আবার ফিরে আসবে সিংহাসন- এই মূলাখানা নাকের ডগায় ঝুলতে থাকে।
এ আমল যায়, সে আমল আসে- আমলের মানুষ যারা, তারাই দেশের মালিকানা পায়। দেশ পাওয়ার আনন্দ ভোগ করতে পারে। কোনও দলের না হওয়া জনগণের কাছে সারাজীবন দেশটা কারাগার, জেলখানা হয়েই থাকেআমল থেকে আমলে তাদের জেলখাটা চলে- চলছেই। মুক্তি নেই তাদের। মুক্তি মেলেনা।জেনেছে, সিংহাসন, দেশ কোনোদিনই তাদের হওয়ার নয়। এই যাবজ্জীবন কয়েদবাস সবচেয়ে মর্মান্তিক।
অভিনেতা আফজাল হোসেনের পোস্ট থেকে ।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আফজাল ভাই শুধু ভাল অভিনেতাই নন একজন ভাল মানুষ ও একজন ভাল লেখক। দীর্ঘ সময় উঁনার সাথে আমার প্রচুর গল্প- গুজব করার সুযোগ হয়েছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: শাহনেওয়াজ হলে আফজাল ভাইয়ের সিটেই আমি জায়গা পেয়েছিলাম । ঢাকা থিয়েটারে তার নির্দেশনায় মঞ্চ সজ্জা করতাম । মাঝে মধ্যে কোথাও না কোথাও দেখা হয় । ছোটভাই আলফাজের সাথেই বেশি যোগাযোগ হয় ।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: দেশের মালিকানা বুঝে নিবার মতো যোগ্য লোক আমরা গড়ে তুলিনি।অধিকার কেউ দেয় না অধিকার আদায় করে নিতে হয়।কোথাও কোথাও আওয়াজ উঠছে,আওয়াজটাকে আরো বড় করতে হবে।
৪৭এর প্রথম দেখলাম হিন্দুরা তাদের অধিকারের কথা বলছে।তারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।এটা একটা বিরাট অগ্রগতি।এতো দিন তারা শুধু মেনে নিতো।
হিন্দুরাও ইসলাম ধর্মের ফাঁক ফোকর নিয়ে লাইভ করছে।যেকোন মোল্লার থেকে তারা বেশিই জানে।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
ঊণকৌটী বলেছেন: এত কপি করেন কেন ,আপনার লেখার হাত তো ভালোই |
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি অসুস্থ , তাই লিখতে ইচ্ছে হয়না , ক্ষমা প্রার্থী ।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৩
ঊণকৌটী বলেছেন: সুস্থ থাকুন এবং প্রার্থনা করি ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক কইছেন।