নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮





বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে পরিচিত বাহন রিকশা। বাংলাদেশের জনপ্রিয় এ বাহনটিতে গতি আনতে এগিয়ে এসেছেন চীনের দুই তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই স্নাতক নিকোল মাও (৩৩) ও ইওয়েই ঝু (৩২) করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশে আটকে পড়েছিলেন। কয়েক মাসের জন্য তারা ঢাকাতেই আটকা পড়েন।
এই সময়ে তারা বাংলাদেশে ব্যাটারি তৈরির ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ মাওয়ের পরিবার চীনে একটি ব্যাটারি কোম্পানি পরিচালনা করত। এই স্টার্টআপটি ব্যাটারি রিকশাচালকদের জন্য একটি ব্যাটারি বদলানোর নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে, যা চালকদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে।তখন থেকে শুরু করে তিন বছর ধরে তারা বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুত বেড়ে ওঠা স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক রিকশার জন্য তাদের তৈরি করা ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশন নেটওয়ার্কের (ব্যাটারি বদলানোর নেটওয়ার্ক) জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। আগামী বছর এই স্টেশনের সংখ্যা এক হাজারে পৌঁছাবে। স্টেশনগুলো মূলত বাংলাদেশের লাখ লাখ তিন চাকার বৈদ্যুতিক রিকশা বা ট্যাক্সিকে সেবা দেবে।
এই স্টার্টআপ কোম্পানির নাম দেওয়া হয়েছে টাইগার নিউ এনার্জি। জু-এর দাবি, তাদের এই নতুন উদ্যোগ রিকশা চালকদের জীবন সহজ করে তুলবে। চালকদের পরিষেবা পেতে হলে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, তবে তারা আরো কম সময়ে অনেক বেশি ট্রিপ করতে এবং অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবে। স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহী মাও বলেন, ‘এর চাহিদা অসীম। দেশের অর্থনীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম থেকে মানুষ কাজের খোঁজে শহরে আসছে। এর ফলে পরিবহন ব্যবস্থার চাহিদা বাড়ছে।’ ভারতের ‘টুকটুক’ ও থাইল্যান্ডের তিন চাকার যানগুলো মূলত পেট্রল বা প্রাকৃতিক গ্যাসে চলে। কিন্তু ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শহরের ব্যস্ত সড়কে চলাচলকারী বিপুলসংখ্যক তিন চাকার (থ্রি-হুইলার) যানগুলো প্রধানত বৈদ্যুতিক।
বৈদ্যুতিক এই যানের ব্যাটারি চার্জ করতে অনেক সময় লাগে। তা ছাড়া ব্যবহৃত সিসা-অ্যাসিড ব্যাটারির মেয়াদ শেষের পর তার ডিসপোজাল স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বিপদ সৃষ্টি করে। এ ক্ষেত্রে একটা সম্ভাবনা খুঁজে পান নিকোল মাও এবং ইওয়েই ঝু। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন। কোম্পানির প্রধান অপারেটিং অফিসার ঝু বলেন, ‘এটি ছিল পাগলাটে বুদ্ধি। আমাদের নিজেদেরই স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করা, কারখানার জন্য জমি খুঁজে বের করা এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হয়েছিল।
স্টার্টআপটির প্রতিষ্ঠাতারা ফিলিপাইনের এডিবি ভেঞ্চারস ও সিঙ্গাপুরের ওয়েভমেকার পার্টনার্সের কাছ থেকে প্রাথমিক বিনিয়োগের অর্থ সংগ্রহ করেন। এই অর্থ দিয়ে তারা লিথিয়াম ব্যাটারির একটি কারখানা চালু করেন। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এই স্টার্টআপের প্রথম ১০০টি ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশন স্থাপন করেন। কাজ শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে তারা দেখতে পান, অনেক চালক তাদের পণ্য কেনার জন্য একসঙ্গে ৪০০ মার্কিন ডলার (বর্তমানে তা প্রায় ৪৮ হাজার টাকা) খরচ করতে অনিচ্ছুক বা অক্ষম। যদিও সিসা-অ্যাসিড ব্যাটারির তুলনায় তাদের তৈরি ব্যাটারির মাইলেজ ভালো। তা দীর্ঘমেয়াদিও। তাই তারা ব্যাটারি-সোয়াপিং পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নেন। আর তা দারুণভাবে কাজে দেয়। চালকেরা যখন দেখেন, ব্যাটারির চার্জ কমে যাচ্ছে, তখন তারা একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যাটারি-সোয়াপিং স্টেশনে গিয়ে নতুন ব্যাটারি বদল করে নেন। আর ভয়েস নির্দেশনা এ প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে দেয়। তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বেশ ভালো বিষয়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি পূর্ণ একটা রিপোর্ট খুজছিলাম ওদের বিষয়ে , আজ পেয়ে গেলাম ।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এগিয়ে যাক তারা।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: তাই হোক ।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬

মেঘনা বলেছেন: ইউটিউব এ একধরণের সর্টস পাবেন - দেখেন চিনাদের বুদ্ধি, চিনাদের হাইব্রিড আখ, চিনাদের টেকনিলোজি,.....। আপনি জাপান, কোরিয়া, ফ্রান্স, কানাডা বা অন্য কোনো দেশ নিয়া এরকম পাবেন না। চিনাদের গুনগান করা এইসব ভিডিও কারা বানায়। এবং কেন বানায়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি জানিনা , আপনিই বলুন শুনি ।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

আমি সাজিদ বলেছেন: কেন চায়না সফল ও সাউথ এশিয়ার অধিকাংশ দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ব্যর্থ, এই বিষয়ে আপনার নিজের অভিমত কয়েকটি লাইনে লিখুন। আশির দশকে আপনার দেখা গণচীন নিয়ে লিখুন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা যখন চীনে পৌঁছেছি সেই ৮২ সালে বেইজিং ঢাকার থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল । ৮৯ সালে ছাত্র জনতা বিপ্লবে গদি প্রায় পড়ো পড়ো তখন এক রক্তাক্ত পরিসমাপ্ত হল থিয়ানআনমেন বিপ্লবের । নতুন পদে এলেন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংহাই এর সাবেক মেয়র জিয়াং জে মিন । সংস্কার বাদি এই নেতা শুরু করলেন তার মিশন । ২০০৫ চীনে গিয়ে আমি হতবাক পরিবর্তিত চীন দেখে । সরকারি সব উৎপাদন ব্যাক্তি পর্যায়ে মালিকানা দেওয়া হল । সরকার পাবে ১৫% আর ব্যাক্তি বা গ্রুপ পাবে ৮৫%। এভাবেই এক পরিবর্তিত চীন আমাদের সামনে দাড়িয়ে । উৎপাদনে আমাদের চীনকে অনুসরন করা উচিত কারন আমাদের অবকাঠামো অনেক ভাল । রাষ্ট্রীয় বিকেন্দ্রিয়করন , উৎপাদন সংস্কার অতি আবশ্যক । শুধু ঢাকা নয় চট্টগ্রাম , খুলনা , বরিশাল , রংপুর , রাজশাহি , সিলেট হবে অগ্রগামি শহর এবং উৎপাদনএর আর সরকারের দ্বিতীয় হাব ।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১

আমি সাজিদ বলেছেন: একটু ফ্রি আছি। তাই গতকাল থেকে Little Chinese Everywhere নামের একটা ইউটিউব চ্যানেলে চীনকে দেখছি। চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে মেগাসিটিগুলো সম্বন্ধে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করছি। একসাথে ঘুরাও হয়ে গেল! দেখলাম চীনের ভ্যানিস Zhenyuan city, Yunnan Dali, Fujian এর Tulou, চীন- নেপাল বর্ডারের শেরপাদের গ্রাম, Xinjiang এর কাযাখ ভ্যালি, Tibet, Rural China এর কিছু অংশ.... আমি সাধারণত খুব কম ইউটিউব ভিডিও দেখি কিন্তু এই চায়নিজ ফিমেল ভ্লগারের ঘুরে বেড়ানো ও ভিডিওতে তুলে নিয়ে আসার পুরো ব্যাপারটাই অসাধারণ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: দেখতে থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.