নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। দীর্ঘ দিন মহাকাশে থাকলে নভশ্চরদের কী কী সমস্যা হতে পারে

১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১৩

৯ মাস পরে পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর।





ক্ষয়ে যেতে পারে হাড়, কমতে পারে দৃষ্টিশক্তিও! দীর্ঘ দিন মহাকাশে থাকলে নভশ্চরদের কী কী সমস্যা হতে পারে

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অভিযানগুলি সাধারণত ছ’মাসের জন্য হয়। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এক বছর পর্যন্ত সেখানে থেকে যেতে হয় মহাকাশচারীদের। প্রায় ন’মাস মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। সাধারণত দীর্ঘ সময় মহাকাশে কাটালে মানুষের শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বেশি সময়ের জন্য কোনও মহাকাশ অভিযানে থাকলে হাড় এবং পেশির ক্ষয়, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা-সহ আরও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে নভশ্চরদের। অতীতে এর মধ্যে কিছু সমস্যা ভাল ভাবে সামাল দিয়েছেন মহাকাশচারীরা, আবার কিছু সমস্যা রহস্যই রয়ে গিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অভিযানগুলি সাধারণত ছ’মাসের জন্য হয়ে থাকে। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের এক বছর পর্যন্তও থাকতে হয়। মহাকাশ গবেষকদের বিশ্বাস, এই সময় পর্যন্ত নভশ্চরেরা নিজেদের স্বাস্থ্য ঠিক ঠাক বজায় রাখতে পারেন। সাধারণ অবস্থায় ভারোত্তোলন করলে পেশি এবং হাড় মজবুত হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির একটি বড় ভূমিকা থাকে। কিন্তু মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে মাধ্যাকর্ষণের কোনও অস্তিত্ব নেই। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পৃথিবীর কক্ষপথ ধরে ঘোরার সময়ে হাড় এবং পেশির ক্ষয় রোধ করতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তিন ধরনের ব্যায়ামের যন্ত্র ব্যবহার করেন নভশ্চরেরা।

এর মধ্যে একটি যন্ত্র রয়েছে যা নভশ্চরের শরীরের ওজন ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে। ২০০৯ সালে এই যন্ত্রটি বসানো হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। মহাকাশে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ের অধ্যাপক রিহানা বোখরি এএফপিকে জানান, ওই যন্ত্র ব্যবহার শুরুর পর থেকে মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফেরার পর হাড়ে চিড় ধরার সমস্যা অনেকটা কমে গিয়েছে। এ ছাড়া আরও একটি বড় সমস্যা হল পৃথিবীতে ফেরার পরে অনেক ক্ষেত্রে শরীরের ভারসাম্যের অভাব বোধ করেন নভশ্চরেরা। সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভাগের ইমানুয়েল আর্কিটার মতে, প্রত্যেক নভশ্চরেরই এই সমস্যা হয়। এমনকি যাঁরা অল্প কয়েক দিনের জন্য যান, তাঁদেরও এই সমস্যা দেখা যায়। তাঁদের জন্য নাসা ৪৫ দিনের একটি কর্মসূচি রয়েছে। মহাকাশ থেকে ফেরার পরে ওই ৪৫ দিন ধরে নভশ্চরেরা শরীর পুনর্গঠন করেন। তৃতীয় সমস্যাটি হল, মহাকাশে শরীরে বিভিন্ন তরল সব জায়গায় সমান ভাবে ছড়িয়ে যায়। পৃথিবীতে থাকাকালীন মাধ্যাকর্ষণের জন্য শরীরের তরলের টান থাকে দেহের নীচের দিকে। মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ না থাকার ফলে তা শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মূত্রে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা থাকে।




আনন্দবাজার

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার কোন সমস্যাই হবে না ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমার শরীর সবকিছু মানিয়ে নিবে।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:২২

কাঁউটাল বলেছেন: :|

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মহাকাশে থাকাকালীন তারা কি খায়? পায়খানা করে কোথায়? ঘুমায় কখন?
নভোচারীদের সাথে কখন ফেরেশতাদের সাথে কখনও দেখা হয়েছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.