![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রফেসর ইউনূস এখন কী করবেন? তার সামনে বিকল্প খুবই কম। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্ব অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে । হয় তিনি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেবেন, না হয় পদত্যাগ করে চলে যাবেন। সর্বশেষ খবর প্রফেসর ইউনূস ইতিমধ্যেই অভ্যুত্থানের নায়কদের ডেকে বলেছেন, তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করবো।
যত সমালোচনাই হোক, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, জেনারেল ওয়াকার এই সময়ে যার যার অবস্থান থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এক ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। সেনাবাহিনী না থাকলে মাঠপরিস্থিতি অনেক আগেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। আবার আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে প্রফেসর ইউনূস লাইনচ্যুত ট্রেনকে লাইনে তুলেছেন। ক্ষমতার লিপ্সা আর উপদেষ্টাদের আত্মঘাতী কূটচাল দেশের পরিস্থিতিকে নাজুক করেছে। তারা দেশের নামও বদলানোর পরিকল্পনায় বিভোর ছিল। ভাবা যায় ! উপদেষ্টা পরিষদ বিতর্কিত হয়ে গেছে। এনসিপি দাবি তুলেছে অন্তত তিনজন উপদেষ্টাকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছেন ড. সালেহউদ্দিন, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও ড. আসিফ নজরুল। তাদের ভাষায় এরা সবাই বিএনপির সমর্থক। অথচ অভ্যুত্থানে আসিফ নজরুলই ছিলেন সামনের কাতারের এক কৌশলযোদ্ধা। বিএনপি বলছে, সরকারের ভেতরে এনসিপির যে দুজন উপদেষ্টা রয়েছেন তাদেরকেও পদত্যাগ করতে হবে। আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমকে নিরপেক্ষতার স্বার্থে পদত্যাগ করতে হবে। আরও তিনজন উপদেষ্টা আছেন তারা এখন মুখ লুকাচ্ছেন। এর মধ্যে একজন আছেন পারিবারিকভাবে বিএনপির সমর্থক। হালে তিনি রং বদলিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে একটি সরকার নির্বাচন পরিচালনা করবে। অস্বস্তি নিয়ে কি প্রফেসর ইউনূস দায়িত্ব পালন করতে পারবেন? যাইহোক, এখনো যদি অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না হয়, নির্বাচনের দিকে না যায় তাহলে পরাজিত শক্তি আবারো দৃশ্যপটে হাজির হতে পারে। পাল্টে যেতে পারে পরিস্থিতি। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে এমনটাই হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। অবস্থা এখন এমনই- হয় ভালোর দিকে যাবে, না হয় জাতিগত বিশৃঙ্খলার মধ্যে ডুবে যাবে। যা আমরা কেউই চাই না।
২২ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: সঠিক বয়ান । ধন্যবাদ সুজন ।
২| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভুয়া কথা ! উনার দায়িত্ব শেষ হবার একদিন আগেও তিনি যাবেন না।
২২ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: দেখা যাক।
৩| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
নিমো বলেছেন: উনি পুরস্কারে নোবেল হলেও আসল পুরুষ।
৪| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:০১
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এত কষ্ট করে দেশের ক্ষমতা দখল করে বসদের দেয়া আসল কাজটাই করতে পারলো না। যাই হোক, ট্যাক্স দিতে হয়নি এইটাই লাভ। চালান বেঁচেছে।
৫| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: এই টাউট আপশে যাওয়ার লোক না।তাকে ঝেটিয়ে বিদাংয করতে হবে।নয়তো দেশ বিক্রি করে চলে যাবে।
৬| ২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: উনাকে না সরালে উনি কোনো দিন পদত্যাগ করবেন না।
৭| ২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গ্রামীনের ৬৬৬ কোটি টাকা ট্যাক্স মৌকুফ করে নেয়া।
তার আগে দেশের কোটি কোটি ডলার পাচার করে হিলারির নির্বাচনি তহবিলে ডোনেট করা
গ্রামিন ব্যাংকে সরকারের অংশীদারত্ব ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, মানে নিজে একাই মব রাজত্ব খাটিয়ে হুকুম দিয়ে ২০% সরকারের সম্পদ অংশ দখল।
গ্রামীণ ম্যানপাওয়ার মানে একচেটিয়া আদম ব্যাবসা লাইসেন্স হাতিয়ে নেয়া,
গ্রামীণ পাওয়ার প্ল্যান্ট , গ্রামীণ এয়ারলাইন্স এখন অনুমোদন পাওয়ার পথে ।
এত সহজে এত বড় রাজত্ব ছেড়ে দিব? আমি পদত্যাগ নাটক করব।
যেই লোক সামান্য এমডি পদ ছাড়তে চায় না সে করবে পদত্যাগ?
৮| ২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: বিএনপি এখন আক্ষরিক অর্থেই পাগোল হয়ে গেছে ক্ষমতার এত কাছে যেয়ে। ওরা হিসাব করছে যে আওয়ামী লিগ শেষ । সুতরং বিএনপিরও জোট বানানোর দরকার নেই। একটা নির্বাচন কোনক্রমে করাতে পারলেই একক ভাবে ক্ষমতায় আবারও চলে আসতে পারবে। আর তাদের রাষ্ট্র শাসনের যোগ্যতা ও দক্ষতা কেমন তা আমরা জনগন দুই দুবার দেখেছি। আর এই ১৫ বছর সরকারের ও জনতার কাছে মেছি বিড়াল (হুলো বিড়াল ও না) হয়ে নিজেদের অস্তিস্ত্ব বজায় রেখে ছিল। আক্ষরিক অর্থেই জনতার কাছে সবদিক দিয়ে প্রত্যাখাত এই দলটি যতসব হাস্যকর দাবী নিয়ে দেশ অচল করে দেয়ার হুমকি দেয়। সংবিধান সংশোধনের কোন এখতিয়ার এই সরকারের কাছে নেই বলে দাবি করে চলেছে, এমনকি কোথাও কোথাও বিভিন্ন কমিটি করে চাঁদাবাজী শুরু করে দিয়েছে স্হানীয়ভাবে। ওদের দাবী আদায়ের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে অবষ্হান নিয়ে সবকিছু অচল করে দিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে , এবং কোন ধারাবাহিক পদ্ধতিতে না যেয়ে এই ইউনিস সরকারের নির্বাহী আদেশে সবকিছু করতে হবে বলে দাবী করছে। যেমন হঠাৎ করে একটা কলেজকে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় বলে ঘোষনা করতে হবে, নিজেদের মধ্যে দলীয় সংঘাতে তথাকথিত ছাত্র নিহত হলেও এই অন্তর্বতী সরকারকেই দায়ী করছে। আওয়ামী লিগের গুন্ডা বাহিনী চুপ করে ঘাপটি মেরে বসে আছে সুযোগের প্রতিক্ষায়, মোক্ষম সময় তারা হঠাৎ করে বিপুল শক্তি নিয়ে বেরিয়ে আসবেই দেশটাকে সম্পূর্ন অচল করে বা বার্থ করে দেবার জন্য। দেশটাকে ওরা বেচেই দিয়েছিল প্রায়। এই দিকে চিকেন নেকের কাছে ভারত অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জ্বিত সেনাবাহিনী তৈরী করে রেখেছে যে চিকেন নেকটি দখল করে নেবার জন্য, এবার আর ভূল করবে না ভারত, ১৯৭১ সালের মত। ইসরাইল এবং অন্যান্য অনেক দেশ আছে তাদের সমর্থনে।
গাজায় গনহত্যা চলছে নির্বিচারে, বিশেষ করে শিশুদের। এরপরেও তথাকথিত পশ্চিমা সভ্যতার ধ্বজাধারিরা ইসরাইলে যেয়ে নেচেকুদে নেতানিয়াহুকে সমর্থন করে আসে তা দেখলে ও তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে না এখন। ঐসকল গনতান্ত্রীক দেশসমুহে এখন ভোটের মাধ্যমে যতসব যেসব আউটপুট বের হচ্ছে , তাতে করে গনত্ন্ত্র সিস্টেমটা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।। যেমন নেতানিয়াহু , ট্রাম্প, মোদি, হাসিনা ও অন্যান্য অনেকে। গনত্ন্ত্র কে টিকিয়ে রাখার জন্য এখন তারেক জিয়াকে আনার ব্যবস্হা করা হচ্ছে , আচ্ছা আপনারাই বলেন জনাব তারেকের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে। এর আগের বার লাগামহীনভাবে লুটপাট করেছিল বলে এবার করবেনা নাকি? এরা সংবিধান চেন্জ করতে দিবে না। বরং এই সংবিধান থাকলেই নিরাপদে সবকিছু লুটপাট করেও দেশ-বিদেশে বহাল তবিয়তে থাকা যায়। আমাদের সত্বরই দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদের ব্যাবস্থা করতে হবে, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ। তাতে করে সংসদে কিছুটা হলেও জবাবদিহিতায় আসবে। প্রায় বিশ কোটি জনসংখ্যা বিশিষ্ট এই দেশটিতে দুইকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট কেন হচ্ছে না এটাও একটা রহস্য। আর ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, বলতে হবে ধর্মকর্মে স্বাধীনতা চাই এই দেশে।
২৩ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লিখেছেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:২০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই দেশের মানুষ যখন কপালের উপর ভরসা করে বসে থাকতে ভালবাসে খুব দেখবে একদিন আরো দু:সময় ঘ্রাস করে আছে। এতো সমন্বয়হীনতা কি করে একটা জাতিকে শান্তি ফিরিয়ে দিবে! যতই দিন যাচ্ছে একে অপরে হানা-হানি ভারছে; যেখানে সবাই এক সাথে কাজ করার কথা। সকল লোভ ঠেলে দিয়ে একটা স্বনির্ভর জাতি গঠনে মন দিবে তানা সংঘাতের দিকে যেতে পছন্দ করছে সবাই। সবার মনে দেশ প্রেম জাগ্রত হউক।