নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। জাপানের ওহিসামা (OHISAMA)

২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৮





জাপানের ওহিসামা (OHISAMA) প্রকল্প জাপান স্পেস সিস্টেমস পরিচালনা করছে। তারা মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সৌরশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চায়!

২০২৫ সালে উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত এই ‘ওহিসামা’ স্যাটেলাইটটি একটি ২ বর্গমিটার ফটোভোলটাইক প্যানেলের মাধ্যমে সৌরশক্তি সংগ্রহ করবে এবং তা মাইক্রোওয়েভ শক্তিতে রূপান্তর করবে।

এই মাইক্রোওয়েভ শক্তি পরবর্তীতে জাপানের সুওয়া অঞ্চলের ভূ-ভিত্তিক রিসিভারে পাঠানো হবে, যা প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
প্রথম দফায় উৎপাদন ক্ষমতা হবে তুলনামূলকভাবে সীমিত—প্রায় ১ কিলোওয়াট, যা দিয়ে একটি ছোটখাটো গৃহস্থালি যন্ত্র এক ঘণ্টা চালানো সম্ভব। তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ-ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে।

প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিম্ন কক্ষপথে ঘুরতে থাকা এই স্যাটেলাইটটি প্রাকৃতিক আবহাওয়ার প্রভাবমুক্ত ও নিরবিচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে।

ওহিসামা প্রকল্পটি মহাকাশভিত্তিক সৌরশক্তি (SBSP) নিয়ে দীর্ঘ দশকের গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি,
যার ধারণাটি প্রথম দেওয়া হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। হালকা উপকরণ, উন্নত মাইক্রোওয়েভ প্রেরণ প্রযুক্তি এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আরও কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

জাপান ভবিষ্যতে ভূ-স্থির কক্ষপথে (geostationary orbit) স্থাপনযোগ্য বৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ স্যাটেলাইটের পরিকল্পনা করছে, যেগুলোর প্রতিটি ১ গিগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে—যা পৃথিবীর আবহাওয়া বা ঘূর্ণনের প্রভাবমুক্ত, নির্বিচারে পরিষ্কার জ্বালানির উৎস হিসেবে কাজ করবে।

এই উদ্যোগ জাপানকে নবায়নযোগ্য শক্তি উদ্ভাবনের শীর্ষে পৌঁছে দেবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দূরবর্তী এলাকায় জ্বালানি সংকটের সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে কাজ করবে, যা বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

~ টেকনোলজি ডেস্ক, Scienspectra -

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৩

নতুন বলেছেন: এই প্রযুক্তি মানব জাতীর জন্য বিরাট একটা ব্যাপার হয়ে দাড়াবে যদি এই আইডিয়া সত্যিই কাজের হয়।

২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: জাপানিরা নতুনত্ব করতে জানে ।

২| ২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৬

অগ্নিবাবা বলেছেন: এই ধারণাটি তো বহু আগেই আমাদের ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, নকীব ভাই আরবিতে পুরোপুরি দক্ষ না হওয়ায় বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেননি। এই সুযোগে জাপানিরা কপি মেরে দিয়েছে। সত্যিই, আমাদের পোড়া কপাল, নকীব ভাই গাম্বাত্তে কুদাসাই।

২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , ভাল লাগলো জেনে । কোরআনে উল্লেখিত আয়াত উল্লেখ করে দেবেন যাতে আমরা জানতে পারি । নকিব ভাইটা কে ?

৩| ২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯

অগ্নিবাবা বলেছেন: ‘তিনি তোমাদের জন্য অনুগত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য ও চন্দ্রকে। আর নক্ষত্ররাজিও অনুগত তাঁরই হুকুমে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন সমূহ রয়েছে’ (নাহল ১৬/১২)। - এই আয়াতেই আল্লাহ আইডিয়াটা লুক্কায়িত রেখেছেন। সমঝদার আদমি কে লিয়ে ইশারাহি কাফি হে।

আর নকীব ভাই হল এই ব্লগের একজন বিজ্ঞ আলেম, তার অনেক নামডাক।

২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৪| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.