নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলস গল্পকার

মাথায় অনেক গল্প আসে; কিন্তু লেখার মত পর্যাপ্ত ধৈর্য-শ্রম-অধ্যবসায় নেই। গল্পগুলোকে তাই ছোট করে কবিতা বানাই...

শাহেদ খান

আমি খুব ভাল একটা ছেলে। আমার সবচেয়ে ভাল দিক হল, কথাটা আমি বিশ্বাস করি ! :) ব্লগের বাইরে যোগাযোগে: [email protected]

শাহেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইম্প্রেশনিস্ট আর্টিস্ট :: জর্জ স্যুরা' (Georges-Pierre Seurat)

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৯



চিত্রশিল্পে ফ্রান্সের 'ইম্প্রেশনিজম' আন্দোলন ছিল এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী শিল্পী'র এক অসাধারণ অ্যাডভেঞ্চার গল্পের মত ! সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি আর বিস্ময়কর প্রতিভা (BBC'র ভাষায় 'Annoying talent' !!) দিয়ে তারা তৈরি করে যাচ্ছিলেন চিত্রশিল্পের নতুন ইতিহাস, সৃষ্টি করে যাচ্ছিলেন একের পর এক বাস্তব আর জীবন্ত সব পেইন্টিংস ! ব্যক্তিজীবনে তাদের কেউ কেউ ছিলেন ছবিগুলো'র মতই উদ্দাম আর প্রাণবন্ত, আবার কেউ ছিলেন গাঢ়-রকমের রহস্যময়। সবচেয়ে চাপা-স্বভাব আর রহস্যময় শিল্পী'র নাম নিতে গেলে সবার আগেই চলে আসবে সম্ভবত জর্জ স্যুরা' (Georges-Pierre Seurat)-এর নাম। মাত্র ৩১ বছর বয়সে মারা যাওয়া এই শিল্পী'র জীবন আর বিস্ময়কর শিল্পকর্মের বেশিরভাগই আজও রয়ে গেছে চরম রহস্যে ঘেরা ! আজ বলব 'জর্জ স্যুরা' নামে শিল্পজগতের এক বিস্ময়-বালকের কথা। ক্যানভাসে কিছু রঙের ম্যাজিক দেখার জন্য প্রস্তুত হয়ে বসুন! ইম্প্রেশনিজমের রং-ঝলমলে জগতে আপনাকে স্বাগতম !



জর্জ স্যুরা' ইম্প্রেশনিজম আন্দোলনের প্রধানতম শিল্পীদের মধ্যে পড়েন না। বয়সের দিক থেকেও তাকে বলা যায় পিসারো, মনে', দেগা, রেনোয়া'-দের পরের প্রজন্ম। তাই তাকে রাখা হয় 'পোস্ট-ইম্প্রেশনিস্ট' কাতারে। ইম্প্রেশনিস্ট আর্টিস্টদের গল্প বলতে এসে আমি প্রধান শিল্পীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ স্যুরা'র গল্প বলছি, এর কারণ স্যুরা'র স্টাইলের অতুলনীয়তা - আর তার ছবিগুলো'র কিছু চমকপ্রদ ফিচার ! চাপা-স্বভাবের এই ছেলে হঠাৎ এমন একটা ইউনিক স্টাইল নিয়ে হাজির হয়েছিল যে, বাঘা বাঘা ইম্প্রেশনিস্ট'রা পর্যন্ত থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন ! আর্টের সাথে সায়েন্স মিশিয়ে সদ্য টিন-এজ পেরোনো স্যুরা' দেখাতে শুরু করলেন বিস্ময়কর এক কর্মকান্ড, যেটা দেখার জন্যে কেউই প্রস্তুত ছিলেন না!





(স্যুরা'র ফটোগ্রাফ। এই একটা ছবি ছাড়া ব্যক্তি স্যুরা'কে চেনার মত আর খুব বেশি কিছু পাওয়া যায়নি !)



১৮৫৯ সালের ডিসেম্বরে স্যুরা'র জন্ম, চিত্রকলা'র স্বর্গ প্যারিসে। ১৮ বছর বয়সে তিনি ফ্রান্সের (এমনকি বিশ্বেরও) অন্যতম ঐতিহ্যবাহী আর্ট ইন্সটিটিউট École des Beaux-Arts (স্কুল অফ ফাইন আর্টস)-এ ভর্তি হন। তবে ওই স্কুলে তার ছাত্রজীবন স্থায়ী হয়েছিল মাত্র বছরদেড়েকের মত। প্রথাগত কনভেনশনাল আর্ট তাকে টানলো না, বরং তিনি আকৃষ্ট হলেন 'ইম্প্রেশনিস্ট'দের উজ্জ্বল আর বাস্তব জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিতে। তিনিও আঁকতে বসে গেলেন রং-ঝলমলে চেনা জগতের গল্প - কিন্তু একেবারেই ইউনিক আর অচিন্ত্যনীয় একটা ফর্মে ! তার ছবিতে ক্লদ মনে'র মত দৃঢ় ব্রাশ-স্ট্রোক নেই, রেনোয়া'র মত জীবন্ত অভিব্যক্তিও না, দেগা'র মত উজ্জ্বলতার ইল্যুশন বা সেজানের মত গাঢ় রঙের আঁচরও নেই - তিনি ক্যানভাস ভরিয়ে ফেললেন অসংখ্য অসংখ্য ঝিকিমিকি 'ডট' বা 'পয়েন্ট' (বিন্দু) দিয়ে ! কাছ থেকে দেখলে অনেকগুলো ঘন(ডার্ক) রং-এর ফোঁটা, কিন্তু ওই জিনিসই দূর থেকে দেখলে একদম 'আলোর বন্যা' ! কী মেশালেন তিনি ঐ ক্যানভাসে? উত্তরটা হল - বিজ্ঞান ! পিওর সায়েন্স !







স্যুরা'র চিত্রকর্মে বিজ্ঞানের ব্যবহারটা রীতিমত অভূতপূর্ব। অনেক ক্রিটিক মনে করেন, স্যুরা' আসলে ক্যানভাসের উপর সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট করে গেছেন; আর আমরা, মানে তার দর্শক'রা হল ওই এক্সপেরিমেন্টের গিনিপিগ ! নিচের সব'টা পড়ার পর হয়তো আপনার কাছেও ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হবে না। দর্শকদের চোখের রেটিনা'র উপর স্যুরা'র 'ডট'-এর ট্রিক আজও খেল দেখিয়ে যাচ্ছে অনবরত।

École des Beaux-Arts-এ পড়ার সময় স্যুরা' হাতে পান Charles Blanc-এর লেখা 'Grammar of the Art of Drawing' বইটা। Charles Blanc সেই সময় École des Beaux-Arts-এর ডিরেক্টর। তার বইয়ে রং ব্যবহারের নীতি'র (Laws for colors) উপর জানতে পারেন স্যুরা'। আগ্রহী শিল্পী এরপর নিজেই শুরু করেন বিস্তারিত গবেষণা। আলোর মিশ্রণ আর রঙের মিশ্রণের মাঝে দেখতে লাগলেন চমকপ্রদ পার্থক্য ! ব্যাপারটা একদম সহজ করে বলি, শাদা কাগজে রং-তুলি দিয়ে লাল রং, তার উপর নীল রং আর তার উপর সবুজ রং মেশালে - সবটা মিলে একটা গাঢ় মেরুন-টাইপের রং চলে আসে। কিন্তু একটা কাগজে আলাদা আলাদা করে পাশাপাশি লাল, নীল আর সবুজ রং করে কাগজটাকে ফ্যানের স্পীডে জোরে ঘুরালে দেখা যায় উজ্জ্বল একটা একটা রং দেখা যাচ্ছে ! রংটা সাদা'র কাছাকাছি, খুব উজ্জ্বল বাদামীও বলা যায় ! মানে দাড়ালো - মৌলিক তিনটা রং মেশালে ফলাফলটা আসে গাঢ় একটা শেড, কিন্তু ওই তিন রঙের আলো মেশালে পাওয়া যাচ্ছে উজ্জ্বল একটা কালার ! স্যুরা' এই অসীম সাহসী কাজটা করে বসলেন ক্যানভাসে। তুলি'র কোনও রং-কে তিনি অন্য রঙের সাথে মেশালেন না, বরং প্রত্যেকটা মৌলিক রঙের অসংখ্য বিন্দু পাশাপাশি বসিয়ে দিলেন ! ফলাফল'টা কী হল নিজের চোখেই দেখুন -







ছবিতে দূরের ওই কটেজগুলো দেখতে পাচ্ছেন তো? লালচে বাদামী দেয়ালের? এবার ঐ দেয়ালটা খুব কাছ থেকে দেখা যাক। একদম ম্যাগনিফাইং গ্লাসে চোখ রেখেই দেখি -







চিন্তা করেন কান্ডটা ! পুরো দেয়ালজুড়ে লাল-এর পাশাপাশি নীল আর সবুজেরও অসংখ্য 'ডট'। কিন্তু যখন দূর থেকে দেখা হয়, তখন এই নীল আর সবুজ প্রায় উধাও ! তখন এদের কাজ শুধু ওই লাল-এর গাঢ়ত্ব কমিয়ে একে 'ঝলমলে লাল' করে তোলা ! কোনও রং-এর মিশ্রণ না, রংগুলো পাশাপাশি আলাদাভাবেই আছে। কিন্তু এত সুক্ষ্ণ পজিশনিং যে, ঐ তিনটা রং মিলে আমাদের রেটিনায় একটাই উজ্জ্বল রঙের ইমেজ তৈরি করে দিচ্ছে ! পিওর 'অপটিক্স' ব্যবহার করে একদম নিখুঁত একটা ম্যাজিক !



আরও উদাহরণ দেখতে পারেন -







একদম ডানে দাঁড়িয়ে থাকা গোঁফওয়ালা লোকটার 'ডিটেইলস ভিউ' দেখলে -







দূর থেকে মূল ছবি দেখলে তার মুখে এতগুলো ভিন্ন রঙের শেড বোঝার কোনও উপায়ই নেই ! বাকি রংগুলো আলোর তরঙ্গে ভেসে গেছে। জাদুকর এঁকেছেন এক জিনিস আর আপনাকে দেখতে বাধ্য করছেন অন্য জিনিস ! পুরোটাই অপটিক্যাল ফিজিক্সের এক অনন্য খেলা !



অপটিক্স - এটাই ছিল স্যুরা'র চিত্রকর্মের অন্যতম প্রধান উপাদান। ছবি আঁকার জন্য কোন শিল্পী থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের গবেষণা করতে বসবে? এ কাজ শুধু ইম্প্রেশনিস্টদের পক্ষেই সম্ভব - ব্যতিক্রম কিছু করাটাই ছিল তাদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, তার ওপর স্যুরা' তো ছিলেন তাদের মাঝেও ব্যতিক্রম একজন ! স্পষ্টতই - "His interest extended beyond painting to the science of optics. Seurat embraced theories of color, studied the works of Delacroix, and learned from material published by scientists…" [Impressionism: Isabel Kuhl, Parragon Books. Page 164]



ইম্প্রেশনিস্টদের গ্যালারীতে স্যুরা'র পেইন্টিং প্রথম প্রদর্শিত হয় ১৮৮৬ সালে। সেবছরই ছিল সর্বশেষ 'ইম্প্রেশনিস্ট এক্সিবিশন'। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্দোলনের যখন প্রায় সমাপ্তি তখনই স্যুরা'র সবেমাত্র শুরু। স্যুরা' প্রদর্শন করলেন দুই বছর ধরে আঁকা তার বড় ক্যানভাসের (প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত) ছবি "A Sunday Afternoon on the Island of La Grande Jatte"। প্রথম দানেই প্রায় বাজিমাত ! হঠাৎ করে মনে হচ্ছিল ইম্প্রেশনিজম-এ মনে', রেনোয়া', দেগা'রা যথেষ্ঠ ছিলেন না; আরও কিছু বাকি ছিল - সেই কিছু'টা নিয়ে এলেন এই রহস্যময় তরুণ জর্জ স্যুরা' !





A Sunday Afternoon on the Island of La Grande Jatte [1884-1885]



ছবিটা সবার দৃষ্টি যেন নতুন করে খুলে দিল ! আলো নিয়ে, রং নিয়ে বিস্তর খেলাধুলা তখনও বাকি - সবাই বুঝতে পারলেন। ইম্প্রেশনিস্টদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীন এবং এই আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কামিল পিসারো'ও স্যুরা'র টেকনিক ব্যবহার করে ছবি আঁকা শুরু করলেন। স্যুরা'র টেকনিক তো পরবর্তীতে 'pointillism' বলে একটা নতুন ধারারই সূচনা করল - যে ধারায় প্রভাবিত হয়েছিলেন সমসাময়িক এবং পরের অনেক বিখ্যাত শিল্পী; খুব পরিচিতদের মধ্যে আছেন ভিনসেন্ট ভ্যান গফ। (অনেক জায়গায় দেখি Van Gogh-কে বাংলায় ভ্যান গগ লেখা হয়। তবে বৃটিশ'রা উচ্চারণ করে 'ভ্যান গফ' আর শিল্পীর মাতৃভাষা ডাচ-এ 'ফান গফ'। আমি মনে করি, ইংরেজী শব্দের শেষে 'gh' থাকলে সচরাচর তার উচ্চারণ 'ফ'-ই হয়ে থাকে। আপনি চাইলে এর বিরুদ্ধে 'tough' যুক্তি দেখাতে পারেন, 'rough' তর্ক করতে পারেন, অথবা আমার বক্তব্যে 'laugh'-ও করতে পারেন। তবে আমার ধারণা আমি 'enough' উদাহরণ দিয়ে ফেলেছি অলরেডী)



স্যুরা'র ছবিতে ফিরে যাই। উপরের ছবিটার আগে ১৮৮৩-তে স্যুরা আঁকেন 'Bathers at Asnières', যেটা ছিল তার প্রথম মাস্টারপিস।





Bathers at Asnières [1883]



এই দুই ছবি নিয়ে ডিটেইলস বলতে গেলে আলাদা পোস্ট লাগবে, শুধু বলে রাখি - ছবি দুটো'র খুব গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা এখনও ঠিক দাঁড়ায়নি। BBC'র ডকুমেন্টারীতে সোজা-সাপ্টা বলেই দেয়া হল - "If you ask ten art critics about Seurat, you’ll get ten different opinions. He was such a private and elusive painter…"







এই ছবিদুটোকে মনে করা হয় পরস্পরের পরিপূরক। সীন নদী'র দুইপাশের দুইটা দৃশ্য। বামে বসে আছি কিছু ওয়ার্কিং-ক্লাস লোক, যারা অনেকটা নিঃসঙ্গ। আর নদীর ডানপাশে তুলনামূলক সচ্ছ্বল লোকজন। অথচ অন্য ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের ছবি'র তুলনায় স্যুরা'র ছবি'র লোকগুলো কেমন যেন স্থির, নিরানন্দ ! যেন জোর করে বসিয়ে রাখা ! কাহিনী কী?



স্যুরা' তার ম্যাজিক ইফেক্ট দেখানোর জন্য আরও অনেক নিরীক্ষা করতে লাগলেন। আরেকটা চমকপ্রদ ব্যাপার বলি। আপনি যদি বেশ খানিকক্ষণ ঘন লাল রঙের দিকে তাকিয়ে থাকেন, হঠাৎ করে ঐ লাল বস্তু সরিয়ে নেয়া হলে আপনার চোখের সামনে লাল-এর বিপরীত একটা হালকা উজ্জ্বল সবুজ আভা থেকে যাবে। স্যুরা' এই ইফেক্ট অ্যাপ্লাই করে সবুজ ঘাসের মাঝে মাঝে জায়গামত অসংখ্য লাল ডট রাখলেন, যে লাল-রং খালি চোখে দৃশ্যমান হল না, কিন্তু আপনার রেটিনা ঠিকই সেই তরঙ্গ রিসিভ করে তার ইফেক্ট হিসেবে ঘাসের সবুজকে আরও উজ্জ্বল সবুজ করে তুলল ! এখনও স্বীকার করতে আপত্তি আছে, স্যুরা' দর্শকের রেটিনা নিয়ে খেলছেন না?



আর স্যুরা'র ছবির মানুষগুলো'র কী যেন সমস্যা আছে। নিচের ছবিটাই দেখুন -







নৃত্য বা সার্কাসের ছবি - সবার ফূর্তি করার কথা, অথচ মানুষের মুখগুলো কেমন নিরানন্দ ! মুখে অভিব্যক্তি নিয়ে কোনও ডিটেইলস তিনি আঁকলেন না, বরং আনন্দ-নিরানন্দ বুঝালেন সরলতম রেখা দিয়ে, অনেকটা এরকম -







ইম্প্রেশনিস্টদের তো এমন হওয়ার কথা না ! তারা গাইতেন জীবনের জয়গান ! সব ছবিতে উচ্ছাসের ছড়াছড়ি ! গতকালের পোস্টে দেগা'র ছবিগুলোই দেখলেন, পরবর্তীতে রেনোয়া' নিয়েও পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে অবশ্যই। তাদের নিখুঁত ঝলমলে আনন্দময় ছবিগুলো দেখলেই মন-টন ভাল হয়ে যায়; এদের মাঝে থেকে স্যুরা'র এই অবস্থা কেন? তবে কি স্যুরা বোঝাতে চাইলেন আনন্দের সব উদযাপনই আসলে মেকী? অত কিছু বোঝার উপায় নেই। নিজে থেকে কোনও কথাই বলতেন না এই রহস্যময় শিল্পী। এমনকী তার যে একটা মিস্ট্রেস ছিল, এবং একটা সন্তানও ছিল - এই কথাও মৃত্যুর ঠিক আগের দিন বাবা-মা'কে বলে যান ! তার আগ পর্যন্ত কেউই জানত না !



ছবি'র বিষয়বস্তু যাই হোক, ফর্ম আর টেকনিকে স্যুরা অনন্য কিছু কীর্তি রেখে গেছেন, যা পরবর্তী শিল্পজগতে বিস্তর প্রভাব ফেলে। এমন বিজ্ঞানময় শিল্পের কথা অতিরিক্ত প্রতিভাবান ছাড়া আর কার মাথায় আসতো?











স্যুরা'র সময়কাল আর ছবির মুড হয়তো প্রধান ইম্প্রেশনিস্টদের চেয়ে একটু দূরবর্তী ছিল, তাকে মূলধারা'র ইম্প্রেশনিস্টদের সাথে এক কাতারে ফেলা যায় কিনা এসব নিয়ে কথা থাকতেই পারে; তবে ছবি'র জগতে অল্প সময় থেকেই তিনি যে ম্যাজিক ইফেক্ট দেখিয়ে গেলেন, তাতে আমি অন্তত ইম্প্রেসড ! আপনি?



মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩২

শাহেদ খান বলেছেন: সমস্ত ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল ডট কম এবং উইকিপিডিয়া

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

শাহেদ খান বলেছেন: তথ্য সূত্র:

* বই - Impressionism: A Celebration of Light, by Isabel Kuhl, Parragon books.

* টিভি ডকুমেন্টারী - The Impressionists Painting and Revolution, BBC.

* ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

বোকামন বলেছেন:





আরেকটি পরিশ্রমী পোস্ট ! কৃতজ্ঞতা জানবেন :-)

বইটি সংগ্রহে আছে। দারুন, চমৎকার বর্ননা এবং চকচকে ছবি সমৃদ্ধ একটা বই। জর্জ স্যুরা প্রাচীন মিশরীয় চিত্রকলা দ্বারা প্রভাবিত ছিল, এ বিষয়ে আপনার মতামত কী ?

ভালো থাকবেন, পোস্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৬

শাহেদ খান বলেছেন: École des Beaux-Arts-এ পড়ার সময় স্যুরা'কে অনেকটা সময় প্রাচীন কনভেনশনাল আর্টের চর্চা করতে হয়েছে। তার চিত্রে ওসব আর্টের প্রভাবও ছিল স্পষ্ট ! যেমন, 'Bathers at Asnières' - যে ছেলেগুলো নদীতীরে বসে আছে, তাদের কারও কারও বসার ভঙ্গি ছিল অবিকল প্রাচীন রোমান আর্টের মানুষদের বসার ভঙ্গির অনুকরণে !

ইম্প্রেশনিস্ট'রা হঠাৎ করে ক্লাসিক্যাল পুরাণ ছেড়ে বর্তমান বাস্তবের ছবি আঁকা শুরু করেন, এবং অনেকেই এসব ছবিতে প্রাচীন চিত্রকলা'র কিছু জিনিসও অনেকটা একইরকমভাবে রেখেছিলেন ! সমালোচক'রা মনে করেন, এর মাধ্যমে ইম্প্রেশনিস্ট'রা সুস্পষ্ট একটা মেসেজই দিতে চেয়েছিলেন~

All of them set out to prove that the modern world can be just as monumental, just as heroic and beautiful, as the ancient world. In the end, it’s probably the most important of all Impressionism’s revolutionary messages – ‘the present is just as precious as past’

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৮

শাহেদ খান বলেছেন: আর মন্তব্যে ভাল লাগা জানবেন :)

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সন্দেহাতীত ভাবে দারুণ একটি পোস্ট ।তথ্য সমৃদ্ধ বর্ণনা ও অসম্ভব সুন্দর ছবিগুলোতে +++++

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫০

শাহেদ খান বলেছেন: কমেন্টেও +++ 8-|

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিস্ময়কর! তার ছবি সামনাসামনি দেখতে ইচ্ছা করতেসে।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১

শাহেদ খান বলেছেন: আমারও অনেকটা একই অবস্থা ! বইপত্র আর ডকুমেন্টারী-ভিডিও দেখে এখন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই !

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

আরজু পনি বলেছেন:

একটা পোস্ট কতো দারুণভাবে উপস্থাপন করা যায় আপনার এই পোস্টগুলো দেখে তা শিক্ষণীয়!
অসাধারণ !

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

শাহেদ খান বলেছেন: চেষ্টা করছি, খুব সরল ভাষায় লিখতে। আমি যেসব বিষয়ে ইন্টারেস্ট ফিল করেছিলাম, শুধু সেইসব বিষয়গুলো তুলে আনতে।

লেখা'র আনন্দে লিখছি, পনি'পু। কেউ যদি এসব পড়ে পৃথিবী'র শ্রেষ্ঠ এসব শিল্পের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে - সেটাই হবে অনেক বড় পাওয়া !

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

শাহেদ খান বলেছেন:
আর স্বপ্ন দেখি অনেক বড় : একটা প্রজন্ম - যারা পৃথিবী'র সেরা সব সিনেমা দেখবে, অসাধারণ সব সাহিত্য পড়বে আর শ্রেষ্ঠ সব শিল্পীদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করবে ! 8-|

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমৎকার! দূর্দান্ত একটা পোষ্ট! অনেকদিন পর একটা ভালো লেখা পড়লাম। ইম্প্রেশনিজমে তার সমকক্ষ আমার ধারনা কেউই ছিলেন না।

প্রিয়তে এবং শেয়ার্ড।

০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭

শাহেদ খান বলেছেন: "ইম্প্রেশনিজমে তার সমকক্ষ আমার ধারনা কেউই ছিলেন না।" - ইম্প্রেশনিজমের প্রতিটা শিল্পীই ছিলেন নিজেদের বৈশিষ্ট্যে অনন্য আর অতুলনীয়, তারপরও, স্যুরা'র ক্ষেত্রে একথা মনে হয় আলাদা করে বলাই যায় ! চিত্রকলা'র সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্টেশনে স্যুরা' যেভাবে আগাচ্ছিলেন, মাত্র ৩১ বছর বয়সে মারা না গেলে তিনি যে কোথায় গিয়ে থামতেন - ভাবলেই হতবুদ্ধি হতে হয় !

এতটা উৎসাহে আমার অনেক ভাল লাগা জানবেন !

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৬

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম
অনেক কিছু জানার আছে :)

০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

শাহেদ খান বলেছেন: এইসব শিল্পীদের কাহিনী জানার সময় আমিও চমকে উঠছিলাম, আর ভীষণ আনন্দ পাচ্ছিলাম ! :)

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ !

০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

শাহেদ খান বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগল 8-|

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

দোলাভাই বলেছেন: অসাধারন ভাই

+++

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

শাহেদ খান বলেছেন: প্লাসে প্লাস ! :)

অনেক ভাল লাগল !

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আজই প্রথম উনাকে জানলাম।
দারুন।
আপনার পরিশ্রমী পোস্ট টা কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ থাকলো।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

শাহেদ খান বলেছেন: পোস্ট টা কাজে লাগলেই সার্থক, দূর্জয় ভাই !

কমেন্টে ভাল লাগা জানবেন !

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চমৎকার উপস্থাপনা এবং দুর্দান্ত একটি পোস্ট +++++

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩

শাহেদ খান বলেছেন: এতটা উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ভাল লাগা জানবেন 8-|

১২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
পোস্ট প্রিয়তে।


এই রকম একটা পেইন্ট জন্য শিল্পীর কি পরিমাণ সময় লাগত !
পরিশ্রমের কথা জিজ্ঞেস করলাম না... বোঝাই যাচ্ছে কি পরিমাণ ধৈর্য আর পরিশ্রম প্রয়োজন হত এক একটা পেইন্টইং এর পিছনে।


০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৮

শাহেদ খান বলেছেন: সেটাই ! ইম্প্রেশনিস্টদের এক্সিবিশনে যে পেইন্টিংসটা দিয়েছিলেন, অর্থাৎ "A Sunday Afternoon on the Island of La Grande Jatte" - ছবিটা তিনি প্রায় দুই বছর ধরে এঁকেছিলেন।

ডেডিকেশন ছিল এই শিল্পীদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। স্যুরা' তার সবটুকু সময় ডেডিকেট করেছিলেন, কিন্তু এমন কেউ কেউ ছিলেন যারা কতগুলো ছবি আঁকতে জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়েছিলেন ! এই সিরিজ চলতে থাকলে ওসব গল্পও সব বলব আশা রাখছি।

'প্রিয়তে' নিয়েছেন জেনে ভাল লাগল অনেক।

১৩| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,

সুন্দর একটি বিশ্লেষনাত্মক লেখা । অপটিক্যাল ফিজিক্স বা অপটিক্যাল ইল্যুশন নিয়ে, তা্ও আবার ছবিতে তার প্রয়োগের কথা বলেছেন যত্ন করে । ধন্যবাদ জানিয়ে রাখছি ।

তবে এখানটাতে এসে আপনার রসবোধ দেখেও চমৎকৃত -
আপনি চাইলে এর বিরুদ্ধে 'tough' যুক্তি দেখাতে পারেন, 'rough' তর্ক করতে পারেন, অথবা আমার বক্তব্যে 'laugh'-ও করতে পারেন। তবে আমার ধারণা আমি 'enough' উদাহরণ দিয়ে ফেলেছি অলরেডী)

শুভেচ্ছান্তে .......

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১২

শাহেদ খান বলেছেন: 8-|

শুভেচ্ছা আপনাকেও। কমেন্ট'টা পড়তে ভাল লাগছে !

১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। এই পেইন্টিং নিয়ে পোস্টগুলো দারুণ লাগছে। আরও লিখুন। প্লাস ও প্রিয়তে।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

শাহেদ খান বলেছেন: লেখার চেষ্টা থাকবে। এধরণের কমেন্টে আরও অনুপ্রাণিত হই ! :)

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

নস্টালজিক বলেছেন: স্যুরার আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম! মুগ্ধচোখ!

ইম্প্রেশনিজম সম্পর্কেও জানলাম খানিক!

দারূন পোস্ট, শাহেদ!


নিয়মিত পড়ার ইচ্ছে থাকলো!

শুভেচ্ছা নিরন্তর!

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৭

শাহেদ খান বলেছেন: ইম্প্রেশনিস্ট'রা সবাই ছিলেন নিজস্ব স্টাইলে মুগ্ধ করার মত জাদুকর !

ভাল লাগায় আনন্দিত। শুভেচ্ছা আপনাকেও, রানা ভাই ! :)

১৬| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এক ঝলক দেখলাম ছবি আর লেখা গুলো ছবির পেছনের কথা হিসাবে। আমি বুক মার্ক করে রাখলাম । ৪-৮ তারিখ পর্যন্ত এক সাথে ৫ টা পোষ্ট দিছেন আপনি । এত তথ্য সমৃদ্ধ লেখা পড়ে মগজে রাখাও তো অনেক কষ্টের ব্যাপার ভাইডি ! :|
আমারও তো একটা দুর্বল ব্রেন :P
আমি কাল এই লেখা গুলো পড়বো ।
শুভ রাত্রি

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

শাহেদ খান বলেছেন: আমি হাই-স্কুলের সামাজিক-বিজ্ঞান বইয়ের মত সন-তারিখ-ছবির নাম-ঠিকানা এমন সব তথ্য-বিবরণী দিচ্ছি না কিন্তু! শুধু গল্প বলছি ! :)

অত তাড়া নেই। যখন সময় হবে, পড়বেন।

১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আর্টের সাথে সায়েন্স মিশিয়ে রেটিনায় যে রঙের কাজ স্যুরা দেখালেন নিঃসন্দেহে চমৎকার ! দূর থেকে বোঝার উপায় নাই তার ছবি আঁকার প্রসেস। জুম করাতেই বোঝা গেলো।

যে কয়জন ইনপ্রেশনিস্ট এর সম্পর্কে জানলাম , ছবি দেখলাম ইচ্ছ এ করছে সবার কাছ থেকে একটা করে ছবি আঁকানোর জন্য ঐ সময়ে কেন জন্মালাম না !

স্যুরার ছবিতে মানুষের মাঝে প্রাণ না থাকার কারণ সম্ভবত উনি রঙের কাজ দেখাতে চেয়েছেন , নতুনত্ব আনতে চেয়েছেন। গাছ, নদী, লেক , ফ্রান্স শহরের আইকন এইসব একটা থীম কিন্তু মেইন সাবজেক্ট রঙ এর ব্যবহার, মৌলিক রঙের কাজ ।

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২১

শাহেদ খান বলেছেন: ওই সময় জন্মালে হয়তো মোটামুটি সহজে তাদের পেইন্টিং সংগ্রহ করতে পারতেন। তারা বেশ অর্থকষ্টে ছিলেন - তবে সবার চোখে তারা ছিলেন খারাপ পেইন্টার। তাই ওই সময়ে হলে আপনি তাদের পেইন্টিংসে আগ্রহী হতেন কিনা সেটাও বলা মুশকিল ! :P

হুম, স্যুরা' কী যে বোঝাতে চেয়েছিলেন, তা তো নির্ণয় করা যায় নি এখনও। তবে তার ভয়াবহ চাপা-স্বভাবের কারণে ব্যাপারটা আরও কঠিন হয়ে গেছে। এক অমীমাংসীত জাদু রেখে হঠাৎ হারিয়ে গেল জাদুকর...

১৮| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি আমার নিজের ছবিই আঁকাতাম । শিল্পীদের দাম তাদের মৃত্যুর পরেই দেয়া হয় ,যেহেতু তাদের মাথা খারাপ বলা হয় জীবিত অবস্থায় তাদের কাজ কর্মের ধরণ দেখে। সে হিসাবে মাথা খারাপ মানুষ আমার পছন্দেরই ।

ইসশ কেউ যদি আমাকে এমন করে ফ্রেমে বন্দী করে রাখত !!! :||

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

শাহেদ খান বলেছেন: খুঁজে দেখুন, আজও হয়তো কোনও শিল্পী অবহেলায় পড়ে আছে ! পরে তাদের গল্প পড়বেন, আর মনে হবে, আয়-হায় ! আমার ছবি তো এদের দিয়েও আঁকাতে পারতাম ! #:-S

১৯| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: দারুন কিছু দেখা ও জানা হল। থ্যাংকস শাহেদ ভাই।

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১১

শাহেদ খান বলেছেন: অনেক অনেকদিন পর, শূন্য উপত্যকা ! নাকি অনেক মাস/বছর পর বলা যায় !

পোস্ট'টা ভাল লেগেছে জেনে অনেক আনন্দিত ! ভাল থাকবেন।

২০| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

কিষান বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা। প্রিয়তে নিলাম

এভাবে ছবি আঁকতে তো অনেক সময় ও শ্রম দরকার। তবে Innovation দেখে সত্যিই মাথা ঘুরে গেলো

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩১

শাহেদ খান বলেছেন: সত্যিই এই ধারা'র সব শিল্পীদের 'ইনোভেশন' ছিল মাথা নষ্ট করার মত ! তবে স্যুরা' খুব বেশি সময় পান নি। মাত্র ৩১ বছর বয়সে চলে গেলেন...

তা না হলে আরও কত অদ্ভূত সুন্দর সৃষ্টিকর্ম দেখতাম কে জানে !

শুভকামনা। ব্লগে স্বাগতম।

২১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

সুমন জেবা বলেছেন: চমৎকার

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩২

শাহেদ খান বলেছেন: ভাল লাগায় আনন্দিত !

শুভেচ্ছা।

২২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
২ বছর... আর আমরা বাঙ্গালীরা ২ ঘণ্টা কোন কিছুতে লেগে থাকলেই বিরক্ত হয়ে যাই...

সেই মহান শিল্পীদের প্রতি ভালোবাসা রইল ।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

শাহেদ খান বলেছেন: সেই মহান শিল্পীদের প্রতি ভালোবাসা রইল 8-|

২৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১২

ভুং ভাং বলেছেন: ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম । অসাধারণ ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১১

শাহেদ খান বলেছেন: স্যুরা'র ছবি বিস্ময়কর এবং অসাধারণ। তবে, মাত্র ৩১ বছর বয়সে মারা না গেলে তিনি আমাদের আরও কী উপহার দিয়ে যেতেন -- সেই ভাবনাটাও কম আলোড়িত করে না !

শুভেচ্ছা, ভুং ভাং।

২৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

রনি রনউক বলেছেন: শূরায় ইম্প্রেসড হয়ে গেলাম !!

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৮

শাহেদ খান বলেছেন: দোস্ত এই বইটা পড়ে দেখতে পারস, ভাল লাগার একটা বই।



বইয়ের নাম পোস্টের প্রথম কমেন্টে পাবি। আর বিবিসি'র ডকুমেন্টারি'টাও খুব ইন্টারেস্টিং করেই বানাইসে।

ইম্প্রেশনিস্টদের দেখেই চিত্রশিল্পে প্রথম প্রথম আগ্রহ পেলাম...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.